hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

বৈধ ও অবৈধ অসীলা

লেখকঃ ডক্টর আব্দুস সালাম বারজাস আল আব্দুল করীম

১১
তন্মধ্যে প্রথমটি হচ্ছে:
আল্লাহ তা‘আলার সুন্দর সুন্দর নাম, সমুন্নত গুণাবলী এবং তাঁর প্রশংসনীয় কাজের মাধ্যমে তাঁর নৈকট্য লাভ করা। এর দলীল হলো, আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

﴿ وَلِلَّهِ ٱلۡأَسۡمَآءُ ٱلۡحُسۡنَىٰ فَٱدۡعُوهُ بِهَاۖ وَذَرُواْ ٱلَّذِينَ يُلۡحِدُونَ فِيٓ أَسۡمَٰٓئِهِۦۚ سَيُجۡزَوۡنَ مَا كَانُواْ يَعۡمَلُونَ ١٨٠ ﴾ [ الاعراف : ١٨٠ ]

“আর আল্লাহর জন্যে সুন্দর সুন্দর নাম রয়েছে, তোমরা তাঁকে সে সব নামের মাধ্যমে ডাক এবং যারা তাঁর নাম বিকৃত করে তোমরা তাদেরকে বর্জন কর, সত্বরই তাদেরকে তাদের কৃত কর্মের প্রতিফল দেওয়া হবে।” [সূরা আরাফ/১৮০]

সুন্দর সুন্দর নামের সদৃশ হলো সমুন্নত গুণাবলী, কারণ নাম গুণের উপর প্রমাণ বহন করে, যা থেকে তা নির্গত হয়।

আল্লাহর সুন্দর নামসমূহ অগণিত, কোনো নির্দিষ্ট সংখ্যা নেই, যেমন আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু এর হাদীস প্রমাণ করে, যা মুসনাদে ইমাম আহমদ ও অন্যান্য হাদীসে এসেছে: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: কারো কোনো দুঃশ্চিন্তা ও দুর্ভাবনা আসলে সে যদি বলে:

«اللَّهُمَّ إِنِّي عَبْدُكَ ابْنُ عَبْدِكَ ابْنُ أَمَتِكَ، نَاصِيَتِي بِيَدِكَ، مَاضٍ فِيَّ حُكْمُكَ، عَدْلٌ فِيَّ قَضَاؤُكَ، أَسْأَلُكَ بِكُلِّ اسْمٍ هُوَ لَكَ، سَمَّيْتَ بِهِ نَفْسَكَ، أَوْ أَنْزَلْتَهُ فِي كِتَابِكَ، أَوْ عَلَّمْتَهُ أَحَدًا مِنْ خَلْقِكَ، أَوِ اسْتَأْثَرْتَ بِهِ فِي عِلْمِ الْغَيْبِ عِنْدَكَ، أَنْ تَجْعَلَ الْقُرْآنَ رَبِيعَ قَلْبِي، وَنُورَ بَصَرِي، وَجِلَاءَ حُزْنِي، وَذَهَابَ هَمِّي، إِلَّا أَذْهَبَ اللَّهُ هَمَّهُ وَأَبْدَلَهُ مَكَانَ حُزْنِهِ فَرَحًا»

“হে আল্লাহ নিঃসন্দেহে আমি তোমার দাস, তোমার দাসের পুত্র, তোমার দাসীর পুত্র, আমার ললাটের কেশ গুচ্ছ তোমার হাতে, তোমার বিচার আমার জীবনে যথার্থ, তোমার মীমাংসা আমার ভাগ্যলিপিতে ন্যায় সঙ্গত, আমি তোমার নিকট তোমার সেই নামের বিনিময়ে প্রার্থনা করছি, যে নাম তুমি নিজে নিয়েছ, বা তুমি তোমার গ্রন্থে অবতীর্ণ করেছ, বা তোমার সৃষ্টির মধ্যে কাউকে তা শিখিয়েছ, অথবা তুমি তোমার গায়বী জ্ঞানে নিজের নিকট গোপন রেখেছ, তুমি কুরআনকে আমার হৃদয়ের বসন্ত কর, আমার বক্ষের জ্যোতি কর, আমার দুশ্চিন্তা দূর করার এবং আমার উদ্বেগ চলে যাওয়ার কারণ বানিয়ে দাও।” তাহলে আল্লাহ তার দুঃশ্চিন্তা ও দুর্ভাবনাকে আনন্দে পরিণত করে দেন।

এ হাদীসে আল্লাহর নৈকট্য লাভের কথা এসেছে তাঁর সুন্দর নামসমুহের মাধ্যমে।

পূর্বে নবীগণ এবং সৎলোকগণ আল্লাহর সুন্দর নাম এবং গুণাবলীর মাধ্যমে তাঁর নৈকট্য লাভ করতো, যেমন আল্লাহ তা‘আলা সুলাইমান আলাইহিস সালামের পক্ষ থেকে অনুরূপ নৈকট্যলাভের কথা বর্ণনা করে বলেন:

﴿ وَقَالَ رَبِّ أَوۡزِعۡنِيٓ أَنۡ أَشۡكُرَ نِعۡمَتَكَ ٱلَّتِيٓ أَنۡعَمۡتَ عَلَيَّ وَعَلَىٰ وَٰلِدَيَّ وَأَنۡ أَعۡمَلَ صَٰلِحٗا تَرۡضَىٰهُ وَأَدۡخِلۡنِي بِرَحۡمَتِكَ فِي عِبَادِكَ ٱلصَّٰلِحِينَ ١٩ ﴾ [ النمل : ١٩ ]

“এবং বলল: হে আমার প্রতিপালক! আপনি আমাকে সামর্থ দিন যাতে আমি আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারি, আমার প্রতি ও আমার পিতা-মাতার প্রতি আপনি যে অনুগ্রহ করেছেন তার জন্যে এবং আমি যেন সৎকর্ম করতে পারি, যা আপনি পছন্দ করেন এবং আপনার অনুগ্রহে আমাকে আপনার সৎকর্ম পরায়ন বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত করুন।” সূরা নামল/১৯

এটি হলো গুণাবলীর মাধ্যমে নৈকট্য অর্জন।

সহীহ বুখারীতে আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে নির্দেশ দিতেন যে, আমরা

«اللهُمَّ رَبَّ السَّمَاوَاتِ وَرَبَّ الْأَرْضِ وَرَبَّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ، رَبَّنَا وَرَبَّ كُلِّ شَيْءٍ، فَالِقَ الْحَبِّ وَالنَّوَى، وَمُنْزِلَ التَّوْرَاةِ وَالْإِنْجِيلِ وَالْفُرْقَانِ، أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ كُلِّ شَيْءٍ أَنْتَ آخِذٌ بِنَاصِيَتِهِ، اللهُمَّ أَنْتَ الْأَوَّلُ فَلَيْسَ قَبْلَكَ شَيْءٌ، وَأَنْتَ الْآخِرُ فَلَيْسَ بَعْدَكَ شَيْءٌ، وَأَنْتَ الظَّاهِرُ فَلَيْسَ فَوْقَكَ شَيْءٌ، وَأَنْتَ الْبَاطِنُ فَلَيْسَ دُونَكَ شَيْءٌ، اقْضِ عَنَّا الدَّيْنَ، وَأَغْنِنَا مِنَ الْفَقْرِ»

“যখন আমাদের বিছানায় যাব তখন আমরা যেন বলি: হে আল্লাহ! হে ভুমণ্ডল, নভোমণ্ডল ও আরশের অধিপতি ! হে আমাদের ও সকল বস্তুর প্রতিপালক, হে তাওরাত, ইঞ্জিল ও ফুরকানের অবতারণকারী, আমি তোমার নিকট প্রত্যেক অনিষ্টকারীর অনিষ্টতা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি, যার ললাটের কেশ গুচ্ছ তুমি ধারণ করে আছ। হে আল্লাহ! তুমিই আদি, তোমার পূর্বে কেউ নেই এবং তুমিই সর্বশেষ, তোমার পরে কেউ নেই, তুমিই সবার উপরে, তোমার উপরে কেউ নেই, তুমিই সর্বনিকটে, তোমার চেয়ে নিকটে কেউ নেই। আমাদের পক্ষ থেকে আমাদের ঋন পরিশোধ করে দাও এবং আমাদেরকে দারিদ্র থেকে মুক্তি দিয়ে সচ্ছল করে দাও।” [মুসলিম, ২৭১৩।]

তিরমিযীতে আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:

«أَلِظُّوا بِيَا ذَا الجَلَالِ وَالإِكْرَامِ»

তোমরা ‘ইয়া জালজালালী অল ইকারামের মাধ্যমে বেশি করে আহ্বান করো’ [তিরমিযী, ৩৫২৫।] অর্থাৎ তা তোমাদের দো‘আর মধ্যে বেশি বেশি বলবে।

মুসনাদ এবং সুনানগ্রন্থসমূহে আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহিত বসা ছিলেন এবং এক ব্যক্তি পাশে নামায পড়ছিলেন, তিনি যখন রুকু, সিজদা এবং তাশাহ্হুদে দো‘আ করছিলেন তখন তিনি দো‘আতে বলেছিলেন:

«اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ بِأَنَّ لَكَ الْحَمْدُ، لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ الْمَنَّانُ، بَدِيعُ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضِ، يَا ذَا الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ، يَا حَيُّ يَا قَيُّومُ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : «لَقَدْ دَعَا اللَّهَ بِاسْمِهِ الْعَظِيمِ، الَّذِي إِذَا دُعِيَ بِهِ أَجَابَ، وَإِذَا سُئِلَ بِهِ أَعْطَى»

“হে আল্লাহ আমি তোমার নিকট প্রার্থনা করছি এ জন্য যে, সকল প্রশংসা তোমারই, তুমি ব্যতীত কোনো যোগ্য উপাস্য নেই, তুমি পরম অনুগ্রহদাতা, আকাশমণ্ডলি ও পৃথিবীর আবিস্কারক, হে মহিমাময় এবং মহানুভব, হে চিরঞ্জিবী অবিনশ্বর, আমি তোমার নিকট প্রার্থনা করছি.....”

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সাথীদেরকে বললেন: তোমরা কি জান যে, সে কিসের মাধ্যমে দো‘আ করেছে? তারা বলল: আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলই ভাল জানেন, তিনি বললেন: শপথ সেই সত্তার যার হাতে আমার প্রাণ, সে আল্লাহর সবচেয়ে বড় নামের মাধ্যমে দো‘আ করেছে, যার মাধ্যমে দো‘আ করলে তিনি কবুল করে থাকেন এবং কিছু চাওয়া হলে তিনি তা দিয়ে থাকেন। (এটি নাসায়ীর শব্দ) [নাসাঈ, ১৩০০; তিরমিযী, ৩৫৪৪; আবু দাউদ, ১৪৯৫; ইবন মাজাহ, ৩৮৫৮; মুসনাদে আহমাদ ১২২০৫।]

অনুরূপভাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যক্তিকে তাশাহ্হুদে বলতে শুনেছেন:

اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ يَا أَللَّهُ بِأَنَّكَ الْوَاحِدُ الْأَحَدُ الصَّمَدُ، الَّذِي لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ وَلَمْ يَكُنْ لَهُ كُفُوًا أَحَدٌ، أَنْ تَغْفِرَ لِي ذُنُوبِي، إِنَّكَ أَنْتَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ

(হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আমি তোমার নিকট প্রার্থনা করছি, হে এক ও অদ্বিতীয়, ভরসাস্থল আল্লাহ, যিনি জনক নন জাতকও নন এবং যাঁর সমকক্ষ কেউ নেই, তুমি আমার পাপসমুহকে ক্ষমা করে দাও, নিশ্চয়ই তুমি ক্ষমাশীল দয়াবান।)

তিনি বললেন: তাকে ক্ষমা করা হয়েছে। কথাটি তিনবার বললেন। মেহজান ইবন আদরা থেকে নাসায়ী বর্ণনা করেছেন [নাসায়ী, ১৩০১।]।

এই একটি উদাহরণ। তাছাড়া আল্লাহর সুন্দর নাম এবং সমুন্নত গুণাবলীর মাধ্যমে নৈকট্য লাভ করার বহু উদাহরণ রয়েছে। মুসলিমদের উচিৎ হলো, তারা যেন তাদের দো‘আয় এগুলো বলেন, কারণ তা দ্বারা দো‘আ করলে কবুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন