HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কালেমা ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ এর অর্থ, শর্তসমূহ এবং ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে তার প্রভাব

লেখকঃ শায়খ সালেহ ইবন ফাওযান আলে-ফাওযান

لاَ إِلهَ إِلاَّ اللهُ এই কালেমার রুকনসমূহ:
এ কালেমার রয়েছে দু’টি স্তম্ভ বা রুকন। তন্মধ্যে প্রথম রুকন হচ্ছে না বাচক আর অপরটি হলো হাঁ বাচক।

না বাচক কথাটির অর্থ হচ্ছে, আল্লাহ ব্যতীত সমস্ত কিছুর ইবাদতকে অস্বীকার করা, আর হ্যাঁ সূচক কথাটির অর্থ হচ্ছে একমাত্র আল্লাহই সত্য মা‘বুদ। আর মুশরিকগণ আল্লাহ ব্যতীত যেসব মা‘বুদের উপাসনা করে সবগুলো মিথ্যা এবং বানোয়াট মা‘বুদ। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿ذَٰلِكَ بِأَنَّ ٱللَّهَ هُوَ ٱلۡحَقُّ وَأَنَّ مَا يَدۡعُونَ مِن دُونِهِۦ هُوَ ٱلۡبَٰطِلُ وَأَنَّ ٱللَّهَ هُوَ ٱلۡعَلِيُّ ٱلۡكَبِيرُ ٦٢ ﴾ [ الحج : ٦٢ ]

“এটা এ জন্য যে, আল্লাহ-ই প্রকৃত সত্য, আর তিনি ব্যতীত যাদেরকে তারা ডাকে সে সব কিছুই বাতিল”। [সূরা আল-হাজ, আয়াত: ৬২]

ইমাম ইবনুল কাইয়্যেম রহ. বলেন, ‘আল্লাহ তা‘আলা ইলাহ বা মা‘বুদ’ এ কথার চেয়ে ‘আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোনো সত্য মা‘বুদ নেই’ এই বাক্যটি আল্লাহর উলুহিয়্যাত প্রতিষ্ঠার জন্য অধিকতর মজবুত দলীল; কেননা ‘আল্লাহ ইলাহ’ একথা দ্বারা অন্যসব যত ভ্রান্ত ইলাহ রয়েছে তাদের ইলাহ বা মা‘বুদ হওয়াকে অস্বীকার করা হয় না। আর ‘আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোনো সত্য ইলাহ নেই’ এ কথাটি উলুহিয়্যাতকে একমাত্র আল্লাহর জন্য সীমাবদ্ধ করে দেয় এবং অন্য সকল বাতিল ইলাহকে অস্বীকার করে। কিছু লোক চরম ভুলবশতঃ বলে থাকে যে, ‘ইলাহ’ শব্দের অর্থ ‘সৃষ্টি করার ক্ষমতার অধিকারী।’

শাইখ সুলাইমান ইবন আব্দুল্লাহ তার কিতাবুত তাওহীদের ব্যাখ্যায় বলেন, ‘ইলাহ এবং উলুহিয়্যাতের’ অর্থ তো স্পষ্ট হলো, (অর্থাৎ তা হচ্ছে মা‘বুদ বা উপাস্য) কিন্তু কেউ যদি বলে যে, ‘ইলাহ’ শব্দের অর্থ হচ্ছে, সৃষ্টি করার ক্ষমতার অধিকারী বা অনুরূপ কোনো কথা, তখন তার উত্তরে কী বলা হবে?

মূলতঃ এই প্রশ্নের উত্তরের দু’টি পর্যায় রয়েছে, প্রথমতঃ এটা একটা উদ্ভট, অজ্ঞতাপ্রসূত কথা। এ ধরনের কথা বিদ‘আতী ব্যক্তিরাই বলে থাকে, কোনো বিজ্ঞ আলেম বা আরবী ভাষাবিদগণ ‘ইলাহ’ শব্দের এ ধরনের অর্থ করেছেন বলে কেউ বলতে পারবে না বরং তাঁরা এ শব্দের ঐ অর্থই করেছেন যা আমরা পূর্বে আলোচনা করেছি [দেখুন, লা ইলাহ ইল্লাল্লাহ এর রুকন বর্ণনায়।]। অতএব, এখানেই এ ধরনের ব্যাখ্যা ভুল বলে প্রমাণিত হলো।

দ্বিতীয়: ক্ষনিকের জন্য এ অর্থকে মেনে নিলেও এমনিতেই ‘সত্য ইলাহ’ যিনি হবেন তাঁর জন্য সৃষ্টি করার গুণাবলি একান্তই অপরিহার্য, অতএব ‘ইলাহ’ হওয়ার জন্য সৃষ্টি করার সার্বিক যোগ্যতা থাকা তো অঙ্গাঅঙ্গিভাবেই তার সাথে জড়িত, আর যে কোনো কিছু সৃষ্টি করতে অক্ষম সে তো ‘ইলাহ’ হতে পারে না, যদিও তাকে ইলাহ রূপে কেউ অভিহিত করে থাকুক না কেন। সুতরাং কেউ যদি ‘ইলাহ’ দ্বারা ‘সৃষ্টি করতে সমর্থ’ এটা বুঝে থাকেন তবে মনে করতে হবে তিনি এটাই উদ্দেশ্য নিচ্ছেন যে যিনি ইলাহ বা মা‘বুদ হবেন তাঁর মধ্যে এ বাধ্যতামূলক ক্ষমতাটি থাকতে হবে। তাঁর উদ্দেশ্য এটা নয় যে, ‘ইলাহ’ বলতে ‘নতুন করে সৃষ্টি করতে সমর্থ’ এটুকু বিশ্বাসের মাধ্যমে কোনো ব্যক্তির ইসলামের গণ্ডিতে প্রবেশের জন্য যথেষ্ট হবে অথবা এতটুকু কথা কিয়ামতের দিন জান্নাত লাভের জন্যও যথেষ্ট হবে। যদি এতটুকু বিশ্বাসই যথেষ্ট হতো তাহলে আরবের কাফিররাও মুসলিম বলে গণ্য হতো। তাই এ যুগের কোনো লেখক যদি ‘ইলাহ’ শব্দের এ অর্থই করে থাকেন তা হলে তাকে ভ্রান্ত বলতে হবে এবং কুরআন হাদীসের জ্ঞানগর্ভ দলিল দ্বারা এর প্রতিবাদ করা একান্ত প্রয়োজন। [তাইসীরুল আযীযিল হামীদ, পৃ. ৮০।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন