hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

হজের সাথে সংশ্লিষ্ট আকীদাগত ভুল-ভ্রান্তিসমূহ

লেখকঃ ড. আহমাদ ইবন উসমান আল-মাযইয়াদ

মুখবন্ধ
হজ ফরয হয় নবম অথবা দশম হিজরীতে [সন্দেহের ওপর ভিত্তি করে অনুরূপ বলা হয়ে থাকে। আরও দেখুন: ‘যাদুল মা‘আদ’: (২/৯৬)।], আর নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম হজ করেন দশম হিজরীতে এবং তিনি চেয়েছেন তাঁর এ হজে তিনি হবেন শিক্ষক ও প্রশিক্ষক। সুতরাং তাঁর থেকে হজ বিষয়ে অনেকগুলো কাওলী (উক্তিবাচক) ও ফে‘লী (কর্মবাচক) হাদীস বর্ণিত হয়েছে; এ বিষয়ে যা বর্ণিত হয়েছে, তন্মধ্যে ব্যাপক অর্থবোধক হাদীস হলো সাহাবায়ে কেরাম রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমকে লক্ষ্য করে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী, যেখানে তিনি বলেছেন:

«لِتَأْخُذُوا مَنَاسِكَكُمْ، فَإِنِّى لاَ أَدْرِى لَعَلِّى لاَ أَحُجُّ بَعْدَ حَجَّتِى هَذِهِ» .

“যাতে তোমরা তোমাদের হজের নিয়ম-কানুন শিখে নিতে পার; কারণ, আমি জানি না, সম্ভবত আমার এ হজের পর আমি আর হজ করতে পারব না।” [হাদীসটি আবূ যুবায়ের আল-মাক্কী ‘মারফু’ সনদে জাবির রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণনা করেছেন; সহীহ মুসলিম, আস-সহীহ, হাদীস নং ১২৯৭; আহমাদ, আল-মুসনাদ, হাদীস নং ১৪৪১৯; ইবন মাজাহ, আস-সুনান, হাদীস নং ৩০২৩; আবূ দাউদ, আস-সুনান, হাদীস নং ৪২৪৪; নাসাঈ, আস-সুনান, হাদীস নং ৩০৬২)।]

সাহাবায়ে কিরাম রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুম নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের এ দৃষ্টিভঙ্গি ও নির্দেশনাকে অনুসরণ করেছেন। সুতরাং তারা যখনই হজ করতেন, তখন তারা এ হাদীসকে তাদের চোখের সামনে রাখতেন; ফলে তারা এমন কোনো কাজ করতেন না, যা শিক্ষাগুরু মহানবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম করেন নি, আর এ নীতিতে মুসলিমগণ চলেছেন আবহমান কাল ধরে, এমনকি ইসলামী দেশের আয়তন ও পরিধি সম্প্রসারিত হলো এবং জনগণ আল্লাহর দীনে শামিল হলো সকল দিক থেকে; অতঃপর তারাও প্রতি বছর হজ করতেন নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের কথা ও কাজ থেকে নেয়া হজের নিয়ম-কানূনকে গ্রহণ ও অনুসরণ করে।

কিন্তু বিষয়টি শিথিল ও প্রশমিত হয়ে গেল কিছু কিছু সময়ে এবং কোনো কোনো স্থানে; ফলে আল্লাহ তা‘আলার দীনের মধ্যে এমন কিছু বিষয়ের অনুপ্রবেশ ঘটল, যা তার দীনের অন্তর্ভুক্ত কিছু নয়, আর এ দীনের মধ্যে যা অনুপ্রবেশ করেছে, তা দুই প্রকারের:

এক প্রকার, আকীদা-বিশ্বাসগত বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত, আরেক প্রকার, আমল বা কর্মগত বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত। এখানে আমাদের প্রত্যাশিত আলোচ্য বিষয় হলো প্রথম প্রকার, যা আকীদা-বিশ্বাসগত মাসায়েলের সাথে নির্দিষ্ট; তন্মধ্যে আরও সুনির্দিষ্টভাবে বলতে হয়- আমরা ঐসব মাসয়ালার আলোচনা করব, যার সাথে হাজী সাহেব জড়িত, তার হজ আদায়কালীন সময়ে অথবা তার পূর্বে অথবা তার পরে, যা হজের সাথে সম্পর্কিত।

আর দ্বিতীয় প্রকার: আমল বা কর্ম সংক্রান্ত মাসআলার সাথে নির্দিষ্ট। যা আলোচনার জন্য অপর জায়গা রয়েছে, এটা তার জন্য নির্দিষ্ট স্থান নয়, তার অনেকগুলো দৃষ্টান্ত রয়েছে। তন্মধ্যে দু’একটি নিম্নরূপ:

১. হজের উদ্দেশ্যে নারীগণ কর্তৃক মাহরাম পুরুষ সঙ্গী ব্যতীত সফর করা; অথচ নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাহরাম পুরুষ সঙ্গী ব্যতীত সফর করতে নিষেধ করেছেন; তিনি বলেন,

«لاَ يَحِلُّ لاِمْرَأَةٍ تُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ تُسَافِرُ مَسِيرَةَ يَوْمٍ إِلاَّ مَعَ ذِى مَحْرَمٍ» .

“আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করে এমন নারীর জন্য মাহরাম পুরুষ সঙ্গী ব্যতীত একদিনের দূরত্বের পথ ভ্রমণ করা বৈধ নয়।” [হাদীসটি ‘মারফু’ সনদে আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণনা করেছেন; সহীহ বুখারী, আস-সহীহ, হাদীস নং ১০৩৮; সহীহ মুসলিম, আস-সহীহ, হাদীস নং ১৩৩৯; হাদীসের শব্দগুলো ইমাম সহীহ মুসলিম রহ.-এর।]

২. হাজী সাহেব কর্তৃক ‘তালবিয়্যা’ পাঠ করার পর, এর সাথে ‘তাকবীর’ (আল্লাহু আকবার) এবং ‘তাহলীল’ (লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ) যোগ করে বলা। [মানাসিক আল-হাজ ওয়াল ‘উমরা: (পৃ. ৪৭)।]

বস্তুত এটা সুন্নাতের বিপরীত। কারণ, হাজী সাহেবের জন্য সুন্নাত হলো ‘তালবিয়্যা’ পাঠ করা। তালবিয়ার সাথে ‘তাকবীর’ (আল্লাহু আকবার) ও ‘তাহলীল’ (লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ) পাঠ করা নয়। এ ‘তালবিয়্যা’ পাঠ অব্যাহত থাকবে জামারাতুল আকাবা তথা বড় জামরায় পাথর নিক্ষেপ করা পর্যন্ত; এর বিপরীত কাজকে ‘বিদ‘আত’ বলে গণ্য করা হবে। [দেখুন: ফিকহুল ‘ইবাদাত: (পৃ. ৩৫০, ৩৬২)। আরও দেখুন: বিদা‘উল হজ ওয়াল ‘উমরা: (পৃ. ৩৫০, ৩৬২)।আর হজ ও উমরার আকিদাগত বিদ‘আত ও অন্যান্য বিষয়গুলো দেখুন নিম্নোক্ত গ্রন্থসমূহে:আহমাদ ইবন মুহাম্মাদ আল-খাল্লাল, ‘আল-হাছ্ছু ‘আলাত্ তিজারাত’: (পৃ. ৬৭-৮০)। আবদুর রাহমান ইবন আলী ইবনুল জাওযী, ‘তালবীসু ইবলিস’ (২/৮৩০-৮৩২)। মুহাম্মাদ নাসিরুদ্দীন আলবানী, ‘মানাসিক আল-হাজ ওয়াল ‘উমরা’: (পৃ. ৪৫ ও তার পরবর্তী পৃষ্ঠাসমূহ)।মুহাম্মাদ ইবন সালেহ আল-‘উসাইমীন, ‘ফিকহুল ‘ইবাদাত’: (পৃ. ৩৩৫-৪০৭)।হামুদ ইবন আবদিল্লাহ আল-মাত্বার, ‘আল-বিদ‘উ ওয়াল মুহদাছাত ওমা লা আসলা লাহু’: (পৃ. ৩৭৭-৪১৪)।রায়েদ ইবন সাবরী ইবন আবি ‘আলফা, ‘মু‘জাম আল-বিদ‘য়ে’: (পৃ. ১৭২-১৯৭)। আবদুল ‘আযীয ইবন মুহাম্মাদ আস-সাদহান, ‘মুখালিফাতুল হজ ওয়াল ‘উমরা’।আবদুল মাজীদ আল-হাদিসী, ‘তানবীহুল আনাম ইলাল মুখালিফাত আল-ওয়ারেদা ফিল মাসজিদাইন আন-নববী ওয়াল হারাম’ । আর এর বাইরে আরও আপনি অনেক নির্দেশনা পাবেন, যা ছড়িয়ে আছে ফিকহ’র কিতাবসমূহের আওতাধীন হজের অধ্যায়ে।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন