HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

আল-কুরআন ইসলামী শরীয়াহ্-এর অন্যতম উৎস

লেখকঃ ড. মোহাম্মদ মানজুরে ইলাহী

কতিপয় সংশয়ের অপনোদন
খুবই সাম্প্রতিককালে পাশ্চাত্যের ইসলাম বিদ্বেষী মহল এবং তাদের তল্পীবাহক কিছূ বুদ্ধিজীবি মুসলিমদেরকে Confused করার জন্য ইসলামী শরীয়াহ্ ও কুরআনের মধ্যে পার্থক্য আবিষ্কার করেছেন এবং এ ব্যাপারে তারা পত্র-পত্রিকায় ও ইন্টারনেটে লেখালেখি করছেন। তাদের যুক্তিগুলো খুবই অপরিপক্ক। এগুলোকে যুক্তি না বলে সংশয় বলাই ভালো। কেউ যাতে এসব সংশয় দ্বারা প্রভাবিত না হন সেজন্য প্রধান কয়েকটি উল্লেখ করে সেগুলোর সন্তেষজনক উত্তর দেবার চেষ্টা করছি।

বলা হয়েছে, ‘রাসূল সা. এর যুগে এবং ইসলামের প্রাথমিক যুগে শরীয়াহ্ আইন বলে কিছু ছিল না। কেননা শরীয়া আইন প্রবর্তন করেছেন ফকীহগণ’। উত্তরে বলব, এ প্রবন্ধের শুরুতে আমরা সূরা আল-জাসিয়াহ এর ১৮ নং আয়াতে লক্ষ্য করেছি মহান আল্লাহ সুবহানাহু ‘শরীয়াহ্’ অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছেন। এ আয়াতটি রাসূল সা. এর উপর অবতীর্ণ হয়েছে এবং আয়াতের নির্দেশ তাঁকে ও তাঁর সাহাবাগণকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। অতএব ‘ফকীহগণ শরীয়া আইন প্রবর্তন করেছেন’ - কথাটি মোটেই শুদ্ধ নয়। কেননা আয়াতটিতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, শরীয়াহ আইন প্রবর্তন করেছেন স্বয়ং আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা।

তারা দাবী করেছেন যে, ‘শরীয়াহ্ আইনের অনেক কিছু জাল হাদীসের উপর ভিত্তি করে রচিত হয়েছে’। আমরা বলব, শরীয়াহ্ আইন প্রণয়ন সম্পর্কে নিতান্ত অজ্ঞ লোকেরাই এ দাবী করতে পারেন। জাল হাদীস সর্বযুগে সকল আলেম, মুহাদ্দিস ও এমন কি সাধারণ মুসলিমদের কাছেও সর্বাঙ্গীনভাবে পরিত্যাজ্য। তাছাড়া শরীয়াহ্ আইন যদি জাল হাদীস তৈরীর যুগে রচিত হত তাহলে এমন প্রশ্নের উদ্রেক হওয়া অসম্ভব ছিল না। একটু আগেই বলা হয়েছে, শরীয়াহ্ প্রণীত হয়েছে রাসূল সা. এর যুগে এবং প্রণেতা স্বয়ং আল্লাহ সুবহানহু।

তারা আরো বলেছেন, ইসলাম ধর্মের বিশ্বাস অপরিবর্তনীয়, যা কুরআন দ্বারা প্রমাণিত। কিন্তু দেখা যায় শরীয়াহ্ আইনের অনেক বিধান কখনো পাল্টে যায়।

এর উত্তরে বলব, শরীয়াহ্ ও ইসলামের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। ইসলামী শরীয়াহ্ এর অনেক বিধান অপরিবর্তনীয় এবং কিছু বিধান স্থান-কাল-পাত্র ভেদে পরিবর্তিত হতে পারে- তা ইতোপূর্বে বলা হয়েছে। অতএব এ যুক্তি দাঁড় করিয়ে শরীয়াহ্, কুরআন ও ইসলামের মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ করা বড় ধরনের অজ্ঞতা কিংবা নিতান্তই গোঁড়ামী।

আরেকটি সংশয় হল, শরীয়াহ্-এর বিধান ইজমা’ ও কিয়াস এবং অন্যন্য আনুসাঙ্গিক উৎস দ্বারাও সাব্যস্ত হয়ে থাকে। ফলে সে সব বিধানকে কুরআনের বিধান বলা যাবে না।

এর উত্তর হল, ইজমা’ ও কিয়াস এবং অন্যান্য আনুসাঙ্গিক উৎস স্বয়ংসম্পূর্ণ কোনো দলীল নয়। বরং কুরআনই এগুলোকে দলীল হিসেবে অনুমোদন দিয়েছে। অতএব ইজমা’ ও কিয়াসের দ্বারা সাব্যস্তকৃত বিধান কুরআনের বিধান বলেই গণ্য হবে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন