HADITH.One
HADITH.One
Bangla
System
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন
আল-কুরআন ইসলামী শরীয়াহ্-এর অন্যতম উৎস
লেখকঃ ড. মোহাম্মদ মানজুরে ইলাহী
৮
শরীয়াহ্ কি উন্নয়ন ও আধুনিকতা বিরোধী?সৎ ও ন্যায়ভিত্তিক মূল্যবোধের আলোকে যাবতীয় উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনা করতে ইসলামী শরীয়াহ্ উদ্বুদ্ধ করে। আল-কুরআনে আখিরাতের পাশাপাশি দুনিয়ার উন্নতি চেয়ে দু‘আ করার প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে। আল্লাহ বলেন,
﴿ وَمِنۡهُم مَّن يَقُولُ رَبَّنَآ ءَاتِنَا فِي ٱلدُّنۡيَا حَسَنَةٗ وَفِي ٱلۡأٓخِرَةِ حَسَنَةٗ وَقِنَا عَذَابَ ٱلنَّارِ ٢٠١ أُوْلَٰٓئِكَ لَهُمۡ نَصِيبٞ مِّمَّا كَسَبُواْۚ ﴾ [ البقرة : ٢٠١، ٢٠٢ ]
“তাদের মধ্যে এমন লোক আছে যারা বলে, হে আমাদের রব! আমাদেরকে দুনিয়ায় কল্যাণ দাও এবং আখিরাতেও কল্যাণ দাও। আর জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা কর।এরা যা করেছে তার অংশ তাদের জন্য রয়েছে”। [সূরা আল-বাকারাহ : ২০১-২০২]
শরীয়াহ্-এর দৃষ্টিতে উন্নয়ন বলতে বুঝায় সে সব উন্নয়নকে যার দ্বারা ব্যক্তি দুনিয়াতে উপকৃত হয়, ভাল ও সৎ মানুষে পরিণত হয়, দেশ, সমাজ ও জাতির কল্যাণে কাজ করে এবং আখিরাতে নিজেকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর ব্যবস্থা করে এবং প্রয়োজনীয় আমলে সালেহ করে জান্নাত লাভের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করে। অতএব শুধুমাত্র বৈষয়িক উন্নতিই ইসলামের দৃষ্টিতে একমাত্র উন্নয়ন নয়।
আমরা লক্ষ্য করি - ইসলামী শরীয়াহ্-এর বিধানগুলো আল্লাহ সুবহানাহু মানবজাতির জন্য এমনভাবে প্রণয়ন করেছেন যার মাধ্যমে তাদের আধ্যাত্মিক উন্নয়ন, চারিত্রিক উন্নয়ন এবং যাবতীয় বৈষয়িক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়।
ইবাদাত পালনের নির্দেশ মূলতঃ মানুষের আধ্যাত্মিক উন্নয়ন সাধন করে। মদ-যেনা, জুয়া, মিথ্যাকথা বলা, অন্যায় ও অশ্লীলতায় লিপ্ত হওয়া থেকে নিষেধাজ্ঞা আরোপ তাকে চারিত্রিক উন্নয়ন দান করে। সুদ পরিহারের নির্দেশ, যাকাত-সদকা প্রদানের আদেশ এবং নানাবিধ ব্যবসায় কর্মকান্ড পরিচালনা করার অনুমতি উৎপাদন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নকে বেগবান করে। অতএব ইসলামী শরীয়াহ্ প্রচলিত আর সব মতবাদ থেকে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে গতিশীল করার ক্ষেত্রে অনেক বেশী কার্যকর ভূমিকা পালন করে থাকে।
আমরা জানি যা গতিশীল, তা-ই যুগের সাথে সঙ্গতি রেখে চলতে পারে এবং যা যুগোপযোগী তা-ই আধুনিক। অতএব ইসলামী শরীয়াহ্ও আধুনিক। ইসলামী শরীয়াহ্ আধুনিক সমাজের সর্বস্তরের লোকদের ন্যায্য অধিকার যেমন সফলভাবে প্রতিষ্ঠা করেছে, তেমনি মৌলিক মূল্যবোধ ঠিক রেখে যুগের চাহিদা ও দাবীর সাথেও সঙ্গতি বিধান করেছে। যে কোন নতুন কিছু যদি ভাল ও মানুষের জন্য কল্যাণকর হয়, শরীয়াহ্ তাকে গ্রহণ করেছে। আধুনিকতা বলতে যদি ঈমান ও মূল্যবোধ ঠিক রেখে যুগোপযোগিতা বুঝায়, যদি অন্যায়-অশ্লীলতা ও বেহায়পনা আধুনিকতার সংজ্ঞায় না পড়ে, তাহলে ইসলামী শরীয়াহ্ চির-আধুনিক।
﴿ وَمِنۡهُم مَّن يَقُولُ رَبَّنَآ ءَاتِنَا فِي ٱلدُّنۡيَا حَسَنَةٗ وَفِي ٱلۡأٓخِرَةِ حَسَنَةٗ وَقِنَا عَذَابَ ٱلنَّارِ ٢٠١ أُوْلَٰٓئِكَ لَهُمۡ نَصِيبٞ مِّمَّا كَسَبُواْۚ ﴾ [ البقرة : ٢٠١، ٢٠٢ ]
“তাদের মধ্যে এমন লোক আছে যারা বলে, হে আমাদের রব! আমাদেরকে দুনিয়ায় কল্যাণ দাও এবং আখিরাতেও কল্যাণ দাও। আর জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা কর।এরা যা করেছে তার অংশ তাদের জন্য রয়েছে”। [সূরা আল-বাকারাহ : ২০১-২০২]
শরীয়াহ্-এর দৃষ্টিতে উন্নয়ন বলতে বুঝায় সে সব উন্নয়নকে যার দ্বারা ব্যক্তি দুনিয়াতে উপকৃত হয়, ভাল ও সৎ মানুষে পরিণত হয়, দেশ, সমাজ ও জাতির কল্যাণে কাজ করে এবং আখিরাতে নিজেকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর ব্যবস্থা করে এবং প্রয়োজনীয় আমলে সালেহ করে জান্নাত লাভের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করে। অতএব শুধুমাত্র বৈষয়িক উন্নতিই ইসলামের দৃষ্টিতে একমাত্র উন্নয়ন নয়।
আমরা লক্ষ্য করি - ইসলামী শরীয়াহ্-এর বিধানগুলো আল্লাহ সুবহানাহু মানবজাতির জন্য এমনভাবে প্রণয়ন করেছেন যার মাধ্যমে তাদের আধ্যাত্মিক উন্নয়ন, চারিত্রিক উন্নয়ন এবং যাবতীয় বৈষয়িক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়।
ইবাদাত পালনের নির্দেশ মূলতঃ মানুষের আধ্যাত্মিক উন্নয়ন সাধন করে। মদ-যেনা, জুয়া, মিথ্যাকথা বলা, অন্যায় ও অশ্লীলতায় লিপ্ত হওয়া থেকে নিষেধাজ্ঞা আরোপ তাকে চারিত্রিক উন্নয়ন দান করে। সুদ পরিহারের নির্দেশ, যাকাত-সদকা প্রদানের আদেশ এবং নানাবিধ ব্যবসায় কর্মকান্ড পরিচালনা করার অনুমতি উৎপাদন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নকে বেগবান করে। অতএব ইসলামী শরীয়াহ্ প্রচলিত আর সব মতবাদ থেকে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে গতিশীল করার ক্ষেত্রে অনেক বেশী কার্যকর ভূমিকা পালন করে থাকে।
আমরা জানি যা গতিশীল, তা-ই যুগের সাথে সঙ্গতি রেখে চলতে পারে এবং যা যুগোপযোগী তা-ই আধুনিক। অতএব ইসলামী শরীয়াহ্ও আধুনিক। ইসলামী শরীয়াহ্ আধুনিক সমাজের সর্বস্তরের লোকদের ন্যায্য অধিকার যেমন সফলভাবে প্রতিষ্ঠা করেছে, তেমনি মৌলিক মূল্যবোধ ঠিক রেখে যুগের চাহিদা ও দাবীর সাথেও সঙ্গতি বিধান করেছে। যে কোন নতুন কিছু যদি ভাল ও মানুষের জন্য কল্যাণকর হয়, শরীয়াহ্ তাকে গ্রহণ করেছে। আধুনিকতা বলতে যদি ঈমান ও মূল্যবোধ ঠিক রেখে যুগোপযোগিতা বুঝায়, যদি অন্যায়-অশ্লীলতা ও বেহায়পনা আধুনিকতার সংজ্ঞায় না পড়ে, তাহলে ইসলামী শরীয়াহ্ চির-আধুনিক।
রিডিং সেটিংস
Bangla
System
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন