hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তোমার রব কে

লেখকঃ মুহাম্মাদ ইবন আহমদ ইবন মুহাম্মদ আল-আম্মারী

১০
সপ্তমত: যে কেউ আল্লাহর কিতাব কুরআন পড়বে, সে তাতে আল্লাহর একত্ববাদ জানতে পারবে।
আল্লাহলা তা‘আলা বলেন,

﴿قُلۡ هُوَ ٱللَّهُ أَحَدٌ ١﴾ [ الاخلاص : ١ ]

“বলুন, তিনিই আল্লাহ, এক-অদ্বিতীয়।” [সূরা আল-ইখলাস, আয়াত: ১]

কেউ কুরআন পড়লে রুবুবিয়্যাতের ক্ষেত্রে আল্লাহর একত্ববাদ সম্পর্কে জানতে পারবে।

সুতরাং রুবুবিয়্যাতের ক্ষেত্র আল্লাহ এক, তাতে তাঁর কোনো শরীক নেই।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿ قُلۡ أَغَيۡرَ ٱللَّهِ أَبۡغِي رَبّٗا وَهُوَ رَبُّ كُلِّ شَيۡءٖۚ ﴾ [ الانعام : ١٦٤ ]

“বল, ‘আমি কি আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো রব অনুসন্ধান করব’ অথচ তিনি সব কিছুর রব?” [সূরা আল-আন‘আম, আয়াত: ১৬৪]

রাজত্বের ক্ষেত্রে তিনি একক, তাঁর কোনো শরীক নেই।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَلَمۡ يَكُن لَّهُۥ شَرِيكٞ فِي ٱلۡمُلۡكِ﴾ [ الاسراء : ١١١ ]

“আর রাজত্বে তাঁর কোনো শরীক নেই।” [সূরা আল-ইসরা, আয়াত: ১১১]

আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন,

﴿وَمَا لَهُمۡ فِيهِمَا مِن شِرۡكٖ﴾ [ سبا : ٢٢ ]

“আর (আসমানসমূহ ও যমীন) এ দুয়ের (রাজত্বের) মধ্যে (আল্লাহ ব্যতীত অন্যান্য যাদের উপাসনা করা হয়) তাদের কোনো অংশীদারিত্বও নেই।” [সূরা সাবা, আয়াত: ২২]

মুশরিকরা মনে করে আল্লাহর রাজত্বে অংশীদার রয়েছে। আল্লাহ তাদের ধারণার অপনোদন করে বলেন,

﴿قُلِ ٱدۡعُواْ ٱلَّذِينَ زَعَمۡتُم مِّن دُونِ ٱللَّهِ لَا يَمۡلِكُونَ مِثۡقَالَ ذَرَّةٖ﴾ [ سبا : ٢٢ ]

“বল, ‘তোমরা আল্লাহ ছাড়া যাদেরকে ইলাহ মনে করতে তাদেরকে আহ্বান কর। তারা আসমানসমূহ ও যমীনে অণু পরিমাণ কোনো কিছুর মালিক নয়।” [সূরা সাবা, আয়াত: ২২]

আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন,

﴿ذَٰلِكُمُ ٱللَّهُ رَبُّكُمۡ لَهُ ٱلۡمُلۡكُۚ وَٱلَّذِينَ تَدۡعُونَ مِن دُونِهِۦ مَا يَمۡلِكُونَ مِن قِطۡمِيرٍ ١٣﴾ [ فاطر : ١٣ ]

“তিনি আল্লাহ, তোমাদের রব; সমস্ত কর্তৃত্ব তাঁরই, আর আল্লাহকে ছাড়া যাদেরকে তোমরা ডাকো তারা খেজুরের আঁটির আবরণেরও মালিক নয়।” [সূরা ফাতির, আয়াত: ১৩]

সৃষ্টি সৃজনে তিনি একক, তার কোনো অংশীদার নেই।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿ٱللَّهُ خَٰلِقُ كُلِّ شَيۡءٖۖ﴾ [ الزمر : ٦٢ ]

“আল্লাহ সব কিছুর স্রষ্টা।” [সূরা আয-যুমার, আয়াত: ৬২]

অথচ মুশরিক-পৌত্তলিকরা আল্লাহর সৃষ্টিতে শরীক রয়েছে বলে দাবি করে।

তাদের বক্তব্য অবাস্তব জানিয়ে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿أَمۡ جَعَلُواْ لِلَّهِ شُرَكَآءَ خَلَقُواْ كَخَلۡقِهِۦ فَتَشَٰبَهَ ٱلۡخَلۡقُ عَلَيۡهِمۡۚ قُلِ ٱللَّهُ خَٰلِقُ كُلِّ شَيۡءٖ وَهُوَ ٱلۡوَٰحِدُ ٱلۡقَهَّٰرُ ١٦﴾ [ الرعد : ١٦ ]

“নাকি তারা আল্লাহর জন্য এমন কতগুলো শরীক নির্ধারণ করেছে, যেগুলো তাঁর সৃষ্টির তুল্য কিছু সৃষ্টি করেছে, ফলে তাদের নিকট সৃষ্টির বিষয়টি একরকম মনে হয়েছে’? বল, ‘আল্লাহই সবকিছুর সৃষ্টিকর্তা এবং তিনি এক, পরাক্রমশালী।” [সূরা আর-রা‘দ, আয়াত: ১৬]

আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন,

﴿هَلۡ مِنۡ خَٰلِقٍ غَيۡرُ ٱللَّهِ يَرۡزُقُكُم مِّنَ ٱلسَّمَآءِ وَٱلۡأَرۡضِۚ لَآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَۖ فَأَنَّىٰ تُؤۡفَكُونَ ٣﴾ [ فاطر : ٣ ]

“আল্লাহ ছাড়া আর কোনো স্রষ্টা আছে কি, যে তোমাদেরকে আসমান ও যমীন থেকে রিযিক দিবে? তিনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই। অতএব তোমাদেরকে কোথায় ফিরানো হচ্ছে?” [সূরা ফাতির, আয়াত: ৩]

বিধি-বিধান প্রদানে তিনি একক, তাঁর কোনো শরীক নেই।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿ثُمَّ جَعَلۡنَٰكَ عَلَىٰ شَرِيعَةٖ مِّنَ ٱلۡأَمۡرِ فَٱتَّبِعۡهَا وَلَا تَتَّبِعۡ أَهۡوَآءَ ٱلَّذِينَ لَا يَعۡلَمُونَ ١٨﴾ [ الجاثية : ١٨ ]

“তারপর আমি তোমাকে দীনের এক বিশেষ বিধানের উপর প্রতিষ্ঠিত করেছি। সুতরাং তুমি তার অনুসরণ কর এবং যারা জানে না তাদের খেয়াল-খুশীর অনুসরণ করো না।” [সূরা আল-জাছিয়া, আয়াত: ১৮]

অথচ মুশরিকরা দাবী করে, বিধান প্রদানে আল্লাহর অনেক শরীক রয়েছে।

তাদের এ দাবী প্রত্যাখ্যান করে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿أَمۡ لَهُمۡ شُرَكَٰٓؤُاْ شَرَعُواْ لَهُم مِّنَ ٱلدِّينِ مَا لَمۡ يَأۡذَنۢ بِهِ ٱللَّهُۚ وَلَوۡلَا كَلِمَةُ ٱلۡفَصۡلِ لَقُضِيَ بَيۡنَهُمۡۗ وَإِنَّ ٱلظَّٰلِمِينَ لَهُمۡ عَذَابٌ أَلِيمٞ ٢١﴾ [ الشورى : ٢١ ]

“তাদের কি এমন শরীক দেবতা আছে, যারা তাদের জন্যে সে বিধি-বিধান প্রবর্তন করেছে, যার অনুমতি আল্লাহ দেননি ? যদি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না থাকত, তবে তাদের ব্যাপারে ফয়সালা হয়ে যেত। নিশ্চয় যালিমদের জন্যে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।” [সূরা আশ-শূরা, আয়াত: ২১]

আদেশ-নিষেধ প্রদানেও আল্লাহ একক, তাঁর কোনো শরীক নেই।

আল্লাহ বলেন,

﴿أَلَا لَهُ ٱلۡخَلۡقُ وَٱلۡأَمۡرُۗ تَبَارَكَ ٱللَّهُ رَبُّ ٱلۡعَٰلَمِينَ ٥٤﴾ [ الاعراف : ٥٤ ]

“জেনে রাখ, সৃষ্টি ও নির্দেশ তাঁরই, সৃষ্টিকুলের রব আল্লাহ কতই না বরকতময়!” [সূরা আল-আ‘রাফ, আয়াত: ৫৪]

তিনি বিধান প্রদানেও একক; জনগণ (যা গণতন্ত্রের কথা), গোত্র (যা রাজতন্ত্রের কথা) বা ব্যক্তি (যা একনায়কতন্ত্রের কথা)- কোনো কিছুই বিধান প্রদানে কিংবা আইন প্রণয়নে তাঁর সাথে শরীক নয়।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿أَفَغَيۡرَ ٱللَّهِ أَبۡتَغِي حَكَمٗا وَهُوَ ٱلَّذِيٓ أَنزَلَ إِلَيۡكُمُ ٱلۡكِتَٰبَ مُفَصَّلٗا﴾ [ الانعام : ١١٤ ]

“আমি কি আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে বিচারক হিসেবে তালাশ করব? অথচ তিনিই তোমাদের নিকট বিস্তারিত কিতাব নাযিল করেছেন।” [সূরা আল-আন‘আম, আয়াত: ১১৪]

অথচ গণতন্ত্রীরা দাবী করে, আল্লাহ নন, জনগণই বিধান প্রণেতা।

এমন দাবী প্রত্যাখ্যান করে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿إِنِ ٱلۡحُكۡمُ إِلَّا لِلَّهِۖ﴾ [ الانعام : ٥٧ ]

“বিধান দেওয়ার মালিক তো কেবল আল্লাহ।” [সূরা আল-আন‘আম, আয়াত: ৫৭]

আর গোত্রবাদী বা রাজতন্ত্রীরা দাবী করে, আল্লাহ নন রাজা কিংবা গোত্র প্রধানই বিধানদাতা ও আইন প্রণেতা।

তাদের দাবী প্রত্যাখ্যান করে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿أَفَحُكۡمَ ٱلۡجَٰهِلِيَّةِ يَبۡغُونَۚ وَمَنۡ أَحۡسَنُ مِنَ ٱللَّهِ حُكۡمٗا لِّقَوۡمٖ يُوقِنُونَ ٥٠﴾ [ المائ‍دة : ٥٠ ]

“তারা কি তবে জাহেলিয়্যাতের (গোত্রভিত্তিক বা বংশানুক্রমিক) বিধান চায়? আর নিশ্চিত বিশ্বাসী কওমের জন্য বিধান প্রদানে আল্লাহর চেয়ে কে অধিক উত্তম?” [সূরা আল-মায়েদাহ, আয়াত ৫০}

দুঃখজনক হলেও সত্য, কতিপয় মুসলিম ভাই গণতন্ত্র ও রাজতন্ত্রকে ইসলামের সঙ্গে বিধান প্রদানে অংশীদার সাব্যস্ত করে নিয়েছে। তারা আল্লাহর সঙ্গে জনগণ ও গোত্রকেও বিধান প্রণেতা স্থির করেন।

তাদের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَلَا يُشۡرِكُ فِي حُكۡمِهِۦٓ أَحَدٗا ٢٦﴾ [ الكهف : ٢٦ ]

“তাঁর সিদ্ধান্তে তিনি কাউকে শরীক করেন না।” [সূরা আল-কাহাফ, আয়াত: ২৬]

আবার কোনো কোনো তথাকথিত জ্ঞানপাপী মনে করে যে, আল্লাহর কুরআন বাদ দিয়ে অন্য কোনো কিছু দিয়ে বিচার করা বৈধ।

তাদের চিন্তা প্রত্যাখ্যান করে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿أَلَمۡ تَرَ إِلَى ٱلَّذِينَ يَزۡعُمُونَ أَنَّهُمۡ ءَامَنُواْ بِمَآ أُنزِلَ إِلَيۡكَ وَمَآ أُنزِلَ مِن قَبۡلِكَ يُرِيدُونَ أَن يَتَحَاكَمُوٓاْ إِلَى ٱلطَّٰغُوتِ وَقَدۡ أُمِرُوٓاْ أَن يَكۡفُرُواْ بِهِۦۖ وَيُرِيدُ ٱلشَّيۡطَٰنُ أَن يُضِلَّهُمۡ ضَلَٰلَۢا بَعِيدٗا ٦٠﴾ [ النساء : ٦٠ ]

“তুমি কি তাদেরকে দেখ নি, যারা দাবী করে যে, নিশ্চয় তারা ঈমান এনেছে তার উপর, যা নাযিল করা হয়েছে তোমার প্রতি এবং যা নাযিল করা হয়েছে তোমার পূর্বে। তারা তাগূতের কাছে বিচার নিয়ে যেতে চায় অথচ তাদেরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাকে অস্বীকার করতে। আর শয়তান চায় তাদেরকে ঘোর বিভ্রান্তিতে বিভ্রান্ত করতে।” [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ৬০]

আল্লাহ বরং মুসলিমদের নির্দেশ দিয়েছেন তাঁর নাযিল করা বিধান তথা কুরআন দিয়ে বিচারকার্য পরিচালনা করতে।

আল্লাহ বলেন,

﴿وَأَنِ ٱحۡكُم بَيۡنَهُم بِمَآ أَنزَلَ ٱللَّهُ وَلَا تَتَّبِعۡ أَهۡوَآءَهُمۡ وَٱحۡذَرۡهُمۡ أَن يَفۡتِنُوكَ عَنۢ بَعۡضِ مَآ أَنزَلَ ٱللَّهُ إِلَيۡكَۖ فَإِن تَوَلَّوۡاْ فَٱعۡلَمۡ أَنَّمَا يُرِيدُ ٱللَّهُ أَن يُصِيبَهُم بِبَعۡضِ ذُنُوبِهِمۡۗ وَإِنَّ كَثِيرٗا مِّنَ ٱلنَّاسِ لَفَٰسِقُونَ ٤٩﴾ [ المائ‍دة : ٤٩ ]

“আর তাদের মধ্যে তার মাধ্যমে ফয়সালা কর, যা আল্লাহ নাযিল করেছেন এবং তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ করো না। আর তাদের থেকে সতর্ক থাক যে, আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তার কিছু থেকে তারা তোমাকে বিচ্যুত করবে। অতঃপর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তাহলে জেনে রাখ যে, আল্লাহ তো কেবল তাদেরকে তাদের কিছু পাপের কারণেই আযাব দিতে চান। আর মানুষের অনেকেই ফাসিক।” [সূরা আল-মায়েদাহ, আয়াত: ৪৯]

তিনি নির্দেশ দিয়েছেন কেবল তাঁর কাছেই বিচার প্রার্থনা করতে।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَمَا ٱخۡتَلَفۡتُمۡ فِيهِ مِن شَيۡءٖ فَحُكۡمُهُۥٓ إِلَى ٱللَّهِۚ﴾ [ الشورى : ١٠ ]

“তোমরা যে বিষয়েই মতভেদ কর, তার ফয়সালা আল্লাহর কাছে সোপর্দ।” [সূরা আশ-শূরা, আয়াত: ১০]

তিনি আরও বলেন,

﴿فَإِن تَنَٰزَعۡتُمۡ فِي شَيۡءٖ فَرُدُّوهُ إِلَى ٱللَّهِ وَٱلرَّسُولِ إِن كُنتُمۡ تُؤۡمِنُونَ بِٱللَّهِ وَٱلۡيَوۡمِ ٱلۡأٓخِرِۚ ذَٰلِكَ خَيۡرٞ وَأَحۡسَنُ تَأۡوِيلًا ٥٩ ﴾ [ النساء : ٥٩ ]

“অতঃপর কোনো বিষয়ে যদি তোমরা মতবিরোধ কর তাহলে তা আল্লাহ ও রাসূলের দিকে প্রত্যার্পণ কর- যদি তোমরা আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান রাখ। এটি উত্তম এবং পরিণামে উৎকৃষ্টতর।” [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ৫৯]

হালাল ও হারাম করার ক্ষেত্রে তিনি আল্লাহ্ একক, এতেও তাঁর কোনো শরীক নেই।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَلَا تَقُولُواْ لِمَا تَصِفُ أَلۡسِنَتُكُمُ ٱلۡكَذِبَ هَٰذَا حَلَٰلٞ وَهَٰذَا حَرَامٞ لِّتَفۡتَرُواْ عَلَى ٱللَّهِ ٱلۡكَذِبَۚ إِنَّ ٱلَّذِينَ يَفۡتَرُونَ عَلَى ٱللَّهِ ٱلۡكَذِبَ لَا يُفۡلِحُونَ ١١٦﴾ [ النحل : ١١٦ ]

“আর তোমাদের জিহ্বা দ্বারা বানানো মিথ্যার ওপর নির্ভর করে বলো না যে, এটা হালাল এবং এটা হারাম, আল্লাহর উপর মিথ্যা রটানোর জন্য। নিশ্চয় যারা আল্লাহর উপর মিথ্যা রটায়, তারা সফল হবে না।” [সূরা আন-নাহল, আয়াত: ১১৬]

অথচ মুশরিকরা হালাল-হারামকরণে আল্লাহর সঙ্গে শরীক রয়েছে বলে দাবী করে। তাদের এ দাবী নাকচ করে দিয়ে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿قُلۡ أَرَءَيۡتُم مَّآ أَنزَلَ ٱللَّهُ لَكُم مِّن رِّزۡقٖ فَجَعَلۡتُم مِّنۡهُ حَرَامٗا وَحَلَٰلٗا قُلۡ ءَآللَّهُ أَذِنَ لَكُمۡۖ أَمۡ عَلَى ٱللَّهِ تَفۡتَرُونَ ٥٩﴾ [ يونس : ٥٩ ]

“বল, ‘তোমরা কি ভেবে দেখেছ, আল্লাহ তোমাদের জন্য যে রিযিক নাযিল করেছেন, অতঃপর তোমরা তার কিছু করে নিয়েছ হারাম ও হালাল’। বল ‘আল্লাহ কি তোমাদেরকে অনুমতি দিয়েছেন, নাকি আল্লাহর উপর তোমরা মিথ্যা রটাচ্ছ?” [সূরা ইউনূস, আয়াত: ৫৯]

উলুহিয়্যাত তথা ইবাদতের ক্ষেত্রেও আল্লাহ এক, অদ্বিতীয়, তাঁর কোনো শরীক নেই।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿إِنَّمَا ٱللَّهُ إِلَٰهٞ وَٰحِدٞۖ﴾ [ النساء : ١٧١ ]

“আল্লাহই কেবল এক ইলাহ।” [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ১৭১]

সুতরাং ইবাদতের ক্ষেত্রে তিনি অদ্বিতীয়, তাঁর কোনো শরীক নেই। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَمَا مِنۡ إِلَٰهٍ إِلَّا ٱللَّهُ ٱلۡوَٰحِدُ ٱلۡقَهَّارُ ٦٥﴾ [ص: ٦٥ ]

“আল্লাহ ছাড়া আর কোনো (সত্য) ইলাহ নেই। যিনি এক, প্রবল প্রতাপশালী।” [সূরা সাদ, আয়াত: ৬৫]

আর মুশরিকরা দাবী করেছে, ইবাদতের যোগ্য দুই ইলাহ রয়েছে।

আল্লাহ তাদের প্রত্যাখ্যান করে বলেন,

﴿۞وَقَالَ ٱللَّهُ لَا تَتَّخِذُوٓاْ إِلَٰهَيۡنِ ٱثۡنَيۡنِۖ إِنَّمَا هُوَ إِلَٰهٞ وَٰحِدٞ فَإِيَّٰيَ فَٱرۡهَبُونِ ٥١﴾ [ النحل : ٥١ ]

“আর আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, ‘তোমরা দুই ইলাহ গ্রহণ করো না। তিনি তো কেবল এক ইলাহ। সুতরাং তোমরা আমাকেই ভয় কর।” [সূরা আন-নাহল, আয়াত: ৫১]

এদিকে খ্রিস্টানরা দাবী করে ইলাহ তিনজন: আল্লাহ এক ইলাহ, জিবরীল এক এবং ঈসা ‘আলাইহিস সালাম আরেক ইলাহ।

তাদের অসত্য আখ্যা দিয়ে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَلَا تَقُولُواْ ثَلَٰثَةٌۚ ٱنتَهُواْ خَيۡرٗا لَّكُمۡۚ إِنَّمَا ٱللَّهُ إِلَٰهٞ وَٰحِدٞۖ﴾ [ النساء : ١٧١ ]

“আর বলো না, ‘তিন’। তোমরা বিরত হও, তা তোমাদের জন্য উত্তম। আল্লাহই কেবল এক ইলাহ।” [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ১৭১]

আল্লাহ রাব্বুল ‘আলামীন আরও বলেন,

﴿لَّقَدۡ كَفَرَ ٱلَّذِينَ قَالُوٓاْ إِنَّ ٱللَّهَ ثَالِثُ ثَلَٰثَةٖۘ وَمَا مِنۡ إِلَٰهٍ إِلَّآ إِلَٰهٞ وَٰحِدٞۚ وَإِن لَّمۡ يَنتَهُواْ عَمَّا يَقُولُونَ لَيَمَسَّنَّ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ مِنۡهُمۡ عَذَابٌ أَلِيمٌ ٧٣﴾ [ المائ‍دة : ٧٣ ]

“অবশ্যই তারা কুফরী করেছে, যারা বলে, ‘নিশ্চয় আল্লাহ তিন জনের তৃতীয়জন’। যদিও এক ইলাহ ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই। আর যদি তারা যা বলছে, তা থেকে বিরত না হয়, তবে অবশ্যই তাদের মধ্য থেকে কাফিরদেরকে যন্ত্রণাদায়ক আযাব স্পর্শ করবে।” [সূরা আল-মায়েদাহ, আয়াত: ৭৩]

মূর্তিপূজারীরা দাবী করে, ইলাহ বা উপাস্য অসংখ্য। যাকে ইচ্ছে তার ইবাদত-অর্চনা করা যাবে। এমনকি কুরআনে যেমন বর্ণিত হয়েছে তারা এমনও বলে,

﴿أَجَعَلَ ٱلۡأٓلِهَةَ إِلَٰهٗا وَٰحِدًاۖ إِنَّ هَٰذَا لَشَيۡءٌ عُجَابٞ﴾ [ص: ٥ ]

“সে কি সকল উপাস্যকে এক ইলাহ বানিয়ে নিয়েছে? নিশ্চয় এ তো এক আশ্চর্য বিষয়!” [সূরা সাদ, আয়াত: ৫]

তাদের এ দাবী নাকচ করে দিয়ে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿قُل لَّوۡ كَانَ مَعَهُۥٓ ءَالِهَةٞ كَمَا يَقُولُونَ إِذٗا لَّٱبۡتَغَوۡاْ إِلَىٰ ذِي ٱلۡعَرۡشِ سَبِيلٗا ٤٢ سُبۡحَٰنَهُۥ وَتَعَٰلَىٰ عَمَّا يَقُولُونَ عُلُوّٗا كَبِيرٗا ٤٣﴾ [ الاسراء : ٤٢، ٤٣ ]

“বল, ‘তাঁর সাথে যদি আরো উপাস্য থাকত, যেমন তারা বলে, তবে তারা আরশের অধিপতি পর্যন্ত পৌঁছার পথ তালাশ করত’। তিনি পবিত্র মহান এবং তারা যা বলে তা থেকে তিনি অনেক ঊর্ধ্বে।” [সূরা বনী ইসরাঈল, আয়াত: ৪২-৪৩]

আর যে ব্যক্তি কুরআন পড়বে, সে নাম ও গুণাবলিতে আল্লাহর একত্ব সম্পর্কে জানতে পারবে। নাম ও গুণাবলিতে আল্লাহ অদ্বিতীয়।

কেউ তাঁর সঙ্গে তুলনীয় নয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿لَيۡسَ كَمِثۡلِهِۦ شَيۡءٞۖ وَهُوَ ٱلسَّمِيعُ ٱلۡبَصِيرُ ١١﴾ [ الشورى : ١١ ]

“কোন কিছুই তাঁর অনুরূপ নয়। তিনি সর্বশ্রোতা সর্বদ্রষ্টা।” [সূরা আশ-শূরা, আয়াত: ১১]

﴿هَلۡ تَعۡلَمُ لَهُۥ سَمِيّٗا ٦٥﴾ [ مريم : ٦٥ ]

“তুমি কি তাঁর সমতুল্য কাউকে জান?” [সূরা মারইয়াম, আয়াত: ৬৫]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন