hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

বিদআত

লেখকঃ ইকবাল হোসাইন মাছুম

১৪
মিলাদ মাহফিলে সংঘটিত শরিয়ত বিরোধী কিছু অশ্লীল ও নিষিদ্ধ কাজের নমুনা:—
সম্মিলিত কণ্ঠে সুর করে গানের আকৃতিতে ঢোল তবলা বাজিয়ে গজল পরিবেশন। একই পদ্ধতিতে সুফি-সন্ন্যাসী কর্তৃক প্রবর্তিত বেদআতি জিকির আযকার।

নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা যাতে শরয়ি পর্দার বিধান লঙ্ঘন হওয়ার পাশাপাশি নানারকম ফেতনার সৃষ্টি হয়। এ থেকে আবার মাঝে মধ্যে অশ্লীল-অশালীন কাজ ও সংঘটিত হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। এছাড়াও আরো অনেক ধরনের শরয়িত বিরোধী কার্যকলাপ হয়ে থাকে। যদি উপরোক্ত অশালীন ও শরয়ি পরিপন্থী কোন কাজ নাও হয়, তাদের বক্তব্য মত শুধু মাত্র সমবেত হওয়া, খাবার বিতরণ ও আনন্দ ফুর্তি প্রকাশের মধেই সীমিত থাকে তারপরও তো এটি একটি নব আবিষ্কৃত বেদআত যার সম্পর্কে রাসূল সা. বলেছেন:—

كل محدثة بدعة، وكل بدعة ضلالة و كل ضلالة في النار .

‘প্রত্যেক নব আবিষ্কৃত আমলই বেদআত, আর প্রত্যেক বেদআতই ভ্রষ্টতা ও গোমরাহি এবং সকল গোমরাহির স্থান জাহান্নাম।’ তাছাড়া এটিতো এ পর্যন্তই সীমিত থাকে না, বরং জমায়েতই ক্রমান্বয়ে আরো উন্নত হতে থাকবে এবং এক পর্যায়ে এসে তাতেও সে সকল নিষিদ্ধ ও শরিয়ত পরিপন্থী কাজ কর্ম শুরু হবে যা অন্যান্য সমাবেশ গুলোতে হয়।

এবং ইতিপূর্বে আমরা বলে এসেছি যে এ উপলক্ষে উদ্যাপিত সকল ক্রিয়াকর্মই বেদআত; কোরআন ও হাদিসে এর কোন ভিত্তি নেই। সালাফে সালেহীন ও স্বীকৃতি ও মর্যাদা প্রাপ্ত প্রথম তিন যুগের কেউ এ সকল কাজ করেছেন মর্মেও কোন প্রমাণ নেই। বরং এটি সৃষ্টিই হয়েছে হিজরি চতুর্থ শতাব্দীর পর। বাতেনপন্থী উবায়দীরা, যারা নিজেদের ফাতেমী বলে দাবি করে এর প্রচলন শুরু করে।

ইমাম আল ফাকিহানী রহ. বলেন:—

আম্মা বাদ, কতিপয় লোক রবিউল আউয়াল মাসে মিলাদের নাম করে যে সমাবেশ ইত্যাদি করে থাকে এ প্রসঙ্গে বিভিন্ন জন থেকে আমার নিকট বার বার প্রশ্ন আসছে যে এরূপ আমলের কোন ভিত্তি শরীয়তে আছে কি না ? উত্তরে আমি আল্লাহর তাওফীক চেয়ে বলব: না, আমার জানা মতে এ মিলাদ মাহফিলের কোন ভিত্তি না কোরআনে আছে, না হাদিসে, এবং এ আমল নির্ভরযোগ্য আমাদের কোন পূর্বসূরিদের কেউ করেছেন মর্মেও কোথাও বর্ণিত হয়নি। বরং এটি নব আবিষ্কৃত বেদআত যার প্রবর্তন করেছে কিছু বাতেল লোক। এবং এটি একটি কুপ্রবৃত্তির চাহিদা প্রসূত কাজ যাকে কাজে লাগিয়ে ফায়দা লুটছে পেট পূজারিরা।

শাইখুল ইসলাম আল্লামা ইবনে তাইমিয়াহ রহ. এ প্রসঙ্গে বলেন :—

অনুরূপভাবে যা বর্তমানে কিছু লোক নতুন প্রবর্তন করেছে, হয়তো নবী ঈসা আ. এর জন্ম দিবস উপলক্ষে খ্রিস্টান নাসারাদের বিভিন্ন অনুষ্ঠান উদযাপনের অনুকরণে অথবা নবী আকরাম সা. এর মহববতও সম্মান প্রদর্শনের নিমিত্তে...যেমন তার জন্ম দিবসকে ঈদ হিসেবে উদযাপন করা, যদিও তার জন্ম দিবস সম্পর্কে ওলামাদের মাঝে মতানৈক্য রয়েছে। (এ সবই বেদআত)। কেননা সালাফে সালেহীনদের কেউ এরূপ কিছুই করেননি। যদি এসকল কাজ কল্যাণকর ও ফজিলতপূর্ণ অথবা শুধুমাত্র বৈধ হত, তাহলে সালাফে সালেহীনরাই এ ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতেন। এবং আমাদের চেয়ে অনেক বেশি আরম্ভরতার সাথে উদযাপন করতেন। কারণ তারা নবীর মুহাববত ও সম্মান প্রদর্শনের ক্ষেত্রে আমাদের চেয়ে অনেক অনেক এগিয়ে ছিলেন। নিজেদের জীবনের চেয়ে রাসূল তাদের নিকট অধিক প্রিয় ছিলেন এ কথার প্রমাণ তারা বার বার দিয়েছেন। রাসূলের জন্য তারা পরিবার পরিজন ও মাতৃভূমিসহ সবকিছু ত্যাগ করেছেন। নিজের জীবন পর্যন্ত দিতে কুণ্ঠাবোধ করেননি। তা ছাড়া কল্যাণমূলক ও বৈধ কাজে তাদের আগ্রহ আমাদের চেয়ে বেশি ছিল। শরিয়ত সম্মত কাজে তারা আমাদের চেয়ে অনেক বেশি আগ্রহী ছিলেন। বরং নবীজীর প্রকৃত মহববত ও সম্মান প্রদর্শন, হারিয়ে যাওয়া সুন্নতের পূণজাগরণ, যে দ্বীন ও শরিয়ত নিয়ে তিনি প্রেরিত হয়েছেন তার প্রচার ও প্রসার, এবং এর জন্য মুখ, হাত, ও হৃদয় দিয়ে জেহাদ ইত্যাদি কাজে অবতীর্ণ হওয়া, ও জান-তোড় মেহনত করাই প্রকৃত অর্থে তাকে ভালবাসা, মুহাববত ও ভালবাসার এ পন্থাই অবলম্বন করেছিলেন মুহাজির, আনসার ও তাদের অনুগামী উম্মতের পূর্বসূরিরা, এটিই ছিল তাদের পথ ও পন্থা। সুতরাং কেউ যদি প্রকৃতই রাসূল সা.কে ভালোবাসতে চায়, সম্মান প্রদর্শন করতে চায়, তাহলে তাকেও তাদের অনুসরণে রাসূলের আনুগত্য করতে হবে। সুন্নত অনুযায়ী আমল করতে হবে। জন্ম দিবস উদযাপন করে তার ভালোবাসার বহি:প্রকাশ করা হচ্ছে মূলত খ্রিস্টানদের অনুসরণ। যা সর্বতোভাবেই বেদআত ও জঘণ্য পাপ। মিলাদের এ বেদআতি প্রচলনকে খন্ডন করে অনেক কিতাব ও পুস্তিকা পূর্বেই প্রণীত হয়েছে। বর্তমানেও হচ্ছে। এটি যে বেদআত ও কাফেরদের সাদৃশ্যাবলম্বন তা তো প্রমাণিত সত্য। এ ছাড়াও নবীজীর জন্ম দিবস উদযাপন মূলত অন্য ওলী আউলিয়া ও পীর মাশায়েখদের জন্মদিবস উদযাপন ও সে উপলক্ষে বিভিন্ন পাপ কর্ম এবং বেদআতি কাজ সম্পাদনের রাস্তাকে খুলে দেয় ও প্রশস্ত করে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন