HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

আক্বীদা ও আমলের সংস্কার

লেখকঃ কামাল উদ্দিন মোল্লা

কোনো ইমাম ইচ্ছাকৃতভাবে রাসূলের সুন্নাতের খেলাফ করেন নি:
স্মরণযোগ্য যে, সর্বজনস্বীকৃত কোনো ইমাম রাসূলের সুন্নতের -তা ছোট হোক বা বড় হোক- বিপরীত আমল করেন নি। কারণ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী ছাড়া অন্য যে কোনো লোকের বাণী গ্রহণও করা যেতে পারে আবার প্রত্যাখ্যানও করা যেতে পারে। অর্থাৎ যদি তাদের কথা শুদ্ধ হয়, তবে তা গৃহীত হবে আর যদি ভুল হয় তবে তা প্রত্যাখ্যাত হবে। কখনও উম্মতের আলেমগণের কোনো মত হাদীসের বিপরীত দেখা গেলে সেখানে তাঁর দ্বারা সে হাদীসের ওপর আমল না করার কোনো না কোনো কারণ থাকতে হবে। এ ধরণের কারণ তিন প্রকার:

প্রথমত: এ হাদীসটি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বলে বিশ্বাস না করা।

দ্বিতীয়ত: এ হাদীস দ্বারা উক্ত মাস’আলা প্রতিষ্ঠা উদ্দেশ্য বলে মনে না করা।

তৃতীয়ত: এ হাদীস মনসুখ বা রহিত হয়ে গেছে বলে দৃঢ় বিশ্বাস করা।

প্রথম কারণ: হয়ত হাদীসটি তার নিকট পৌঁছেনি। আর যার নিকট হাদীস পৌছেনি, উক্ত হাদীসের বিষয়বস্তু সম্পর্কেও জ্ঞাত হওয়া তার পক্ষে সম্ভব হয় নি। তার নিকট ঐ হাদীস না পৌঁছার কারণে কোনো বিষয়ে স্পষ্ট আয়াত কিংবা অন্য হাদীস অথবা কিয়াসের নিয়ম বা ইসতেসহাবের দ্বারা তিনি রায় প্রদান করলে, তা কখনও ঐ হাদীসের অনুকূলে হয় আবার কখনও তার প্রতিকূলে হয়। সালাফে সালেহীনের কোনো কোনো মত হাদীসের বিপরীত হওয়ার জন্য উপরোক্ত কারণটি সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য।

উম্মতের কোনো এক ব্যক্তির পক্ষে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সমস্ত হাদীস পূর্ণরূপে আয়ত্ত করা সম্ভব নয়। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কোনো হাদীস বর্ণনা করতেন, বিচার করতেন, কোনো বিষয়ে ফতোয়া দিতেন অথবা কোনো কাজ করতেন, তখন উপস্থিত লোকগণ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী শ্রবণ করতেন কিংবা অবলোকন করতেন। অতঃপর উপস্থিত ব্যক্তিবর্গের প্রত্যেকেই কিংবা কেউ কেউ শ্রুত বা পরিদৃষ্ট হাদীসটি অপরের নিকট পৌঁছাতেন। তারপর উক্ত হাদীসটি বিজ্ঞ সাহাবা, তাবেয়ীন ও তাদের পরবর্তীগণের মধ্যে যাদের কাছে আল্লাহ তা‘আলা ইচ্ছা করতেন তাদের কাছে পৌঁছাতেন।

এরপর অন্য একটি মজলিসে হাদীস বর্ণিত হতো, সিদ্ধান্ত হতো, বিচার করা হতো অথবা কোনো কাজ করা হতো। যারা পূর্বের মজলিসে অনুপস্থিত ছিলেন, তাদের কেউ কেউ পরবর্তী মজলিসে উপস্থিত থাকতেন। যাদের পক্ষে সম্ভব হতো তারা শ্রুত হাদীসটি প্রচার করতেন। অতএব, পূর্বের মজলিসে উপস্থিত লোকদের যে জ্ঞান লাভ হয়েছে, তা পরবর্তী মজলিসে উপস্থিত লোকদের হয় নি। আবার পরবর্তী মজলিসের লোকদের যে জ্ঞান লাভ হয়েছে তা পূর্ববর্তী লোকদের হয় নি। বিজ্ঞ সাহাবাগণের মর্যাদার তারতম্য তাদের পরবর্তীগণের পরস্পরের প্রাধান্য নির্ভর করে তাদের জ্ঞানের গভীরতা, ব্যাপকতা ও উৎকর্ষের উপর। একজনের পক্ষে রাসূলের সকল হাদীস আয়ত্ব করা সম্ভব -এরূপ দাবী করা বাতুলতা মাত্র। এ ব্যাপারে খোলাফায়ে রাশেদীন আদর্শের প্রতীক। কেননা তারা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কথা-বার্তা, নিয়ম-পদ্ধতি, চলা-ফেরা ইত্যাদি অবস্থা সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি জ্ঞাত। বিশেষত আবু বকর সিদ্দীক রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু দেশে বিদেশে কখনও রাসূলের সঙ্গ ত্যাগ করেন নি; বরং সব সময় রাসূলের সঙ্গে থাকতেন। এমনকি মুসলিম জাতির প্রয়োজনে রাসূলের নিকট তিনি বিনিদ্র রাত্রি যাপন করতেন। উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুও ছিলেন অনুরূপ। কারণ, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রায় বলতেন:

«دَخَلْتُ أنَا وَأبُوْبَكْرٍ وَعُمَرُ وَخَرَجْتُ أنَا وَأبُوْبَكْرٍ وَعُمَرُ» . رواه البخاري

“আমি এবং আবু বকর ও উমার প্রবেশ করেছি এবং আমি এবং আবু বকর ও উমার বের হয়েছি। (সহীহ বুখারী)

(কয়েকজন বিখ্যাত ব্যক্তি, যারা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জ্ঞানী হওয়ার পরও সব জানতেন না, সব জানার দাবী করতেন না এবং সহীহ হাদীস জানার পর তাদের নিজস্ব মত ত্যাগ করে হাদীসের অনুসরণ করেছেন।)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন