মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
নিশ্চয় সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, আমরা তাঁর প্রশংসা করি, তাঁর নিকট সাহায্য ও ক্ষমা প্রার্থনা করি, আর আমাদের প্রবৃত্তির যাবতীয় ক্ষতি এবং আমাদের সকল প্রকার মন্দ আমল থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাই। সুতরাং আল্লাহ যাকে পথ প্রদর্শন করেন তাকে পথভ্রষ্ট করার কেউ নেই, আর যাকে তিনি পথহারা করেন, তাকে পথ প্রদর্শনকারীও কেউ নেই। আর আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই, তিনি একক, তাঁর কোনো শরীক নেই এবং আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসূল।
“হে মানুষ! তোমরা তোমাদের রবের তাকওয়া অবলম্বন কর, যিনি তোমাদেরকে এক ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন ও তার থেকে তার স্ত্রী সৃষ্টি করেছেন এবং তাদের দু’জন থেকে বহু নর-নারী ছড়িয়ে দেন, আর তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর, যার নামে তোমরা একে অপরের কাছে নিজ নিজ হক দাবী কর এবং তাকওয়া অবলম্বন কর রক্ত-সম্পর্কিত আত্মীয়ের ব্যাপারেও। নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের ওপর পর্যবেক্ষক।” [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ১]
“হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর এবং সঠিক কথা বল; তাহলে তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের কাজ সংশোধন করবেন এবং তোমাদের পাপ ক্ষমা করবেন। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করে, সে অবশ্যই মহাসাফল্য অর্জন করবে”। [সূরা আল-আহযাব, আয়াত: ৭০, ৭১]
অতঃপর.......
হজ ইসলামের পাঁচটি রুকনের অন্যতম একটি রুকন, আর তাতে রয়েছে সকল শ্রেণির ইবাদতের সমাবেশ- আন্তরিক ইবাদত, শারীরিক ইবাদত ও আর্থিক ইবাদত।
আর তা হলো ইসলামী মহাসমাবেশ, তাতে মুসলিমগণের পারস্পরিক সংঘবদ্ধতা ও ঐক্যের বিষয়টি ফুটে উঠে, আরও ফুটে উঠে অন্যদের ওপর তাদের গৌরবের দিকটি এবং আল্লাহ তা‘আলার প্রতি তাদের বিনয় ও নম্রতার বিষয়টি।
আর মুসলিম সম্প্রদায়ের আলিম সমাজ হজের মতো এ মহান রুকনটির প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন এবং তারা এ বিষয়ে প্রচুর লেখালেখি করেছেন। যাঁরা ‘মক্কা’, মদীনা মুনাওয়ারা এবং ‘মানাসিক বা হজ’ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে [অর্থাৎ ঐসব মাসআলা থেকে যা তার (হজের) সাথে প্রাসঙ্গিকভাবে সম্পর্কিত, যেসব মাসআলা হজ বিষয়ে আলোচনার সময় আলোচিত হয়। যেমন, উমরা আদায়ের জন্য মক্কা যিয়ারত, ‘মসজিদে নববী’ যিয়ারত, যমযমের পানি পান, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের কবর যিয়ারত ইত্যাদি ধরণের আলোচনা বা পরিচ্ছেদ, যা হজ অধ্যায়ের মধ্যে আলোচনা করা হয়, তার জায়গা মত আমি তার বিবরণ পেশ করব ইনশাআল্লাহ।] গ্রন্থ রচনা করেছেন, সেগুলো কয়েক ভাগে বিভক্ত। যেমন,
প্রথমত: এমন গ্রন্থপঞ্জি, যা ফিকহী বিধিবিধানের সাথে সম্পর্কিত; আর তার সংখ্যা অনেক এবং এগুলো এত বেশি প্রসিদ্ধ যে, তার দৃষ্টান্ত পেশ করার কোনো প্রয়োজন নেই।
দ্বিতীয়ত: এমন গ্রন্থপঞ্জি, যা (হজের প্রতি) উৎসাহ দান ও তার ফযীলতের সাথে সম্পর্কিত এবং তার সংখ্যাও অনেক। যেমন,
৩. ‘আল-আহাদীস আল-ওয়ারেদা ফী ফাদায়েলিল মাদীনা জাম‘আন ওয়া দিরাসাতান’ ( الأحاديث الواردة في فضائل المدينة جمعاً و دراسة ), ড. সালেহ ইবন হামিদ আর-রেফা‘য়ী।
তৃতীয়ত: এমন গ্রন্থপঞ্জি, যা ভ্রমণ, হাজীদের পথ ও হারামাইনের ভৌগলিক বিবরণের সাথে সম্পর্কিত, আর এ জাতীয় গ্রন্থের সংখ্যা সীমিত। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো:
১. ‘কিতাবুল মানাসিক ওয়া আমাকিনু তুরুকিল হজ ও মা‘আলিমুল জাযীরাহ’ ( كتاب المناسك وأماكن طرق الحج ومعالم الجزيرة ), ইমাম ইবরাহীম ইবন ইসহাক আল-হারবী (১৯৮-২৮৫ হি.)।
২. ‘আদ-দুরার আল-ফারায়েদ আল-মুনায্যামা ফী আখবার আলহজ ওয়া ত্বরিকু মাক্কাতা আল-মু‘আয্যামা’ ( الدرر الفرائد المنظمة في أخبار الحاج وطريق مكةَ المعظمة ), ‘আল্লামা আবদুল কাদের ইবন মুহাম্মাদ আল-জাযায়েরী (৯১১-৯৭৭ হি.)।
৩. গবেষক প্রফেসর ‘আতেক ইবন গিয়াছ আল-বিলাদী’র গ্রন্থসমূহ এবং এ গ্রন্থগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেমন, ‘আওদিয়াতু মাক্কা’ ( أودية مكة ), ‘‘আলা ত্বরিক আল-হিজরাত’ ( على طريق الهجرة ), ‘মা‘আলেম মাক্কাতা আত-তারিখিয়্যা ওয়াল আছারিয়্যা’ ( معالم مكة التاريخية والأثرية ), ‘মু‘জাম আল-মা‘আলিম আল-জুগরাফিয়্যা ফিস্ সীরাত আন-নবওয়িয়্যাহ’ ( معجم المعالم الجغرافية في السيرة النبويَّة )।
চতুর্থত: এমন গ্রন্থপঞ্জি, যা ‘হারামাইন শরীফাইন’-এর ইতিহাস সম্পর্কিত, এ জাতীয় গ্রন্থের সংখ্যা অনেক। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য দুই একটি নিম্নরূপ:
১. ‘তারিখ আল-মাদীনা’ ( تاريخ المدينة ), ইমাম উমার ইবন শাব্বাহ (১৭৩-২৬২ হি.)।
আর ইসলামে এ রুকনটির এত গুরুত্ব সত্ত্বেও আমরা মুসলিমদের মধ্যে এমন ব্যক্তিকে দেখতে পাই যে এ বিধিবিধানগুলো জানা ও বুঝার ব্যাপারে চেষ্টা করে না, আর চেষ্টা করে না হজের পবিত্র ভূমিতে, মক্কায় ও মদীনায় কোন কোন কাজ করা বৈধ সে ব্যাপারে ব্যাপকভাবে জানতে ও বুঝতে, যাতে সে হজের কাজসমূহ পালনে শরী‘আত বিরোধী কোনো কাজে লিপ্ত না হয়ে যায়; আর শরী‘আত পরিপন্থী বিষয়গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বিপজ্জনক হলো আকীদা-বিশ্বাসগত ভুল-ভ্রান্তি, যা ঈমানে ঘাটতি সৃষ্টি করে অথবা তাকে বিলকুল ঈমানহারা করে ফেলে। উদাহরণস্বরূপ ঐ ব্যক্তির কথা বলা যায়, যে ব্যক্তি সম্মানিত বাইতুল্লাহতে হজ করার ইচ্ছা করে, অথচ সে আল্লাহ তা‘আলা ব্যতীত অন্যের নিকট সাহায্য চায় অথবা প্রার্থনা (দো‘আ) করে।
আর এ বাস্তবতার প্রতি লক্ষ্য করেই আমি অত্যন্ত জরুরি মনে করেছি যে, আমি এ ভুল-ভ্রান্তিগুলো পর্যবেক্ষণ করব এবং তার শরী‘আতসম্মত বিধান বর্ণনা করব। হাজীগণ এবং তাদের পরিচালনা ও তত্ত্ববধানের দায়িত্বে নিয়োজিত সরকারী বা বেসরকারী এজেন্সী বা কর্তৃপক্ষকে তা অবহিত ও সতর্ক করার উদ্দেশ্যে, যাতে সেসব কর্মকাণ্ড থেকে দূরে থাকা যায়, যা তাদের হজকে ত্রুটিপূর্ণ বা বাতিল করার মত অবস্থায় নিপতিত করে কিংবা তাতে আঘাত করে, আর এটাই হলো এ গবেষণা-কর্মটি সম্পাদনের মূল লক্ষ্য।
তারপর আমার জানা মতে, ইসলামী গ্রন্থাগারসমূহ বিশেষ করে হজ সংশ্লিষ্ট আকীদাগত ভুল-ভ্রান্তি প্রসঙ্গে লিখিত স্বতন্ত্র গ্রন্থশূণ্যতার দুর্বলতায় আক্রান্ত, যদিও তা ফিকহ শাস্ত্রের বৃহদাকার গ্রন্থসমূহ ও আকায়েদ বিষয়ক গ্রন্থসমূহের কোনো কোনো গ্রন্থে এবং কোনো কোনো ছোট্ট প্রবন্ধে বিক্ষিপ্ত আকারে আলোচিত হয়েছে; আর আমি এমন কাউকে দেখিনি, যিনি তা পৃথকভাবে স্বতন্ত্র আলোচনায় ফুটিয়ে তুলেছেন।
এ গবেষণার চিন্তাকে আমার কাছে যে বিষয়টি জোরদার করেছে, তা আমি তার মধ্যে তুলে ধরার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ! আর তা হলো- এমন কিছু বিষয় সংকলন করা, যা বিশেষভাবে হজের সাথে আকীদাগত বিরোধের সাথে সুনির্দিষ্ট, আর পাশাপাশি তার বিধান বর্ণনা করা এবং সাথে সাথে এ আকীদাগত বিরোধের সাথে কার্যত জড়িত ব্যক্তির বিধান বর্ণনা করা।
আর আমি আল্লাহ তা‘আলার নিকট আবেদন করছি, যাতে আমি এ বিষয়টিকে সাজাতে, তার বিক্ষিপ্ত বিষয়গুলোকে একত্র করতে এবং তার মাসয়ালাসমূহকে ব্যাখ্যা করতে সক্ষম হই এমন এক পদ্ধতিতে, যা ইনশাআল্লাহ আকীদা-বিশ্বাসকে পরিশুদ্ধ করার কাজে অংশগ্রহণ করবে, যে আকীদা-বিশ্বাসের সাথে অনেক দোষত্রুটি ও ভেজাল মিশে একাকার হয়ে গেছে।
والحمدُ لله رب العالمين
(আর সকল প্রশংসা জগতসমূহের রব আল্লাহ তা‘আলার জন্য নিবেদিত)!!
গবেষণা-পদ্ধতি
যখনই আমি চিন্তা করলাম এ বিষয়টি নিয়ে লেখার ব্যাপারে, তখন আমি ভাবলাম এ ভুল-ভ্রান্তিসমূহের বর্ণনা-পদ্ধতি নিয়ে, অতঃপর সিদ্ধান্ত নিলাম যে, গবেষণাটি দু’টি পদ্ধতির বাইরে না যাওয়াটাই উচিৎ হবে।
প্রথম পদ্ধতি:
হাজী সাহেব সংশ্লিষ্ট, তার দেশ থেকে শুরু করে আবার ফিরে আসা পর্যন্ত। সুতরাং আমি শুরু করব হাজী সাহেব কর্তৃক তার শহরে অবস্থান করা থেকে এবং তাতে বিদ্যমান বিদ‘আতসমূহ দ্বারা তার প্রভাবিত হওয়া নিয়ে।
অতঃপর ‘হারামাইন’-এর দেশের উদ্দেশ্যে তার সফর এবং তার শহর থেকে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের কবর যিয়ারত করার নিয়ত করা...
অতঃপর তার মক্কায় প্রবেশ, তার হজ আদায়ের পদ্ধতি এবং তাতে যেসব বিদ‘আত রয়েছে; আর কা‘বার গেলাফ, তার পাথরসমূহ, মাকামে ইবরাহীম ও হারামের যমীনের ব্যাপারে তার দৃষ্টিভঙ্গি এবং এসব ব্যাপারে তার আকীদা-বিশ্বাস।
অতঃপর তার দ্বারা হজের পবিত্র স্থানসমূহ ভ্রমণ এবং সেখানকার মাটি, পাথর ও গাছসমূহ দ্বারা বরকত হাসিল করা।
অতঃপর হজ শেষ করার পর তার দ্বারা কিছু ঐতিহাসিক স্থানের উদ্দেশ্যে গমন করা। যেমন, বরকত অর্জনের উদ্দেশ্যে হেরা গুহা ও সাওর গুহায় গমন।
অতঃপর তার ‘মাদীনায়ে নববী’-তে গমন করা, কবর শরীফ যিয়ারত করা এবং এ ক্ষেত্রে যেসব বিদ‘আত ও বিভ্রান্তি চলছে।
অতঃপর কিছু হাদিয়া নিয়ে অথবা ব্যাগভর্তি মক্কার বা মদীনার মাটি নিয়ে নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন করা...
তবে এখানে এমন কিছু আকীদাগত ভুল-ভ্রান্তিও আলোচিত হয়েছে, যা কোনো নির্ধারিত স্থানের সাথে সুনির্দিষ্ট নয়। যেমন, তাবিজ-কবচ পরিধান করা, ওলীগণের নিকট প্রার্থনা করা এবং বিদ‘আতপূর্ণ দো‘আ বা অযীফা পাঠ করা...
আর এভাবে আমি হাজী সাহেবের সাথে এক পা এক পা করে চলতে থাকব তার হজের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে তাকে আকীদাগত ভুল-ভ্রান্তিগুলোর ব্যাপারে সতর্ক ও সাবধান করতে করতে।
দ্বিতীয় পদ্ধতি:
এক জাতীয় বিষয়গুলো একটি জায়গায় একত্রিত করা। সুতরাং উদাহরণস্বরূপ আমি কবরসমূহ (নবীসাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের কবর, বাকী কবরাস্থান এবং ওহুদের শহীদগণের কবরাস্থান) যিয়ারত করার উদ্দেশ্য সংক্রান্ত বিষয়টি একটি অধ্যায়ে একত্রিত করব, বিভিন্ন প্রকার প্রতীক ও নিদর্শনের দ্বারা বরকত হাসিল সম্পর্কিত বিষয়গুলো এক জায়গায় একত্রিত করব, আর প্রভাবশালী বিশেষ মসজিদসমূহের (মাসজিদুল কিবলাতাইন, তথাকথিত বিশেষ সাত মসজিদ ও মসজিদে উমার ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু ইত্যাদির) আলোচনা করব এক জায়গায়, আর এ ভাবেই... গবেষণাকর্মটি চলবে।
আর আমি দেখছি অনিচ্ছাসত্ত্বেও প্রথম পদ্ধতির অনুসরণে তাতে কিছু বিষয়ের পুনরাবৃত্তি ঘটবে, যাতে এ গ্রন্থটি আল্লাহ তাওফীক দিলে গবেষক ও ছাত্রদের জন্য হাজী সাহেবের হজ যাত্রার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আকীদাগত ভুল-ত্রুটিগুলো জানার জন্য একটা দলীল হতে পারে; ফলে এর দ্বারা তাদের জন্য সহজ হবে এ বিষয়গুলো এক পা এক পা করে অনুসরণ করা, আর এ পথ ধরে তা সংশোধন ও পরিশুদ্ধ করা এবং তাতে পতিত হওয়ার আগেই তার ব্যাপারে সতর্ক করা।
অচিরেই এসব ভুল-ভ্রান্তি নিয়ে আলোচনা হবে ধারাবাহিক অধ্যায় অনুসারে, প্রত্যেকটি ভুল-ভ্রান্তি একটি স্বতন্ত্র অধ্যায়ের মধ্যে; আর যখন কোনো বিরোধের সম্পর্ক থাকবে পূর্বের বক্তব্যের সাথে, তখন আমি প্রথমটির আলোচনা করব বিস্তারিতভাবে এবং পরবর্তীটিকে সংক্ষেপ করব প্রথমটির বরাতসহ ইঙ্গিত করে।
গবেষণার শব্দ-তালিকার পরিচয়:
১. ‘আল-মুখালিফাত’ ( المخالفات ): শব্দটি مخالفة শব্দের বহুবচন, আর ‘ইখতিলাফ’ ( الاختلاف ) শব্দের আভিধানিক অর্থ ‘ইত্তিফাক’ ( الاتفاق ) তথা ঐকমত্যের বিপরীত, অর্থাৎ অনৈক্য বা মতবিরোধ, আর কোনো কোনো আলিম ‘খিলাফ’ ( الخلاف ) ও ‘ইখতিলাফ’ ( الاختلاف )-এর মধ্যে পার্থক্য করেন। তারা বলেন, ‘ইখতিলাফ’ ( الاختلاف ) শব্দটি এমন কথা বা মতের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়, যা দলীল-প্রমাণের ওপর প্রতিষ্ঠিত। অপরদিকে ‘খিলাফ’ ( الخلاف ) শব্দটি ব্যবহৃত এমন ক্ষেত্রে, যার ব্যাপারে কোনো দলীল-প্রমাণ নেই; আর তাতে বিরোধিতাকারীর পক্ষে দুর্বলতার বিষয়টি সাব্যস্ত হয়। [দেখুন: ‘লিসানুল আরব’: (৯/৯০); ‘তাজুল ‘আরুস মিন জাওয়াহেরিল কামূস’: (১২/১৮৯, ১৯৯); ‘কাশ্শাফু ইস্তিলাহাত আল-ফুনূন ওয়াল ‘উলূম’: (১/১১৬-১১৭)।]
আর তার ওপর ভিত্তি করে বলা যায়- যে ব্যক্তি এসব ‘মুখালিফাত’ তথা বিরোধকে পালন বা প্রতিষ্ঠিত করবে, তার সাথে তার কাজের ব্যাপারে আস্থা স্থাপন করার মত কোনো দলীল-প্রমাণ নেই; বরং তাকে শুধু ‘মুখালিফ’ ( مخالف ) তথা বিরোধিতাকারী বলে গণ্য করা হবে। আর যে ব্যক্তি দুর্বল অথবা বানোয়াট দলীলের ওপর নির্ভর করবে, সে ব্যক্তি হলো এমন ব্যক্তির ন্যায়, যার কাছে কোনো দলীল-প্রমাণ নেই।
আর মুসলিম ব্যক্তি কর্তৃক সঠিক বিষয়ের বিপরীত মত পোষণ করার বিষয়টি জানা যাবে দলীল-প্রমাণ সম্পর্কে জানার মাধ্যমে এবং নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবন-চরিত, কথা ও কাজ সম্পর্কে অবহিত হওয়ার মাধ্যমে।
২. আল-‘আকদিয়্যা ( العقدية ): এ শব্দটি ইঙ্গিত করে এমন সব মাসায়েলের দিকে, যা আকীদাগত মাসায়েলের সাথে সুনির্দিষ্ট [‘আল-মু‘জাম আল-ওয়াসীত’: (২/৬১৪) নামক অভিধানের মধ্যে এসেছে: (‘আকিদা: এমন হুকুম বা সিদ্ধান্ত, যার ব্যাপারে তার বিশ্বাসী ব্যক্তির নিকট কোনো প্রকার সন্দেহ-সংশয় গ্রহণযোগ্য নয়)।], আর এটা এমন এক শর্ত, যার কারণে ইবাদত সংক্রান্ত মাসয়ালাগুলো এ গবেষণার আওতামুক্ত হয়ে যায়, ফলে গবেষণাটি সে দিকে প্রবেশ করবে না। যেমন, পাথর ব্যতীত জুতা ও অনুরূপ কিছুর মত কোনো বস্তু জামারায় নিক্ষেপ করা; এর ফলে ঐসব সাধারণ শরী‘আতী ভুল-ভ্রান্তিসমূহ এ গবেষণার আওতামুক্ত হয়ে যায়, যা পারিভাষিক দৃষ্টকোণ থেকে ‘আকিদার অন্তর্ভুক্ত হয় না। যেমন, দাড়ি মুণ্ডন করা, কাপড় ঝুলিয়ে পরিধান করা, নারীগণ কর্তৃক মাহরাম পুরুষ সঙ্গী ব্যতীত সফর করা ইত্যাদি।
৩. হজ ( الحج ): হজ শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো ইচ্ছা করা, আর পরিভাষায় হজ মানে: সুনির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট কতগুলো কাজ করার জন্য মক্কায় গমনের ইচ্ছা করা। [দেখুন: ‘আন-নাযম আল-মুসতা‘যাব ফী শরহে গারীব ‘আল-মুহায্যাব’: (১/১৮১); ‘আদ-দুর্রুন নাকী ফী শরহে আলফায আল-খিরাকী’: (২/৩৭৬); ‘মুন্তাহাল ইরাদাত ফী জাম‘য়ে ‘আল-মুকনি‘য়ে’ মা‘আ ‘ আত-তানকীহ’ ওয়া যিয়াদাত’: (২/৫৭)।] আর এর মাধ্যমে ঐসব আকীদাগত ভুল-ভ্রান্তিসমূহ আমাদের গবেষণার আওতামুক্ত হয়ে যায়, যেগুলো হজের মৌসুম ব্যতীত অন্য সময়ে হয়ে থাকে, যার কিছু উদাহরণ একটু পরেই আমাদের সামনে আসছে।
গবেষণার লক্ষ্য:
এ গবেষণার মধ্য থেকে গবেষকের লক্ষ্য হলো, জনগণকে ঐসব আকীদাগত বিরোধের সাথে পরিচিত করা, যা হজের মৌসুমে কোনো কোনো হাজী সাহেবের দ্বারা সংঘটিত হয়ে থাকে; আর শরী‘আতের ভাষ্য এবং আলেমগণের বক্তব্যের মাধ্যমে দীনের সাথে সেসব আকীদাগত ভুল-ভ্রান্তিপূর্ণ বিষয়গুলো উপস্থাপন করা।
বস্তুত ভুল-ভ্রান্তির প্রতি গুরুত্ব প্রদান করে তা জনগণের কাছে বর্ণনা করে দেওয়া একটি মহৎ উদ্যোগ; আর তাই দেখা যায় আমাদের আলিম সমাজ বিদ‘আত ও তার বর্ণনা এবং তা থেকে সতর্ককরণ বিষয়ে প্রাচীন ও আধুনিক সময়ে অনেক লেখালেখি করেছেন।
আর যে ব্যক্তি ভুলটা জানতে পারবে, সে তাতে পতিত হওয়া থেকে নিরাপদ থাকবে, হুযায়ফা ইবনল ইয়ামান রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা বলেন,
«كَانَ النَّاسُ يَسْأَلُونَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الْخَيْرِ، وَكُنْتُ أَسْأَلُهُ عَنِ الشَّرِّ ؛ مَخَافَةَ أَنْ يُدْرِكَنِي» .
“জনগণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করত ভালো সম্পর্কে, আর আমি তাঁর নিকট প্রশ্ন করতাম মন্দ বিষয় সম্পর্কে- এ আশঙ্কায় যে, তা (মন্দ) আমাকে পেয়ে বসবে।” [সহীহ বুখারী, আস-সহীহ, হাদীস নং ৩৪১১; সহীহ মুসলিম, আস-সহীহ, হাদীস নং ১৮৪৭; আহমাদ, আল-মুসনাদ, হাদীস নং ২৩৪২৫; আবূ দাউদ, আস-সুনান, হাদীস নং ৪২৪৪।]
“নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীগণ তাঁকে জিজ্ঞাসা করতেন ভালো সম্পর্কে; আর আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করতাম মন্দ বিষয় সম্পর্কে; বলা হলো, কেন আপনি এরূপ করতেন? তিনি বলেন, যে ব্যক্তি মন্দ পরিহার করে চলবে, সে ভালো ও কল্যাণের মধ্যে থাকবে।” [আহমাদ, আল-মুসনাদ, হাদীস নং ২৩৩৯০।]
গবেষণার পরিধি:
গবেষণাটি নির্ধারিত সময় ও স্থানের সাথে সম্পর্কযুক্ত; আর গবেষণাটি এমন সব আকীদাগত ভুল-ভ্রান্তিকে অন্তর্ভুক্ত করবে, যা হজের সময়ে ও হজের স্থানে হাজীগণের একটি গোষ্ঠীর মাঝে সংঘটিত হয়। সুতরাং হাজীগণের কেউ কেউ হজের মাসসমূহে, মক্কায় এবং হজের পবিত্র স্থানসমূহের মধ্যে যে কাজ করবেন, তা গবেষণার পরিধির আওতাভুক্ত হবে।
আর এর অনুষঙ্গ হিসেবে যা তাদের হজের পথে এবং হজের পরে মদীনায়ে নববীতে তাদের পক্ষ থেকে ঘটবে, তাও এর অন্তর্ভুক্ত হবে।
আর তার ওপর ভিত্তি করে আকীদাগত বিরোধেসমূহের মধ্য থেকে যা হজের মৌসুম ছাড়া অন্য সময়ে প্রকাশ পায়, তার সাথে গবেষণার কোনো সম্পর্ক থাকবে না। যেমন, ঐসব আকীদাগত ভুল-ভ্রান্তি, যা সংঘটিত হয় মহররম মাসের দশম দিনে, অথবা রবিউল আউয়াল মাসের বারো তারিখে, অথবা রজব মাসের ২৭ তারিখে অথবা শা‘বান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে এবং অনুরূপ আরো কোনো সময়ে।
অনুরূপভাবে আমি গবেষণার মধ্যে ঐসব আকীদাগত ভুল-ভ্রান্তি পরিহার করেছি, যা ইতোমধ্যে বিলুপ্ত হয়ে গেছে, আলহামদু লিল্লাহ। যেমন, আরাফার রজনীতে ‘জাবালে ‘আরাফা’ (আরাফার পাহাড়)-এর ওপরে আগুন ও মোমবাতি প্রজ্জ্বলিত করার বিদ‘আত [ইমাম নববী রহ. তা আলোচনা করেছেন, তিনি বলেছেন: সাধারণ জনগণের একটি অংশ ‘জাবালে ‘আরাফা’ (‘আরাফার পাহাড়)-এ জিলহজ মাসের নবম রজনীতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলিত করে, আর তিনি উল্লেখ করেন যে, এটা নিকৃষ্টতর বিদ‘আতসমূহের অন্তর্ভুক্ত এবং তা কদর্যতাপূর্ণ ভ্রষ্টতা, যা কয়েক প্রকারের মন্দকে একত্রিত করে। যেমন, আগুনের প্রতি বিশেষ মনোযোগের মধ্য দিয়ে অগ্নিপূজকদের ধর্মীয় সংস্কৃতিকে প্রকাশ করা। [‘আল-মাজমূ‘উ শরহু ‘আল-মুহায্যাব’: (৮/১৪০); আরও দেখুন: ‘আল-ইবদা‘উ ফী মাদারিল ইবতিদা‘য়ে’: (পৃ. ৩০৫)]] এবং আরাফার পাহাড়ে অবস্থিত ‘কুব্বাতু আদাম’ (আদমের তাঁবু)-এর চতুষ্পার্শ্বে তাওয়াফ করার বিদ‘আত [শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবন তাইমিয়্যাহ রহ. তা আলোচনা করেছেন, তিনি বলেছেন: “আরাফাতের সবটুকুই অবস্থান করার জায়গা; আর বতনে ‘উরানাতে অবস্থান করবে না; আর সেখানকার পাহাড়ে আরোহণ করাটা সুন্নাহ’র অন্তর্ভুক্ত নয়; আর সে পাহাড়টিকে ‘জাবালে রহমত’ (রহমতের পাহাড়) বলা হয়, আর তাকে এর ওজনে ‘ইলাল’ -ও বলা হয়; অনুরূপভাবে তার ওপরে অবস্থিত তাঁবুর বিষয়টিও, যাকে ‘কুব্বাতু আদাম’ (আদমের তাঁবু) বলা হয়; তাতে প্রবেশ করা এবং তার মধ্যে সালাত আদায় করাটা মুস্তাহাব কিছু নয়; আর তার চতুর্দিকে তাওয়াফ করাটা কবীরা গুনাহের অন্তর্ভুক্ত।” [‘মানসাকু শাইখুল ইসলাম’, সাউদী ধর্ম মন্ত্রণালয় এর আওতায় মুদ্রিত: (২৬/১৩৩)]।], আর এগুলো ধ্বংস ও বিলুপ্ত হয়ে গেছে, আলহামদু লিল্লাহ।
গবেষণা-পরিকল্পনা ভূমিকা
এতে রয়েছে এ বিষয়ে লেখার কারণ এবং গবেষণার পদ্ধতি ও তার পরিকল্পনা।
মুখবন্ধ
প্রথম ভাগ: মক্কায় পৌঁছার পূর্বে আকীদাগত ভুল-ভ্রান্তিসমূহ;
আর তাতে চারটি অধ্যায় রয়েছে:
প্রথম অধ্যায়: পাথেয় ছাড়া হজের উদ্দেশ্যে বের হওয়ার মাধ্যমে তাওয়াক্কুল করার মত ভুল ধারণা পোষণ করা।
দ্বিতীয় অধ্যায়: লোক দেখানোর জন্য ও সুনামের উদ্দেশ্যে হজ করা।
তৃতীয় অধ্যায়: তাবিজ বা মাদুলি নিয়ে কোনো কোনো হজ পালনকারীর আগমন।
চতুর্থ অধ্যায়: শির্ক মিশ্রিত অযীফা নিয়ে কোনো কোনো হজ পালনকারীর আগমন।
প্রথম অধ্যায়: কোনো কোনো হজ পালনকারী কর্তৃক আল্লাহ ছাড়া অন্যের নিকট দো‘আ ও সাহায্য প্রার্থনা করা এবং শির্ক মিশ্রিত অযীফা বা দো‘আর ওপর নির্ভর করা।
দ্বিতীয় অধ্যায়: কা‘বার গেলাফ ও দৃশ্যমান পাথরসমূহ স্পর্শ করার দ্বারা স্বীয় শরীর মোছা
তৃতীয় অধ্যায়: আনুগত্যের উদ্দেশ্য ব্যতীত, বরকত মনে করে হাজরে আসওয়াদ ও রুকনে ইয়ামানী স্পর্শ করা
চতুর্থ অধ্যায়: শামী ও ইরাকী রুকনদ্বয় ও কা‘বার দেওয়াল স্পর্শ ও চুম্বন করা।
পঞ্চম অধ্যায়: ‘মাকামে ইবরাহীম’ দ্বারা বরকত অর্জনের চিন্তা করা এবং হাজীগণ কর্তৃক তাঁর দিকে নজর দেওয়া।
তৃতীয় ভাগ: মক্কা ও হজের নির্ধারিত স্থানগুলোতে আকীদাগত ভুল-ভ্রান্তিসমূহ;
আর তাতে তিনটি অধ্যায় রয়েছে:
প্রথম অধ্যায়: হেরা ও সাওর গুহা যিয়ারত এবং তাতে আরোহণের অযথা চেষ্টা করা।
দ্বিতীয় অধ্যায়: ‘আরাফার পাহাড়ে আরোহণের অযথা চেষ্টা করা।
তৃতীয় অধ্যায়: মক্কার গাছপালা ও পাথর দ্বারা বরকত লাভ করা এবং তা নিয়ে সফর করা।
চতুর্থ ভাগ: হজ পরবর্তী কর্মে আকীদাগত ভুল-ভ্রান্তিসমূহ;
আর তাতে ভূমিকা ও বেশ কিছু অধ্যায় রয়েছে:
মুখবন্ধ: আর তাতে হজের সাথে ‘মাদীনা মুনাওয়ারা’ যিয়ারতের যোগসূত্র নিয়ে আলোচনা রয়েছে
প্রথম অধ্যায়: হজের পর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কবর যিয়ারত করা
দ্বিতীয় অধ্যায়: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কবর যিয়ারত করার ক্ষেত্রে ত্রুটিসমূহ
উপসংহার: কিছু উপদেশসহ
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/170/3
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।