hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

হজের সাথে সংশ্লিষ্ট আকীদাগত ভুল-ভ্রান্তিসমূহ

লেখকঃ ড. আহমাদ ইবন উসমান আল-মাযইয়াদ

১৪
চতুর্থ অধ্যায় : শামী ও ইরাকী রুকনদ্বয় [এ দু’টি রুকনকে ‘আশ-শামিয়্যান’ বলা হয়, যেমনিভাবে ‘রুকনে ইয়ামানী’ ও ‘হাজরে আসওয়াদ’-কে ‘আল-ইয়ামানিয়ান’ বলা হয়। ইমাম নববী রহ. বলেন: “কা‘বা শরীফের চারটি রুকন রয়েছে: ‘আর-রুকন আল-আসওয়াদ’, আর-রুকনান আশ-শামিয়্যান , তারপর ‘আর-রুকন আল-ইয়ামানী । আর ‘আর-রুকন আল-আসওয়াদ’ ও ‘আর-রুকন আল-ইয়ামানী-কে ‘আল-ইয়ামানিয়ান’ বলা হয়। -আল-মাজমূ‘উ শরহু ‘আল-মুহায্যাব’: (৮/৩৬)।] ও কা‘বার দেওয়াল স্পর্শ ও চুম্বন করা
আমি পূর্বের অধ্যায়ে উল্লেখ করেছি যে, ‘হাজরে আসওয়াদ’ ও ‘রুকনে ইয়ামানী’-কে স্পর্শ করা সুন্নাত। আর তা হবে শুধু নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাতের অনুসরণ করার জন্য; কেননা এ দু’টি এমন রুকন, যা ইবরাহীম আ. এর ভিত্তির ওপর বহাল রয়েছে।

আর বাকি দু’টি রুকন: ‘রুকনে শামী’ ও ‘রুকনে ইরাকী’ এবং কা‘বার প্রাচীরের ব্যাপারে কোনো দলীল বর্ণিত হয় নি, আর এর ওপর ভিত্তি করে বলা যায় যে, “কা‘বার দেওয়ালকে চুম্বন করাটা বিদ‘আতের মধ্যে শামিল হবে।” [ফাতাওয়া ইবন ইবরাহীম: (১/১০২-১০৩)। আরও দেখুন: মাজমূ‘উ আল-ফাতাওয়া: (২৬/৯৭); মানসাকু শাইখুল ইসলাম , সাবেক ফাতওয়া সমগ্র এর আওতায় মুদ্রিত: (২৬/১২১); আস-সুনান ওয়াল মুবতাদা‘আত আল-মুতা‘আল্লাকা বিল আযকার ওয়াস সালাওয়াত: (পৃ. ১৫২)।] আর যে মুসলিম ব্যক্তি সঠিক দৃষ্টির ওপর ভিত্তি করে আল্লাহর ইবাদত করতে চায়, তার ওপর কর্তব্য হলো- সে কুরআন ও সুন্নাহর বক্তব্য ও দলীলের নিকট অবস্থান করবে এবং তার সীমা অতিক্রম করবে না।

তাছাড়া আরও এমন কিছু দলীল ও আছার বর্ণিত হয়েছে, যেগুলো তাগিদ দেয় যে, মুসলিম ব্যক্তির জন্য শরী‘য়তের বিধান হলো— স্পর্শ করার কাজটি ‘হাজরে আসওয়াদ’ ও ‘রুকনে ইয়ামানী’-এর মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা; আর বাকি দু’টি রুকন ইবরাহীম আলাইহিস সালামের ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত নয়। আর এসব দলীল ও আছার থেকে কিছু যেমন,

আবদুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা বলেন,

« لَمْ أَرَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَمْسَحُ مِنْ الْبَيْتِ إِلَّا الرُّكْنَيْنِ الْيَمَانِيَيْنِ»

“আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কা‘বা ঘরের কেবল ইয়ামানী দুই রুকনকে (‘হাজরে আসওয়াদ’ ও ‘রুকনে ইয়ামানী’-কে) স্পর্শ ও চুম্বন করতে দেখেছি।” [সহীহ বুখারী, আস-সহীহ, হাদীস নং ১৫৩১; সহীহ মুসলিম, আস-সহীহ, হাদীস নং ১২৬৭; ইবন মাজাহ, আস-সুনান, হাদীস নং ২৯৪৬; আবূ দাউদ, আস-সুনান, হাদীস নং ১৮৭৪; নাসাঈ, আস-সুনান, হাদীস নং ২৯৪৯।]

তিনি আরও বলেন,

«مَا أُرَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم تَرَكَ اسْتِلاَمَ الرُّكْنَيْنِ اللَّذَيْنِ يَلِيَانِ الْحِجْرَ، إِلاَّ أَنَّ الْبَيْتَ لَمْ يُتَمَّمْ عَلَى قَوَاعِدِ إِبْرَاهِيمَ، [ وَلاَ طَافَ النَّاسُ وَرَاءَ الْحِجْرِ إِلاَّ لِذَلِكَ ]».

“আমার মনে হয় যে, বায়তুল্লাহ হাতীমের দিক দিয়ে সম্পূর্ণভাবে ইবরাহিমী ভিত্তির ওপর নির্মিত না হওয়ার কারণেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম (তাওয়াফের সময়) হাতীম সংলগ্ন দু’টি কোণ স্পর্শ করতেন না। (আর এ জন্যেই জনগণ হাতীমের বাইরে দিয়ে তাওয়াফ করেন)।” [সহীহ বুখারী, আস-সহীহ, হাদীস নং ১৫০৬; সহীহ মুসলিম, আস-সহীহ, হাদীস নং ১৩৩৩; আবূ দাউদ, আস-সুনান, হাদীস নং ১৮৭৫। প্রায় সহীহ বুখারী ও মুসলিমের বর্ণনার মতো এবং তার চেয়ে আরও কিছু বেশি।]

সুতরাং প্রথম ‘নস’ বা বক্তব্যটি প্রমাণ করে যে, স্পর্শ করার কাজটি কা‘বার শুধু দু’টি রুকনের মধ্যে সীমাবদ্ধ, আর এটাই অধিকাংশ সাহাবী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমের উপলব্ধি। [খুব শীঘ্রই ইমাম নববী রহ. এর বক্তব্য আসছে, যেখানে তিনি বলেছেন: এটাই অধিকাংশ সাহাবায়ে কেরাম রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমের অভিমত।]

আর দ্বিতীয় ‘নস’ বা বক্তব্যটি প্রমাণ করে যে, ‘রুকনে শামী’ ও ‘রুকনে ইরাকী’ ইবরাহীম ‘আলাইহিস্ সালামের ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত নয়, ফলে এ দু’টি প্রকৃতপক্ষে রুকনই নয়।

ইবনু কুদামা রহ. বলেন, (হাতীম সংলগ্ন রুকন বা কোণ দু’টি স্পর্শ করা অধিকাংশ আলিমের মতে সুন্নাত নয়)। [আল-মুগনী: (৫/২২৭)।]

আর ইমাম নববী রহ. বলেন, [(রুকন দু’টি) ‘হাজরে আসওয়াদ’ ও ‘রুকনে ইয়ামানী’ ইবরাহীম ‘আলাইহিস সালামের ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত এবং ‘আশ-শামিয়্যান’ ( الشاميان ) তথা ‘রুকনে শামী’ ও ‘রুকনে ইরাকী’ তাঁর ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত নয়; বরং উভয়টি পরিবর্তিত। কেননা হাতীম এ রুকন দু’টির সংলগ্ন এবং যার সবটুকু অথবা অংশবিশেষ বায়তুল্লার অন্তর্ভুক্ত।

‘হাজরে আসওয়াদ’ নামের রুকনটির দু’টি ফযীলত: একটি হলো তাতে ‘হাজরে আসওয়াদ’ রয়েছে; আর অপরটি হলো তা ইবরাহীম ‘আলাইহিস্ সালামের ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত। আর ‘রুকনে ইয়ামানী’-এর রয়েছে একটি ফযীলত, আর তা হলো: এটা ইবরাহীম ‘আলাইহিস সালামের ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত, আর ‘আশ-শামিয়্যান’ ( الشاميان ) তথা ‘রুকনে শামী’ ও ‘রুকনে ইরাকী’-এর জন্য দু’টি ফযীলতের কোনো কিছুই নেই।

সুতরাং যখন আপনি এটা জানতে পারলেন, তখন ‘হাজরে আসওয়াদ’-এর বেলায় সুন্নাত হলো তাকে স্পর্শ করা এবং চুম্বন করা; আর ‘রুকনে ইয়ামানী’-এর ক্ষেত্রে সুন্নাত হলো তাকে স্পর্শ করা এবং চুম্বন না করা। আর সুন্নাত হলো ‘আশ-শামিয়্যান’ ( الشاميان ) তথা ‘রুকনে শামী’ ও ‘রুকনে ইরাকী’-কে চুম্বন ও স্পর্শ না করা; সুতরাং ‘হাজরে আসওয়াদ’ বিশেষিত হয়েছে স্পর্শ করার সাথে সাথে চুম্বন করার দ্বারা। কারণ, তাতে দু’টি ফযীলত রয়েছে, আর ‘রুকনে ইয়ামানী’ বিশেষিত হয়েছে শুধু স্পর্শ করার দ্বারা; কারণ, তাতে শুধু একটি ফযীলত রয়েছে। আর ( الشاميان ) তথা ‘রুকনে শামী’ ও ‘রুকনে ইরাকী’-তে দু’টি ফযীলতের কোনোটিই নেই]। [আল-মাজমূ‘উ শরহু ‘আল-মুহায্যাব’: (৮/৪৭); আরও দেখুন: শরহুল ‘উমদা: (১/৪৩০)।]

আর তার উপর ভিত্তি করে ‘হাজরে আসওয়াদ’ ও ‘রুকনে ইয়ামানী’ ছাড়া অন্য কিছুকে স্পর্শ করাটা শরী‘য়তের বিধিভুক্ত নয়; আর যে ব্যক্তি বরকতের প্রার্থী হয়ে তা করবে, তাহলে সে হারামের দ্বারা বরকত হাসিলের আওতাভুক্ত হবে; আর তা হবে শির্কের উপায়-উপকরণসমূহের অন্যতম একটি।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন