hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

যিলহজ মাসের প্রথম দশ দিন, ঈদ, কুরবানি ও আইয়ামে তাশরীকের দিনসমূহ

লেখকঃ জাকেরুল্লাহ আবুল খায়ের

১৫
কুরবানির হুকুম:
কুরবানির হুকুম কী? ওয়াজিব না সুন্নত? এ বিষয়ে ইমাম ও ফকীহদের মাঝে মতপার্থক্য রয়েছে এবং তাদের দুটো মত রয়েছে।

প্রথম মত: কুরবানি ওয়াজিব। ইমাম আওযায়ী, ইমাম লাইস, ইমাম আবূ হানিফা রহ. প্রমুখের মত এটাই। আর ইমাম মালেক ও ইমাম আহমদ রহ. থেকে একটি মত বর্ণিত আছে যে, তারাও ওয়াজিব বলেছেন।

দ্বিতীয় মত: কুরবানি সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ। এটি অধিকাংশ আলেমের মত এবং ইমাম মালেক ও শাফেঈ রহ.-এর প্রসিদ্ধ মত। কিন্তু এ মতের প্রবক্তারা আবার বলেছেন: সামর্থ্য থাকা অবস্থায় কুরবানি পরিত্যাগ করা মাকরূহ। যদি কোনো জনপদের লোকেরা সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও সম্মিলিতভাবে কুরবানি পরিত্যাগ করে, তবে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা হবে। কেননা কুরবানি হলো ইসলামের একটি শি‘য়ার বা মহান নিদর্শন।

যারা কুরবানি ওয়াজিব বলেন তাদের দলীল:

[এক] আল্লাহ তা‘আলা নির্দেশ দিয়েছেন:

﴿فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَٱنۡحَرۡ ٢﴾ [ الكوثر : ٢ ]

“তোমার রবের উদ্দেশ্যে সালাত আদায় কর এবং (পশু) কুরবানি কর।” [সূরা আল-কাউসার, আয়াত: ২] আর আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নির্দেশ পালন ওয়াজিব।

[দুই] রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

«من وجد سعة ولم يضح، فلا يقربن مصلانا» .

“যে ব্যক্তি সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কুরবানি করে না সে যেন আমাদের ঈদগাহের ধারে না আসে” [ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৩৫১৬।]

যারা কুরবানি পরিত্যাগ করে তাদের প্রতি এ হাদীস একটি সতর্কবাণী। তাই কুরবানি ওয়াজিব।

[তিন] রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

«يا أيها الناس : إن على كل أهل بيت في كل عام أضحية» .

“হে মানব সকল! প্রত্যেক পরিবারের দায়িত্ব হলো প্রতি বছর কুরবানি দেওয়া”। [ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৩১২৫।]

আর যারা কুরবানি দেওয়া সুন্নাত বলেন তাদের দলীল হচ্ছে:

[এক] রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

«إذا رأيتم هلال ذي الحجة، وأراد أحدكم أن يضحي، فليمسك عن شعره وأظفاره، حتى يضحي » .

“তোমাদের মাঝে যে কুরবানি করতে চায়, যিলহজ মাসের চাঁদ দেখার পর সে যেন কুরবানি সম্পন্ন করার আগে তার কোনো চুল ও নখ না কাটে।” [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৯৭৭।]

এ হাদীসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ‘যে কুরবানি করতে চায়’ কথা দ্বারা বুঝে আসে এটা ওয়াজিব নয়।

[দুই] রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর উম্মতের মাঝে যারা কুরবানি করে নি তাদের পক্ষ থেকে কুরবানি করেছেন। তার এ কাজ দ্বারা বুঝে নেওয়া যায় যে কুরবানি ওয়াজিব নয়।

শাইখ ইবন উসাইমীন রহ. উভয় পক্ষের দলীল-প্রমাণ উল্লেখ করার পর বলেন, এ সকল দলীল-প্রমাণ পরস্পর বিরোধী নয় বরং একটা অন্যটার সম্পূরক।

সারকথা হলো, যারা কুরবানিকে ওয়াজিব বলেছেন তাদের প্রমাণাদি অধিকতর শক্তিশালী। আর ইমাম ইবন তাইমিয়ার মত এটাই [মাজমূ ফাতাওয়া ৩২/১৬২-১৬৪।] আর বর্তমান কালের শাইখ মুহাম্মাদ ইবন সালেহ উসাইমীন এ মতটিকে প্রাধান্য দিয়েছেন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন