মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
“নাকি তারা আল্লাহর জন্য এমন কতগুলো শরীক নির্ধারণ করেছে, যেগুলো তাঁর সৃষ্টির তুল্য কিছু সৃষ্টি করেছে, ফলে তাদের নিকট সৃষ্টির বিষয়টি একরকম মনে হয়েছে’? বল, ‘আল্লাহই সবকিছুর সৃষ্টিকর্তা এবং তিনি এক, পরাক্রমশালী।” [সূরা আর-রা‘দ, আয়াত: ১৬]
“আল্লাহ ছাড়া আর কোনো স্রষ্টা আছে কি, যে তোমাদেরকে আসমান ও যমীন থেকে রিযিক দিবে? তিনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই। অতএব তোমাদেরকে কোথায় ফিরানো হচ্ছে?” [সূরা ফাতির, আয়াত: ৩]
“তারপর আমি তোমাকে দীনের এক বিশেষ বিধানের উপর প্রতিষ্ঠিত করেছি। সুতরাং তুমি তার অনুসরণ কর এবং যারা জানে না তাদের খেয়াল-খুশীর অনুসরণ করো না।” [সূরা আল-জাছিয়া, আয়াত: ১৮]
অথচ মুশরিকরা দাবী করে, বিধান প্রদানে আল্লাহর অনেক শরীক রয়েছে।
“তাদের কি এমন শরীক দেবতা আছে, যারা তাদের জন্যে সে বিধি-বিধান প্রবর্তন করেছে, যার অনুমতি আল্লাহ দেননি ? যদি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না থাকত, তবে তাদের ব্যাপারে ফয়সালা হয়ে যেত। নিশ্চয় যালিমদের জন্যে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।” [সূরা আশ-শূরা, আয়াত: ২১]
আদেশ-নিষেধ প্রদানেও আল্লাহ একক, তাঁর কোনো শরীক নেই।
“জেনে রাখ, সৃষ্টি ও নির্দেশ তাঁরই, সৃষ্টিকুলের রব আল্লাহ কতই না বরকতময়!” [সূরা আল-আ‘রাফ, আয়াত: ৫৪]
তিনি বিধান প্রদানেও একক; জনগণ (যা গণতন্ত্রের কথা), গোত্র (যা রাজতন্ত্রের কথা) বা ব্যক্তি (যা একনায়কতন্ত্রের কথা)- কোনো কিছুই বিধান প্রদানে কিংবা আইন প্রণয়নে তাঁর সাথে শরীক নয়।
“তারা কি তবে জাহেলিয়্যাতের (গোত্রভিত্তিক বা বংশানুক্রমিক) বিধান চায়? আর নিশ্চিত বিশ্বাসী কওমের জন্য বিধান প্রদানে আল্লাহর চেয়ে কে অধিক উত্তম?” [সূরা আল-মায়েদাহ, আয়াত ৫০}
দুঃখজনক হলেও সত্য, কতিপয় মুসলিম ভাই গণতন্ত্র ও রাজতন্ত্রকে ইসলামের সঙ্গে বিধান প্রদানে অংশীদার সাব্যস্ত করে নিয়েছে। তারা আল্লাহর সঙ্গে জনগণ ও গোত্রকেও বিধান প্রণেতা স্থির করেন।
তাদের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“তুমি কি তাদেরকে দেখ নি, যারা দাবী করে যে, নিশ্চয় তারা ঈমান এনেছে তার উপর, যা নাযিল করা হয়েছে তোমার প্রতি এবং যা নাযিল করা হয়েছে তোমার পূর্বে। তারা তাগূতের কাছে বিচার নিয়ে যেতে চায় অথচ তাদেরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাকে অস্বীকার করতে। আর শয়তান চায় তাদেরকে ঘোর বিভ্রান্তিতে বিভ্রান্ত করতে।” [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ৬০]
আল্লাহ বরং মুসলিমদের নির্দেশ দিয়েছেন তাঁর নাযিল করা বিধান তথা কুরআন দিয়ে বিচারকার্য পরিচালনা করতে।
“আর তাদের মধ্যে তার মাধ্যমে ফয়সালা কর, যা আল্লাহ নাযিল করেছেন এবং তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ করো না। আর তাদের থেকে সতর্ক থাক যে, আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তার কিছু থেকে তারা তোমাকে বিচ্যুত করবে। অতঃপর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তাহলে জেনে রাখ যে, আল্লাহ তো কেবল তাদেরকে তাদের কিছু পাপের কারণেই আযাব দিতে চান। আর মানুষের অনেকেই ফাসিক।” [সূরা আল-মায়েদাহ, আয়াত: ৪৯]
তিনি নির্দেশ দিয়েছেন কেবল তাঁর কাছেই বিচার প্রার্থনা করতে।
“অতঃপর কোনো বিষয়ে যদি তোমরা মতবিরোধ কর তাহলে তা আল্লাহ ও রাসূলের দিকে প্রত্যার্পণ কর- যদি তোমরা আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান রাখ। এটি উত্তম এবং পরিণামে উৎকৃষ্টতর।” [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ৫৯]
হালাল ও হারাম করার ক্ষেত্রে তিনি আল্লাহ্ একক, এতেও তাঁর কোনো শরীক নেই।
“আর তোমাদের জিহ্বা দ্বারা বানানো মিথ্যার ওপর নির্ভর করে বলো না যে, এটা হালাল এবং এটা হারাম, আল্লাহর উপর মিথ্যা রটানোর জন্য। নিশ্চয় যারা আল্লাহর উপর মিথ্যা রটায়, তারা সফল হবে না।” [সূরা আন-নাহল, আয়াত: ১১৬]
অথচ মুশরিকরা হালাল-হারামকরণে আল্লাহর সঙ্গে শরীক রয়েছে বলে দাবী করে। তাদের এ দাবী নাকচ করে দিয়ে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“বল, ‘তোমরা কি ভেবে দেখেছ, আল্লাহ তোমাদের জন্য যে রিযিক নাযিল করেছেন, অতঃপর তোমরা তার কিছু করে নিয়েছ হারাম ও হালাল’। বল ‘আল্লাহ কি তোমাদেরকে অনুমতি দিয়েছেন, নাকি আল্লাহর উপর তোমরা মিথ্যা রটাচ্ছ?” [সূরা ইউনূস, আয়াত: ৫৯]
উলুহিয়্যাত তথা ইবাদতের ক্ষেত্রেও আল্লাহ এক, অদ্বিতীয়, তাঁর কোনো শরীক নেই।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿إِنَّمَا ٱللَّهُ إِلَٰهٞ وَٰحِدٞۖ﴾ [ النساء : ١٧١ ]
“আল্লাহই কেবল এক ইলাহ।” [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ১৭১]
সুতরাং ইবাদতের ক্ষেত্রে তিনি অদ্বিতীয়, তাঁর কোনো শরীক নেই। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“অবশ্যই তারা কুফরী করেছে, যারা বলে, ‘নিশ্চয় আল্লাহ তিন জনের তৃতীয়জন’। যদিও এক ইলাহ ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই। আর যদি তারা যা বলছে, তা থেকে বিরত না হয়, তবে অবশ্যই তাদের মধ্য থেকে কাফিরদেরকে যন্ত্রণাদায়ক আযাব স্পর্শ করবে।” [সূরা আল-মায়েদাহ, আয়াত: ৭৩]
মূর্তিপূজারীরা দাবী করে, ইলাহ বা উপাস্য অসংখ্য। যাকে ইচ্ছে তার ইবাদত-অর্চনা করা যাবে। এমনকি কুরআনে যেমন বর্ণিত হয়েছে তারা এমনও বলে,
“বল, ‘তাঁর সাথে যদি আরো উপাস্য থাকত, যেমন তারা বলে, তবে তারা আরশের অধিপতি পর্যন্ত পৌঁছার পথ তালাশ করত’। তিনি পবিত্র মহান এবং তারা যা বলে তা থেকে তিনি অনেক ঊর্ধ্বে।” [সূরা বনী ইসরাঈল, আয়াত: ৪২-৪৩]
আর যে ব্যক্তি কুরআন পড়বে, সে নাম ও গুণাবলিতে আল্লাহর একত্ব সম্পর্কে জানতে পারবে। নাম ও গুণাবলিতে আল্লাহ অদ্বিতীয়।
“কোন কিছুই তাঁর অনুরূপ নয়। তিনি সর্বশ্রোতা সর্বদ্রষ্টা।” [সূরা আশ-শূরা, আয়াত: ১১]
﴿هَلۡ تَعۡلَمُ لَهُۥ سَمِيّٗا ٦٥﴾ [ مريم : ٦٥ ]
“তুমি কি তাঁর সমতুল্য কাউকে জান?” [সূরা মারইয়াম, আয়াত: ৬৫]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/46/10
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।