মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
আবূ জাফর মুহাম্মদ ইবন হাসান আত-তুসী ‘আল-ইসতিবসার’ ( الاستبصار ) নামক গ্রন্থে বর্ণনা করেন:
“আবদুল্লাহ ইবন আবি ইয়া‘ফুর থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমি আবূ আবদিল্লাহ আ.কে জিজ্ঞাসা করলাম ঐ পুরুষ ব্যক্তি সম্পর্কে, যে তার স্ত্রীর সাথে তার পিছনের পথে সংগমে মিলিত হয়; তখন তিনি বললেন: সে রাজি থাকলে কোন অসুবিধা নেই। আমি বললাম: তাহলে আল্লাহ তা‘আলার বাণী: ﴿ فَأۡتُوهُنَّ مِنۡ حَيۡثُ أَمَرَكُمُ ٱللَّهُ﴾ (তখন তাদের নিকট ঠিক সেভাবে গমন করবে, যেভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে আদেশ দিয়েছেন) —এর বাস্তবতা কোথায়? তখন তিনি বললেন: এই আয়াতের বিধান সন্তান কামনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। সুতরাং তোমরা সন্তান অনুসন্ধান কর, আল্লাহ যেভাবে তোমাদেরকে আদেশ দিয়েছেন। নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
তিনি ‘আল-ইসতিবসার’ ( الاستبصار ) নামক গ্রন্থে আরও বর্ণনা করেন:
“মূসা ইবন আবদিল মুলক থেকে বর্ণিত, তিনি জনৈক ব্যক্তি থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন: আমি আবুল হাসান রেজা আ.কে জিজ্ঞাসা করলাম পুরুষ ব্যক্তি কর্তৃক তার স্ত্রীর পিছনের পথে সংগমে মিলিত হওয়ার বিষয়ে; তখন তিনি বললেন: আল্লাহ তা‘আলার কিতাবের একটি আয়াত তা বৈধ করে দিয়েছে, লুত আ.-এর উক্তি: ﴿ هَٰٓؤُلَآءِ بَنَاتِي هُنَّ أَطۡهَرُ لَكُمۡ﴾ (এরা আমার কন্যা, তোমাদের জন্য তারা পবিত্র); কারণ, তিনি জানতেন যে, তারা সম্মুখস্থ গুপ্তাঙ্গের প্রত্যাশী ছিল না।” [আবূ জাফর মুহাম্মদ ইবন হাসান আত-তুসী, আল-ইসতিবসার ( الاستبصار ), ৩য় খণ্ড, পৃ. ২৪৩]
তিনি ‘আল-ইসতিবসার’ ( الاستبصار ) নামক গ্রন্থে আরও বর্ণনা করেন:
“আলী ইবন হেকাম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি সাফওয়ানকে বলতে শুনেছি: আমি রেজা আ.কে বললাম: তোমার আযাদ করা গোলামদের একজন আমাকে অনুরোধ করল যাতে আমি তোমাকে একটি মাসআলা জিজ্ঞাসা করি; কারণ, সে তোমাকে জিজ্ঞাসা করতে ভয় ও লজ্জাবোধ করে; তখন তিনি (রেজা আ.) বললেন, মাসআলাটা কী? সে বলল, পুরুষ ব্যক্তির জন্য তার স্ত্রীর পিছন দিকে সংগমে মিলিত হওয়ার বৈধতা আছে কি? তিনি বললেন: এটা তার জন্য বৈধ আছে।” [আবূ জাফর মুহাম্মদ ইবন হাসান আত-তুসী, আল-ইসতিবসার ( الاستبصار ), ৩য় খণ্ড, পৃ. ২৪৩]
তিনি ‘আল-ইসতিবসার’ ( الاستبصار ) নামক গ্রন্থে আরও বর্ণনা করেন:
“ইউনুস ইবন ‘আম্মার থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আবূ আবদিল্লাহ আ. অথবা আবুল হাসান আ.কে বললাম: আমি কখনও কখনও দাসীর সাথে তার পায়ু পথে মিলিত হই এবং তা ফেটে যায়। অতঃপর আমি আমার নিজের উপর সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, আমি যদি স্ত্রীর সাথে পুনরায় অনুরূপ করি, তবে আমার উপর এক দিরহাম সদকা করা আবশ্যক হবে; আর এটা আমার উপর কঠিন হয়ে গেল; তখন তিনি বললেন, তোমার কিছুই দিতে হবে না; আর এটা তোমার জন্য বৈধ।” [আবূ জাফর মুহাম্মদ ইবন হাসান আত-তুসী, আল-ইসতিবসার ( الاستبصار ), ৩য় খণ্ড, ( باب النساء فيما دون الفرج ) পৃ. ৪৪৪]
তিনি ‘আল-ইসতিবসার’ ( الاستبصار ) নামক গ্রন্থে আরও বর্ণনা করেন:
“হাম্মাদ ইবন ওসমান থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আবূ আবদিল্লাহ আ.কে জিজ্ঞাসা করলাম অথবা এমন ব্যক্তি আমাকে সংবাদ দিয়েছে, যাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে ঐ পুরুষ ব্যক্তি সম্পর্কে, যে তার স্ত্রীর সাথে ঐ জায়গায় (পিছন পথে) মিলিত হয়; আর সে অবস্থায় (জিজ্ঞাসার সময়) ঘরের মধ্যে একদল লোক উপস্থিত ছিল। অতঃপর তিনি আমাকে তার উচ্চ কণ্ঠে বললেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: যে ব্যক্তি তার গোলামকে সাধ্যাতিরিক্ত বোঝা চাপিয়ে দিয়ে কষ্ট দেয়, সে যেন তাকে বিক্রি করে দেয়; অতঃপর তিনি ঘরে অবস্থানরত সকলের চেহারার দিকে তাকালেন, অতঃপর আমার কথায় মনোযোগ দেন এবং বলেন: তাতে কোন অসুবিধা নেই।” [আবূ জাফর মুহাম্মদ ইবন হাসান আত-তুসী, আল-ইসতিবসার ( الاستبصار ), ৩য় খণ্ড, পৃ. ২৪৩]
‘আল-ইসতিবসার’ ( الاستبصار ) নামক গ্রন্থের লেখক এমন দু’টি হাদীসের অবতারণা করেন যাতে নারীদের সাথে সমকামিতার ব্যাপারে নিষেধের কথা বর্ণিত হয়েছে। তারপর তিনি সে হাদীস দুটির টীকার মধ্যে দুইটি হাদিসের পর্যালোচনা করে বলেন:
“এই হাদিস দু’টির মধ্যে একটি দিক হল, অপছন্দনীয়তার (মাকরূহ) বর্ণনা করা। কারণ, উত্তম কাজ হল, তা (সমকামিতা) থেকে বিরত থাকা; যদিও তা হারাম (নিষিদ্ধ) নয় ...। তাছাড়া এ হাদিস দু’টি ‘তাকীয়া’র নীতির স্থলাভিষিক্ত হওয়ারও সম্ভাবনা রাখে; কারণ, সাধারণ জনগণের কেউ এটাকে বৈধ বলে অুমোদন দেয় না।” [আবূ জাফর মুহাম্মদ ইবন হাসান আত-তুসী, আল-ইসতিবসার ( الاستبصار ), ৩য় খণ্ড, পৃ. ২৪৪]
আমাদের বক্তব্য হচ্ছে, যেসব হাদিস সমকামিতা বৈধতার ব্যাপারে বর্ণিত হয়েছে, সেগুলো ‘তাকীয়া’র নীতি অনুসরণ করে বর্ণিত হওয়ার সম্ভাবনা রাখে। কারণ, মানুষ সাধারণভাবে এই বিষয়গুলো কামনা করে; ফলে ইমামগণ তাদের (জনগণের) কারণে এবং তাদেরকে সন্তুষ্ট করার জন্য ‘তাকীয়া’র পথ বেচে নিয়েছে। নিশ্চয় প্রত্যেক বস্তু এবং প্রত্যেক খবরের (হাদিসের) মধ্যে ‘তাকীয়া’র সম্ভাবনা রয়েছে।
সমগ্রিকভাবে বলা যায় যে, এই বিষয়টির অসারতা সুস্পষ্ট এবং তা আল্লাহ তা‘আলা ও তাঁর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পক্ষ থেকে যা এসেছে, তার বিপরীত। আর এর সবকিছুই হয়েছে শুধুমাত্র খেয়াল-খুশি ও প্রবৃত্তির অনুসরণে।
আল-কুরআন ও সুন্নাহ থেকে নারীদের সাথে সমকামিতা অবৈধতার প্রমাণ
“লোকে তোমাকে রজঃস্রাব (হায়েয) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। বল, ‘তা অশুচি’। সুতরাং তোমরা রজঃস্রাবকালে স্ত্রী-সংগম বর্জন করবে এবং পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত স্ত্রী-সংগম করবে না।”— (সূরা আল-বাকারা: ২২২)
এই আয়াতের মধ্যে হাতেগণা কয়েকদিন অব্যাহত থাকা সত্ত্বেও হায়েয তথা রজঃস্রাবকালে নারীদের লজ্জাস্থানের নিকট গমন করতে আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে নিষেধ করেছেন। সুতরাং সার্বক্ষণিক নাপাকি তথা ময়লা বিদ্যমান থাকা সত্ত্বেও কিভাবে নারীদের পায়ুপথে গমন করা বৈধ হতে পারে! আর এই আয়াতে আরও বর্ণনা করা হয়েছে যে, (মাসিক অবস্থায়) শুধু নারীদের সামনের লজ্জাস্থানের নিকট গমন করা নিষিদ্ধ, পায়ুপথে নিষিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ নেই। কারণ, হায়েযের বিষয়টি শুধু সামনের লজ্জাস্থানের সাথে সংশ্লিষ্ট। আর পায়ুপথের বিধানের অবস্থা হবে হায়েযের পূর্বেকার অবস্থার বিধানের মত; সুতরাং হায়েযের পূর্বে সেখানে গমন করা যদি বৈধ হয়ে থাকে, তবে এখনও গমন করতে কোন বাধা নেই। অতঃপর বিষয়টি যদি অনুরূপই হত, তবে তখন আয়াতের ধরণ হত: " فاعتزلوا الفروج في المحيض " (সুতরাং তোমরা মাসিক অবস্থায় তাদের লজ্জাস্থানে গমন করা থেকে দূরে থাক); " فَٱعۡتَزِلُواْ ٱلنِّسَآءَ فِي ٱلۡمَحِيضِ " (সুতরাং তোমরা রজঃস্রাবকালে স্ত্রী-সংগম বর্জন করবে)- এমন কথা বলা হত না, যেমন আয়াতে বর্তমান আছে।
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:
“যে ব্যক্তি জ্যোতিষীর নিকট আসে এবং সে যা বলে, তা বিশ্বাস করে; অথবা রজঃস্রাবকালীন সময়ে তার স্ত্রীর নিকট গমন করে; অথবা তার স্ত্রীর সাথে পায়ুপথে মিলিত হয়, সেই ব্যক্তি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে, তা থেকে মুক্ত।” [আবু দাঊদ, চিকিৎসা অধ্যায় ( كتاب الطب ), বাব নং- ২১, হাদিস নং- ৩৯০৬]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:
« مَلْعُونٌ مَنْ أَتَى امْرَأَتَهُ فِى دُبُرِهَا » . [ أخرجه أبو داود ]
“যে ব্যক্তি তার স্ত্রীর সাথে পায়ুপথে মিলিত হয়, সেই ব্যক্তি অভিশপ্ত।” [আবু দাঊদ, নিকাহ (বিবাহ) অধ্যায়, বাব নং- ৪৬ ( باب في جامع النكاح ), হাদিস নং- ২১৬৪]
হে আল্লাহ! তুমি আমাদেরকে যাবতীয় অশ্লীল, অন্যায় এবং বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ ফিতনা থেকে দূরে রাখ; আমীন ...
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/705/16
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।