hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

বৈধ ও অবৈধ অসীলা

লেখকঃ ডক্টর আব্দুস সালাম বারজাস আল আব্দুল করীম

১৫
সৃষ্টির সত্তাকে আল্লাহর নিকট অসীলা করা এবং আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোনো সৃষ্টিকে ডাকার মধ্যে পার্থক্য
গুরুত্বপূর্ণ দু’টি মাসআলার আলোচনা অবশিষ্ট রয়েছে:

প্রথম মাসআলাটি হচ্ছে: কোনো সৃষ্টির সত্তাকে আল্লাহর নিকট অসীলা করা এবং আল্লাহ ব্যতীত কোনো সৃষ্টির নিকট প্রার্থনা করা ও কিছু চাওয়ার মধ্যে পার্থক্য করা ওয়াজিব।

কোনো সৃষ্টির সত্তার অসীলা এবং তার দোহাই দিয়ে চাওয়ার উদাহরণ যেমন কেউ বলল: হে আল্লাহ! তোমার নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অসীলায় বা তোমার নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সত্তার অসীলায় আমাকে ক্ষমা কর, আমাকে অনুগ্রহ কর এবং জান্নাতে প্রবেশ করাও। এ প্রকার দো‘আ শির্ক নয় বরং বিদ‘আত।

এ প্রকার দো‘আ যদি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ব্যতীত অন্য কারো নিকট করে তবে তা ছোট শির্ক হবে, কিন্তু এতে সে দ্বীন থেকে সে বের হয়ে যাবে না। যেমন কেউ বলল: হে আল্লাহ আব্বাস বা আব্দুল কাদীরের সত্তার অসীলায় . . . ইত্যাদি।

অপরদিকে আল্লাহ তা‘আলার ন্যায় কোনো সৃষ্টিকে ডাকা, যেমন কেউ বলল: হে আল্লাহর রাসূল! সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার বিপদ দূর করে দিন, বা আমার ঋণ পরিশোধ করে দিন, অথবা আমার রোগ ভাল করে দিন। এটি অসীলা নয় বরং এটি বড় শির্ক, তাতে সে ইসলাম থেকে বের হয়ে যাবে, কারণ দো‘আ একটি ইবাদত, আর কোনো ইবাদত আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো জন্য করা সকল আলেমের ঐকমত্যে বড় শির্ক। আল্লাহ তা‘আলা তাঁর নবীকে বলেন:

﴿ وَلَا تَدۡعُ مِن دُونِ ٱللَّهِ مَا لَا يَنفَعُكَ وَلَا يَضُرُّكَۖ فَإِن فَعَلۡتَ فَإِنَّكَ إِذٗا مِّنَ ٱلظَّٰلِمِينَ ١٠٦ ﴾ [ يونس : ١٠٦ ]

“আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাউকে ডাকবেন না, যারা আপনার কোনো ক্ষতিও করতে পারবেনা এবং কোনো উপকারও করতে পারবেনা, তারপরও যদি আপনি এরকম করেন তবে আপনি জালেমদের অন্তর্ভুক্ত হবেন।” [সূরা ইউনুস: ১০৬]

তিনি আরো বলেন:

﴿ ذَٰلِكَ بِأَنَّ ٱللَّهَ هُوَ ٱلۡحَقُّ وَأَنَّ مَا يَدۡعُونَ مِن دُونِهِۦ هُوَ ٱلۡبَٰطِلُ وَأَنَّ ٱللَّهَ هُوَ ٱلۡعَلِيُّ ٱلۡكَبِيرُ ٦٢ ﴾ [ الحج : ٦٢ ]

“আর আল্লাহই সত্য এবং আল্লাহ ব্যতীত যাদের তারা ডাকে তারা বাতিল এবং নিশ্চয়ই আল্লাহ মহামহিম।” [সূরা হজ্জ/৬২]

তিনি আরো বলেন:

﴿ وَمَن يَدۡعُ مَعَ ٱللَّهِ إِلَٰهًا ءَاخَرَ لَا بُرۡهَٰنَ لَهُۥ بِهِۦ فَإِنَّمَا حِسَابُهُۥ عِندَ رَبِّهِۦٓۚ إِنَّهُۥ لَا يُفۡلِحُ ٱلۡكَٰفِرُونَ ١١٧ ﴾ [ المؤمنون : ١١٧ ]

“যে ব্যক্তি আল্লাহর সহিত অন্য কাউকে ইলাহ হিসাবে ডাকবে যার প্রমাণ তার নিকট নেই, তার হিসাব তার পালন কর্তার নিকট রয়েছে, নিশ্চয়ই কাফেরগণ মুক্তি পাবেনা।” [সূরা মুমিনূন/ ১১৭]

তিনি আরো বলেন:

﴿ وَلَئِن سَأَلۡتَهُم مَّنۡ خَلَقَ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضَ لَيَقُولُنَّ ٱللَّهُۚ قُلۡ أَفَرَءَيۡتُم مَّا تَدۡعُونَ مِن دُونِ ٱللَّهِ إِنۡ أَرَادَنِيَ ٱللَّهُ بِضُرٍّ هَلۡ هُنَّ كَٰشِفَٰتُ ضُرِّهِۦٓ أَوۡ أَرَادَنِي بِرَحۡمَةٍ هَلۡ هُنَّ مُمۡسِكَٰتُ رَحۡمَتِهِۦۚ قُلۡ حَسۡبِيَ ٱللَّهُۖ عَلَيۡهِ يَتَوَكَّلُ ٱلۡمُتَوَكِّلُونَ ٣٨ ﴾ [ الزمر : ٣٨ ]

“আর যদি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করেন যে, আকাশ এবং জমীনকে কে সৃষ্টি করেছে? অবশ্যই তারা বলবে : আল্লাহ! বলুন, আমাকে জানাও যে, আমার আল্লাহ যদি আমার কোনো ক্ষতি করতে চান, তবে তোমরা আল্লাহকে ছাড়া আর যাদেরকে ডাক, সে সব কি আমার থেকে সে ক্ষতি দূর করতে পারে? অথবা আল্লাহ যদি আমার প্রতি কোনো দয়া করতে চান, তবে কি সে সব আমার থেকে সে দয়া রুখতে পারে? বলুন, আমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট, তাঁর উপরই যেন ভরসাকারীগণ ভরসা করে” [সূরা যুমার/৩৮]

তিনি আরো বলেন:

﴿ وَأَنَّ ٱلۡمَسَٰجِدَ لِلَّهِ فَلَا تَدۡعُواْ مَعَ ٱللَّهِ أَحَدٗا ١٨ ﴾ [ الجن : ١٨ ]

“সকল মাসজিদ আল্লাহর জন্য, কাজেই তোমরা আল্লাহর সাথে কাউকে ডেকোনা।” [সূরা আল-জিন্ন, ১৮]

এ বিধান হলো সেই ব্যক্তির ব্যাপারে, যে ব্যক্তি আল্লাহ ব্যতীত কারো নিকট এমন কিছু চাইবে যা তার ক্ষমতার বাইরে। অতএব, তা যেন অসীলার মাসআলার সাথে মিশে না যায়, কেননা অসীলা এক বিষয় আর আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও কাছে কিছু চাওয়া অন্য বিষয়।

দ্বিতীয়টি মাসআলাটি হচ্ছে: সৃষ্টির সত্তার অসীলা ধরা জায়েয হওয়ার কোনো দলীল বা প্রমাণ নেই।

যারা সৃষ্টির সত্তার অসীলা জায়েয বলেছে, তাদের নিকট নির্ভেজাল কোনো দলীল বা প্রমাণ নেই। হয়তো তারা এমনসব প্রমাণ পেশ করবে যা সহীহ কিন্তু মূলত তা অষ্পষ্ট, বরং তা তাদের দাবীর সপক্ষে কোনো প্রমানই বহন করেনা। নতুবা তাদের পেশ করা দলীল হবে অশুদ্ধ; সনদের দিক থেকে সহীহ নয়।

[সহীহ হাদীস দিয়ে ভুল পদ্ধতিতে দলীল গ্রহণ করার প্রমাণ]

(একটি সন্দেহ ও তার অপনোদন)

যেমন: সহীহ বুখারীতে বর্ণিত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু এর হাদীস দ্বারা কোনো সত্তার অসীলা জায়েযের দলীল গ্রহণ করা। সেখানে এসেছে, “উমর ইবনে খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু এর যামানায় যখন অনাবৃষ্টি হত, তখন তিনি আব্বাস ইবন আব্দুল মুত্তালিব রাদিয়াল্লাহু আনহু এর অসীলায় বৃষ্টি চাইতেন, তিনি বলতেন: হে আল্লাহ আমরা তোমার নবীর অসীলায় বৃষ্টি চাইতাম তুমি আমাদেরকে বৃষ্টি দিতে, আর এখন আমরা নবীর চাচার অসীলায় বৃষ্টি চাচ্ছি, তুমি আমাদেরকে বৃষ্টি দাও। তিনি বলেন : তখন আমাদেরকে বৃষ্টি দেওয়া হতো।”

কিছু লোক ধারণা করে যে, এ অসীলা ছিল আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু এর সত্তার অসীলা, অথচ তা সঠিক নয়। বরং এ অসীলা ছিল আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু এর দো‘আর অসীলা। যেমনিভাবে তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে করেছিলেন। কেননা সাহাবীগণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জীবদ্দশায় তাঁর নিকট এসে তাঁকে অসীলা করে চাইতেন “তাঁকে বলতেন তাদের জন্য আল্লাহর নিকট দো‘আ করার জন্য। যেমন এসেছে এক বেদুইনের হাদীসে, যে ব্যক্তি জুমআর দিন মাসজিদে এসেছে, আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জুমআর খুৎবা দিচ্ছিলেন, অতঃপর সে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট বৃষ্টির জন্য দো‘আ চাইলে তিনি আল্লাহর নিকট বৃষ্টি চাইলেন। আবার পরবর্তী জুমআতে সেই বেদুইন এসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট রাস্তা ঘাট বন্ধ হয়ে যাওয়ার এবং ঘর বাড়ী ভেঙ্গে যাওয়ার অভিযোগ করে আল্লাহর নিকট তাঁকে বৃষ্টি থামানোর জন্য দো‘আ করতে বলল।

বস্তুত এ হলো বৈধ অসীলা।

একটু চিন্তা করে দেখুন, উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু কিভাবে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অসীলা পরিত্যাগ করে তাঁর চাচার দো‘আর অসীলার দিকে ফিরে গেলেন, কারণ তিনি জানেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মৃত্যুর পর তাঁর অসীলা চাওয়া অসম্ভব। কেননা তাঁর মাধ্যমে আল্লাহর নিকট কিছু চাওয়া একটি ইবাদত, আর সেটি একটি আমল যা তাঁর মৃত্যুর পর বন্ধ হয়ে গেছে।

তাছাড়া উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু এর এ কাজটি কোনো সত্তার অসীলা জায়েয হওয়ার উপর দলীল গ্রহণ করাকে যে জিনিস বাতিল করে, তা হলো: আল্লামা ইবনে হাজার (রহমতুল্লাহ আলাইহি) আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু এর দো‘আর গুণাগুণের যে বর্ণনা দিয়েছেন তা। তিনি উল্লেখ করেছেন যে, যুবাইর ইবন বাক্কার তার কিতাব (আল আনসাব) এ বলেছেন : যখন উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু এর অসীলায় বৃষ্টি চাইলেন, তখন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেছিলেন: (হে আল্লাহ, যে কোনো বিপদ শুধু অপরাধের কারণেই আসে এবং কেবল তাওবার মাধ্যমেই তা দূর হয়, কাজেই তোমার নবীর নিকট আমার ব্যক্তিত্ব থাকার কারণে লোকজন আমার মাধ্যমে তোমার সম্মুখীন হয়েছে, আমাদের অপরাধ নিয়ে তোমার নিকট এই হাত বাড়ালাম এবং তাওবার মাধ্যমে তোমার নিকট আমাদের মাথা ঝুকালাম, তুমি আমাদেরকে বৃষ্টি দাও।)

এই সেই অসীলা যা উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু এবং সাহাবাবৃন্দ আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুর নিকট চেয়েছিলেন, তারা তাকে আল্লাহর নিকট তাদের জন্য দো‘আ করতে বলেছিলেন। তাহলে কিভাবে বলা যায় যে, তারা আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুর সত্তার অসীলা এবং তার দোহাই দিয়ে চেয়েছিলেন? তা একেবারেই অসম্ভব ব্যাপার।

অনুরূপভাবে হাফেজ ইসমাঈলী তার কিতাব (মুস্তাখরাজ) এ সহীহ সনদে এ হাদীসটি নিয়ে এসেছেন এই শব্দে: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে তারা যখন অনাবৃষ্টিতে ভোগতো তখন তিঁনি তাদের জন্য বৃষ্টি চাইতেন, অতঃপর তাদেরকে বৃষ্টি দেওয়া হতো, কিন্তু যখন উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু এর খেলাফত আসলো . . .)

এতে ষ্পষ্ট প্রমাণিত হয় যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অসীলায় তাদের বৃষ্টি চাওয়া ছিল তাঁর জীবদ্দশায়।

[অপর একটি সন্দেহের অপনোদন]

উক্ত হাদীসের অনুরূপ আরেকটি হাদীস দ্বারা কেউ কেউ দলীল পেশ করে সন্দেহে নিপতিত করতে থাকে, (অথচ তাও দলীল হিসেবে পেশ করার জন্য ভুল পদ্ধতিতে পেশ করা হয়েছে) তা হচ্ছে, উসমান ইবন হানিফের হাদীস। হাদীসটি হচ্ছে, এক অন্ধ ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে বলল: আপনি আল্লাহর নিকট আমার আরোগ্যের জন্য দো‘আ করুন, তিনি বললেন: তুমি যদি চাও তবে আমি তোমার জন্য দো‘আ করব, আর যদি ধৈর্য্য ধারণ কর তবে তোমার জন্য সেটিই ভাল। সে বলল: আপনি দো‘আ করুন, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে নির্দেশ দিলেন ভালোভাবে অজু করে দু’রাকাত নামায পড়ে এ দো‘আ করার জন্যে: (হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট প্রার্থনা করছি এবং তোমার নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, রহমতের নবীর মাধ্যমে তোমার সম্মুখীন হয়েছি, হে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমি আমার এ প্রয়োজনের জন্য আপনার মাধ্যমে আমার প্রতিপালকের দিকে মুখ করেছি, যাতে আমাকে তা দেওয়া হয়। হে আল্লাহ! আমার ব্যাপারে তুমি তাঁর সুপারিশ কবুল কর।) বর্ণনাকারী বললেন: লোকটি এরকম করলে তার রোগ ভাল হয়ে গেল। হাদীসটি ইমাম আহমদ ও অন্যান্যরা সহীহ সনদে বর্ণনা করেছেন।

এই হাদীসটিও কোনো সত্তার অসীলার উপর দলীল বহন করে না, বরং তা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবদ্দশায় তাঁর দো‘আর মাধ্যমে আল্লাহর নিকট চাওয়া হয়েছে। আর এটিই বৈধ অসীলা।

আর এটি প্রমাণ করে যে, অন্ধ ব্যক্তিটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বলল: আপনি আমার রোগমুক্তির জন্য আল্লাহর নিকট দো‘আ করুন। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে দো‘আ করার অঙ্গিকার দিয়ে বলেছেন : তুমি যদি চাও তবে তোমার জন্য দো‘আ করব আর যদি . . .)

তারপর অন্ধলোকটি দো‘আর জন্য নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জোর দিয়ে বলল যে, (আপনি দো‘আ করুন।)

তারপরও লোকটির দো‘আ ছিল এই : (হে আল্লাহ ! আমার ব্যাপারে তুমি তাঁর সুপারিশ গ্রহণ কর।) লোকটির এ কথার মাধ্যমেই রাসূলের সত্তার অসীলা গ্রহণের সম্ভাবনা রহিত হয়ে গেল, কারণ এ সুপারিশ হলো দো‘আ। অর্থাৎ “হে আল্লাহ আমার ব্যাপারে আপনি আপনার নবীর সুপারিশ কবুল করুন”। অর্থাৎ আমার ব্যাপারে তাঁর দো‘আ।

হাদীসের কিছু কিছু বর্ণনায় এসেছে: (হে আল্লাহ আমার ব্যাপারে তাঁর সুপারিশ গ্রহণ কর এবং তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ গ্রহণ কর।) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ব্যাপারে অন্ধ ব্যক্তির সুপারিশ কিভাবে হয়?! বস্তুত তার অর্থ হচ্ছে, “তোমার নিকট আমার চাওয়া হলো যে, তুমি আমার ব্যাপারে তোমার নবীর সুপারিশ গ্রহণ কর।

উল্লেখিত সবগুলো কথাই প্রমাণ করে যে, অন্ধ ব্যক্তির কথা ছিল (হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট প্রার্থনা করছি এবং তোমার নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রহমতের নবীর মাধ্যমে তোমার সম্মুখীন হয়েছি) এতে শব্দ গোপন রয়েছে, সেটি হলো: আমি তোমার নিকট প্রার্থনা করছি এবং তোমার নবীর দো‘আর মাধ্যমে আমি তোমার সম্মুখীন হয়েছি।)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন