hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

বিদআত

লেখকঃ ইকবাল হোসাইন মাছুম

১৫
(২) মৃত বা জীবিত ব্যক্তিবর্গ, পুণ্যভূমি ও নিদর্শন থেকো বরকত লাভ করা:—
নব প্রবর্তিত বেদআতের একটি হচ্ছে মাখলুক দ্বারা বরকত প্রার্থনা করা, এটি পৌত্তলিকতার একটি ধরন। এবং এমন একটি ফাঁদ যার মাধ্যমে মৌসুমি ও ভাড়াটে ইসলাম প্রেমিকরা সহজ সরল মুসলমানদের ধন-সম্পদ শিকার করে।

তাবাররুক দ্বারা ( التبرك ) উদ্দেশ্য হচ্ছে, বরকত প্রার্থনা করা অর্থাৎ কোন বস্ত্ততে মঙ্গল ও কল্যাণ ছাবেত এবং বেশি হওয়া।

কল্যাণ প্রতিষ্ঠা ও বৃদ্ধি করার প্রার্থনা একমাত্র তার নিকটই করা হয় যিনি কল্যাণের মালিক এবং বৃদ্ধি করার ক্ষমতা রাখে। আর তিনি হচ্ছেন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা। তিনিই বরকত অবতীর্ণ এবং প্রতিষ্ঠিত করেন। মাখলুক (সৃষ্টি-জীব) না বরকত দেয়ার ক্ষমতা রাখে, না সৃষ্টি করার ক্ষমতা রাখে, সে বরকত ধরেও রাখতে পারে না। আবার প্রতিষ্ঠিত ও করতে পারে না।

জীবিত বা মৃত কোন ব্যক্তি, অনুরূপভাবে কোন স্থান ও নিদর্শনের মাধ্যমে তাবাররুক তথা বরকত কামনা ও প্রার্থনা করা না জায়েজ। কারণ এটি হয়তো শিরক হবে অথবা শিরকের ওসীলা বা মাধ্যম হবে। বরকত কামনার মাধ্যমে যদি এ বিশ্বাস করা হয় যে ঐ সকল বস্ত্ত বা ব্যক্তি স্বয়ং বরকত দান করার ক্ষমতা রাখে এবং তাদের নিকট বরকত কামনা করা হলে তারা তা দেবেন, তা হলে এটি তো সরাসরি শিরক। কেননা কোন কিছু হ্রাস বৃদ্ধি করার ক্ষমতা একমাত্র মহান আল্লাহ রাখেন আর এসব ক্ষেত্রে বরকত প্রার্থনাকারীরা গাইরুল্লাহর কাছে বরকত তথা বৃদ্ধির প্রার্থনা করছে। আর যদি বিশ্বাসটি এমন হয় যে তাদের জিয়ারত করা বা স্পর্শ করা অথবা তাদেরকে মাসেহ করার মাধ্যমে বরকত হাসেল হয়। উক্ত কর্মগুলো বরকত হাসেলের মাধ্যম তাহলে এটি হবে শিরকের ওসীলা যার মাধ্যমে শিরকের রাস্তা প্রশস্ত হয় এবং উক্ত বিশ্বাস স্থাপনকারী ক্রমান্বয়ে শিরক পর্যন্ত পৌঁছে যায়। এখানে একটি প্রশ্ন উঠতে পারে যে, একাজটি শিরক বা শিরক ওসীলা কিভাবে হয় ? অথচ সাহাবায়ে কেরাম রিদওয়ানুল্লাহি আজমায়ীন রাসূলুল্লাহ সা.-এর থু থু, চুল এবং শরীর থেকে যা কিছু বিচ্ছিন্ন হত তা দ্বারা বরকত প্রার্থনা করতেন ? এর উত্তর হচ্ছে, এসকল কাজ রাসূলুল্লাহ সা.-এর সাথে খাস, এবং তারা এগুলো তার জীবদ্দশায়ই করেছেন সুতরাং অন্য কারো দ্বারা বা তার ইন্তেকালের পর তার ব্যবহৃত বস্ত্ত দ্বারা এটি জায়েজ নয়।

এর প্রমাণ হল যে সকল সাহাবারা তার জীবদ্দশায় তার থু থু, চুল, শরীর থেকে গড়িয়ে পড়া পানি ইত্যাদি দ্বারা বরকত নিতেন তারাই তার ইন্তেকালের পর তার ব্যবহৃত কামরা ইত্যাদি দ্বারা বরকত নিয়েছেন এমন কোন প্রমাণ নেই। অনুরূপভাবে তিনি যে স্থানে বসতেন, সালাত আদায় করতেন সাহাবারা বরকতের উদ্দেশ্য সে সব স্থানে যাননি বা কোন কিছু করেননি। যখন রাসূলুল্লাহর ব্যাপারে তাদের অবস্থা এরূপ তাহলে অন্যান্য ওলী আউলিয়াদের ব্যাপারে তো বিষয়টি আরো স্পষ্ট। এমনি করে সাহাবাগণ আবু বকর, ওমর, সহ অন্যান্য মর্যাদা সম্পন্ন সাহাবাদের দ্বারাও তাদের জীবিত থাকা অবস্থায় বা ইন্তেকালের পর কখনোই বরকত নিতেন না। তারা নামাজ পড়া ও দোয়া করার উদ্দেশ্যে গারে হেরাতেও যেতেন না। যে তুর পাহাড়ে আল্লাহ তাআলা নবী মূসা আ.-এর সাথে কথা বলেছেন সাহাবারা নামাজ আদায় বা দোয়ার উদ্দেশ্যে সেখানে যেতেন বলেও কোন প্রমাণ নেই। এছাড়াও সে সকল স্থানে বিভিন্ন কারণে প্রসিদ্ধ হয়েছে নবীদের স্মৃতি জড়িয়ে আছে বা নবীদের সমাহিত করা হয়েছে এরূপ কোন স্থানেই বরকতের জন্য তাদের যাতায়াত ছিল না।

নবী আকরাম সা. মক্কা বা মদিনা মুনাওয়ারায় যেখানে দাঁড়িয়ে সব সময় সালাত আদায় করেছেন, সালাফে সালেহীনদের কেউ সেখানে গিয়ে সে জায়গায় স্পর্শ করেননি। চুম্বন করেননি।

অতএব যে সব স্থানে রাসূল সা. এর সম্মানিত পা চলাচল করেছে, তিনি নামাজ আদায় করেছেন, সে সকল জায়গা স্পর্শ করা ও চুম্বন করা—তিনি উম্মতের জন্য অনুমতি দেননি। তাহলে অন্যদের বসার স্থান বা নামাজের স্থান সম্পর্কে কী বলা যেতে পারে ?

সুতরাং কোন বস্ত্ত স্পর্শ করা বা চুম্বন করা কোন ক্রমেই রাসূলুল্লাহর প্রবর্তিত শরিয়তের অন্তর্ভুক্ত নয়।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন