মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
আল্লাহ তা‘আলার নৈকট্য লাভের দু’টি শর্ত রয়েছে, যা আল্লাহর কিতাব এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নাত প্রমাণ করে এবং এর উপরই এ উম্মতের সালাফগণ ঐক্যবদ্ধ।
প্রথম শর্ত: এ নৈকট্য লাভে আল্লাহর জন্য ইখলাস বা নিয়তের বিশুদ্ধতা। তিনি বলেন:
“আল্লাহ তা‘আলা বলেন: আমি শির্ক থেকে মুক্ত, যে ব্যক্তি এমন কোনো কাজ করবে যাতে আমার সহিত অন্যকে অংশিদার করবে, আমি তাকে এবং তার শরীককে বর্জন করি।” [মুসলিম, ২৯৮৫।]
ইবনে মাজাহও হাদিসটি সংকলন করেছেন, তবে তার শব্দ হচ্ছে,
“আমি এথেকে পবিত্র, আর তা হচ্ছে মুশরিকদের থেকে।” [ইবন মাজাহ, ৪২০২।]
দ্বিতীয় শর্ত: এ নৈকট্য লাভ হবে সে জিনিস থেকে যার উপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন। কাজেই যে ইবাদত তিনি করেননি এবং স্বীকৃতি দেননি; তা দ্বারা আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যায় না; যদিও সে কাজটি বিশুদ্ধ নিয়তে কেবলমাত্র আল্লাহর জন্যই করে থাকুক। কেননা আল্লাহ তা‘আলার তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মুখে যা শরিয়ত হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছেন কেবল সেটার মাধ্যমেই ইবাদত করার নির্দেশনা দিয়েছেন, তা দ্বারা নয় যা আমাদের মস্তিষ্ক চায় এবং আমাদের প্রবৃত্তি ভালো মনে করে।
‘‘তোমাদের প্রভুর নিকট থেকে তোমাদের প্রতি যা অবতীর্ণ করা হয়েছে তার অনুসরণ কর এবং তাঁকে ব্যতীত অন্য কাউকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করোনা, বস্তুত: তোমরা সামান্য কিছু সময় মাত্র তাকে স্মরণ করে থাক’’। [সূরা আরাফ/৩]
“তোমরা যদি আল্লাহকে ভালোবাসতে চাও তবে আমার অনুসরণ কর, তাহলে আল্লাহ তোমাদেরকে ভালোবাসবেন, তোমাদের পাপ ক্ষমা করে দিবেন, আর আল্লাহ ক্ষমাশীল, অনুগ্রহকারী।” [সূরা আলে ইমরান/৩১]
বুখারী ও মুসলিম শরীফে আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
“যে ব্যক্তি এমন কোনো কাজ করবে যা আমার দ্বীন সমর্থন করেনা তা প্রত্যাখ্যাত।” [মুসলিম, ১৭১৮।]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নির্দেশের বহির্ভূত কোনো ইবাদত দ্বারা আল্লাহর নৈকট্য তালাশকারী কেবল ক্ষতিগ্রস্ত এবং পাপীই হবে, যদিও তা আল্লাহর জন্য বিশুদ্ধ চিত্তে হয়।
বাইহাকী এবং অন্যান্যরা সাঈদ ইবন মুসাইয়্যেব হতে বর্ণনা করেছেন, তিনি এক ব্যক্তিকে ফজর উদয় হওয়ার পর দুইয়ের অধিক নামায পড়তে দেখেছেন, যাতে সে রুকু সিজদা বেশি বেশী করছে, অতঃপর তিনি তাকে নিষেধ করেছেন। সে বলল : হে আবু মুহাম্মদ ! এ নামায পড়ার জন্য আল্লাহ কি আমাকে শাস্তি দিবেন? তিনি বললেন: না, কিন্তু সুন্নাতের খেলাফ আমল করায় আপনাকে শাস্তি দিবেন।
উল্লেখিত আলোচনার আলোকে আমরা প্রতিটি তাওয়াস্সুলের দিকে দেখব, তাতে কি উল্লেখিত দু’টি শর্ত রয়েছে কিনা ? তাতে কি ইখলাস বা নিয়তের বিশুদ্ধতা রয়েছে? সেটা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্বীকৃত কোনো কাজ কি না ?
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/260/7
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।