HADITH.One
HADITH.One
Bangla
System
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন
সালাত আদায়ের জন্য আসো
লেখকঃ খালেদ আবূ সালেহ
৬
সালাতের ক্ষেত্রে মানুষের মান ও স্তরসমূহ:ইমাম ইবনুল কাইয়্যেম রহ. বলেন, তা‘আলা বলেন: “সালাতের আদায়ের ক্ষেত্রে মানুষের শ্রেণী বা স্তর হলো পাঁচটি:
১. প্রথম স্তরের মানুষ হলো স্বীয় নাফসের ওপর অনেক বেশি যুলুমকারী, আর সে এমন ব্যক্তি, যে সালাতের অযু, সময়, বিধিবিধান ও রুকনসমূহের ক্ষেত্রে কম গুরুত্ব প্রদান করে বা কমতি করে।
২. যে ব্যক্তি সালাতের সময়, বিধিবিধান, বাহ্যিক রুকনসমূহ ও অযুর ব্যাপারে যত্নবান; কিন্তু সে অসওয়াসার সময় স্বীয় নাফসকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা-প্রচেষ্টার বিষয়টিকে উপেক্ষা করে; ফলে সে বিভিন্ন ‘অসওয়াসা’ (কুমন্ত্রণা) ও চিন্তার পিছনে লেগে যায়।
৩. যে ব্যক্তি সালাতের সময়, বিধিবিধান ও রুকনসমূহের ব্যাপারে যত্নবান এবং যাবতীয় ‘অসওয়াসা’ (কুমন্ত্রণা) ও বাজে চিন্তা প্রতিরোধ করার ব্যাপারে স্বীয় নাফসের সাথে লড়াই করে, সে ব্যক্তি তো তার শত্রুর (শয়তানের) সাথে যুদ্ধে ব্যস্ত হয়ে যায়, যাতে সে তার সালাতকে চুরি করে নিতে না পারে। ফলে সে সালাত ও জিহাদের মধ্যেই থাকে।
৪. এমন ব্যক্তি, যখন তিনি সালাত আদায়ের জন্য দাঁড়িয়ে যান, তখন তিনি তার হক ও রুকনসমূহ এবং তার যাবতীয় বিধিবিধান পরিপূর্ণভাবে আদায় করেন এবং তার হৃদয় মনকে তার (সালাতের) বিধিবিধান ও হকসমূহের যত্ন ও সংরক্ষণের জন্য নিয়োজিত করেন, যাতে তার কোনো কিছু তিনি নষ্ট না করেন; এমনকি তার যাবতীয় চিন্তা-চেতনা নিয়োজিত থাকে যথাযথভাবে পরিপূর্ণতা সহকারে সালাত আদায়ের প্রতি। তার মন সালাতের বিষয়টি নিয়ে ব্যস্ত থাকে এবং তার মাধ্যমে ডুবে থাকে তার ‘রব’ আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা‘আলার ইবাদাত-বন্দেগীর মধ্যে।
৫. এমন ব্যক্তি, যখন তিনি সালাত আদায়ের জন্য দাঁড়িয়ে যান, তখন তিনি তার উদ্দেশ্যে অনুরূপভাবে তথা পূর্বোক্ত চতুর্থ স্তরের মুসল্লীর মত করে দাঁড়িয়ে যান; কিন্তু এটা সত্ত্বেও তিনি তার মনকে ধরে তার মহান প্রতিপালকের সমানে এমনভাবে সঁপে দিয়েছেন, তিনি যেন তার হৃদয় দিয়ে তাঁর দিকে তাকিয়ে আছেন, তাঁকে ভয় করছেন, তাঁর ভালোবাসা ও মহত্বের আবহ দিয়ে নিজেকে পরিপূর্ণ করে নিয়েছেন, মনে হয় যেন তিনি তাঁকে দেখতে পাচ্ছেন এবং প্রত্যক্ষ করছেন, আর এমতাবস্থায় ঐসব অসওয়াসা ও কুমন্ত্রণা বিলুপ্ত ও বিলীন হয়ে যায় এবং তার ও তার রব-এর মধ্যকার সকল পর্দা উঠে যায়; সুতরাং সালাতের মধ্যে তার ও অন্যের মধ্যকার এ অবস্থাটি আসমান ও যমীনের মধ্যকার সকল কিছুর চেয়ে অনেক বেশি উত্তম ও মহান, আর তার সালাতের মধ্যকার এ অবস্থাটি তাকে তার মহান রবকে নিয়ে এমনভাবে ব্যস্ত রাখে, যার ফলে তাঁকে নিয়ে তার চোখ শীতল হয়, আনন্দে আত্মরহারা হয়ে উঠে।
সুতরাং প্রথম শ্রেণী: শাস্তির মুখোমুখি হবে,
দ্বিতীয় শ্রেণী: হিসাবের মুখোমুখি হবে,
তৃতীয় শ্রেণী: ক্ষমা পাওয়ার উপযুক্ত,
চতুর্শ শ্রেণী: সাওয়াব পাবে এবং
পঞ্চম শ্রেণী: তার ‘রব’-এর নৈকট্য অর্জনে সক্ষম হবে। কারণ, সে এমন ভাগ্যবান ব্যক্তির অন্তর্ভুক্ত হবে, যার জন্য সালাতে তার চক্ষু শীতল করণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সুতরাং দুনিয়াতে যে ব্যক্তির চক্ষু শীতল হবে তার সালাতের মাধ্যমে, আখিরাতে সে ব্যক্তির চক্ষু শীতল হবে তার মহান রব-এর নৈকট্য হাসিলের মাধ্যমে এবং দুনিয়াতেও তার চক্ষু শীতল হবে তাঁকে নিয়ে; আর যে ব্যক্তির চক্ষু শীতল হলো আল্লাহকে পেয়ে, তার চোখ তো তাঁকে নিয়ে পুরাপুরিভাবেই শীতল ও পরিতৃপ্ত হলো, আর যে ব্যক্তির চক্ষু শীতল হয়নি আল্লাহ তা‘আলার মাধ্যমে, দুনিয়াতে আফসোস ও দুঃখ করতে করতে তার জীবন টুকরা টুকরা হয়ে যাবে।”
প্রিয় ভাই আমার! এ হলো সালাতের আদায়ের ক্ষেত্রে মানুষের শ্রেণি বা স্তর বিন্যাস। সুতরাং তুমি কোন শ্রেণি বা স্তরের মধ্যে আছ? তুমি নিজেই একটু হিসাব করে নাও এবং সালাতের মানদণ্ডে তা একটু ওজন করে নাও। কারণ, সালাতের মানদণ্ড ভুল করবে না!
হে আমার ভাই! এ গাফলতি ও অধঃপতনই কি তোমার শেষ পরিণতি? এ অবহেলা আর উপেক্ষা কত দিন চলবে? সুতরাং তোমার অমনোযোগিতা ও অবহেলার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। আর তোমাকে সতর্ককারীর বুকের মধ্যে তোমাকে ডাকা হচ্ছে, তুমি কি প্রস্তুত হবে না? তোমার পরিকল্পনা ও পরিচালন নীতি খুবই মন্দ।
হে আমার ভাই! মুয়াজ্জিন তোমাকে আর কত কাল ধরে ডাকবে, আর তুমি থাকবে ঘুমিয়ে? অতঃপর যখন তুমি সালাতের দিকে আস, তখন তোমার দেহ থাকে হাজির, আর মন থাকে উদাসীন! তুমি তোমার নিজেকে বল, তুমি কি সালাত আদায় করছ!! নাকি সমালোচকদেরকে দেখাচ্ছ?
১. প্রথম স্তরের মানুষ হলো স্বীয় নাফসের ওপর অনেক বেশি যুলুমকারী, আর সে এমন ব্যক্তি, যে সালাতের অযু, সময়, বিধিবিধান ও রুকনসমূহের ক্ষেত্রে কম গুরুত্ব প্রদান করে বা কমতি করে।
২. যে ব্যক্তি সালাতের সময়, বিধিবিধান, বাহ্যিক রুকনসমূহ ও অযুর ব্যাপারে যত্নবান; কিন্তু সে অসওয়াসার সময় স্বীয় নাফসকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা-প্রচেষ্টার বিষয়টিকে উপেক্ষা করে; ফলে সে বিভিন্ন ‘অসওয়াসা’ (কুমন্ত্রণা) ও চিন্তার পিছনে লেগে যায়।
৩. যে ব্যক্তি সালাতের সময়, বিধিবিধান ও রুকনসমূহের ব্যাপারে যত্নবান এবং যাবতীয় ‘অসওয়াসা’ (কুমন্ত্রণা) ও বাজে চিন্তা প্রতিরোধ করার ব্যাপারে স্বীয় নাফসের সাথে লড়াই করে, সে ব্যক্তি তো তার শত্রুর (শয়তানের) সাথে যুদ্ধে ব্যস্ত হয়ে যায়, যাতে সে তার সালাতকে চুরি করে নিতে না পারে। ফলে সে সালাত ও জিহাদের মধ্যেই থাকে।
৪. এমন ব্যক্তি, যখন তিনি সালাত আদায়ের জন্য দাঁড়িয়ে যান, তখন তিনি তার হক ও রুকনসমূহ এবং তার যাবতীয় বিধিবিধান পরিপূর্ণভাবে আদায় করেন এবং তার হৃদয় মনকে তার (সালাতের) বিধিবিধান ও হকসমূহের যত্ন ও সংরক্ষণের জন্য নিয়োজিত করেন, যাতে তার কোনো কিছু তিনি নষ্ট না করেন; এমনকি তার যাবতীয় চিন্তা-চেতনা নিয়োজিত থাকে যথাযথভাবে পরিপূর্ণতা সহকারে সালাত আদায়ের প্রতি। তার মন সালাতের বিষয়টি নিয়ে ব্যস্ত থাকে এবং তার মাধ্যমে ডুবে থাকে তার ‘রব’ আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা‘আলার ইবাদাত-বন্দেগীর মধ্যে।
৫. এমন ব্যক্তি, যখন তিনি সালাত আদায়ের জন্য দাঁড়িয়ে যান, তখন তিনি তার উদ্দেশ্যে অনুরূপভাবে তথা পূর্বোক্ত চতুর্থ স্তরের মুসল্লীর মত করে দাঁড়িয়ে যান; কিন্তু এটা সত্ত্বেও তিনি তার মনকে ধরে তার মহান প্রতিপালকের সমানে এমনভাবে সঁপে দিয়েছেন, তিনি যেন তার হৃদয় দিয়ে তাঁর দিকে তাকিয়ে আছেন, তাঁকে ভয় করছেন, তাঁর ভালোবাসা ও মহত্বের আবহ দিয়ে নিজেকে পরিপূর্ণ করে নিয়েছেন, মনে হয় যেন তিনি তাঁকে দেখতে পাচ্ছেন এবং প্রত্যক্ষ করছেন, আর এমতাবস্থায় ঐসব অসওয়াসা ও কুমন্ত্রণা বিলুপ্ত ও বিলীন হয়ে যায় এবং তার ও তার রব-এর মধ্যকার সকল পর্দা উঠে যায়; সুতরাং সালাতের মধ্যে তার ও অন্যের মধ্যকার এ অবস্থাটি আসমান ও যমীনের মধ্যকার সকল কিছুর চেয়ে অনেক বেশি উত্তম ও মহান, আর তার সালাতের মধ্যকার এ অবস্থাটি তাকে তার মহান রবকে নিয়ে এমনভাবে ব্যস্ত রাখে, যার ফলে তাঁকে নিয়ে তার চোখ শীতল হয়, আনন্দে আত্মরহারা হয়ে উঠে।
সুতরাং প্রথম শ্রেণী: শাস্তির মুখোমুখি হবে,
দ্বিতীয় শ্রেণী: হিসাবের মুখোমুখি হবে,
তৃতীয় শ্রেণী: ক্ষমা পাওয়ার উপযুক্ত,
চতুর্শ শ্রেণী: সাওয়াব পাবে এবং
পঞ্চম শ্রেণী: তার ‘রব’-এর নৈকট্য অর্জনে সক্ষম হবে। কারণ, সে এমন ভাগ্যবান ব্যক্তির অন্তর্ভুক্ত হবে, যার জন্য সালাতে তার চক্ষু শীতল করণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সুতরাং দুনিয়াতে যে ব্যক্তির চক্ষু শীতল হবে তার সালাতের মাধ্যমে, আখিরাতে সে ব্যক্তির চক্ষু শীতল হবে তার মহান রব-এর নৈকট্য হাসিলের মাধ্যমে এবং দুনিয়াতেও তার চক্ষু শীতল হবে তাঁকে নিয়ে; আর যে ব্যক্তির চক্ষু শীতল হলো আল্লাহকে পেয়ে, তার চোখ তো তাঁকে নিয়ে পুরাপুরিভাবেই শীতল ও পরিতৃপ্ত হলো, আর যে ব্যক্তির চক্ষু শীতল হয়নি আল্লাহ তা‘আলার মাধ্যমে, দুনিয়াতে আফসোস ও দুঃখ করতে করতে তার জীবন টুকরা টুকরা হয়ে যাবে।”
প্রিয় ভাই আমার! এ হলো সালাতের আদায়ের ক্ষেত্রে মানুষের শ্রেণি বা স্তর বিন্যাস। সুতরাং তুমি কোন শ্রেণি বা স্তরের মধ্যে আছ? তুমি নিজেই একটু হিসাব করে নাও এবং সালাতের মানদণ্ডে তা একটু ওজন করে নাও। কারণ, সালাতের মানদণ্ড ভুল করবে না!
হে আমার ভাই! এ গাফলতি ও অধঃপতনই কি তোমার শেষ পরিণতি? এ অবহেলা আর উপেক্ষা কত দিন চলবে? সুতরাং তোমার অমনোযোগিতা ও অবহেলার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। আর তোমাকে সতর্ককারীর বুকের মধ্যে তোমাকে ডাকা হচ্ছে, তুমি কি প্রস্তুত হবে না? তোমার পরিকল্পনা ও পরিচালন নীতি খুবই মন্দ।
হে আমার ভাই! মুয়াজ্জিন তোমাকে আর কত কাল ধরে ডাকবে, আর তুমি থাকবে ঘুমিয়ে? অতঃপর যখন তুমি সালাতের দিকে আস, তখন তোমার দেহ থাকে হাজির, আর মন থাকে উদাসীন! তুমি তোমার নিজেকে বল, তুমি কি সালাত আদায় করছ!! নাকি সমালোচকদেরকে দেখাচ্ছ?
রিডিং সেটিংস
Bangla
System
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন