HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

শরীয়তের মানদন্ডে রজব মাসের ফজিলত

লেখকঃ ফায়সাল বিন আলী আল-বাদানী

রজব মাসে রোজা অথবা ইতিকাফ করা
ইবনে রজব বলেন, বিশেষভাবে রজব মাসে রোজা রাখার ফজিলতের ব্যাপারে কোনো হাদিস উল্লেখ হয় নি। সাহাবা কেরাম থেকেও এই মর্মে কোনো কিছু উল্লেখ নেই। (২৩)

ইমাম ইবনে তাই মিয়া বলেন, বিশেষভাবে রজবের রোজা পালন বিষয়ক সকল হাদিস দুর্বল, বরং বানোয়াট। প্রাজ্ঞ ওলামাগণ এর কোনোটিকেই প্রমাণ হিসেবে মানেন না। ফজিলতের ব্যাপারে যেসব হাদিস দলিল হিসেবে ব্যবহার করা চলে সে শ্রেণির মধ্যেও হাদিসগুলো পড়ে না। বরং সাধারণভাবে হাদিসগুলো মিথ্যা ও মওজু। ইবনে মাজা তার সুনান গ্রন্থে — রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রজব মাসে রোজা রাখতে বারণ করেছেন। এই হাদিসটি উল্লেখ করেন। তবে এই হাদিসটির সনদ বিষয়ে কথা আছে। হাঁ, ওমর ইবনুল খাত্তাব রা. থেকে বিশুদ্ধ বর্ণনানুক্রমে এসেছে যে তিনি রজব মাসের দিনের বেলায় খাবার গ্রহণ করতে মানুষদেরকে বাধ্য করতেন, ও বলতেন, রজবকে রমজানের সাদৃশ্য বানিও না । রজব মাসকে শাবান-রমজানসহ ইতি কাফের জন্য সুনির্দিষ্ট করার পক্ষেও আমাদের জানা মতে কোনো প্রমাণ নেই। তবে শরিয়তের অনুমতি আছে এমন রোজা রাখা হলে, ও এ রোজার ভিত্তিতে ইতি কাফ করলে তা নিঃসন্দেহে বৈধ হবে। আর যদি রোজা ব্যতীত শুধুই ইতি কাফ করা হয় তবে এ ক্ষেত্রে ওলামাদের দুটি মন্তব্য রয়েছে। (২৪)

রজবের সুনির্ধারিত কোনো রোজা নেই এর অর্থ এ নয় যে সাধারণ নফল রোজাও রজবে রাখা যাবে না। উদাহরণ সোমবারের রোজা, বৃহস্পতিবারের রোজা। প্রতি মাসে তিন দিন রোজা রাখা। একদিন রোজা রাখা ও একদিন ভঙ্গ করা- এসব নিষেধ নয়। বরং — তারতুসি যেরূপ উল্লেখ করেছেন — রজব মাসে তিন প্রকৃতির রোজা মাকরূহ:

১. সাধারণ মানুষ ও যাদের শরিয়ত সম্পর্কে ধারণা নেই, তাদের সাথে তাল মিলিয়ে রজব মাসের রোজা সুনির্ধারিত করে নেয়া, ঠিক রমজানের রোজা ফরজ হওয়ার মত।

২. রজবের রোজা অন্যান্য সুন্নতে মুয়াক্কাদার মত প্রতিষ্ঠিত সুন্নত বলে বিশ্বাস করা।

৩. অন্যান্য মাস অপেক্ষা রজবের রোজার বিশেষ মর্যাদা রয়েছে বলে বিশ্বাস করা। ঠিক যেন আশু রার রোজার মতো। অথবা রাতের প্রথমাংশের তুলনায় শেষাংশে নামাজ পড়ার যে ফজিলত ঠিক সে রকম। এমতাবস্থায়, সুন্নত ফরজ নয় বরং ফজিলতের অধ্যায়ে পড়বে রজবের রোজা। তবে দেখার বিষয় এই যে এরূপ হলেও তো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা বলে দিতেন অথবা জীবনে একবার হলেও তিনি তা করতেন। কিন্তু তিনি যেহেতু করেন নি, এর দ্বারা বুঝা গেল এ বিষয়টি কোনো ফজিলতপূর্ণ বিষয় নয়।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন