hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কুরআন ও সুন্নাহ’র আলোকে রাতের সালাত

লেখকঃ ড. সাঈদ ইবন আলী ইবন ওয়াহফ আল-কাহতানী

১৩
নবম: নফল সালাত বসে আদায় করা বৈধ।
দাঁড়ানোর শক্তি থাকা সত্ত্বেও নফল সালাত বসে আদায় করা বৈধ। ইমাম নববী রহ. বলেছেন: “এ ব্যাপারে আলেমদের ইজমা রয়েছে”। [শারহুন নববী আলা সাহিহে সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৬/২৫৫), দেখুন: ‘আল-মুগনি’ লি ইবন কুদামাহ: (২/৫৬৭)।] অনুরূপ দরুস্ত আছে সালাতের কিছু অংশ দাঁড়িয়ে পড়া ও কিছু অংশ বসে পড়া। [দেখুন: শারহুন নববী: (৬/২৫৬)।] হ্যাঁ ফরয সালাতের কিয়াম রোকন, সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে তা ত্যাগ করল, তার সালাত বাতিল। [শারহুন নববী: (৬/২৫৮)।]

এ সম্পর্কে অনেক হাদীস রয়েছে। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রাতের সালাত সম্পর্কে বলেন,

«... كان يصلي من الليل تسع ركعات، فيهن الوتر، وكان يصلي ليلاً طويلاً قائماً، وليلاً طويلاً قاعداً، وكان إذا قرأ وهو قائم ركع وسجد وهو قائم، وإذا قرأ قاعداً ركع وسجد وهو قاعد ...».

“... তিনি রাতে নয় রাকাত সালাত আদায় করতেন, তাতে বিতরও রয়েছে। তিনি দীর্ঘ রাত দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করতেন, আবার দীর্ঘ রাত বসে আদায় করতেন। তিনি যখন দাঁড়িয়ে পড়তেন, তখন রুকু-সেজদা দাঁড়িয়ে করতেন। আর যখন বসে পড়তেন, তখন রুকু-সেজদা বসে আদায় করতেন...”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৭৩০।] তার থেকে আরো বর্ণিত, তিনি বলেছেন:

«ما رأيت رسول الله صلى الله عليه وسلم‎ يقرأ في شيء من صلاة الليل جالساً حتى إذا كَبِر قرأ جالساً حتى إذا بقي عليه من السورة ثلاثون أو أربعون آية قام فقرأهن ثم ركع» .

“আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কখনো রাতের সালাতে বসে কুরআন পড়তে দেখিনি, যখন তিনি বার্ধক্যে উপনীত হয়েছেন বসে তিলাওয়াত করেছেন, যখন সূরার ত্রিশ অথবা চল্লিশ আয়াত অবশিষ্ট থাকত, তিনি দাঁড়াতেন অতঃপর তা তিলাওয়াত করতেন, অতঃপর রুকু করতেন”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১১১৮, ১১১৯, ১১৪৮; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১২১১।] হাফসা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন: “আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নফল সালাত বসে পড়তে দেখি নি, মারা যাওয়ার এক বছর আগে শেষ বয়সে দেখেছি তিনি নফল সালাত বসে আদায় করতেন, তিনি সূরাগুলো তারতীলসহ পাঠ করতেন, ফলে দীর্ঘ সূরা আরো দীর্ঘ হয়ে যেত”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৭৩৩।] সামর্থ্য থাকলে মুসলিমের দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করা উত্তম। আব্দুল্লাহ ইবন আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে ‘মারফূ’ সনদে বর্ণিত: “ব্যক্তির বসে সালাত অর্ধেক সালাত”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৭৩৫।] ইমরান ইবন হাসিন রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ব্যক্তির বসাবস্থার সালাত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছি, তিনি বললেন:

«إن صلَّى قائماً فهو أفضل، ومن صلى قاعداً فله نصف أجر القائم ...».

“যদি সে দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করে, তাহলে সেটাই উত্তম। আর যে বসে সালাত আদায় করল, তার জন্য দাঁড়ানো ব্যক্তির অর্ধেক সাওয়াব...”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১১১৫। পূর্ণ হাদীস হচ্ছে: «ومن صلى نائماً فله نصف أجر القاعد “আর যে ঘুমিয়ে সালাত আদায় করল, তার জন্য বসা ব্যক্তির অর্ধেক সওয়াব” এখানে ঘুমিয়ে অর্থ শুয়ে। খাত্তাবি রহ. প্রাধান্য দিয়েছেন যে, নফল আদায়কারী শুয়ে সালাত আদায় করবে না, এ হুকুম হচ্ছে অসুস্থ ফরয আদায়কারী ব্যক্তির জন্য যে খুব কষ্ট করে দাঁড়াতে সক্ষম, এরূপ হালতে বসা ব্যক্তির সওয়াব দাঁড়ানো ব্যক্তির অর্ধেক নির্ধারণ করা হয়েছে, দাঁড়ানোর প্রতি উৎসাহ প্রদান করার জন্য, যদিও বসে পড়া জায়েয... দাঁড়াতে সক্ষম ব্যক্তির শুয়ে নফল পড়া সম্পর্কে তিনি বলেন: “কোন আলেম থেকে প্রমাণিত নেই, যিনি এর অনুমতি দিয়েছেন”। সামান্য পরিবর্তনসহ ‘ফাতহুল বারি’: (২/৫৮৫) লি ইবন হাজার থেকে উদ্ধৃত। আমি ইমাম ইবন বায রহ.-কে বলতে শুনেছি, তিনি এর সাথে সংযোজন করে বলেছেন: “এ প্রসঙ্গে যা বলা হয়েছে তার মধ্যে এটাই অধিক যথার্থ, তবে ফরয সালাতে যে দাঁড়াতে ও বসতে অক্ষম, তার জন্য পূর্ণ সাওয়াব হবে তবে নফল আদায়কারী কারণ ব্যতীত শুয়ে সালাত আদায় করবে না”]

বসে সালাত আদায়কারী ব্যক্তির জন্য মুস্তাহাব হচ্ছে এক পায়ের উপর আরেক পা আড়াআড়িভাবে রেখে বসা অর্থাৎ আসন করে বসা। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,

«رأيت النبي صلى الله عليه وسلم‎ يصلي متربِّعاً» .

“আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আসন করে বসে সালাত আদায় করতে দেখেছি”। ইমাম ইবনুল কাইয়্যেম রহ. বলেছেন: “রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রাতের সালাত তিন প্রকার ছিল:

এক. দাঁড়িয়ে, এভাবেই তিনি অধিক সালাত আদায় করতেন।

দুই. বসা অবস্থায় সালাত আদায় ও রুকু করতেন।

তিন. তিনি বসা অবস্থায় তিলাওয়াত করতেন, যখন কিরাতের সামান্য বাকি থাকত দাঁড়িয়ে রুকু করতেন। এ তিন পদ্ধতি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বিশুদ্ধ সনদে বর্ণিত”। [‘যাদুল মায়াদ’: (১/৩৩১)।]

আমি শাইখ আব্দুল আযীয ইবন বায রহ.-কে বলতে শুনেছি: “রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রাতের সালাত চার প্রকার ছিল, যেমন আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহার বর্ণনা সমষ্টি থেকে জানা যায়:

১. তিনি দাঁড়ানো অবস্থায় সালাত আদায় ও রুকু করতেন।

২. তিনি বসা অবস্থায় সালাত আদায় করতেন, অতঃপর যখন ত্রিশ অথবা চল্লিশ আয়াত পরিমাণ বাকি থাকত, তিনি দাঁড়াতেন ও তিলাওয়াত শেষ করে অতঃপর রুকু করতেন।

৩. তিনি বসা অবস্থায় সালাত আদায় করতেন, অতঃপর কিরাত শেষ করে দাঁড়িয়ে রুকু করতেন।

৪. তিনি বসা অবস্থায় সালাত ও রুকু উভয় সম্পন্ন করতেন”। [আমি সহীহ বুখারির: (১১১৮ ও ১১১৯)নং হাদীসের ব্যাখ্যার সময় তার থেকে এ বাণী শ্রবণ করেছি।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন