মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
লেখকঃ আব্দুর রহমান বিন সাঈদ বিন আলী বিন ওহাফ আল-কাহতানী রহ.
৫
দ্বিতীয় অধ্যায়: জান্নাত ও জাহান্নাম বর্তমান আছে কিনা? এবং কোথায় আছে?
প্রথম পরিচ্ছেদ: জান্নাত জাহান্নাম বিদ্যমান থাকার প্রমাণ
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/304/5
আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু’ হতে বর্ণিত, মিরাজের ঘটনায় তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ হতে বর্ণনা করেন।
«ثم انطلق بي جبريل حتى انتهى بي إلى سدرة المنتهى، فغشيها ألوانٌ لا أدري ما هي، قال : ثم دخلت الجنة، فإذا فيها جنابذ ( [.এ শব্দটির অর্থ গব্মুজ এটি বহু বচন, এর এক বচন جنبذة । বুখারি নবীদের আলোচনা অধ্যায়ে শব্দটি উল্লেখ করা হয়েছে। এ হাদীসটি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের পক্ষে প্রমাণস্বরূপ। তারা বলেন, জান্নাত ও জাহান্নাম বর্তমানে মাখলুক এবং জান্নাত আসমানে। দেখুন: ইমাম মুসলিম, শরহে নববী, পৃ: ৫৭৯/৩।]) اللؤلؤ، وإذا ترابها المسك » ( [. মুত্তাফাকুন আলাইহ : বুখারি সালাত অধ্যায়, পরিচ্ছেদ: মেরাজের সময় সালাত ফরয হওয়ার পদ্ধতি: হাদিস নং: ৩৪৯ ও নবীদের আলোচনা অধ্যায়, হাদীস নং: ৩৩৪২। মুসলিম কিতাবুল ঈমান, রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আসমানের দিকে রাতে নিয়ে যাওয়া বিষয়ে আলোচনা: হাদীস নং: ১৬২।]).
“তারপর জিবরীল আ. আমাকে নিয়ে চলতে থাকে। সিদরাতুল মুনতাহা পর্যন্ত পৌঁছলে তাকে কতক রঙ এসে ডেকে ফেলে। আমি বুঝতে পারিনি এটি কি? তিনি বলেন, ‘তারপর আমি জান্নাতে প্রবেশ করলাম’। জান্নাতকে আমি দেখতে পেলাম, মণি-মুক্তার গম্বুজ। আরও দেখতে পেলাম, জান্নাতের মাটি হল, মিসক”।
وعن أبي هريرة رضي الله عنه قال : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : «لـَمّا خلق الله الجنة والنار أرسل جبرائيل إلى الجنة، فقال : انظر إليها، وإلى ما أعددت لأهلها فيها، فجاء فنظر إليها، وإلى ما أعد الله لأهلها فيها ... ثم قال : اذهب إلى النار فانظر إليها، وإلى ما أعددت لأهلها فيها، فنظر إليها فإذا هي يركب بعضها بعضاً .. »
আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু’ হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ বলেন, “আল্লাহ রাব্বুল আলামীন জান্নাত ও জাহান্নাম সৃষ্টি করার পর জিবরীল আলাইহিস সালামকে জান্নাতে পাঠান এবং বলেন, তুমি জান্নাতের দিকে তাকাও এবং দেখ আমি জান্নাতে জান্নাতিদের জন্য কি কি তৈরি করে রেখেছি। তারপর সে জান্নাতে প্রবেশ করে এবং আল্লাহ রাব্বুল আলামীন জান্নাতিদের জন্য কি কি তৈরি করে রেখেছেন তা দেখেন। তারপর আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এরশাদ করেন, তুমি এখন জাহান্নামে প্রবেশ কর, তারপর সে জাহান্নামে প্রবেশ করল, আল্লাহ বললেন, দেখ আমি জাহান্নামীদের জন্য কি কি তৈরি করে রেখেছি। তারপর সে জাহান্নামের দিকে তাকিয়ে দেখে জাহান্নামের এক অংশ অপর অংশের উপর দাপাদাপি করছে” [. তিরমিযি, জান্নাতের বর্ণনা অধ্যায়, পরিচ্ছেদ: ‘জান্নাতকে পরিপূর্ণ করা হয়েছে পরিশ্রম দ্বারা আর জাহান্নামকে পরিপূর্ণ করা হয়েছে প্রবৃত্তি দ্বারা’ হাদীস নং ২৫৬০। নাসায়ী কিতাবুল আইমান ওয়ান নুজুর, আল্লাহর ইজ্জতের কসম খাওয়া বিষয়ে আলোচনা: হাদিস নং: ৩৭৭২। আল্লামা আলবানী বিশুদ্ধ তিরমিযিতে হাদিসটিকে সহীহ বলে আখ্যায়িত করেছেন। দেখুন- ২০/৩ সহীহ নাসায়ী ৫/৩।]।
ইমাম তাহাবী রহ. বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, জান্নাত ও জাহান্নাম আল্লাহর মাখলুক, কখনো তা ধ্বংস হবে না এবং ক্ষয় হবে না। কারণ, আল্লাহ মাখলুককে সৃষ্টির পূর্বে জান্নাত ও জাহান্নাম সৃষ্টি করেন। আর জান্নাত ও জাহান্নাম উভয়টির জন্য তিনি মাখলুক হতে অধিবাসী সৃষ্টি করেন। যাদের তিনি জান্নাত দেবেন তা হবে তার পক্ষ হতে তাদের প্রতি অনুগ্রহ। আর যাদের তিনি জাহান্নামে দেবেন তা হবে তার প্রতি আল্লাহর পক্ষ হতে ইনসাফ। প্রত্যেকেই তার সুবিধা অনুযায়ী আমল করবে এবং তাকে যে জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে সে দিকে ধাবিত হবে। আর ভালো ও মন্দ বান্দার উপর নির্ধারিত ( [. আবু জাফর আত-ত্বাহাবী, আকীদাতু-তহাবী [শুধু ইবারত], পৃ: ১২।]).।
বর্তমানের জান্নাত বিদ্যমান থাকার উপর হাদিস দ্বারা প্রমাণ:
কা’ব ইবন মালেক রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু’ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ বলেন,
« إنما نسمة المؤمن طائرٌ يعْلُقُ في شجر الجنة، حتى يرجعه الله تبارك وتعالى إلى جسده يوم يبعثه »
“মুমিনের আত্মা জান্নাতে পাখির মত, জান্নাতের গাছের সাথে কিয়ামতের দিন পর্যন্ত ঝুলতে থাকবে। তারপর যখন কিয়ামতের দিন সমগ্র মানুষকে পুনরায় জীবন দান করা হবে, তখন আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাদের রুহকে তাদের দেহে আবার ফেরত দেবেন” [. ইমাম আহমদ স্বীয় মুসনাদে পৃ: ৪৫৫/৩, তাহকীক কৃত সংস্ককরণে পৃ: ৫৭/২৫। আর নাসায়ী জানায়েয অধ্যায়ে, পরিচ্ছেদ: মুমিনদের রুহ বিষয়ে আলোচনা; হাদীস নং ২০৭৩ -« إنما نسمة المؤمن طائر في شجر الجنة حتى يبعثه الله إلى جسده يوم القيامة » ]। [অর্থ, মুমিনের আত্মা জান্নাতের গাছের মধ্যে উড়ন্ত পাখির মত। কিয়ামতের দিন আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাদের রুহকে তাদের দেহে ফেরত দেবেন। ইবনে মাযা, যুহদ অধ্যায়, কবরের আলোচনায় হাদিসটি উল্লেখ করা হয়েছে, হাদীস নং: ৪২৭১। বিশুদ্ধ নাসায়ীতে আলবানী রহ. হাদীসটিকে সহীহ বলে আখ্যায়িত করেন, পৃ: ৪৪৫/২। সিলসিলাতুল আহাদীস-সহীহাহ গ্রন্থে ৭২০/২, ৯৯৫। ইমাম ইবনে কাসীর স্বীয় তাফসীরে أحمد عن الشافعي عن مالك عن ابن شهاب، عن عبد الرحمن بن كعب بن مالك عن أبيه : এ সনদটি উল্লেখ করার পর লিখেন, ‘এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সনদ এবং শক্তিশালী মতন’। . আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রা. এর হাদিসে শহীদদের আলোচনায় রয়েছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ বলেন, « أرواحهم في جوف طير خضر لها قناديل معلقة بالعرش تسرح من الجنة حيث شاءت، ثم تأوي إلى تلك القناديل » “শহীদদের রুহসমূহ হুলুদ পাখির পেটের মধ্যে তাদের জন্য রয়েছে, আরশের সাথে ঝুলানো প্রজ্জলিত বাতি, তারা তাদের ইচ্ছা মত যেখানে ইচ্ছা সেখানে ভ্রমণ করতে থাকে তারপর তারা আবার ঐ সব বাতির নিকট চলে আসে”। মুসলিম, হাদীস নং: ১৮৮৭। আব্দুল্লাহ বিন উমর রা. এর হাদীস রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ এরশাদ করেন, « إن أحدكم إذا مات عرض عليه مقعده بالغداة والعشي، إن كان من أهل الجنة فمن أهل الجنة، وإن كان من أهل النار فمن أهل النار، يقال : هذا مقعدك حتى يبعثك الله إليه يوم القيامة » অর্থ, যখন তোমাদের কেউ মারা যায় তখন সকাল বিকাল তার অবস্থান কোথায় হবে তা তুলে ধরা হয়। যদি লোকটি জান্নাতী হয়, তার জান্নাতের অবস্থান তাকে দেখানো হয়, আর যদি লোকটি জাহান্নামী হয়, তবে তাকে জাহান্নামের অবস্থান দেখানো হয়। তাকে বলা হয়, এ তোমার অবস্থান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কিয়ামতের দিন তোমাকে এখানে প্রেরণ করবেন। বুখারি, ১৩৭৯, মুসলিম: ২৮৬৬। আল্লামা ইবনুল কাইয়ুম রহ. বলেন, রুহকে পেশ করা দ্বারা এ কথা প্রমাণিত হয় না রুহগুলো কবরে বা কবরের আশপাশে। বরং এ কথা প্রমাণিত হয়, কবরের সাথে রুহের সম্পৃক্ততা রয়েছে; তার আসনে রুহকে পেশ করা হয়ে থাকে। কারণ, রুহের অবস্থা ভিন্ন একটি অবস্থা রয়েছে। রূহ কখনো সময় রফিকে আ’লাতে অবস্থান করে, কিন্তু দেহের সাথে সম্পৃক্ত। ফলে যখন কোন ব্যক্তি তাকে সালাম দেয়, সে তার স্বীয় অবস্থান থেকে সালামের উত্তর দেয়। দেখুন- আল্লামা সুয়ুতীর ব্যাখ্যা সুনানে নাসায়ীতে পৃ: ১০৯/৪।]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/304/5
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।