hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

বিদআত

লেখকঃ ইকবাল হোসাইন মাছুম

১২
বেদআত পন্থীদের ব্যাপারে সালাফে সালেহীনদের অবস্থান :—
সালাফে সালেহীনগণ সর্ব যুগে নিরবচ্ছিন্ন ভাবে বেদআত পন্থীদের রদ করে এসেছেন এবং তাদের উদ্ভাবিত বেদআতকে অস্বীকার করে এর প্রচলনকে প্রতিরোধ প্রতিহত করে এসেছেন। কয়েকটি দৃষ্টান্ত এখানে তুলে ধরা হল।

(ক) উম্মে দারদা রা. বলেন: একবার আবু দারদা (তার স্বামী) রাগান্বিত অবস্থায় আমার নিকট আসলেন। আমি বললাম, কি হয়েছে ? উত্তরে বললেন, আল্লাহর কসম, আমি তাদের মাঝে মুহম্মদের রেখে যাওয়া কিছুই দেখতে পাচ্ছি না। তবে হ্যা, শুধু এতটুকু যে তারা সকলেই সালাত আদায় করে।

(খ) ওমর বিন ইয়াহইয়া বলেন, আমি আমার পিতাকে তার বাবা থেকে হাদিস বর্ণনা করতে শুনেছি। তিনি বলেন : ফজরের নামাজের পূর্বে আমরা সাহাবি আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ রা.-এর বাড়ির সামনে সমবেত হয়ে বসতাম। তিনি বের হলে আমরা তার সাথে মসজিদে যেতাম, একদিন আমাদের কাছে আবু মূসা আশআরী রা. এসে বললেন, আবু আব্দুর রহমান কি বের হয়ে গেছেন ? আমরা বললাম, না। (তিনি ভিতরেই আছেন) তখন তিনিও আমাদের সাথে বসে পড়লেন, এক পর্যায়ে আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ বের হয়ে আসলেন। তিনি আসলে আমরা সকলেই তার নিকট গেলাম। আবু মুসা আশআরী বললেন, হে আবু আব্দুর রহমান আমি একটু আগে মসজিদে গিয়ে এমন একটি কাজ দেখলাম যা ইতিপূর্বে আর দেখিনি কাজটি আমার নিকট অপরিচিত মনে হল, তবে আলহামদু লিল্লাহ ! এতে আমি খারাপের কিছু দেখিনি। বরং ভালই মনে হল। তিনি জিজ্ঞেস করলেন : কাজটি কী ? আবু মুসা বললেন : বেঁচে থাকলে একটু পর আপনি নিজেই দেখতে পাবেন। আমি দেখলাম কিছু লোক মসজিদে নামাজের অপেক্ষায় গোল হয়ে হালকাবন্দী হয়ে বসে আছে, প্রত্যেক হালকায় একজন দায়িত্বশীল রয়েছে এবং সকলের হাতে কঙ্কর। দায়িত্বশীল বলছেন, আপনারা একশত বার তাকবীর বলুন, তারা একশত বার ‘আল্লাহু আকবার’ পাঠ করছে। তারপর বলছেন একশত বার তাহলীল পাঠ করুন তারা একশত বার লা ইলাহা বলছে, অত:পর বলছে একশত বার তাসবীহ পাঠ করুন, তারা একশত বার সুবহানাল্লাহ পাঠ করছে। শুনে আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ বললেন, আপনি এ দেখে তাদের কি বললেন ? তিনি বললেন, আমি তাদের কিছুই বলিনি, আপনার নির্দেশ বা রায়ের অপেক্ষায় আছি। তখন তিনি বললেন, আপনি কেন তাদের স্বীয় পাপের হিসাব করার নির্দেশ দেননি এবং তাদের নেক কাজগুলো বিনষ্ট হবে না মর্মে জামানত গ্রহণ করেননি ? একথা বলে তিনি মসজিদ পানে চললেন। আমরাও তার সাথে সাথে গেলাম, মসজিদে পৌঁছে একটি হালকার নিকট গিয়ে বললেন—আমি এসব কি দেখছি ? আপনারা এসব কি করছেন ? তারা উত্তরে বললেন, হে আবু আব্দুর রহমান, এ কঙ্করগুলো দিয়ে হিসাব করে করে আমরা তাকবীর, তাহলীল, তাসবীহ এবং তাহমীদ পাঠ করছি, তখন তিনি বললেন—আপনারা আনাদের পাপের হিসাব করুন, আপনাদের নেককাজ থেকে বিন্দুমাত্র কিছু নষ্ট হবে না—আমি এর দায়িত্ব নিচ্ছি, হে নবী মুহম্মদের উম্মতবৃন্দ! আপনাদের একী হল? আপনার ধ্বংস অত্যাসন্ন, নবীজীর এ সাহাবাবৃন্দ তখনও আনাদের মাঝে বিদ্যমান, এটি তার ব্যবহৃত বস্ত্র, এখনও পুরাতন হয়নি, তার পানপাত্র সমগ্র এখনও ভেঙে যায়নি। শপথ সে সত্তার, যার হাতে আমার প্রাণ, হয় তোমাদের এ ধর্ম, যা তোমরা পালন করছ, মুহাম্মদ সা. আনীত ধর্ম অপেক্ষা অধিক সঠিক অথবা তোমরা গোমরাহির দরজা উন্মুক্ত করছ। তখন তারা বললেন, হে আবু আব্দুর রহমান আল্লাহর কসম আমরা একমাত্র কল্যাণ ও নেকের উদ্দেশ্যেই এরূপ করেছি। তিনি বললেন, বহু কল্যাণ প্রত্যাশী আছে কিন্তু কল্যাণ তাদের পর্যন্ত পৌঁছোয় না। রাসূল সা. আমাদের বলেছেন, এমন কিছু লোকের আবির্ভাব ঘটবে, তারা কোরআন পড়বে কিন্তু কোরআন তাদের গলদেশ অতিক্রম করবে না, আল্লাহর কসম কে জানে হয়তো তাদের অধিকাংশ তোমাদের মধ্য হতেই হবে, অত:পর তিনি সেখান থেকে চলে গেলেন। আমর বিন সালামা বলেছেন : আমরা তাদের অধিকাংশ লোকদের দেখেছি যে তারা নাহরাওয়ানের যুদ্ধে খারেজিদের সাথে মিশে আমাদের আঘাত করছে।

(গ) এক ব্যক্তি ইমাম মালেক বিন আনাস রহ.-এর নিকট এসে জিজ্ঞেস করলেন, আমি কোথা হতে হজের এহরাম বাঁধব ? তিনি বললেন : মীকাত থেকে, যেটি রাসূলুল্লাহ সা. নির্ধারণ করেছেন এবং নিজে এহরাম বেঁধেছেন। লোকটি বললেন, আমি যদি আরো দূর হতে এহরাম বাঁধি ? ইমাম মালেক বললেন, আমি এটি জায়েজ ও সংগত মনে করি না। আগন্তুক বললেন, আপনি এতে অপছন্দের কি দেখলেন ? তিনি বললেন : আমি আপনার উপর ফেতনাকে অপসন্দ করছি। লোকটি বললেন, নেক ও কল্যাণের কাজ বৃদ্ধি করাতে আবার ফেতনা কিসের ? ইমাম মালেক বললেন : আল্লাহ রাববুল আলামীন বলেছেন—

فَلْيَحْذَرِ الَّذِينَ يُخَالِفُونَ عَنْ أَمْرِهِ أَنْ تُصِيبَهُمْ فِتْنَةٌ أَوْ يُصِيبَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ . ( النور :63)

‘অতএব যারা তার আদেশের বিরুদ্ধাচরণ করে তারা যেন সতর্ক হয় যে বিপর্যয় ও ফেতনা তাদের স্পর্শ করবে, অথবা যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি তাদের গ্রাস করে নিবে।’

এর থেকে বড় ফেতনা আর কি হতে পারে যে রাসূলুল্লাহ সা. যে ফজিলত নির্ধারণ করেনি তুমি তা নির্ধারণ করে নিচ্ছ বা করতে চাচ্ছ ?

(ঘ) সাইদ ইবনে মুসাইয়েব রহ. জনৈক ব্যক্তিকে দেখতে পেলেন ফজর উদিত হওয়ার পর সে দুই রাকাতের অতিরিক্ত নামাজ পড়ে এবং তাতে রুকু সেজদা বেশি করে। তখন তিনি তাকে এ থেকে নিষেধ করলেন। সে বলল : হে আবু মুহাম্মদ, আল্লাহ তাআলা আমাকে নামাজ পড়ার কারণেও কি আজাব দেবেন ? সাইদ ইবনুল মুসাইয়্যাব বললেন : না, নামাজের কারণে নয়, আজাব দেবেন সুন্নত পরিপন্থী কাজ করার কারণে। এমনি করে ওলামায়ে ইসলাম সর্বযুগে বেদআত এবং বেদআত পন্থীদের প্রতিহত, প্রতিবাদ করে এসেছেন। আলহামদু লিল্লাহ!

বর্তমান যুগের সাথে রিসালতের যুগের দূরত্ব বেড়ে যাওয়া, ধর্মীয় জ্ঞানের অভাব, অপ্রতুলতা, বেদআত ও সুন্নত পরিপন্থী প্রচলনের আধিক্য ও এর প্রসারের ক্ষেত্রে বিশাল কর্মী বাহিনীর ব্যাপক কর্ম তৎপরতার এবং শিল্প-সংস্কৃতি, অভ্যাস আচরণ ইত্যাদি ক্ষেত্রে কাফের বিধর্মীদের সাদৃশ্যাবলম্বন ব্যাপক সংক্রমণসহ নানাবিধ কারণে বেদআতের সংখ্যা ও প্রচলন অনেক। এখানে আমরা কয়েকটি প্রচলিত বেদআত সম্পর্কে সামান্য আলোচন করব।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন