hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তোমার রব কে

লেখকঃ মুহাম্মাদ ইবন আহমদ ইবন মুহাম্মদ আল-আম্মারী

দ্বিতীয়ত: যে কুরআনে মাজীদ পড়বে সে জানতে পারবে যে, আল্লাহর অনেক সুন্দর নামসমূহ রয়েছে, যার কিছু সামষ্টিকভাবে বর্ণিত হয়েছে আর কিছু বর্ণিত হয়েছে বিস্তারিত।
কুরআন পড়লে জানা যায়, আল্লাহর সু্ন্দর নামসমূহ রয়েছে,

যার কিছুর আলোচনা এসেছে মুজমাল তথা সামষ্টিকভাবে, যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,

﴿ٱللَّهُ لَآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَۖ لَهُ ٱلۡأَسۡمَآءُ ٱلۡحُسۡنَىٰ ٨﴾ [ طه : ٨ ]

“আল্লাহ, তিনি ছাড়া কোনো (সত্য) ইলাহ নেই, সুন্দর নামসমূহ তাঁরই।” [সূরা ত্বা-হা, আয়াত: ৮]

আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«إِنَّ لِلَّهِ تِسْعَةً وَتِسْعِينَ اسْمًا، مِائَةً إِلَّا وَاحِدًا، مَنْ أَحْصَاهَا دَخَلَ الْجَنَّةَ»

“নিশ্চয় আল্লাহর নিরানব্বইটি (তথা) এক বাদে একশটি নাম রয়েছে, যে এসব (যথার্থভাবে) আয়ত্ব করবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।” [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২৭৩৬।]

একই সাহাবী থেকে বর্ণিত হাদীসে মুসলিমের বর্ণনায় রয়েছে,

«إِنَّ لِلَّهِ تِسْعَةً وَتِسْعِينَ اسْمًا، مِائَةً إِلَّا وَاحِدًا، مَنْ أَحْصَاهَا دَخَلَ الْجَنَّةَ إِنَّهُ وِتْرٌ يُحِبُّ الْوِتْرَ»

“নিশ্চয় আল্লাহর নিরানব্বইটি (তথা) এক বাদে একশটি নাম রয়েছে, যে এসব (যথার্থভাবে) আয়ত্ব করবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। তিনি বেজোড়- বেজোড়ই পছন্দ করেন।” [সহীহ মুসলিম: ২৬৭৭]

কুরআন পড়লে আরও দেখতে পাবে যে, আল-কুরআনের কোথাও কোথাও সেসব নাম বিস্তারিত এসেছে।

যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,

﴿هُوَ ٱللَّهُ ٱلَّذِي لَآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَۖ عَٰلِمُ ٱلۡغَيۡبِ وَٱلشَّهَٰدَةِۖ هُوَ ٱلرَّحۡمَٰنُ ٱلرَّحِيمُ ٢٢ هُوَ ٱللَّهُ ٱلَّذِي لَآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ ٱلۡمَلِكُ ٱلۡقُدُّوسُ ٱلسَّلَٰمُ ٱلۡمُؤۡمِنُ ٱلۡمُهَيۡمِنُ ٱلۡعَزِيزُ ٱلۡجَبَّارُ ٱلۡمُتَكَبِّرُۚ سُبۡحَٰنَ ٱللَّهِ عَمَّا يُشۡرِكُونَ ٢٣ هُوَ ٱللَّهُ ٱلۡخَٰلِقُ ٱلۡبَارِئُ ٱلۡمُصَوِّرُۖ لَهُ ٱلۡأَسۡمَآءُ ٱلۡحُسۡنَىٰۚ يُسَبِّحُ لَهُۥ مَا فِي ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِۖ وَهُوَ ٱلۡعَزِيزُ ٱلۡحَكِيمُ ٢٤﴾ [ الحشر : ٢٢، ٢٤ ]

“তিনিই আল্লাহ, যিনি ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ নেই, গায়েব ও উপস্থিত উভয়ের জ্ঞানী, তিনিই পরম করুণাময়, দয়ালু। তিনিই আল্লাহ, যিনি ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ নেই, তিনিই বাদশাহ, মহাপবিত্র, ত্রুটিমুক্ত, নিরাপত্তাদানকারী, রক্ষক, মহাপরাক্রমশালী, মহাপ্রতাপশালী, অতীব মহিমান্বিত, তারা যা শরীক করে তা হতে অত্যন্ত পবিত্র-মহান। তিনিই আল্লাহ, স্রষ্টা, উদ্ভাবনকর্তা, আকৃতিদানকারী; তাঁর রয়েছে সুন্দর নামসমূহ; আসমান ও যমীনে যা আছে সবই তার মহিমা ঘোষণা করে। তিনি মহাপরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।’’ [সূরা আল-হাশর, আয়াত: ২২-২৪]

এ বিষয়ে বহু আয়াত ও হাদীস বর্ণিত হয়েছে। আল-কুরআনের প্রায় আয়াতই তো শেষ হয়েছে তিনি সর্বশ্রোতা, তিনি সর্বদ্রষ্টা, সর্বজ্ঞ, তিনি ক্ষমাশীল, দয়ালু, আর তিনি প্রবল পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময় প্রভৃতি এ জাতীয় আল্লাহর নাম বা গুণবাচক শব্দের মাধ্যমে।

কুরআন পড়ে আমরা আরও জানতে পারি যে আল্লাহর নামসমূহ জানার উদ্দেশ্য তাঁকে সেসব নামে ডাকা এবং তাঁর কাছে প্রার্থনা করা।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَلِلَّهِ ٱلۡأَسۡمَآءُ ٱلۡحُسۡنَىٰ فَٱدۡعُوهُ بِهَاۖ﴾ [ الاعراف : ١٨٠ ]

“আর আল্লাহর জন্যই রয়েছে সুন্দরতম নামসমূহ। সুতরাং তোমরা তাঁকে সেসব নামের মাধ্যমে ডাক।” [সূরা আল-আ‘রাফ, আয়াত: ১৮০]

অতএব, আমরা পাপাচার থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করতে তাঁকে গাফুর তথা ক্ষমাশীল নামে ডাকব। তাওবা করতে গিয়ে তাওয়াব তথা তাওবা কবুলকারী নামে, জ্ঞান প্রার্থনা করতে আলীম তথা মহাজ্ঞানী নামে, রিজিক প্রার্থনা করতে রাজ্জাক তথা রিজিকদাতা নামে, দান-দক্ষিণা পেতে ওয়াহহাব তথা মহাদাতা নামে আল্লাহকে ডাকব। অনুরূপ অন্যান্য নামের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।

যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করবে সে তা থেকেই জানতে পারবে যে, মুসলিমদের মধ্যে কিছু লোকের উদ্ভব হবে যারা আল্লাহর নামসমূহকে অস্বীকার করবে।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَلِلَّهِ ٱلۡأَسۡمَآءُ ٱلۡحُسۡنَىٰ فَٱدۡعُوهُ بِهَاۖ وَذَرُواْ ٱلَّذِينَ يُلۡحِدُونَ فِيٓ أَسۡمَٰٓئِهِۦۚ سَيُجۡزَوۡنَ مَا كَانُواْ يَعۡمَلُونَ ١٨﴾ [ الاعراف : ١٨٠ ]

“আর আল্লাহর জন্যই রয়েছে সুন্দরতম নামসমূহ। সুতরাং তোমরা তাঁকে সেসব নামের মাধ্যমে ডাক। আর তাদেরকে বর্জন কর যারা তাঁর নামে বিকৃতি ঘটায়। তারা যা করত অচিরেই তাদেরকে তার প্রতিফল দেওয়া হবে।” [সূরা আল-‘আরাফ, আয়াত: ১৮০]

তাই দেখা যায় মুসলিমদের মধ্য থেকে জাহামিয়্যা সম্প্রদায়ের উদ্ভব ঘটে। তারা আল্লাহর ভবিষ্যৎবাণী মতে আল্লাহর নামসমূহকে অস্বীকার করে। আল্লাহর কোনো নাম নেই বলেই তাদের দাবি।

তাদের দাবি প্রত্যাখ্যান করে আল্লাহ তা‘আলা বলে দিয়েছেন :

﴿وَلِلَّهِ ٱلۡأَسۡمَآءُ ٱلۡحُسۡنَىٰ فَٱدۡعُوهُ بِهَاۖ﴾ [ الاعراف : ١٨٠ ]

“আর আল্লাহর জন্যই রয়েছে সুন্দরতম নামসমূহ। সুতরাং তোমরা তাঁকে সেসব নামের মাধ্যমে ডাক।” [সূরা আল-‘আরাফ, আয়াত: ১৮০]

শুধু তাই নয়, আল্লাহ আমাদেরকে তাদের প্রতি ভ্রূক্ষেপ না করতেও নির্দেশ দিয়েছেন। একই আয়াতে তিনি বলেছেন,

﴿وَذَرُواْ ٱلَّذِينَ يُلۡحِدُونَ فِيٓ أَسۡمَٰٓئِهِۦۚ﴾ [ الاعراف : ١٨٠ ]

“আর তাদেরকে বর্জন কর যারা তাঁর নামে বিকৃতি ঘটায়।” [সূরা আল-‘আরাফ, আয়াত: ১৮০]

উপরন্তু তাদের সাবধান করে আল্লাহ তা‘আলা বলে দিয়েছেন,

﴿سَيُجۡزَوۡنَ مَا كَانُواْ يَعۡمَلُونَ ١٨٠﴾ [ الاعراف : ١٨٠ ]

“তারা যা করত অচিরেই তাদেরকে তার প্রতিফল দেওয়া হবে।” [সূরা আল-‘আরাফ, আয়াত: ১৮০]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন