মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
তৃতীয় অধ্যায় : আনুগত্যের উদ্দেশ্য ব্যতীত বরকত মনে করে হাজরে আসওয়াদ ও রুকনে ইয়ামানী স্পর্শ করা
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/170/13
একথা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাজরে আসওয়াদ চুম্বন করেছেন [হাদীসটি উমার ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণনা করেছেন; সহীহ বুখারী, আস-সহীহ, হাদীস নং ১৫৩২; সহীহ মুসলিম, আস-সহীহ, হাদীস নং ১২৭০)।]। তিনি তাঁর হাত মুবারক দ্বারা তা স্পর্শ ( استلام ) [বিভিন্ন হাদীসে বর্ণিত শব্দের অর্থ: আর তা হলো: ‘তাকে হাত দ্বারা স্পর্শ করা’; ইবন কুতাইবা রহ. বলেন, তা (শব্দটি) বাবে এর মাসদার, শব্দ থেকে গৃহীত, অর্থ (পাথর), তার একবচন হলো। যেমন, আপনি বলেন: (আমি পাথর ছুঁয়েছি, যখন আপনি পাথর থেকে তা স্পর্শ করেছেন, যেমনিভাবে আপনি বলেন, আমি সুরমা লাগিয়েছি, যখন আপনি সুরমা থেকে কিছু গ্রহণ করেন)। -গারীবুল হাদীস: (১/৪২); আরও দেখুন: আল-মাজমূ‘উ শরহু ‘আল-মুহায্যাব’: (৮/৪৩-৪৪)।] করেছেন, অতঃপর তাঁর হাত চুম্বন করেছেন। [হাদীসটি আবদুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণনা করেছেন; সহীহ মুসলিম, আস-সহীহ, হাদীস নং ১২৬৮); আহমাদ, আল-মুসনাদ, হাদীস নং ৫৮৭৫)। শাইখুল ইসলাম ইবন তাইমিয়্যা রহ. বলেন: “পাথর স্পর্শ করা ব্যতীত যখন কোনো কিছু দ্বারা তার দিকে ইশারা করবে, তখন সে তার হাত চুম্বন করবে না।; কারণ, চুম্বনটি শুধু পাথরের জন্য অথবা পাথরকে স্পর্শ করার কারণে।” [শরহুল ‘উমদা: (১/৪৩০)]।]
আরও প্রমাণিত আছে যে, নবী নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে (হাজরে আসওয়াদকে) ‘মিহজান’ (লাঠি) [হাদীসটি আবদুল্লাহ ইবন ‘আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণনা করেছেন; সহীহ বুখারী, আস-সহীহ, হাদীস নং ১৫৩০; সহীহ মুসলিম, আস-সহীহ, হাদীস নং ১২৭২। আর ‘মিহজান’ শব্দটি যেরযুক্ত ‘মীম’, সাকিনযুক্ত ‘হা’ ও যবরযুক্ত ‘জীম’ যোগে; আর তা হলো: দণ্ডের মত মাথা বাঁকা লাঠি, একবচন, বহুবচনে: -দেখুন: আল-মাজমূ‘উ শরহু ‘আল-মুহায্যাব’: (৮/৪৪); ‘হাশিয়াতুস্ সিন্দী ‘আলা সুনান আন-নাসাঈ’: (৫/২৫৭)।] দ্বারা স্পর্শ করেছেন এবং ‘মিহজান’-কে চুম্বন করেছেন।
আর তার উপর নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্পর্শের বিষয়টি ছিল তাঁর তাওয়াফ শুরু করার সময় এবং প্রতিবার দৌড়ের শুরুতে [হাদীসটি আবদুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণনা করেছেন; আহমাদ, আল-মুসনাদ, হাদীস নং ৪৬৮৬; আবূ দাউদ, আস-সুনান, হাদীস নং ১৮৭৬; নাসাঈ, আস-সুনান, হাদীস নং ২৯৪৭।]। সুতরাং যদি তাঁর জন্য স্পর্শ করার কাজটি সহজ না হত, তাহলে তিনি তার দিকে ইশারা করতেন। [হাদীসটি আবদুল্লাহ ইবন ‘আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণনা করেছেন; সহীহ বুখারী, আস-সহীহ, হাদীস নং ১৫৩৪।]
আর প্রমাণিত আছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার প্রতি তাওয়াফে রুকনে ইয়ামানী স্পর্শ করতেন [হাদীসটি আবদুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণনা করেছেন; আহমাদ, আল-মুসনাদ, হাদীস নং ৪৬৮৬; আবূ দাউদ, আস-সুনান, হাদীস নং ১৮৭৬; নাসাঈ, আস-সুনান, হাদীস নং ২৯৪৭।]; আর যদি স্পর্শ করাটা তাঁর জন্য সহজ না হত, তাহলে তিনি তা বর্জন করতেন, এটা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত; আর তাকে (রুকনে ইয়ামানীকে) চুম্বন করা অথবা তার দিকে ইশারা করার বিষয়টি নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে সাব্যস্ত বা প্রমাণিত নয়। [দেখুন: মাজমূ‘উ আল-ফাতাওয়া: (২৬/৯৭)।]
আর নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে অনুসরণ করার জন্যই মুসলিমগণ এ সুন্নাতের ওপর আমলকে অব্যাহত রাখবে [ইবন কুদামা রহ. উল্লেখ করেন: “দু’টি রুকনকে স্পর্শ করার ব্যাপারে আলেমদের ইজমা‘ হয়েছে: ‘হাজরে আসওয়াদ’ ও ‘রুকনে ইয়ামানী’।” -আল-মুগনী: (৫/২২৬)।], আর তা হলো ‘হাজরে আসওয়াদ’ ও ‘রুকনে ইয়ামানী’-কে স্পর্শ করা, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে অনুসরণ করার উদ্দেশ্য ব্যতীত অন্য কোনো উদ্দেশ্যে তারা এটা করবে না।
আর যখনই মুসলিমগণ হাজরে আসওয়াদ’ ও ‘রুকনে ইয়ামানী’-কে স্পর্শ করবে, তখন তারা তাকে এ উদ্দেশ্যে স্পর্শ করবে না যে, তাতে কিছু একটা আছে এবং তারা তার কাছে কোনো কিছু চাইবে না; আর তারা এ স্পর্শ করার কাজ থেকে আনুগত্যের সাওয়াব ছাড়া আর অন্য কোনো কিছু প্রত্যাশা করবে না। এ জন্যই প্রমাণিত আছে যে, উমার ইবনল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু ‘হাজরে আসওয়াদ’-কে স্পর্শ করার সময় বলতেন:
“আমি নিশ্চিত জানি যে, তুমি একটি পাথর মাত্র; তুমি কোনো ক্ষতি করতে পার না এবং কোনো উপকারও করতে পর না; যদি আমি নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে তোমাকে চুম্বন করতে না দেখতাম, তাহলে আমি তোমাকে আদৌ চুম্বন করতাম না।” [হাদীসটি ‘মাওকুফ’ সনদে উমার ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণনা করেছেন; সহীহ বুখারী, আস-সহীহ, হাদীস নং ১৫২০; সহীহ মুসলিম, আস-সহীহ, হাদীস নং ১২৭০।]
ইমাম নববী রহ. বলেন, “উমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু এ উক্তিটি শুধু এ জন্যই করেছেন যে, যাতে তিনি জনগণকে এ বক্তব্যটি শুনিয়ে দিতে পারেন এবং তাদের মাঝে তা ছড়িয়ে যায়। কারণ, খুব নিকট অতীতেই এমন একটা সময় ছিল, যখন তাদের মধ্যকার অনেকেই পাথর পূজার সাথে সম্পৃক্ত ছিল, পাথরকে সম্মান করত এবং তার ক্ষতি ও উপকার করার শক্তিতে বিশ্বাস করত, তারপর তিনি আশঙ্কা করলেন যে, তাদের কেউ কেউ এর দ্বারা প্রতারিত হতে পারে; ফলে তিনি যা বলার বললেন, আর আল্লাহই সবচেয়ে বেশি জানেন”। [আল-মাজমূ‘উ শরহু ‘আল-মুহায্যাব’: (৮/৪২)।]
আর শাইখ মুহাম্মাদ ইবন সালেহ আল-‘উসাইমীন রহ. বলেন, “তাওয়াফকারীগণের কেউ কেউ যেসব ভুল-ত্রুটি বা অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ে তার অন্যতম একটি হলো: তারা ধারণা করেন যে, ‘হাজরে আসওয়াদ’ ও ‘রুকনে ইয়ামানী’-কে স্পর্শ করার বিষয়টি বরকতের জন্য, ইবাদতের উদ্দেশ্যে নয়, ফলে তারা বরকত হাসিলের জন্য তা স্পর্শ করে। আর এটা নিঃসন্দেহে তার প্রকৃত উদ্দেশ্যের পরিপন্থী। কারণ, ‘হাজরে আসওয়াদ’-কে স্পর্শ করা অথবা তাকে স্পর্শ ও চুম্বন করার দ্বারা উদ্দেশ্য হলো আল্লাহ তা‘আলাকে সম্মান করা, আর এ জন্যই নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ‘হাজরে আসওয়াদ’-কে স্পর্শ করতেন, তখন বলতেন ‘আল্লাহু আকবার’। এটা ইঙ্গিত করে যে, এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো আল্লাহ তা‘আলাকে সম্মান করা; এ পাথরটিকে স্পর্শ করার দ্বারা বরকত হাসিল করা উদ্দেশ্য নয়। আমীরুল মুমিনীন উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন,
“আল্লাহর কসম! আমি নিশ্চিত জানি যে, তুমি একটি পাথর মাত্র; তুমি কোনো ক্ষতি করতে পার না এবং কোনো উপকারও করতে পর না। যদি আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে তোমাকে চুম্বন করতে না দেখতাম, তাহলে আমি তোমাকে আদৌ চুম্বন করতাম না।”
এ ভুল ধারণাটি কিছু সংখ্যক মানুষের, আর তাদের ধারণা ও বিশ্বাস হলো, ‘হাজরে আসওয়াদ’ ও ‘রুকনে ইয়ামানী’-কে স্পর্শ করার প্রকৃত উদ্দেশ্য হচ্ছে বরকত হাসিল করা, যা তাদের কাউকে কাউকে প্রলুব্ধ করে তার ছোট ছেলেকে নিয়ে আসতে, তারপর সে ‘হাজরে আসওয়াদ’ ও ‘রুকনে ইয়ামানী’-কে তার হাত দ্বারা স্পর্শ করে, অতঃপর সে তার ছোট্ট ছেলেকে অথবা তার শিশু বাচ্ছাকে তার ঐ হাত দ্বারা মুছে দেয়, যে হাত দ্বারা সে ‘হাজরে আসওয়াদ’ ও ‘রুকনে ইয়ামানী’-কে স্পর্শ করেছে। আর এটা বিকৃত আকীদা-বিশ্বাসের অন্তর্ভুক্ত, যার থিকে নিষেধ করা ওয়াজিব এবং আরও আবশ্যক হলো জনগণকে স্পষ্ট করে বলে দেওয়া যে, এ ধরণের পাথর কোনো ক্ষতি ও উপকার করতে পারে না। তাকে স্পর্শ করার দ্বারা উদ্দেশ্য হলো আল্লাহ তা‘আলাকে সম্মান করা এবং তাঁর যিকির বা স্মরণকে প্রতিষ্ঠিত করা, পাশাপাশি তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের আনুগত্য ও অনুসরণ করা”। [ফিকহুল ‘ইবাদাত: (পৃ. ৩৪৮-৩৪৯)।]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/170/13
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।