মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
তাকীয়া (التقية)-র আকিদা ও তাদের মতে তার ফযিলতসমূহ:
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/705/13
শিয়াদের নিকট তাকীয়া ( التقية )-র অর্থ হল: নির্ভেজাল মিথ্যা, অথবা সুস্পষ্ট মুনাফেকি (কপটতা); যেমনিভাবে তাদের বর্ণনাসমূহ থেকে তা পরিষ্কার ও সুস্পষ্ট।
তাকীয়া ( التقية ) ও তার ফযিলতের ব্যাপারে শিয়াদের নির্ভরযোগ্য গ্রন্থসমূহ থেকে তাদের আকিদা ও বিশ্বাস নিয়ে বর্ণিত বর্ণনাসমূহ থেকে অংশবিশেষ উপস্থাপন করা হল।
আল-কুলাইনী বর্ণনা করেন:
“ইবনু ‘উমাইর আল-আ‘জামী থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমাকে আবূ আবদিল্লাহ আ. বলেন: হে আবূ ওমর! নিশ্চয় দীনের দশ ভাগের নয় ভাগ ‘তাকীয়া’ ( التقية )-র মধ্যে; যার ‘তাকীয়া’ নেই, তার ধর্ম নেই। আর মদ ও মোজার উপর মাসেহ ব্যতীত সকল বস্তুর মধ্যে ‘তাকীয়া’ আছে।” [উসুলুল কাফী ( أصول الكافي ), পৃ. ৪৮২]
আল-কুলাইনী আরও বর্ণনা করেন:
“আবূ জাফর আ. বলেন: ‘তাকীয়া’ আমার এবং আমার বাপ-দাদাদের ধর্ম। যার ‘তাকীয়া’ নেই, তার ঈমান নেই।” [উসুলুল কাফী ( أصول الكافي ), পৃ. ৪৮৪]
আল-কুলাইনী আরও বর্ণনা করেন:
“আবূ আবদিল্লাহ আ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: তোমরা তোমাদের দীনের ব্যাপারে ভয় কর এবং তাকে ‘তাকীয়া’ দ্বারা ঢেকে রাখ। কারণ, যার ‘তাকীয়া’ নেই, তার ঈমান নেই।” [উসুলুল কাফী ( أصول الكافي ), পৃ. ৪৮৩]
আল-কুলাইনী আরও বর্ণনা করেন:
“আবূ আবদিল্লাহ আ. থেকে বর্ণিত, আল্লাহ তা‘আলার বাণী: ﴿ وَلَا تَسۡتَوِي ٱلۡحَسَنَةُ وَلَا ٱلسَّيِّئَةُ﴾ (ভাল ও মন্দ সমান হতে পারে না)-প্রসঙ্গে তিনি বলেন: ভাল ( ٱلۡحَسَنَةُ ) হচ্ছে ‘তাকীয়া’ ( التقية ) বা গোপন করা এবং মন্দ ( ٱلسَّيِّئَةُ ) হচ্ছে প্রচার করা। আর আল্লাহ তা‘আলার বাণী: ﴿ ٱدۡفَعۡ بِٱلَّتِي هِيَ أَحۡسَنُ ﴾ (মন্দ প্রতিহত কর উৎকৃষ্ট দ্বারা)- প্রসঙ্গে তিনি বলেন: উৎকৃষ্ট হল ‘তাকীয়া’ ( التقية )।” [উসুলুল কাফী ( أصول الكافي ), পৃ. ৪৮২]
আল-কুলাইনী আরও বর্ণনা করেন:
“দরাসত আল-ওয়াসেতী থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আবূ আবদিল্লাহ আ. বলেন: কোন ব্যক্তির তাকীয়াই আসহাবে কাহাফের তাকীয়ার পর্যায়ে পৌঁছেনি; যদি তারা উৎবসমূহ প্রত্যক্ষ করত এবং পৈতা বাঁধত, তবে আল্লাহ তাদেরকে দ্বিগুণ প্রতিদান দিতেন।” উসুলুল কাফী ( أصول الكافي ) নামক গ্রন্থের ‘তাকীয়া’ ( التقية ) অধ্যায়ে এ বক্তব্য উদ্ধৃত হয়েছে।
প্রত্যেক প্রয়োজনে তাকীয়া ( التقية )
আল-কুলাইনী বর্ণনা করেন:
“আবূ জাফর আ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: প্রত্যেক প্রয়োজনের সময়েই ‘তাকীয়া’ রয়েছে; তার (প্রয়োজন) কখন হবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিই তা সম্পর্কে অধিক অবগত, যখন তার উপর সে প্রয়োজন এসে পড়ে।” [উসুলুল কাফী ( أصول الكافي ), পৃ. ৪৮৪]
তিনি আরও বর্ণনা করেন:
“মুহাম্মদ ইবন মুসলিম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমি আবূ আবদিল্লাহ আ.-এর নিকট উপস্থিত হলাম এমতাবস্থায় যে, তার নিকট আবূ হানিফা ছিলেন; অতঃপর আমি তাকে বললাম: আমি আমার নিজেকে আপনার জন্য উৎসর্গ করলাম, আমি এক বিস্ময়কর স্বপ্ন দেখেছি; তখন তিনি আমাকে বললেন: হে মুসলিমের ছেলে! তুমি তা বর্ণনা কর, তার সম্পর্কে অভিজ্ঞ ব্যক্তি এখানে বসা আছেন এবং তিনি তার হাত দ্বারা আবূ হানিফার দিকে ইঙ্গিত করেন; অতঃপর আমি বললাম: আমি (স্বপ্নে) দেখেছি যে, আমার মনে হল আমি আমার বাড়িতে প্রবেশ করলাম; তৎক্ষণাৎ আমার স্ত্রী আমার নিকট বের হয়ে আসল এবং অনেকগুলো আখরোট ভেঙ্গে তা আমার উপর চিটিয়ে দিল। আর এই স্বপ্ন দেখে আমি আশ্চর্য হলাম। অতঃপর আবূ হানিফা বললেন: তুমি এমন এক ব্যক্তি, যে তোমার স্ত্রীর উত্তরাধিকার নিয়ে ঝগড়া-বিবাদ করবে এবং প্রচণ্ড ঝগড়ার পর তার থেকে তোমার প্রয়োজন মিটে যাবে ইনশাআল্লাহ। অতঃপর আবূ আবদিল্লাহ আ. বললেন: আল্লাহর শপথ, হে আবূ হানিফা! আপনি সঠিক বলেছেন। অতঃপর আবূ হানিফা তার নিকট থেকে বের হয়ে গেল; তখন আমি তাকে বললাম: আমি আমাকে আপনার জন্য উৎসর্গ করলাম, আমি এই নাসেবী [শিয়ারা তাদের প্রতিপক্ষ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের লোকদেরকে নাসেবী বলে থাকে। এটা তাদের শত্রুতার প্রমাণ। [সম্পাদক]] লোকের ব্যাখ্যাকে অপছন্দ করি। অতঃপর তিনি বললেন: হে মুসলিমের ছেলে! আল্লাহ তোমাকে ক্ষতির সম্মূখীন করবেন না; কারণ, তাদের ব্যাখ্যা অনুযায়ী কিছু হবে না। আর সে যে ব্যাখ্যা করেছে, প্রকৃত ব্যাখ্যা এই রকম নয়। অতঃপর আমি তাকে বললাম: আপনার কথা সঠিক এবং তার কথার বিপরীত; আর সে ভুল করেছে; তখন তিনি বললেন: হ্যাঁ, আমি তার নিকট শপথ করে বলেছি যে, সে ভুল করেছে।” [ফুরু‘উল কাফী ( فروع الكافي ), রওযা অধ্যায়, পৃ. ১৩৮]
আল-কুলাইনী বর্ণনা করেন:
“আবূ আবদিল্লাহ আ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমার পিতা বলতেন: ‘তাকীয়া’র চেয়ে আমার চক্ষু অধিক শীতলকারী বস্তু আর কি হতে পারে! নিশ্চয় তাকীয়া’ হল মুমিনের জান্নাত। [উসুলুল কাফী ( أصول الكافي ), পৃ. ৪৮৪]
আল-কুলাইনী আরও বর্ণনা করেন:
“আবূ আবদিল্লাহ আ.-কে বলা হল: জনগণ আলী আ.-কে দেখেছে যে, তিনি কুফার মিম্বরে বসে বলেছিলেন: হে জনগণ! তোমাদেরকে অচিরেই আমাকে গালি দেয়ার জন্য আহ্বান করা হবে, সুতরাং তোমরা আমাকে গালি দাও; অতঃপর আমার সাথে সম্পর্কচ্যুতি ঘটাতে তোমাদেরকে আহ্বান করা হবে, তখন তোমরা আমার সাথে সম্পর্কচ্যুতি ঘটাবে না। অতঃপর তিনি বললেন, মানুষ আলী আ.-এর ব্যাপারে খুব বেশি মিথ্যা বলে; তারপর তিনি বললেন: তিনি (আলী আ.) তো শুধু বলেছেন, নিশ্চয় তোমাদেরকে অচিরেই আমাকে গালি দেয়ার জন্য আহ্বান করা হবে, সুতরাং তোমরা আমাকে গালি দিও; অতঃপর আমার সাথে সম্পর্কচ্যুতি ঘটাতে তোমাদেরকে আহ্বান করা হবে, অথচ নিশ্চতভাবে আমি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দীনের উপর প্রতিষ্ঠিত। আর তিনি বলেননি: তোমরা আমার সাথে সম্পর্কচ্যুতি ঘটাবে না।” [উসুলুল কাফী ( أصول الكافي ), পৃ. ৪৮৪]
শিয়াদের নিকট ইমামগণ নিষ্পাপ; আর তারা আল্লাহর পক্ষ থেকে ক্ষমতার অধিকারীও; তাদের মতে ছোট ও বড় প্রত্যেক ক্ষেত্রে তাদের আনুগত্য করা আবশ্যক। তাদের মতে ‘তাকীয়া’র জন্য যখন এত সব গুণাবলী বিদ্যমান আছে; তখন তাদের প্রত্যেক কথা ও কাজের মধ্যে অচিরেই সন্দেহ ও সংশয়ের সৃষ্টি হবে যে, তাদের মধ্য থেকে তা প্রকাশ পেয়েছে ‘তাকীয়া’র পথ ধরে; আর কোন সে ব্যক্তি যে নিশ্চিতরূপে ফয়সালা করবে যে, ইমামের উক্তিসমূহের মধ্যে এই কথাটি ছিল ‘তাকীয়া’ এবং এই কথাটি ছিল ‘তাকীয়া’ ব্যতীত? আর কিসে আমাদেরকে জানিয়ে দেবে যে, সম্ভবত শিয়াদের গ্রন্থসমূহে বিদ্যমান বক্তব্য ও বর্ণনাসমূহও বর্ণিত হয়েছে ‘তাকীয়া’র পথ অনুসরণে?
অতএব যেহেতু তাদের প্রত্যেকটি কথা ও কাজ তাকীয়া’র সম্ভাবনা রাখে, সেহেতু তাদের (কিতাবে বর্ণিত) প্রতিটি নির্দেশই কার্যকর না করাটা আবশ্যক হয়ে পড়ে। সুতরাং এর ফলে তাদের পক্ষ থেকে সংঘটিত সকল কথা ও কাজ ‘তাকীয়া’র সম্ভাবনার কারণে বাদ পড়ে যাবে।
শিয়াদের মতে গোপন ( الكتمان ) করা
আল-কুলাইনী বর্ণনা করেন:
“সুলাইমান খালিদ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আবূ আবদিল্লাহ আ. বলেন, নিশ্চয় তোমরা দীনের উপর প্রতিষ্ঠিত; যে ব্যক্তি তা গোপন করবে, তাকে আল্লাহ সম্মানিত করবেন এবং যে ব্যক্তি তা প্রচার করবে, তাকে আল্লাহ অপমানিত করবেন।” [উসুলুল কাফী ( أصول الكافي ), পৃ. ৪৮৫]
জেনে রাখুন, পূর্বে শিয়াদের যেসব আকিদা ও বর্ণনাসমূহ আলোচিত হয়েছে, তার সবকটিই আল-কুরআনের বক্তব্যের পরিপন্থী; আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
“হে রাসূল! তোমার প্রতিপালকের নিকট থেকে তোমার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে, তা তুমি প্রচার কর; যদি না কর, তবে তো তুমি তাঁর বার্তা প্রচার করলে না।”— (সূরা আল-মায়িদা: ৬৭)
“নিশ্চয় আমি মানুষের জন্য যে সব স্পষ্ট নিদর্শন ও পথনির্দেশ অবতীর্ণ করেছি, কিতাবে তা স্পষ্টভাবে ব্যক্ত করার পরও যারা তা গোপন করে রাখে, আল্লাহ তাদেরকে ‘লানত’ (অভিশাপ) দেন এবং অভিশাপ দানকারীগণও তাদেরকে অভিশাপ দেয়। ”— (সূরা আল-বাকারা: ১৫৯)
ইসলামে তাকীয়া ( التقية )-এর বিধান
ইসলামে ‘তাকীয়া’ শূকরের মাংস ভক্ষণ করার চেয়েও বেশি কঠোরতার সাথে নিষিদ্ধ। কারণ, কঠিন পরিস্থিতিতে নিরুপায় ব্যক্তির জন্য শূকরের মাংস ভক্ষণ করা বৈধ; আর তেমনিভাবে অনুরূপ কঠিন পরিস্থিতিতেই শুধু ‘তাকীয়া’ বৈধ হবে। কারণ, কোন মানুষ যদি নিরুপায় অবস্থায়ও শূকরের মাংস ভক্ষণ করা থেকে মুক্ত থাকে এবং মারা যায়, তবে সে আল্লাহর নিকট গুনাহগার হবে। আর এটা ‘তাকীয়া’র বিপরীত। কারণ, যখন কোন মানুষ নিরুপায় অবস্থায় ‘তাকীয়া’র আশ্রয় না নেয় এবং মারা যায়, তবে আল্লাহর নিকট তার জন্য উচ্চ মর্যাদা ও সাওয়াবের ব্যবস্থা থাকবে। সুতরাং শূকরের মাংস ভক্ষণ করার অবকাশটি যেন শরীয়তের আবশ্যিক বিধানে রূপান্তরিত হয়, কিন্তু ‘তাকীয়া’র অবকাশটি শরীয়তের আবশ্যিক বিধানে রূপান্তরিত হয় না। বরং যে ব্যক্তি আল্লাহর দীনের জন্য ‘তাকীয়া’র আশ্রয় না নিয়েই মৃত্যুবরণ করবে, সে ব্যক্তি তার এই মৃত্যুর কারণে শীঘ্রই মহাপ্রতিদানের অধিকারী হবে। আর এই ক্ষেত্রে প্রত্যেক অবস্থায় তাকীয়ার চেয়ে দৃঢ় সিদ্ধান্তই উত্তম। আর এই উম্মতের দীর্ঘ পথপরিক্রমায় ইসলামের ইতিহাসে রয়েছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কর্তৃক মুশরিকদের প্রদত্ত কষ্ট সহ্যকরণ, অনুরূপভাবে আবূ বকর সিদ্দীক ও বেলাল রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা প্রমুখের কষ্ট সহ্যকরণ; আম্মার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর মাতা সুমাইয়া ও খুবাইব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা প্রমুখের শাহাদাত ইত্যাদি ধরনের বীরত্ব ও দৃঢ় সিদ্ধান্তের বহু বিরল ঘটনা ও কাহিনী এর উপর উত্তম দলিল যে, দৃঢ় সিদ্ধান্তই হল মূল বিষয়, অতি উত্তম ও সুন্দর।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/705/13
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।