HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

শরীয়তের মানদন্ডে রজব মাসের ফজিলত

লেখকঃ ফায়সাল বিন আলী আল-বাদানী

প্রাজ্ঞ ওলামাদের বক্তব্য
ইমাম নববী রা. বলেন: ইহা একটি জঘন্য বেদআত, কঠিনভাবে পরিত্যাজ্য শরিয়ত গর্হিত কাজ। এতে শামিল রয়েছে বহু মুনকার। তাই এ কাজের সংস্লিষ্টতা অবশ্য বর্জনীয়। এ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়া বাধ্যতামূলক, ও যারা এতে লিপ্ত তাদেরকেও বারণ করা প্রয়োজন। (৪)

ইবনে নাহ্‌হাস বলেন: ইহা একটি বেদআত, আর এ ব্যাপারে উল্লেখিত হাদিসসমূহ — হাদিস-বিশেষজ্ঞদের ঐক্য মত্য অনুযায়ী — মাওজু-বানোওয়াট।

ইবনে তাইমিয়া রাহ. বলেন : সালাতুর রাগায়েবের কোনো ভিত্তি নেই। ইহা বরং বেদআত। তাই এ নামাজ - একাকী হোক বা জামাত বদ্ধ ভাবে - কোনোভাবেই মোস্তাহাব নয়। মুসলিম শরিফে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এক বর্ণনায় এসেছে: শুক্রবার রাতকে ইবাদতের উদ্দেশ্যে অথবা শুক্রবার দিনকে রোজার উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট করতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করেছেন। আর এই মর্মে বর্ণিত হাদিসটি ওলামাদের ঐক্যমতে মিথ্যা-বানোয়াট। সালফে সালেহিন ও ইমামদের কেউ উক্ত হাদিসটি উল্লেখ করেন নি।

হাদিসটি কীভাবে তৈরি করা হল ইমাম তারতুসি তার বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমাদের এখানে, বায়তুল মাকদেসে, রজব ও শাবান মাসে সালাতুর রাগায়েব বলতে কখনো কিছু ছিল না। এর উন্মেষ ঘটে চার শত আটচল্লিশ সালে। আমাদের এখানে নাবলুস থেকে ইবনুল হামরা নামের এক ব্যক্তি এলেন। তিনি চমৎকার কুরআন তিলাওয়াত করতে পারতেন। তিনি দাঁড়ালেন ও মাসজিদুল আকসায় শাবানের মধ্যরজনীতে নামাজ আদায় করলেন।.. তারতুসি বলেন: বায়তুল মাকদেসে রজবের নামাজের প্রথম শুরু চার শত আশি সালে। এর পূর্বে আমরা তা দেখিয়ো নি, শুনিয়ো নি। ( ৫)

এই নামাজ বিষয়ক হাদিসটি যে জাল তা প্রাজ্ঞ ওলামা ও হাদিস বিশারদদের অনেকেই বলেছেন, তন্মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হল : ইবনুল জাওযি, আল হাফেযুল হাদিস ইবনুল খাত্তাব, ও আবু শামাহ। (৬) ইবনুল হাজ ও ইবনে রাজবও এই হাদিসটি বানোওয়াট হওয়ার ব্যাপারে তাগিদ করে বলেছেন। আবু ইসমাঈল আল আনসারি, আবু বকর আস সময়ানি ও আবুল ফজল ইবন নাসের ও অন্যান্যরা একই মন্তব্য করেছেন।

আবু শামাহ বলেছেন, কেবল সাধারণ মানুষের মন রক্ষার্থে ও মসজিদ ধরে রাখার সার্থে এ নামাজের নেতৃত্ব দেন অনেক ইমাম। কথাটি মসজিদের অনেক ইমামই আমাকে বলেছেন। বিশুদ্ধ নিয়ত ব্যতীতই যে তারা নামাজে প্রবেশ করতেন ইমামদের স্বীকারোক্তি থেকে এটাও স্পষ্টভাবে প্রমাণ হচ্ছে। আল্লাহর সামনে দাঁড়ানোটাকেও যে তারা কত হালকা ভাবে নিয়েছে তার প্রমাণ হিসেবে এসেছে ইমামদের এই স্বীকারোক্তি। উল্লিখিত নামাজ বেদআত হওয়ার জন্য এর থেকে আর বেশি কিছুর দরকার আছে বলে আমি মনে করি না। যারা এই নামজকে মেনে নিয়েছে অথবা তা উত্তম বলে জ্ঞান করেছে, এই বেদআত প্রতিষ্ঠা পাওয়ার পথে নিশ্চয়ই তাদের ভূমিকা রয়েছে। জনসাধারণের অযাচিত বিশ্বাসকে তারা প্রাণস্পন্দন দিয়েছে। শরিয়ত বিষয়ে তারা মিথ্যা ক্রিড়ায় লিপ্ত হয়েছে। তারা যদি জনগণকে এ মর্মে বোঝাত, বছরের পর বছর বিষয়টি নিয়ে কথা বলত, জনগণ নিঃসন্দেহে এই বেদআত থেকে ফিরে আসত। তবে বেদআত জিন্দাকারী ও পালকারীদের নেতৃত্ব খর্ব হত, এ কথা নিশ্চিত করেই বলা যায়।

নেতৃত্ব চলে যাওয়ার ভয় আহলে কিতাবদের নেতাদের ইসলাম গ্রহণের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়াত। পবিত্র কুরআনে এদের কথা উল্লেখ করেই বলা হয়েছে:

 ( فَوَيْلٌ لِّلَّذِينَ يَكْتُبُونَ الكِتَابَ بِأَيْدِيهِمْ ثُمَّ يَقُولُونَ هَذَا مِنْ عِندِ اللَّهِ لِيَشْتَرُوا بِهِ ثَمَناً قَلِيلاًً فَوَيْلٌ لَّهُم مِّمَّا كَتَبَتْ أَيْدِيهِمْ وَوَيْلٌ لَّهُم مِّمَّا يَكْسِبُونَ ) [ البقرة : 79]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন