HADITH.One
HADITH.One
Bangla
System
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন
সোনামনিদের হাদীস শিক্ষা আসর-১
লেখকঃ আলী হাসান তৈয়ব
১৩
অন্যকে বিরক্ত করো নাআবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ مَنْ لَا يَأْمَنُ جَارُهُ بَوَائِقَهُ»
‘ওই ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না যার প্রতিবেশি তার অনিষ্ট থেকে নিরাপদ নয়’। [মুসলিম : ৪৬]
আবু শুরাইহ আনসারী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«وَاللَّهِ لاَ يُؤْمِنُ، وَاللَّهِ لاَ يُؤْمِنُ، وَاللَّهِ لاَ يُؤْمِنُ» قِيلَ : وَمَنْ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ : «الَّذِي لاَ يَأْمَنُ جَارُهُ بَوَايِقَهُ»
‘আল্লাহর কসম! সে মুমিন নয়, আল্লাহর কসম! সে মুমিন নয়, আল্লাহর কসম! সে মুমিন নয়। জিজ্ঞেস করা হল, হে আল্লাহর রাসূল, কে সেই ব্যক্তি? তিনি বললেন, যার অনিষ্ট বা ডিস্টার্ব থেকে তার প্রতিবেশী নিরাপদ থাকে না।’ [বুখারী : ৬০১৬]
মানুষ সামাজিক জীব। পৃথিবীর সূচনালগ্ন থেকেই মানুষ সমাজবদ্ধ হয়ে বসবাস করে আসছে। সমাজজীবন সুন্দর ও শান্তিময় হোক সেটা সবার কাম্য। সমাজজীবনে শান্তি ও সৌহার্দ্য বজায় রাখতে প্রয়োজন শৃঙ্খলা বজায় রাখা। একের আচরণে দশের বিরক্তি উৎপাদন না করা। নিজের কথা ও কাজ দ্বারা কোনোভাবে অন্যকে কষ্ট না দেওয়া। ইসলাম এ ক্ষেত্রে সুন্দর শিক্ষাচার শিক্ষা দিয়েছে।
আমরা দৈনন্দিন জীবনে প্রায়শই নানাভাবে অন্যকে বিরক্ত করি। অন্যের বিরক্তি ও অশান্তির কারণ তৈরি করি। তুমি যখন সর্বোচ্চ ভলিয়মে গান শুনে নিজের স্বাধীনতা ভোগ করো, খেয়াল করলেই দেখবে নিজের স্বাধীনতা চর্চার পাশাপাশি অন্যের স্বাধীনতায়ও কেমন অন্যায় হস্তক্ষেপ করছ। অসুস্থ কিংবা ঘুমন্ত কোনো শিশু বা বৃদ্ধের শান্তি বিনষ্ট করছ, ছাত্রছাত্রী বা পরীক্ষার্থীর পড়ায় ডিস্টার্ব করছ অথবা নামাজ বা কুরআন তিলাওয়ারত কাউকে বিরক্ত করে পাপ কুড়াচ্ছ।
আবাসিক এলাকায় মুক্ত কর্নসার্টের আয়োজন করে, নিজের বাসায় টিভির ভলিয়ম বাড়িয়ে, অযথা মোবাইলে চেঁচিয়ে কথা বলে, অপ্রয়োজনে গাড়ির হর্ন বাজিয়ে, মানুষের বিশ্রাম ও নীরবতার সময় বেপরোয়া মাইকিং করে আমরা অন্যকে কষ্ট দেই। ভুক্তভোগী মুসল্লিমাত্রই জানেন মসজিদের মতো নীরব ও সুশান্তস্থানে মোবাইলের বিকট রিংটোন কিভাবে এর পবিত্রতা ও গাম্ভীর্য নষ্ট করে। তেমনি প্রতিবেশির চলার পথে আবর্জনা ফেলে কিংবা তার বিরক্তির কারণ বাড়িয়ে তাকে কষ্ট দেই।
প্রতিবেশির কষ্টের কারণ না হতে ইসলামে বারবার সতর্ক করা হয়েছে। প্রতিবেশির অধিকার রক্ষা ও সামাজিক শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। আল-কুরআনে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿ وَٱلَّذِينَ يُؤۡذُونَ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ وَٱلۡمُؤۡمِنَٰتِ بِغَيۡرِ مَا ٱكۡتَسَبُواْ فَقَدِ ٱحۡتَمَلُواْ بُهۡتَٰنٗا وَإِثۡمٗا مُّبِينٗا ٥٨ ﴾ [ الاحزاب : ٥٨ ]
‘যারা বিনা অপরাধে মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীদেরকে কষ্ট দেয় তারা মিথ্যা অপবাদ ও প্রকাশ্য পাপের বোঝা বহন করে।’ {সূরা আল-আহযাব : ৫৮}
প্রতিবেশী আত্মীয় হোক অথবা অনাত্মীয়, মুসলিম হোক অথবা অমুসলিম যেকোনো অবস্থায় সাধ্যানুযায়ী তাদের সাহায্য-সহযোগিতা করা, তাদের সঙ্গে উত্তম আচরণ করা সর্বোপরি তাদের ত্যক্ত বা বিরক্ত না করা আল্লাহর নির্দেশ। আল্লাহ বলেন,
﴿ ۞وَٱعۡبُدُواْ ٱللَّهَ وَلَا تُشۡرِكُواْ بِهِۦ شَيۡٔٗاۖ وَبِٱلۡوَٰلِدَيۡنِ إِحۡسَٰنٗا وَبِذِي ٱلۡقُرۡبَىٰ وَٱلۡيَتَٰمَىٰ وَٱلۡمَسَٰكِينِ وَٱلۡجَارِ ذِي ٱلۡقُرۡبَىٰ وَٱلۡجَارِ ٱلۡجُنُبِ وَٱلصَّاحِبِ بِٱلۡجَنۢبِ وَٱبۡنِ ٱلسَّبِيلِ وَمَا مَلَكَتۡ أَيۡمَٰنُكُمۡۗ إِنَّ ٱللَّهَ لَا يُحِبُّ مَن كَانَ مُخۡتَالٗا فَخُورًا ٣٦ ﴾ [ النساء : ٣٦ ]
‘আল্লাহর ইবাদত কর, তাঁর সঙ্গে কাউকে শরীক করো না। পিতা-মাতার সঙ্গে সদ্ব্যবহার কর এবং নিকটাত্মীয়, ইয়াতীম, মিসকীন, নিকটবর্তী প্রতিবেশী ও দূরবর্তী প্রতিবেশী, সহকর্মী, পথিক ও দাসদাসীর সঙ্গে ভালো ব্যবহার কর। নিশ্চয় আল্লাহ অহংকারী-দাম্ভিককে পছন্দ করেন না।’ {সূরা আন-নিসা : ৩৬}
আবু শুরাইহ আনসারী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«وَاللَّهِ لاَ يُؤْمِنُ، وَاللَّهِ لاَ يُؤْمِنُ، وَاللَّهِ لاَ يُؤْمِنُ» قِيلَ : وَمَنْ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ : «الَّذِي لاَ يَأْمَنُ جَارُهُ بَوَائقَهُ»
‘আল্লাহর কসম! সে মুমিন নয়, আল্লাহর কসম! সে মুমিন নয়, আল্লাহর কসম! সে মুমিন নয়। জিজ্ঞেস করা হল, হে আল্লাহর রাসূল, কে সেই ব্যক্তি? তিনি বললেন, যার অনিষ্ট বা ডিস্টার্ব থেকে তার প্রতিবেশী নিরাপদ থাকে না।’ [বুখারী : ৬০১৬]
অতএব সর্বদা সতর্ক থাকবে, তোমার আচরণে কেউ যেন বিরক্ত না হয়। তোমার কর্মকাণ্ড বা চলাফেরায় যেন কেউ কষ্ট না পায়।
«لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ مَنْ لَا يَأْمَنُ جَارُهُ بَوَائِقَهُ»
‘ওই ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না যার প্রতিবেশি তার অনিষ্ট থেকে নিরাপদ নয়’। [মুসলিম : ৪৬]
আবু শুরাইহ আনসারী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«وَاللَّهِ لاَ يُؤْمِنُ، وَاللَّهِ لاَ يُؤْمِنُ، وَاللَّهِ لاَ يُؤْمِنُ» قِيلَ : وَمَنْ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ : «الَّذِي لاَ يَأْمَنُ جَارُهُ بَوَايِقَهُ»
‘আল্লাহর কসম! সে মুমিন নয়, আল্লাহর কসম! সে মুমিন নয়, আল্লাহর কসম! সে মুমিন নয়। জিজ্ঞেস করা হল, হে আল্লাহর রাসূল, কে সেই ব্যক্তি? তিনি বললেন, যার অনিষ্ট বা ডিস্টার্ব থেকে তার প্রতিবেশী নিরাপদ থাকে না।’ [বুখারী : ৬০১৬]
মানুষ সামাজিক জীব। পৃথিবীর সূচনালগ্ন থেকেই মানুষ সমাজবদ্ধ হয়ে বসবাস করে আসছে। সমাজজীবন সুন্দর ও শান্তিময় হোক সেটা সবার কাম্য। সমাজজীবনে শান্তি ও সৌহার্দ্য বজায় রাখতে প্রয়োজন শৃঙ্খলা বজায় রাখা। একের আচরণে দশের বিরক্তি উৎপাদন না করা। নিজের কথা ও কাজ দ্বারা কোনোভাবে অন্যকে কষ্ট না দেওয়া। ইসলাম এ ক্ষেত্রে সুন্দর শিক্ষাচার শিক্ষা দিয়েছে।
আমরা দৈনন্দিন জীবনে প্রায়শই নানাভাবে অন্যকে বিরক্ত করি। অন্যের বিরক্তি ও অশান্তির কারণ তৈরি করি। তুমি যখন সর্বোচ্চ ভলিয়মে গান শুনে নিজের স্বাধীনতা ভোগ করো, খেয়াল করলেই দেখবে নিজের স্বাধীনতা চর্চার পাশাপাশি অন্যের স্বাধীনতায়ও কেমন অন্যায় হস্তক্ষেপ করছ। অসুস্থ কিংবা ঘুমন্ত কোনো শিশু বা বৃদ্ধের শান্তি বিনষ্ট করছ, ছাত্রছাত্রী বা পরীক্ষার্থীর পড়ায় ডিস্টার্ব করছ অথবা নামাজ বা কুরআন তিলাওয়ারত কাউকে বিরক্ত করে পাপ কুড়াচ্ছ।
আবাসিক এলাকায় মুক্ত কর্নসার্টের আয়োজন করে, নিজের বাসায় টিভির ভলিয়ম বাড়িয়ে, অযথা মোবাইলে চেঁচিয়ে কথা বলে, অপ্রয়োজনে গাড়ির হর্ন বাজিয়ে, মানুষের বিশ্রাম ও নীরবতার সময় বেপরোয়া মাইকিং করে আমরা অন্যকে কষ্ট দেই। ভুক্তভোগী মুসল্লিমাত্রই জানেন মসজিদের মতো নীরব ও সুশান্তস্থানে মোবাইলের বিকট রিংটোন কিভাবে এর পবিত্রতা ও গাম্ভীর্য নষ্ট করে। তেমনি প্রতিবেশির চলার পথে আবর্জনা ফেলে কিংবা তার বিরক্তির কারণ বাড়িয়ে তাকে কষ্ট দেই।
প্রতিবেশির কষ্টের কারণ না হতে ইসলামে বারবার সতর্ক করা হয়েছে। প্রতিবেশির অধিকার রক্ষা ও সামাজিক শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। আল-কুরআনে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿ وَٱلَّذِينَ يُؤۡذُونَ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ وَٱلۡمُؤۡمِنَٰتِ بِغَيۡرِ مَا ٱكۡتَسَبُواْ فَقَدِ ٱحۡتَمَلُواْ بُهۡتَٰنٗا وَإِثۡمٗا مُّبِينٗا ٥٨ ﴾ [ الاحزاب : ٥٨ ]
‘যারা বিনা অপরাধে মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীদেরকে কষ্ট দেয় তারা মিথ্যা অপবাদ ও প্রকাশ্য পাপের বোঝা বহন করে।’ {সূরা আল-আহযাব : ৫৮}
প্রতিবেশী আত্মীয় হোক অথবা অনাত্মীয়, মুসলিম হোক অথবা অমুসলিম যেকোনো অবস্থায় সাধ্যানুযায়ী তাদের সাহায্য-সহযোগিতা করা, তাদের সঙ্গে উত্তম আচরণ করা সর্বোপরি তাদের ত্যক্ত বা বিরক্ত না করা আল্লাহর নির্দেশ। আল্লাহ বলেন,
﴿ ۞وَٱعۡبُدُواْ ٱللَّهَ وَلَا تُشۡرِكُواْ بِهِۦ شَيۡٔٗاۖ وَبِٱلۡوَٰلِدَيۡنِ إِحۡسَٰنٗا وَبِذِي ٱلۡقُرۡبَىٰ وَٱلۡيَتَٰمَىٰ وَٱلۡمَسَٰكِينِ وَٱلۡجَارِ ذِي ٱلۡقُرۡبَىٰ وَٱلۡجَارِ ٱلۡجُنُبِ وَٱلصَّاحِبِ بِٱلۡجَنۢبِ وَٱبۡنِ ٱلسَّبِيلِ وَمَا مَلَكَتۡ أَيۡمَٰنُكُمۡۗ إِنَّ ٱللَّهَ لَا يُحِبُّ مَن كَانَ مُخۡتَالٗا فَخُورًا ٣٦ ﴾ [ النساء : ٣٦ ]
‘আল্লাহর ইবাদত কর, তাঁর সঙ্গে কাউকে শরীক করো না। পিতা-মাতার সঙ্গে সদ্ব্যবহার কর এবং নিকটাত্মীয়, ইয়াতীম, মিসকীন, নিকটবর্তী প্রতিবেশী ও দূরবর্তী প্রতিবেশী, সহকর্মী, পথিক ও দাসদাসীর সঙ্গে ভালো ব্যবহার কর। নিশ্চয় আল্লাহ অহংকারী-দাম্ভিককে পছন্দ করেন না।’ {সূরা আন-নিসা : ৩৬}
আবু শুরাইহ আনসারী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«وَاللَّهِ لاَ يُؤْمِنُ، وَاللَّهِ لاَ يُؤْمِنُ، وَاللَّهِ لاَ يُؤْمِنُ» قِيلَ : وَمَنْ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ : «الَّذِي لاَ يَأْمَنُ جَارُهُ بَوَائقَهُ»
‘আল্লাহর কসম! সে মুমিন নয়, আল্লাহর কসম! সে মুমিন নয়, আল্লাহর কসম! সে মুমিন নয়। জিজ্ঞেস করা হল, হে আল্লাহর রাসূল, কে সেই ব্যক্তি? তিনি বললেন, যার অনিষ্ট বা ডিস্টার্ব থেকে তার প্রতিবেশী নিরাপদ থাকে না।’ [বুখারী : ৬০১৬]
অতএব সর্বদা সতর্ক থাকবে, তোমার আচরণে কেউ যেন বিরক্ত না হয়। তোমার কর্মকাণ্ড বা চলাফেরায় যেন কেউ কষ্ট না পায়।
রিডিং সেটিংস
Bangla
System
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন