HADITH.One
HADITH.One
Bangla
System
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন
সোনামনিদের হাদীস শিক্ষা আসর-১
লেখকঃ আলী হাসান তৈয়ব
১১
পিতা-মাতার সঙ্গে সদ্বব্যবহার করবেআবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
جَاءَ رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ : يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَنْ أَحَقُّ النَّاسِ بِحُسْنِ صَحَابَتِي؟ قَالَ : «أُمُّكَ» قَالَ : ثُمَّ مَنْ؟ قَالَ : «ثُمَّ أُمُّكَ» قَالَ : ثُمَّ مَنْ؟ قَالَ : «ثُمَّ أُمُّكَ» قَالَ : ثُمَّ مَنْ؟ قَالَ : «ثُمَّ أَبُوكَ»
এক ব্যক্তি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমার উত্তম আচরণ পাওয়ার অধিক হকদার কে? তিনি বললেন, তোমার মা। লোকটি বললেন, তারপর কে? তিনি বললেন, তোমার মা। অতঃপর লোকটি আবার বললেন তারপর কে? তিনি বললেন, তোমার মা। অতঃপর লোকটি বললেন তারপর কে? তিনি বললেন তোমার বাবা’। [বুখারী : ৬২৯৮]
বন্ধুরা, আল্লাহ নারীকে মায়ের মর্যাদা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। মাতৃত্বের কারণে মা জননী শ্রদ্ধা, সম্মান ও সুন্দর আচরণ পাওয়ার হকদার। তাই ‘মা’ নারী ও পুরুষ সবার কাছে মর্যাদার শিখরে অধিষ্ঠিত। এ নিখিল বিশ্বে মায়ের কোল হচ্ছে নিরাপদ আশ্রয়স্থল। মাতৃস্নেহ এক জান্নাতি নিয়ামত। ‘মা’ স্নেহের পরশ দিয়ে সন্তানদের হৃদয়কোণে স্বস্তি, সান্ত্বনা ও প্রশান্তি উপহার দেন। সন্তানকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলেন। নয় মাস গর্ভে ধারণ করে ‘মা’ তার কলিজার টুকরোকে হৃদয়ের তন্ত্রী ছিঁড়ে অসহনীয় যন্ত্রণা ভোগ করে জীবন-মরণের সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিয়ে প্রসব বেদনার অবর্ণনীয় কষ্ট সহ্য করে এ উন্মুক্ত পৃথিবীতে ভূমিষ্ট করেন। জন্মের দু’বছর ধরে বুকের মধুময় স্তন্য পান করিয়ে তিল তিল করে বড় করে তোলেন। মায়ের এ কষ্ট তার নিজেকেই বহন করতে হয়। কোনো পুরুষ এ কষ্টের ভাগীদার হতে চাইলেও সম্ভব নয়। এ জন্য আল্লাহর রাসূল তিনবার মায়ের সঙ্গে সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন। এরপর বলেছেন বাবার কথা।
বাবার অবদানও অস্বীকার করার মতো নয়। বাবার সঙ্গে পৃথিবীর আর কোনো পুরুষের তুলনা হয় না। তিনি নিজে কষ্ট করে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে সন্তানের জন্য উপার্জন করেন। সন্তানের সুখের জন্য সম্ভাব্য সবকিছুই করেন। আমাদের সকল আবদার পূরণে তিনিই তাঁর সর্বোচ্চ চেষ্টা নিয়োগ করেন। একজন রিকশাচালক বাবাও সোনামনির জ্বর হলে ঘামে নেয়ে দুধ-পাউরুটি আর কলা নিয়ে বাসায় ফেরেন। বিদ্যালয়ে বেতনসহ সবধরনের আর্থিক ব্যয় তিনিই বহন করেন। আর তিনিই সন্তানের অসুখ হলে ছুটে যান রাত-বিরাতে কিংবা শীত-বৃষ্টিতে ডাক্তারের কাছে। সন্তানের অসুখ হলে তিনি এক মুহূর্তও স্বস্তিতে থাকতে পারেন না।
সন্তানের কল্যাণার্থে যে কোনো সময় বাবা-মা নিজের জীবন বাজি রাখতে প্রস্তুত থাকেন। সন্তানের সামান্য রোগ-বালাই হলেও বাবা-মায়ের আরামের নিদ্রা হারাম হয়ে যায়। এ জন্যই মহান আল্লাহ নিজের হকের পাশাপাশি পিতামাতার হকের কথা বলেছেন। আল্লাহ নির্দেশনা দিয়ে বলেন,
﴿۞وَقَضَىٰ رَبُّكَ أَلَّا تَعۡبُدُوٓاْ إِلَّآ إِيَّاهُ وَبِٱلۡوَٰلِدَيۡنِ إِحۡسَٰنًاۚ إِمَّا يَبۡلُغَنَّ عِندَكَ ٱلۡكِبَرَ أَحَدُهُمَآ أَوۡ كِلَاهُمَا فَلَا تَقُل لَّهُمَآ أُفّٖ وَلَا تَنۡهَرۡهُمَا وَقُل لَّهُمَا قَوۡلٗا كَرِيمٗا ٢٣ وَٱخۡفِضۡ لَهُمَا جَنَاحَ ٱلذُّلِّ مِنَ ٱلرَّحۡمَةِ وَقُل رَّبِّ ٱرۡحَمۡهُمَا كَمَا رَبَّيَانِي صَغِيرٗا ٢٤ ﴾ [ الاسراء : ٢٣، ٢٤ ]
‘তোমার প্রতিপালক নির্দেশ দিয়েছেন যে, তোমরা তিনি ছাড়া অন্য কারো ইবাদত করবে না এবং পিতামাতার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করবে, তাদের একজন অথবা উভয়েই তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হলে তাদেরকে বিরক্তিসূচক কিছু বলবে না এবং তাদের ভর্ৎসনা করো না, বরং তাদের সঙ্গে সম্মানসূচক কোমল ভাষায় কথা বলবে। অনুকম্পায় তাদের প্রতি বিনয়াবনত থাকবে এবং বলবে, হে আমার প্রতিপালক তাদের উভয়ের প্রতি দয়া করুন যেভাবে শৈশবে তারা আমাকে প্রতিপালন করেছিলেন।’ {সূরা আল-ইসরা : ২৩-২৪}
পিতামাতা কী জিনিস তা শুধু তারাই বোঝে যাদের বাবা-মা দুনিয়ায় নেই। আমাদের এতিম নবী এ জন্য বহু হাদীসে পিতামাতার সম্মান, মর্যাদা, অধিকার ও তাদের প্রতি আমাদের করণীয় নিয়ে বহু নির্দেশনা দিয়েছেন। পিতামাতাকে মনেপ্রাণে যেমন সম্মান করতে হবে, তেমনি তাঁদের সেবাও করতে হবে যথাসাধ্য। সবচে জরুরি হলো তাঁরা সামান্যতম কষ্ট পেতে পারেন এমন কোনো কথা বলা যাবে না এবং এমন কোনো কাজও করা যাবে না।
جَاءَ رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ : يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَنْ أَحَقُّ النَّاسِ بِحُسْنِ صَحَابَتِي؟ قَالَ : «أُمُّكَ» قَالَ : ثُمَّ مَنْ؟ قَالَ : «ثُمَّ أُمُّكَ» قَالَ : ثُمَّ مَنْ؟ قَالَ : «ثُمَّ أُمُّكَ» قَالَ : ثُمَّ مَنْ؟ قَالَ : «ثُمَّ أَبُوكَ»
এক ব্যক্তি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমার উত্তম আচরণ পাওয়ার অধিক হকদার কে? তিনি বললেন, তোমার মা। লোকটি বললেন, তারপর কে? তিনি বললেন, তোমার মা। অতঃপর লোকটি আবার বললেন তারপর কে? তিনি বললেন, তোমার মা। অতঃপর লোকটি বললেন তারপর কে? তিনি বললেন তোমার বাবা’। [বুখারী : ৬২৯৮]
বন্ধুরা, আল্লাহ নারীকে মায়ের মর্যাদা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। মাতৃত্বের কারণে মা জননী শ্রদ্ধা, সম্মান ও সুন্দর আচরণ পাওয়ার হকদার। তাই ‘মা’ নারী ও পুরুষ সবার কাছে মর্যাদার শিখরে অধিষ্ঠিত। এ নিখিল বিশ্বে মায়ের কোল হচ্ছে নিরাপদ আশ্রয়স্থল। মাতৃস্নেহ এক জান্নাতি নিয়ামত। ‘মা’ স্নেহের পরশ দিয়ে সন্তানদের হৃদয়কোণে স্বস্তি, সান্ত্বনা ও প্রশান্তি উপহার দেন। সন্তানকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলেন। নয় মাস গর্ভে ধারণ করে ‘মা’ তার কলিজার টুকরোকে হৃদয়ের তন্ত্রী ছিঁড়ে অসহনীয় যন্ত্রণা ভোগ করে জীবন-মরণের সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিয়ে প্রসব বেদনার অবর্ণনীয় কষ্ট সহ্য করে এ উন্মুক্ত পৃথিবীতে ভূমিষ্ট করেন। জন্মের দু’বছর ধরে বুকের মধুময় স্তন্য পান করিয়ে তিল তিল করে বড় করে তোলেন। মায়ের এ কষ্ট তার নিজেকেই বহন করতে হয়। কোনো পুরুষ এ কষ্টের ভাগীদার হতে চাইলেও সম্ভব নয়। এ জন্য আল্লাহর রাসূল তিনবার মায়ের সঙ্গে সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন। এরপর বলেছেন বাবার কথা।
বাবার অবদানও অস্বীকার করার মতো নয়। বাবার সঙ্গে পৃথিবীর আর কোনো পুরুষের তুলনা হয় না। তিনি নিজে কষ্ট করে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে সন্তানের জন্য উপার্জন করেন। সন্তানের সুখের জন্য সম্ভাব্য সবকিছুই করেন। আমাদের সকল আবদার পূরণে তিনিই তাঁর সর্বোচ্চ চেষ্টা নিয়োগ করেন। একজন রিকশাচালক বাবাও সোনামনির জ্বর হলে ঘামে নেয়ে দুধ-পাউরুটি আর কলা নিয়ে বাসায় ফেরেন। বিদ্যালয়ে বেতনসহ সবধরনের আর্থিক ব্যয় তিনিই বহন করেন। আর তিনিই সন্তানের অসুখ হলে ছুটে যান রাত-বিরাতে কিংবা শীত-বৃষ্টিতে ডাক্তারের কাছে। সন্তানের অসুখ হলে তিনি এক মুহূর্তও স্বস্তিতে থাকতে পারেন না।
সন্তানের কল্যাণার্থে যে কোনো সময় বাবা-মা নিজের জীবন বাজি রাখতে প্রস্তুত থাকেন। সন্তানের সামান্য রোগ-বালাই হলেও বাবা-মায়ের আরামের নিদ্রা হারাম হয়ে যায়। এ জন্যই মহান আল্লাহ নিজের হকের পাশাপাশি পিতামাতার হকের কথা বলেছেন। আল্লাহ নির্দেশনা দিয়ে বলেন,
﴿۞وَقَضَىٰ رَبُّكَ أَلَّا تَعۡبُدُوٓاْ إِلَّآ إِيَّاهُ وَبِٱلۡوَٰلِدَيۡنِ إِحۡسَٰنًاۚ إِمَّا يَبۡلُغَنَّ عِندَكَ ٱلۡكِبَرَ أَحَدُهُمَآ أَوۡ كِلَاهُمَا فَلَا تَقُل لَّهُمَآ أُفّٖ وَلَا تَنۡهَرۡهُمَا وَقُل لَّهُمَا قَوۡلٗا كَرِيمٗا ٢٣ وَٱخۡفِضۡ لَهُمَا جَنَاحَ ٱلذُّلِّ مِنَ ٱلرَّحۡمَةِ وَقُل رَّبِّ ٱرۡحَمۡهُمَا كَمَا رَبَّيَانِي صَغِيرٗا ٢٤ ﴾ [ الاسراء : ٢٣، ٢٤ ]
‘তোমার প্রতিপালক নির্দেশ দিয়েছেন যে, তোমরা তিনি ছাড়া অন্য কারো ইবাদত করবে না এবং পিতামাতার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করবে, তাদের একজন অথবা উভয়েই তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হলে তাদেরকে বিরক্তিসূচক কিছু বলবে না এবং তাদের ভর্ৎসনা করো না, বরং তাদের সঙ্গে সম্মানসূচক কোমল ভাষায় কথা বলবে। অনুকম্পায় তাদের প্রতি বিনয়াবনত থাকবে এবং বলবে, হে আমার প্রতিপালক তাদের উভয়ের প্রতি দয়া করুন যেভাবে শৈশবে তারা আমাকে প্রতিপালন করেছিলেন।’ {সূরা আল-ইসরা : ২৩-২৪}
পিতামাতা কী জিনিস তা শুধু তারাই বোঝে যাদের বাবা-মা দুনিয়ায় নেই। আমাদের এতিম নবী এ জন্য বহু হাদীসে পিতামাতার সম্মান, মর্যাদা, অধিকার ও তাদের প্রতি আমাদের করণীয় নিয়ে বহু নির্দেশনা দিয়েছেন। পিতামাতাকে মনেপ্রাণে যেমন সম্মান করতে হবে, তেমনি তাঁদের সেবাও করতে হবে যথাসাধ্য। সবচে জরুরি হলো তাঁরা সামান্যতম কষ্ট পেতে পারেন এমন কোনো কথা বলা যাবে না এবং এমন কোনো কাজও করা যাবে না।
রিডিং সেটিংস
Bangla
System
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন