HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

বৈধ অবৈধের মানদণ্ডে পবিত্র মক্কার বিভিন্ন স্থানসমূহের সম্মাননা

লেখকঃ শাইখ সা‘দ ইবন আলী আশ-শাহরানী

এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দু’টি বিষয়ে সতর্কতা জরুরী:
প্রথমত: নিশ্চয়ই যে ফজিলতপূর্ণ স্থানের ব্যাপারে আলোচনা ইতোপূর্বে করা হলো সেখানে স্বয়ং যে মূল ইবাদত শরীয়তে দলীল ভিত্তিক ও যে পদ্ধতির তা ব্যতীত আল্লাহর অন্য কোনো ইবাদত করা উচিত হবে না। যেমন: কাবার পার্শ্বে অবস্থিত মাকামে ইবরাহীমের নিকটে তাওয়াফের পর দুই রাক‘আত সালাত আদায় করা; যার প্রথম রাক‘আতে সূরা ফাতেহা ও সূরা কাফেরূন এবং দ্বিতীয় রাক‘আতে সূরা ফাতেহা ও সূরা ইখলাস পড়া। এখানে ইবাদতের মূল হলো দুই রাক‘আত সালাত আদায়। সুতরাং মাকামে ইবরাহীম স্পর্শ করা, চুম্বন করা ও তা দ্বারা বরকত অর্জন করা যাবে না। তা এ অর্থে যে, সেখানের স্বয়ং যে মূল ইবাদত বর্ণিত হয়েছে তা ব্যতীত সেখানে আল্লাহর জন্য আর কোনো প্রকার ইবাদত করা যাবে না।

ইতোপূর্বে সালাফে সালেহীনের মাকামে ইবরাহীম স্পর্শ ও তা চুম্বন করার নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে কতিপয় উক্তি অতিবাহিত হয়েছে। অনুরূপ সেখানে স্বয়ং যে পদ্ধতির ইবাদত পাওয়া যায় তা হলো তাওয়াফের পর দুই রাক‘আত সালাত আদায় করা। যার প্রথম রাক‘আতে সূরা ফাতিহা ও সূরা কাফেরূন এবং দ্বিতীয় রাক‘আতে সূরা ফাতিহা ও সূরা ইখলাস পড়া।

অতএব এভাবে প্রত্যেক ক্ষেত্রেই স্বয়ং আসল ইবাদত ও স্বয়ং সে পদ্ধতিটিই অবলম্বন করা জরুরী।

স্থানগুলির ব্যাপারে সালাফে সালেহীন এমন নীতিই বাস্তবায়ন করেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে আমল করেছেন তাঁরাও তা করেছেন এবং যে আমল তিনি বর্জন করেছেন, তাঁরাও তা বর্জন করেছেন।

উক্ত নীতির দৃষ্টান্ত: বর্ণিত আছে ইবনে আব্বাস ও মু‘আবিয়া রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা এক সাথে বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করছিলেন। এ সময় মু‘আবিয়া কাবার চার কর্ণারই স্পর্শ করছিলেন। ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বললেন: নিশ্চয়ই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাজরে আসওয়াদ (কালো পাথর) ও তার পূর্বের কর্ণার রুকণে ইয়ামানী ব্যতীত অন্য কর্ণার স্পর্শ করেন নি। মু‘আবিয়া রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বললেন: বায়তুল্লাহর কোনো অংশই পরিতাজ্য নয়। ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুম বললেন: অবশ্যই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মধ্যে রয়েছে তোমাদের জন্য উত্তম আদর্শ। তারপর মু‘আবিয়া রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু স্বীয় মত পরিবর্তন করেন। (তিরমিযী: ৩/২১৩, ইমাম তিরমিযী বলেন: হাসান সহীহ)

দ্বিতীয়ত: নিশ্চয়ই এ ফজিলতপূর্ণ স্থানগুলি বিশেষ কতিপয় ইবাদতের জন্যই নির্ধারিত। অতএব এর উপর কিয়াস-অনুমান করে অন্যান্য ইবাদত করা যায় না।

ইবনে তাইমিয়া রাহিমাহুল্লাহ বলেন: ‘‘মক্কার নিদর্শনাবলীর (মাশায়েরে হারামে) বিশেষ স্থানগুলি বিশেষ বিশেষ ইবাদতের জন্য নির্ধারিত। তার সাথে অন্যান্য সকল স্থানকে সে সব ইবাদতে যুক্ত করা যাবে না। যেমন: বায়তুল্লাহ তাওয়াফের জন্য নির্ধারিত। সুতরাং সে সব স্থান যার জন্য ও বিধিবদ্ধ সে ক্ষেত্রে একটির কিয়াস অন্যটির উপর চলবে না।” (ইকতিদাউস সিরাতিল মুস্তাকীম: ২০/৮০৯-৮১০)

অতএব আল্লাহ যা প্রবর্তন করেন নি তা কারো জন্য প্রবর্তন করা জায়েয নয়। যেমন: কেউ যদি বলে আমি কাবার সাত তাওয়াফের মত কোনো পাথরের চারি পার্শ্বে সাত তাওয়াফ মুস্তাহাব মনে করি বা মাকামে ইবরাহীমকে মুসাল্লা বানাতে চাই এবং এ জাতীয় অন্য কিছু, তবে তার জন্যে তা জায়েয নয়। কেননা আল্লাহ তা‘আলা যে জিনিস যে কর্ম, যে বিধি-বিধানের সাথে নির্ধারণ করেছেন, তার সাথে অন্যকে কিয়াস করা নাজায়েয। যার সাথে যা কিছু নির্ধারণ করা হয়েছে তা অন্যের মধ্যে বিরাজমান না থাকার কারণে হতে পারে, যা অধিকাংশ আলেমের মত অথবা নিছক তা যেহেতু নির্ধারণ করে দিয়েছে তার জন্যই, যা কতিপয় আলেমের মত। যেমন: কাবা হজ্ব ও তাওয়াফের জন্য খাস, অনুরূপ আরাফা অবস্থানের জন্য, মিনা পাথর নিক্ষেপের জন্য, চার হারামের মাস তার বিশেষ মর্যাদার জন্য, রমজানের মাস রোযা ও তারাবীহর জন্য এবং এছাড়াও অন্যান্য বিষয়। (মাজমু‘ ফাতোয়া: ৪/৪৮২)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন