HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কালেমা ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ এর অর্থ, শর্তসমূহ এবং ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে তার প্রভাব

লেখকঃ শায়খ সালেহ ইবন ফাওযান আলে-ফাওযান

ভূমিকা
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর জন্য। আমরা তাঁরই নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করি এবং তাঁরই নিকট তাওবা করি। আমাদের নফসের সকল প্রকার বিপর্যয় ও কু-কীর্তি থেকে রক্ষা করার জন্য তাঁরই সাহায্য প্রার্থনা করি। আল্লাহ যাকে হিদায়াত দান করেন তার কোনো পথভ্রষ্টকারী নেই, আর যাকে পথভ্রষ্ট করেন তার কোনো পথ প্রদর্শনকারী নেই।

অতঃপর আমি সাক্ষ্য প্রদান করছি যে, আল্লাহ এক এবং অদ্বিতীয়, তাঁর কোনো শরীক নেই এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসুল। আল্লাহর পক্ষ থেকে কিয়ামত পর্যন্ত সালাত ও সালাম বর্ষিত হউক তাঁর রাসূল, আহলে বাইত এবং সমস্ত সাহাবীগণের ওপর আর ঐ সমস্ত ব্যক্তিদের ওপর যারা অনুসরণ করেছেন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এবং আঁকড়ে ধরেছেন তাঁর সুন্নাতকে।

অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে তাঁর যিকির করার জন্য আদেশ করেছেন এবং তিনি তাঁর যিকিরকারীদের প্রশংসা করেছেন ও তাদের জন্য পুরস্কারের ওয়াদা করেছেন। তিনি আমাদেরকে সাধারণভাবে সর্বাবস্থায় তাঁর যিকির করতে নির্দেশ দিয়েছেন। আবার বিভিন্ন ইবাদত সম্পন্ন করার পর তাঁর যিকির করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন,

﴿فَإِذَا قَضَيۡتُمُ ٱلصَّلَوٰةَ فَٱذۡكُرُواْ ٱللَّهَ قِيَٰمٗا وَقُعُودٗا وَعَلَىٰ جُنُوبِكُمۡۚ﴾ [ النساء : ١٠٣ ]

“অতঃপর তোমরা যখন সালাত সমাপ্ত কর তখন দণ্ডায়মান, উপবিষ্ট ও শায়িত অবস্থায় আল্লাহর যিকির কর’। [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ১০৩] আল্লাহ আরো বলেন,

﴿فَإِذَا قَضَيۡتُم مَّنَٰسِكَكُمۡ فَٱذۡكُرُواْ ٱللَّهَ كَذِكۡرِكُمۡ ءَابَآءَكُمۡ أَوۡ أَشَدَّ ذِكۡرٗاۗ﴾ [ البقرة : ٢٠٠ ]

‘আর যখন তোমরা হজের যাবতীয় অনুষ্ঠানাদি সমাপ্ত করবে তখন আল্লাহর যিকির করবে, যেমন করে স্মরণ করতে তোমাদের পিতৃপুরুষদেরকে, বরং (আল্লাহকে) এর চেয়েও বেশি স্মরণ করবে’। [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ২০০]

বিশেষ করে হজ পালনের সময় তাঁর যিকির করার জন্য বলেন,

﴿فَإِذَآ أَفَضۡتُم مِّنۡ عَرَفَٰتٖ فَٱذۡكُرُواْ ٱللَّهَ عِندَ ٱلۡمَشۡعَرِ ٱلۡحَرَامِۖ﴾ [ البقرة : ١٩٨ ]

“অতঃপর যখন আরাফাত থেকে তোমরা ফিরে আসবে তখন (মুযদালেফায়) মাশ্আরে হারাম এর নিকট আল্লাহর যিকির কর। [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ১৯৮]

তিনি আরো বলেন,

﴿لِّيَشۡهَدُواْ مَنَٰفِعَ لَهُمۡ وَيَذۡكُرُواْ ٱسۡمَ ٱللَّهِ فِيٓ أَيَّامٖ مَّعۡلُومَٰتٍ عَلَىٰ مَا رَزَقَهُم مِّنۢ بَهِيمَةِ ٱلۡأَنۡعَٰمِۖ﴾ [ الحج : ٢٨ ]

“এবং তারা যেন নির্দিষ্ট দিনগুলোতে আল্লাহ তাদেরকে চতুস্পদ জন্তুর মধ্য থেকে যে সমস্ত রিযক দিয়েছেন তার উপর আল্লাহর নাম স্মরণ করে”। [সূরা-আল-হাজ, আয়াত: ২৮]

তিনি আরো বলেন,

﴿وَٱذۡكُرُواْ ٱللَّهَ فِيٓ أَيَّامٖ مَّعۡدُودَٰتٖۚ﴾ [ البقرة : ٢٠٣ ]

“আর এই নির্দিষ্ট সংখ্যক কয়েক দিনে আল্লাহর যিকির কর”। [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ২০৩]

এছাড়া আল্লাহর যিকিরের লক্ষ্যে তিনি সালাত প্রতিষ্ঠা করার ব্যবস্থা করেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন,

﴿وَأَقِمِ ٱلصَّلَوٰةَ لِذِكۡرِيٓ ١٤ ﴾ [ طه : ١٤ ]

“আমার যিকিরের জন্য সালাত প্রতিষ্ঠিত কর”। [সূরা ত্ব-হা, আয়াত: ১৪]

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«َإِنَّ هَذِهِ الْأَيَّامَ أَيَّامُ أَكْلٍ وَشُرْبٍ وَذِكْرِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ»

“তাশরিকের দিনগুলো হচ্ছে খাওয়া পানাহার এবং আল্লাহর যিকিরের জন্য।” [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১১৪১; আবূ দাউদ, হাদীস নং ২৮১৩।]

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ ٱذۡكُرُواْ ٱللَّهَ ذِكۡرٗا كَثِيرٗا ٤١ وَسَبِّحُوهُ بُكۡرَةٗ وَأَصِيلًا ٤٢ ﴾ [ الاحزاب : ٤١، ٤٢ ]

“হে ঈমানদারগণ আল্লাহকে বেশি বেশি করে যিকির কর এবং সকাল সন্ধ্যা তাঁর তাসবীহ পাঠ কর”। [সূরা আল-আহযাব, আয়াত: ৪১-৪২]

এখানে বলে রাখা প্রয়োজন যে, সবচেয়ে উত্তম যিকির হলো,

لاَ إِلهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ

“আল্লাহ ছাড়া আর কোনো সত্য মা‘বুদ নেই, তিনি একক তাঁর কোনো শরীক নেই।”

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, সবচেয়ে উত্তম দো‘আ ‘আরাফাত দিবসের দো‘আ এবং সবচেয়ে উত্তম কথা যা আমি এবং আমার পূর্ববর্তী নবীগণ বলেছেন, তা হলো:

لاَ إِلهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ ، لَهُ الـمُـلْكُ وَ لَهُ الحَمْدُ وَ هُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ

উচ্চারণ: লাইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা- শারীকালাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর।

“আল্লাহ ছাড়া আর কোনো সত্য মা‘বুদ নেই, তিনি একক, তাঁর কোনো শরীক নেই, রাজত্ব একমাত্র তাঁরই জন্য এবং প্রশংসা একমাত্র তাঁরই জন্য, আর তিনি সকল কিছুর ওপর ক্ষমতাবান”।

‘লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহ’ আল্লাহর যিকিরসমূহের মধ্যে অন্যতম।

এই মহামূল্যবান বাণীর রয়েছে বিশেষ মর্যাদা এবং এর সাথে সম্পর্ক রয়েছে বিভিন্ন হুকুম আহকামের। আর এই কালেমার রয়েছে এক বিশেষ অর্থ ও উদ্দেশ্য এবং কয়েকটি শর্ত, ফলে এ কালেমাকে গতানুগতিক মুখে উচ্চারণ করাই ঈমানের জন্য যথেষ্ট নয়। এ জন্যই আমি আমার লেখার বিষয়বস্তু হিসেবে এ বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়েছি এবং আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করি তিনি যেন আমাকে এবং আপনাদেরকে এই মহান কালেমার ভাবাবেগ ও মর্মার্থ অনুধাবন করতঃ এর দাবী অনুযায়ী তাঁর সমস্ত কাজ করার তাওফীক দান করেন এবং আমাদেরকে ঐ সমস্ত লোকদের অন্তর্ভুক্ত করেন যারা এই কালেমাকে সঠিক অর্থে বুঝতে পেরেছেন।

প্রিয় পাঠক, এ কালেমার ব্যাখ্যা দানকালে আমি নিম্নবর্তী বিষয়গুলোর ওপর আলোকপাত করব:

মানুষের জীবনে এ কালেমার মর্যাদা

এর ফযীলত

এর ব্যাকরণিক ব্যাখ্যা

এর স্তম্ভ বা রুকনসমূহ

এর শর্তাবলী

এর অর্থ এবং দাবী

কখন মানুষ এ কালেমা পাঠে উপকৃত হবে আর কখন উপকৃত হবে না?

আমাদের সার্বিক জীবনে এর প্রভাব কী?

এবার আল্লাহর সাহায্য কামনা করে কালেমা لاَ إِلهَ إِلاَّ اللهُ এর গুরুত্ব ও মর্যাদা সম্পর্কে এখন আমি আলোচনা শুরু করছি।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন