মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
লেখকঃ আব্দুর রহমান বিন সাঈদ বিন আলী বিন ওহাফ আল-কাহতানী রহ.
১২
দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ: জাহান্নাম থেকে মুক্তি ও জাহান্নামের প্রবেশের কারণ
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/304/12
প্রথম আলোচনা: জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাওয়ার কারণগুলো:
জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাওয়ার কারণ অসংখ্য ও অগণিত। আল্লাহ আমাদের হেফাযত করুন। সামগ্রিক কারণ হল, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের নাফরমানি করা। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন,
“আর যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের নাফরমানী করে এবং তাঁর সীমারেখা লঙ্ঘন করে আল্লাহ তাকে আগুনে প্রবেশ করাবেন। সেখানে সে স্থায়ী হবে। আর তার জন্যই রয়েছে অপমানজনক আযাব” [. সূরা আন-নিসা, আয়াত: ১৪।]।
জাহান্নামে প্রবেশের আরও কারণ:
১- আল্লাহর সাথে শরিক করা। ২- নবী ও রাসূলদের অস্বীকার করা। ৩- কুফরী করা। ৪- হিংসা করা। ৫- যুলম ও অত্যাচার করা। ৬- আমানতের খিয়ানত করা ৭- আত্মীয়তা সম্পর্ক ছিন্ন করা। ৮- কার্পণ্য করা। ৯- মুনাফেকি করা। ১০- আল্লাহর আযাব হতে নির্ভীক হওয়া। ১১- আল্লাহর রহমত হতে নিরাশ হওয়া। ১২- কুরআন ও হাদিসে যে সব কবীরাগুনাহের কথা উল্লেখ করা হয়েছে সে সব কবীরা গুনাহে লিপ্ত হওয়া। [.এ ছাড়াও জাহান্নামে প্রবেশের আরও অনেকগুলো কারণ রয়েছে। যেমন, অশ্লীল কাজ ও অপকর্ম করা, প্রকাশ্যে বা গোপনে অশ্লীল ও অসামাজিক কাজে লিপ্ত হওয়া, খিয়ানত করা, জিহাদের ময়দান হতে পলায়ন করা, অহংকার করা, নেয়ামতের নাশুকরী করা, আল্লাহর সীমালংঘন করা, আল্লাহ যা হারাম করেছেন তা অমান্য করা, আল্লাহকে বাদ দিয়ে মাখলুককে ভয় করা, খালেককে বাদ দিয়ে মাখলুক থেকে আশা করা, খালেকের উপর ভরসা না করে মাখলুকের উপর ভরসা করা, কুরআন ও সুন্নাহের বিরোধিতা করা, আল্লাহর নাফরমানি করে মাখলুকের আনুগত্য করা, সাতটি ধ্বংসাত্বক বিষয় থেকে বিরত না থাকা, ঘুষ দেয়া, গীবত করা, চোগলখোরি করা, মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়া, মদ্যপান করা, বড়াই করা, অহংকার করা, চুরি করা, মিথ্যা কসম খাওয়া, নারীরা পুরুষের সাথে এবং পুরুষরা নারীদের সাথে সাদৃশ্য অবলম্বন করা, দান করে খোটা দেয়া, মিথ্যা কসম দ্বারা মাল বিক্রি করা, গণক ও জ্যোতিষকে বিশ্বাস করা, প্রাণীর ছবি বানানো, কবরে সেজদা করা, মৃত ব্যক্তির উপর আওয়াজ করে কান্না করা, পুরুষদের জন্য কাপড় ঝুলিয়ে পরিধান করা, পুরুষদের রেশমি কাপড় ও অলংকার পরিধান করা, প্রতিবেশিকে কষ্ট দেয়া, ওয়াদা খেলাফ করা, এছাড়াও আরও অন্যন্য আমলসমূহ। দেখুন: মাজমুয়ায়ে ফতওয়া শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়্যাহ রহ. এর। ৪২৩-৪২৪/১০, ইমাম যাহবী রহ. এর কবীরা গুনাহ এবং ইবনে নুহাসের তাম্বীহুল গাফেলীন।]
দ্বিতীয় আলোচনা: কিভাবে আমরা আমাদের নিজেদের ও আমাদের পরিবার-পরিজনদের জাহান্নাম থেকে বাঁচাবো?
“হে ঈমানদারগণ, তোমরা নিজেদেরকে ও তোমাদের পরিবার-পরিজনকে আগুন হতে বাঁচাও যার জ্বালানি হবে মানুষ ও পাথর; যেখানে রয়েছে নির্মম ও কঠোর ফেরেশতাকুল, যারা আল্লাহ তাদেরকে যে নির্দেশ দিয়েছেন সে ব্যাপারে অবাধ্য হয় না। আর তারা তা-ই করে যা তাদেরকে আদেশ করা হয়” [. সূরা আত-তাহরীম, আয়াত: ৬।]।
আল্লামা সা’দী রহ. বলেন, তোমাদের মধ্যে যাদের প্রতি আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ঈমানের মত নেয়ামত দিয়ে অনুগ্রহ করেছে, তোমরা ঈমানের আবশ্যকীয় বিষয় ও শর্তসমূহ পূরণ কর। আর তোমরা তোমাদের নিজেদের এবং পরিবার-পরিজনদের ভয়াবহ জাহান্নাম যার কথা উল্লেখ করা হয়েছে তার আগুন থেকে বাঁচাও। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এরশাদ করেন, [ قُوٓاْ أَنفُسَكُمۡ وَأَهۡلِيكُمۡ نَارٗا ] “তোমরা নিজেদেরকে ও তোমাদের পরিবার-পরিজনকে আগুন হতে বাঁচা”। আর তোমাদের আত্মরক্ষার উপায় হল, আল্লাহর আদেশকে নিজেদের জন্য বাধ্যতামূলক করা, তার আদেশ পালনে দায়িত্বশীল হওয়া এবং তার নিষিদ্ধ বিষয় হতে সম্পূর্ণ বিরত থাকা। আর আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যে সব কর্মে অসন্তুষ্ট হন বা আযাব দেন, সে সব কর্ম থেকে তাওবা করা। আর পরিবার পরিজন, সন্তান সন্ততিকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর উপায় হল, তাদের উত্তম শিক্ষা দেয়া, শাসন করা, তাদেরকে আল্লাহর আদেশ নিষেধ মানার উপর বাধ্য করা। একজন মানুষ ততক্ষণ পর্যন্ত নিরাপদ হতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত সে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাকে যা করার নির্দেশ দিয়েছে তা না করবে। আর স্ত্রী সন্তান একজন মানুষের অভিভাবকত্বে ও পরিচালনার অন্তর্ভুক্ত। আর আল্লাহ রাব্বুল আলামীন জাহান্নামকে এত ভয়াবহ করে মানুষের নিকট তুলে ধরেছেন, যাতে মানুষ আল্লাহর আদেশের প্রতি উদাসীন না হয়( [. তাফসীরে সা’দী পৃ: ৮৭৪।]).। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এরশাদ করেন,
“হে ঈমানদারগণ, আমি কি তোমাদেরকে এমন এক ব্যবসায়ের সন্ধান দেব, যা তোমাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক আযাব থেকে রক্ষা করবে” [. সূরা আস-সফ, আয়াত: ১০।]? তারপর আল্লাহ রাব্বুল আলামীন উল্লেখ করেন:
1 – تُؤۡمِنُونَ بِٱللَّهِ وَرَسُولِهِۦ
“তোমরা আল্লাহর প্রতি ও তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান আনবে”
“এবং তোমরা তোমাদের ধনÑসম্পদ ও জীবন দিয়ে আল্লাহর পথে জিহাদ করবে। এটাই তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তোমরা জানতে”।
সুতরাং, মনে রাখতে হবে, এ দুটি হল, আল্লাহর অনুমতিক্রমে জান্নাতে প্রবেশের এবং জাহান্নাম হতে মুক্তির কারণ। আমরা আল্লাহর নিকট জাহান্নাম থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি এবং আল্লাহর নিকট জান্নাত চাচ্ছি। [. হে আল্লাহ! তুমি লেখকের দু’আটি কবুল কর এবং তাকে তুমি জান্নাত দান কর এবং জাহান্নাম হতে মুক্তি দাও।]
আল্লামা সা’দী রহ. আয়াত দু’টির তাফসীরে বলেন, এটি পরম করুণাময় আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের পক্ষ তাঁর মুমিন বান্দাদের জন্য মহৎ ব্যবসা, মহান উদ্দেশ্য ও উন্নত চাহিদা লাভের প্রতি অসিয়ত, পথ দেখানো এবং দিক নির্দেশনা, যার দ্বারা কঠিন আযাব থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে এবং মহা নেয়ামতের সফলতা অর্জন করা যাবে। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বিষয়টি এমনভাবে উপস্থাপন করেছেন, যাতে বুঝা যায় বিষয়টি এমন যার প্রতি প্রতিটি বিচক্ষণ লোক বলতেই আগ্রহ করবে এবং প্রতিটি জ্ঞানী লোক তার দিক মাথা উঁচু করে দেখবে। সুতরাং, বিষয়টি এমন- যেমন বলা হল, এ ব্যবসাটি কি যার এত মূল্য? তখন বলল, আল্লাহ ও তার রাসূলের প্রতি ঈমান আনা। আর এ কথা আমরা সবাই জানি পরিপূর্ণ ঈমান হল আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যে সব বিষয়ে অটল বিশ্বাস করার নির্দেশ দিয়েছেন, তার প্রতি অটল বিশ্বাস করা। এ বিশ্বাসের অপরিহার্য দাবী হল শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের আমল। অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের আমলসমূহের অন্যতম মূল্যবান আমল হল, আল্লাহর রাহে জিহাদ করা, এ কারণেই আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এরশাদ করেন, [ وَتُجَٰهِدُونَ فِي سَبِيلِ ٱللَّهِ بِأَمۡوَٰلِكُمۡ وَأَنفُسِكُمۡۚ ] অর্থাৎ তোমরা তোমাদের জান মাল দিয়ে ইসলামের দুশমনদের প্রতিহত করা, আল্লাহর দ্বীনকে বিজয় করা এবং আল্লাহর কালিমাকে আল্লাহর যমীনে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য তোমরা তোমাদের সম্পদ হতে যা তোমাদের জন্য সহজ হয় তা ব্যয় করবে। কিন্তু এ কাজটি যদিও তোমার জন্য অপছন্দনীয় হয় এবং তোমার জন্য কষ্টকর হয় কিন্তু মনে রাখবে এটি তোমার জন্য উত্তম। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এরশাদ করেন, [ خَيۡرٞ لَّكُمۡ إِن كُنتُمۡ تَعۡلَمُونَ ] এটাই তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তোমরা জানতে। [.তাফসীরে সা’দী পৃ: ৮৬০]
জাহান্নাম থেকে বাঁচার কারণসমূহ:
আল্লাহর আদেশ অনুযায়ী আমল করা এবং আল্লাহ যে সব কর্মে নারাজ হন তা হতে দূরে থাকা: যখন কোন ব্যক্তি তার প্রভুর আনুগত্য করে এবং আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যা করতে নিষেধ করেছেন, তা হতে বিরত থাকে তাহলে সে আসবাব সমূহের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করল। তাওফিক ও কবুল আল্লাহর হাতে। আল্লাহর নিকট আমরা তার ফযল ও অনুগ্রহ কামনা করি। জাহান্নাম থেকে বাঁচার কারণগুলো আরও বিস্তারিত জানতে চাইলে আহলে ইলমরা এ বিষয়ে যে সব কিতাব লিপিবদ্ধ করেছেন তা দেখুন। সালাত ও সালাম নাযিল হোক আমাদের নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ এর উপর এবং তার সমগ্র সাহাবীদের উপর। [. জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচার সবচেয়ে বড় কারণ, জান্নাতে প্রবেশের কারণসমূহ দ্বারা আমল করা এবং জাহান্নামে প্রবেশের কারণসমূহ হতে দূরে থাকা। জান্নাতে প্রবেশ ও জাহান্নাম থেকে বাঁচার কারণগুলোর আলোচনা আল-ইবন আব্দুর রহমান করছেন যা পূর্বের দুটি পরিচ্ছেদ অতিবাহিত হয়েছে। আল্লাহর নিকট কামনা করি আল্লাহ যেন আমাদের এ গবেষণাটিকে কবুল করেন এবং গবেষণা দ্বারা আল্লাহ গবেষকের মর্যাদাকে বৃদ্ধি করেন এবং তাকে জান্নাতুল ফিরদাউস ও শহীদদের উচ্চ মর্যাদা দান করেন। কারণ, আল্লাহ তা’আলা সম্মানী, তিনি দয়ালু করুণাময়। তিনি তার ইহসান, করম, ফযল ও দয়া দ্বারা আমাদের দয়া করেন। আর সালাত ও সালাম নাযিল হোক আমাদের নবী মুহাম্মদের উপর তার পরিবার পরিজন ও সমগ্র সাহাবীদের উপর ।]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/304/12
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।