hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তোমার রব কে

লেখকঃ মুহাম্মাদ ইবন আহমদ ইবন মুহাম্মদ আল-আম্মারী

তৃতীয়ত: কুরআন মাজীদ পাঠে জানতে পারবে যে, আল্লাহর অনেক সিফাত তথা গুণাবলি রয়েছে।
যে কেউ কুরআন পড়লে আল্লাহর নানা গুণ বা বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে ধারণা পাবে। যেমন সে জানতে পারবে যে আল্লাহর নফস বা আত্মা রয়েছে।

কুরআনে আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,

﴿كَتَبَ رَبُّكُمۡ عَلَىٰ نَفۡسِهِ ٱلرَّحۡمَةَ﴾ [ الانعام : ٥٤ ]

“তোমাদের রব তাঁর নিজের (আত্মার) উপর দয়া লিখে নিয়েছেন।” [সূরা আল-আন‘আম, আয়াত: ৫৪]

আবার এই কুরআনই তাকে শেখাবে যে, আল্লাহর আত্মা আর দশজন সৃষ্টির আত্মার মতো নয়। আল্লাহ তা‘আলা বলে,

﴿لَيۡسَ كَمِثۡلِهِۦ شَيۡءٞۖ وَهُوَ ٱلسَّمِيعُ ٱلۡبَصِيرُ ١١﴾ [ الشورى : ١١ ]

“কোনো কিছুই তাঁর অনুরূপ নয়। তিনি সর্বশ্রোতা-সর্বদ্রষ্টা।” [সূরা আশ-শূরা, আয়াত: ১১]

তেমনি কুরআন পড়লে জানতে পারবে যে, আল্লাহর চেহারা রয়েছে।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَيَبۡقَىٰ وَجۡهُ رَبِّكَ ذُو ٱلۡجَلَٰلِ وَٱلۡإِكۡرَامِ ٢٧﴾ [ الرحمن : ٢٧ ]

“আর থেকে যাবে শুধু মহামহিম ও মহানুভব তোমার রবের চেহারা।” [সূরা আর-রহমান, আয়াত: ২৭]

আবার এই কুরআনই তাকে শেখাবে যে আল্লাহর চেহারা আর দশজন সৃষ্টির চেহারা মতো নয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿لَيۡسَ كَمِثۡلِهِۦ شَيۡءٞۖ وَهُوَ ٱلسَّمِيعُ ٱلۡبَصِيرُ ١١﴾ [ الشورى : ١١ ]

“কোন কিছুই তাঁর অনুরূপ নয়। তিনি সর্বশ্রোতা- সর্বদ্রষ্টা।” [সূরা আশ-শূরা, আয়াত: ১১]

অনুরূপ কেউ কুরআন পড়লে তা তাকে শেখাবে যে, আল্লাহর হাত রয়েছে। যেমন, আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,

﴿وَقَالَتِ ٱلۡيَهُودُ يَدُ ٱللَّهِ مَغۡلُولَةٌۚ غُلَّتۡ أَيۡدِيهِمۡ وَلُعِنُواْ بِمَا قَالُواْۘ بَلۡ يَدَاهُ مَبۡسُوطَتَانِ يُنفِقُ كَيۡفَ يَشَآءُۚ﴾ [ المائ‍دة : ٦٤ ]

“আর ইয়াহূদীরা বলে, ‘আল্লাহর হাত বাঁধা’। তাদের হাতই বেঁধে দেওয়া হয়েছে এবং তারা যা বলেছে, তার জন্য তারা লা‘নতগ্রস্ত হয়েছে। বরং তাঁর দু’হাত প্রসারিত। যেভাবে ইচ্ছা তিনি দান করেন”। [সূরা আল-মায়েদাহ, আয়াত: ৬৪]

আবার এ কুরআন পড়লেই সে জানবে যে, তাঁর হাত আর সব সৃষ্টির হাতের মতো নয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿لَيۡسَ كَمِثۡلِهِۦ شَيۡءٞۖ وَهُوَ ٱلسَّمِيعُ ٱلۡبَصِيرُ ١١﴾ [ الشورى : ١١ ]

“কোনো কিছুই তাঁর অনুরূপ নয়। তিনি সর্বশ্রোতা- সর্বদ্রষ্টা।” [সূরা আশ-শূরা, আয়াত: ১১]

অনুরূপ যে ব্যক্তি কুরআন পড়বে সে জানতে পারবে যে, আল্লাহর শ্রবণশক্তি রয়েছে এবং তিনি বধির নন।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿قَدۡ سَمِعَ ٱللَّهُ قَوۡلَ ٱلَّتِي تُجَٰدِلُكَ فِي زَوۡجِهَا وَتَشۡتَكِيٓ إِلَى ٱللَّهِ وَٱللَّهُ يَسۡمَعُ تَحَاوُرَكُمَآۚ إِنَّ ٱللَّهَ سَمِيعُۢ بَصِيرٌ ١﴾ [ المجادلة : ١ ]

“আল্লাহ অবশ্যই সে নারীর কথা শুনেছেন যে তার স্বামীর ব্যাপারে তোমার সাথে বাদানুবাদ করছিল আর আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করছিল। আল্লাহ তোমাদের কথোপকথন শোনেন। নিশ্চয় আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।” [সূরা আল-মুজাদালা, আয়াত: ১]

আরেক আয়াতে তিনি বলেন,

﴿لَّقَدۡ سَمِعَ ٱللَّهُ قَوۡلَ ٱلَّذِينَ قَالُوٓاْ إِنَّ ٱللَّهَ فَقِيرٞ وَنَحۡنُ أَغۡنِيَآءُۘ سَنَكۡتُبُ مَا قَالُواْ﴾ [ ال عمران : ١٨١ ]

“নিশ্চয় আল্লাহ তাদের কথা শুনেছেন, যারা বলেছে, ‘নিশ্চয় আল্লাহ দরিদ্র এবং আমরা ধনী।’ অচিরেই আমি লিখে রাখব তারা যা বলেছে।” [সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ১৮১]

আল্লাহ আরও বলেন,

﴿إِنَّنِي مَعَكُمَآ أَسۡمَعُ وَأَرَىٰ ٤٦﴾ [ طه : ٤٦ ]

“আমি তো তোমাদের সাথেই আছি। আমি সবকিছু শুনি ও দেখি।” [সূরা ত্ব-হা, আয়াত: ৪৬]

আরও বলেন,

﴿إِنَّا مَعَكُم مُّسۡتَمِعُونَ ١٥﴾ [ الشعراء : ١٥ ]

“অবশ্যই আমরা আছি তোমাদের সাথে শ্রবণকারী।” [সূরা আশ-শু‘আরা, আয়াত: ১৫]

আবার এই কুরআন পড়লেই সে শিখবে যে, আল্লাহর শ্রবণশক্তি আর সব সৃষ্টির শ্রবণশক্তির মতো নয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿لَيۡسَ كَمِثۡلِهِۦ شَيۡءٞۖ وَهُوَ ٱلسَّمِيعُ ٱلۡبَصِيرُ ١١﴾ [ الشورى : ١١ ]

“কোনো কিছুই তাঁর অনুরূপ নয়। তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।” [সূরা আশ-শূরা, আয়াত: ১১]

অনুরূপভাবে যে ব্যক্তি কুরআন পড়বে তা তাকে শিখাবে যে, আল্লাহর চোখ রয়েছে, যা দিয়ে তিনি দেখেন। অতএব, তিনি অন্ধ নন।

যেমন, আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,

﴿إِنَّ ٱللَّهَ سَمِيعُۢ بَصِيرٌ ١﴾ [ المجادلة : ١ ]

“নিশ্চয় আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।” [সূরা আল-মুজাদালা, আয়াত: ১]

আল্লাহ আরও বলেন,

﴿أَلَمۡ يَعۡلَم بِأَنَّ ٱللَّهَ يَرَىٰ ١٤﴾ [ العلق : ١٤ ]

“সে কি জানে না যে, নিঃসন্দেহে আল্লাহ দেখেন?”

আরেক সূরায় তিনি বলেন,

﴿ٱلَّذِي يَرَىٰكَ حِينَ تَقُومُ ٢١٨ وَتَقَلُّبَكَ فِي ٱلسَّٰجِدِينَ ٢١٩﴾ [ الشعراء : ٢١٨، ٢١٩ ]

“যিনি তোমাকে দেখেন যখন তুমি দণ্ডায়মান হও এবং সাজদাকারীদের মধ্যে তোমার উঠাবসা।” [সূরা আশ-শু‘আরা, আয়াত: ২১৮-২১৯]

আবার এই কুরআন পড়লেই সে শিখবে যে, আল্লাহর চোখ আর সব সৃষ্টির চোখের মতো নয়।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿لَيۡسَ كَمِثۡلِهِۦ شَيۡءٞۖ وَهُوَ ٱلسَّمِيعُ ٱلۡبَصِيرُ ١١﴾ [ الشورى : ١١ ]

“কোনো কিছুই তাঁর অনুরূপ নয়। তিনি সর্বশ্রোতা সর্বদ্রষ্টা।” [সূরা আশ-শূরা, আয়াত: ১১]

আর যে কেউ কুরআন পাঠ করবে সে অবশ্যই জানতে পারবে যে, আল্লাহর বাকশক্তি রয়েছে; তিনি কথা বলেন, যা শ্রোতা শুনতেও পারে।

আল্লাহ তা‘আলা যেমন বলেছেন,

﴿وَمَا كَانَ لِبَشَرٍ أَن يُكَلِّمَهُ ٱللَّهُ إِلَّا وَحۡيًا أَوۡ مِن وَرَآيِٕ حِجَابٍ أَوۡ يُرۡسِلَ رَسُولٗا فَيُوحِيَ بِإِذۡنِهِۦ مَا يَشَآءُۚ إِنَّهُۥ عَلِيٌّ حَكِيمٞ ٥١﴾ [ الشورى : ٥١ ]

“কোনো মানুষের জন্য এমন হওয়ার নয় যে, আল্লাহ তার সাথে কথা বলবেন। কিন্তু অহীর মাধ্যমে অথবা পর্দার অন্তরাল থেকে অথবা তিনি কোনো দূত প্রেরণ করবেন, অতঃপর আল্লাহ যা চান, সে তা তাঁর অনুমতিক্রমে পৌঁছে দেবে। নিশ্চয় তিনি সর্বোচ্চ প্রজ্ঞাময়।” [সূরা আশ-শূরা, আয়াত: ৫১]

আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন,

﴿وَكَلَّمَ ٱللَّهُ مُوسَىٰ تَكۡلِيمٗا ١٦٤﴾ [ النساء : ١٦٤ ]

“আর আল্লাহ মূসার সাথে সুস্পষ্টভাবে কথা বলেছেন।” [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ১৬৪]

তিনি শব্দ উচ্চারণ করে সশব্দে কথা বলেন। অতএব, তিনি মূক নন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَلَمَّا جَآءَ مُوسَىٰ لِمِيقَٰتِنَا وَكَلَّمَهُۥ رَبُّهُۥ قَالَ رَبِّ أَرِنِيٓ أَنظُرۡ إِلَيۡكَۚ قَالَ لَن تَرَىٰنِي﴾ [ الاعراف : ١٤٣ ]

“আর যখন আমার নির্ধারিত সময়ে মূসা এসে গেল এবং তার রব তার সাথে কথা বললেন। সে বলল, ‘হে আমার রব, আপনি আমাকে দেখা দিন, আমি আপনাকে দেখব।’ তিনি বললেন, তুমি আমাকে কখনো দেখবে না।” [সূরা আল-আ‘রাফ, আয়াত: ১৪৩]

তিনি যখন চান যে বিষয়ে চান কথা বলেন। তাঁর কথার কোনো শেষ নেই। মহান আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿قُل لَّوۡ كَانَ ٱلۡبَحۡرُ مِدَادٗا لِّكَلِمَٰتِ رَبِّي لَنَفِدَ ٱلۡبَحۡرُ قَبۡلَ أَن تَنفَدَ كَلِمَٰتُ رَبِّي وَلَوۡ جِئۡنَا بِمِثۡلِهِۦ مَدَدٗا ١٠٩﴾ [ الكهف : ١٠٩ ]

“বল, ‘আমার রবের কথা লেখার জন্য সমুদ্র যদি কালি হয়ে যায় তবে সমুদ্র নিঃশেষ হয়ে যাবে আমার রবের কথা শেষ হওয়ার আগেই। যদিও এর সাহায্যার্থে অনুরূপ আরো সমুদ্র নিয়ে আসি।” [সূরা আল-কাহফ, আয়াত: ১০৯]

আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন,

﴿وَلَوۡ أَنَّمَا فِي ٱلۡأَرۡضِ مِن شَجَرَةٍ أَقۡلَٰمٞ وَٱلۡبَحۡرُ يَمُدُّهُۥ مِنۢ بَعۡدِهِۦ سَبۡعَةُ أَبۡحُرٖ مَّا نَفِدَتۡ كَلِمَٰتُ ٱللَّهِۚ﴾ [ لقمان : ٢٧ ]

“আর যমীনে যত গাছ আছে তা যদি কলম হয়, আর সমুদ্র (হয় কালি), তার সাথে কালিতে পরিণত হয় আরো সাত সমুদ্র, তবুও আল্লাহর বাণীসমূহ শেষ হবে না।” [সূরা লুকমান, আয়াত: ২৭]

অনুরূপভাবে যে ব্যক্তি কুরআন পড়বে সে অবশ্যই জানবে যে, আমাদের রব সব কিছু জানেন। তাঁর জানা সামষ্টিকভাবে এবং বিস্তারিতভাবে।

তিনি সব জানেন সামষ্টিকভাবে। যেমন, আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,

﴿وَٱتَّقُواْ ٱللَّهَ وَٱعۡلَمُوٓاْ أَنَّ ٱللَّهَ بِكُلِّ شَيۡءٍ عَلِيمٞ ٢٣١﴾ [ البقرة : ٢٣١ ]

“আর আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর এবং জেনে রাখ যে, নিশ্চয় আল্লাহ সব কিছু সম্পর্কে সুপরিজ্ঞাত।” [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ২৩১]

﴿أَنَّ ٱللَّهَ عَلَىٰ كُلِّ شَيۡءٖ قَدِيرٞ وَأَنَّ ٱللَّهَ قَدۡ أَحَاطَ بِكُلِّ شَيۡءٍ عِلۡمَۢا ١٢﴾ [ الطلاق : ١٢ ]

“আল্লাহ সর্ববিষয়ে ক্ষমতাবান এবং আল্লাহর জ্ঞানতো সব কিছুকে বেষ্টন করে আছে।” [সূরা আত-ত্বালাক, আয়াত: ১২]

আল্লাহ সব জানেন বিস্তারিতভাবে: যেমন, আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,

﴿وَعِندَهُۥ مَفَاتِحُ ٱلۡغَيۡبِ لَا يَعۡلَمُهَآ إِلَّا هُوَۚ وَيَعۡلَمُ مَا فِي ٱلۡبَرِّ وَٱلۡبَحۡرِۚ وَمَا تَسۡقُطُ مِن وَرَقَةٍ إِلَّا يَعۡلَمُهَا وَلَا حَبَّةٖ فِي ظُلُمَٰتِ ٱلۡأَرۡضِ وَلَا رَطۡبٖ وَلَا يَابِسٍ إِلَّا فِي كِتَٰبٖ مُّبِينٖ ٥٩﴾ [ الانعام : ٥٩ ]

“আর তাঁর কাছে রয়েছে গায়েবের চাবিসমূহ, তিনি ছাড়া এ বিষয়ে কেউ জানে না এবং তিনি অবগত রয়েছেন স্থলে ও সমুদ্রে যা কিছু আছে। আর কোন পাতা ঝরে না, কিন্তু তিনি তা জানেন এবং যমীনের অন্ধকারে কোন দানা পড়ে না, না কোন ভেজা এবং না কোন শুষ্ক কিছু; কিন্তু রয়েছে সুস্পষ্ট কিতাবে।” [সূরা আল-আন‘আম, আয়াত: ৫৯]

তিনি সব কিছু জানেন তা সংঘটিত হবার আগেও:

যেমন, আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَلَقَدۡ جِئۡنَٰهُم بِكِتَٰبٖ فَصَّلۡنَٰهُ عَلَىٰ عِلۡمٍ﴾ [ الاعراف : ٥٢ ]

“আর আমরা তো তাদের নিকট এমন কিতাব নিয়ে এসেছি, যা আমি জেনে-শুনে বিস্তারিত বর্ণনা করেছি। তা হিদায়াত ও রহমত স্বরূপ এমন জাতির জন্য, যারা ঈমান রাখে।” [সূরা আল-আ‘রাফ, আয়াত: ৫২]

আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন,

﴿وَلَقَدِ ٱخۡتَرۡنَٰهُمۡ عَلَىٰ عِلۡمٍ عَلَى ٱلۡعَٰلَمِينَ ٣٢﴾ [ الدخان : ٣٢ ]

“আর আমরা জ্ঞাতসারেই তাদেরকে সকল সৃষ্টির ওপর নির্বাচিত করেছিলাম।” [সূরা আদ-দুখান, আয়াত: ৩২]

আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন,

﴿أَفَرَءَيۡتَ مَنِ ٱتَّخَذَ إِلَٰهَهُۥ هَوَىٰهُ وَأَضَلَّهُ ٱللَّهُ عَلَىٰ عِلۡمٖ﴾ [ الجاثية : ٢٣ ]

“তবে তুমি কি তাকে লক্ষ্য করেছ, যে তার প্রবৃত্তিকে আপন ইলাহ বানিয়ে নিয়েছে? আল্লাহ তাকে জেনেই পথভ্রষ্ট করেছেন।” {সূরা আল-জাছিয়া, আয়াত: ২৩}

তিনি সবকিছু জানেন তা সংঘটিত হবার সময়েও:

যেমন, আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿أَلَآ إِنَّهُمۡ يَثۡنُونَ صُدُورَهُمۡ لِيَسۡتَخۡفُواْ مِنۡهُۚ أَلَا حِينَ يَسۡتَغۡشُونَ ثِيَابَهُمۡ يَعۡلَمُ مَا يُسِرُّونَ وَمَا يُعۡلِنُونَۚ إِنَّهُۥ عَلِيمُۢ بِذَاتِ ٱلصُّدُورِ٥﴾ [ هود : ٥ ]

“জেনে রাখ, নিশ্চয় তারা তাদের বুক ফিরিয়ে নেয়, যাতে তারা তার থেকে আত্মগোপন করতে পারে। জেনে রাখ, যখন তারা কাপড় আবৃত হয়, তখন তিনি জানেন যা তারা গোপন করে এবং যা তারা প্রকাশ করে। নিশ্চয় তিনি অন্তর্যামী।” [সূরা হূদ, আয়াত: ৫]

তিনি সবকিছু জানেন তা সংঘটিত হবার পরেও:

যেমন, আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ لَيَبۡلُوَنَّكُمُ ٱللَّهُ بِشَيۡءٖ مِّنَ ٱلصَّيۡدِ تَنَالُهُۥٓ أَيۡدِيكُمۡ وَرِمَاحُكُمۡ لِيَعۡلَمَ ٱللَّهُ مَن يَخَافُهُۥ بِٱلۡغَيۡبِۚ﴾ [ المائ‍دة : ٩٤ ]

“হে মুমিনগণ, অবশ্যই আল্লাহ তোমাদেরকে পরীক্ষা করবেন শিকারের এমন বস্তু দ্বারা তোমাদের হাত ও বর্শা যার নাগাল পায়, যাতে আল্লাহ জেনে নেন কে তাঁকে গায়েবের সাথে ভয় করে।” [সূরা আল-মায়েদাহ, আয়াত: ৯৪]

তিনি আরও বলেন,

﴿وَكَذَٰلِكَ جَعَلۡنَٰكُمۡ أُمَّةٗ وَسَطٗا لِّتَكُونُواْ شُهَدَآءَ عَلَى ٱلنَّاسِ وَيَكُونَ ٱلرَّسُولُ عَلَيۡكُمۡ شَهِيدٗاۗ وَمَا جَعَلۡنَا ٱلۡقِبۡلَةَ ٱلَّتِي كُنتَ عَلَيۡهَآ إِلَّا لِنَعۡلَمَ مَن يَتَّبِعُ ٱلرَّسُولَ مِمَّن يَنقَلِبُ عَلَىٰ عَقِبَيۡهِۚ وَإِن كَانَتۡ لَكَبِيرَةً إِلَّا عَلَى ٱلَّذِينَ هَدَى ٱللَّهُۗ وَمَا كَانَ ٱللَّهُ لِيُضِيعَ إِيمَٰنَكُمۡۚ إِنَّ ٱللَّهَ بِٱلنَّاسِ لَرَءُوفٞ رَّحِيمٞ ١٤٣﴾ [ البقرة : ١٤٣ ]

“আর যে কিবলার ওপর তুমি ছিলে, তাকে কেবল এ জন্যই নির্ধারণ করেছিলাম, যাতে আমি জেনে নেই যে, কে রাসূলকে অনুসরণ করে এবং কে তার পেছনে ফিরে যায়। যদিও তা অতি কঠিন (অন্যদের কাছে) তাদের ছাড়া যাদেরকে আল্লাহ হিদায়াত করেছেন এবং আল্লাহ এমন নন যে, তিনি তোমাদের ঈমানকে বিনষ্ট করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ মানুষের প্রতি অত্যন্ত স্নেহশীল, পরম দয়ালু।” [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ১৪৩]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন