মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
“আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের পেছনে একটি গাধার পিঠে বসা ছিলাম, যাকে ‘উফাইর’ বলে ডাকা হত। তিনি আমাকে ডাক দিয়ে বললেন, ‘হে মু‘আয! তুমি কি জানো, বান্দার ওপর আল্লাহর কী অধিকায় রয়েছে? আর আল্লাহর ওপর বান্দার কী অধিকার আছে? আমি বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই ভালো জানেন। তিনি বললেন, ‘বান্দার ওপর আল্লাহর হক হচ্ছে তারা তাঁরই ইবাদত করবে এবং তাঁর সঙ্গে কাউকে শরীক করবে না। আর আল্লাহর ওপর বান্দার হক হচ্ছে, ‘যারা তাঁর সঙ্গে কাউকে শরীক করবে না, তাহলে তিনি তাদেরকে শাস্তি দেবেন না।’ আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি কি এ সুসংবাদ লোকদেরকে জানিয়ে দেব না? তিনি বললেন, তুমি তাদেরকে এ সুসংবাদ দিও না, তাহলে তারা ইবাদত ছেড়ে দিয়ে (আল্লাহর ওপর ভরসা করে) হাত গুটিয়ে বসে থাকবে।” [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৬২৬৭; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩০।]
যে ব্যক্তি আল্লাহর কিতাব কুরআন পড়বে সে আরও জানতে পারবে, আল্লাহর পরিচয় তথা মা‘রেফাত লাভ করতে হলে কিতাব তথা পুরো কুরআনের ওপরই পূর্ণাঙ্গ ঈমান আনয়ন করা ফরয।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَتُؤۡمِنُونَ بِٱلۡكِتَٰبِ كُلِّهِ﴾ [ ال عمران : ١١٩ ]
“আর যারা জ্ঞানে পরিপক্ক, তারা বলে, আমরা এগুলোর প্রতি ঈমান আনলাম, সবগুলো আমাদের রবের পক্ষ থেকে। আর বিবেক সম্পন্নরাই কেবল উপদেশ গ্রহণ করে।” [সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ৭]
“তোমার রব কে? সে বলবে, আমার রব আল্লাহ। তারা তাকে বলবেন, তুমি তা জানলে কী করে? সে বলবে, আমি আল্লাহর কিতাব পড়েছি। অতঃপর তাতে ঈমান এনেছি এবং তা সত্যায়ণ করেছি। তখন আসমানে এক ঘোষক ঘোষণা দেবেন, আমার বান্দা সত্য বলেছে।” [মুসনাদ আহমাদ, হাদীস নং ১৮৫৩৪। হাসান লিগাইরিহ।]
আল্লাহর কিতাব পড়লে তাদের ভ্রান্তি অনুধাবন করা যাবে যারা এর কিছু অংশে ঈমান স্থাপন করে আর কিছু অংশে ঈমান রাখে না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“তোমরা কি কিতাবের কিছু অংশে ঈমান রাখ আর কিছু অংশ অস্বীকার কর?” [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ৮৫]
যেমন জাহামিয়্যা সম্প্রদায়ের লোকেরা কুরআনের কিছু অংশ আল্লাহর ‘নফস’ থাকার বিষয়টিতে ঈমান আনলেও অন্য কিছু অংশে তারা আল্লাহর নামসমূহ ও অন্যান্য গুণাবলিতে ঈমান আনে না। তারা এসবকে অস্বীকার করে।
তেমনি মুতাজিলা সম্প্রদায় আল্লাহর নামসমূহ এবং গুণাবলির মধ্যে কেবল ‘নফস’ থাকার বিষয়টি ঈমান স্থাপন করলেও অবশিষ্ট গুণাবলি অস্বীকার করে। এভাবে এরাও কুরআনের কিছু অংশ মানে আর অবশিষ্টগুলো মানে না।
একইভাবে আশাইরা সম্প্রদায়ের লোকেরা আল্লাহর নামসমূহে ঈমান রাখে আর গুণাবলির মধ্যে সাতটির উপর ঈমান আনলেও অবশিষ্টগুলোয় ঈমান আনে না। ফলে তারা কুরআন-সুন্নাহর দলীল ছাড়াই সেগুলোর অপব্যাখ্যা করতে বাধ্য হয়।
আল্লাহর কিতাব পড়লে সে জানতে পারবে যে, মুমিনের উপর ফরয হচ্ছে, আল্লাহর পরিচয় সংক্রান্ত কুরআন ও সুন্নাহর ‘মুহকাম’ শব্দগুলো ব্যাখ্যাহীনভাবে মেনে নেওয়া এবং ‘মুতাশাবেহ’ আয়াতগুলো নিয়ে ঘাটাঘাটি না করা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“তিনিই তোমার ওপর কিতাব নাযিল করেছেন, তার মধ্যে আছে মুহকাম আয়াতসমূহ। সেগুলো কিতাবের মূল, আর অন্যগুলো মুতাশাবিহ্।” [সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ৭]
তদ্রূপ যে আল্লাহর কিতাব তথা কুরআনের আয়াত পড়বে সে আল্লাহর পরিচয় (মারেফাত) লাভ করতে গিয়ে জানতে পারবে যে, যারা কুরআনের মুতাশাবিহ আয়াতগুলোর ব্যাখ্যা তালাশে ব্যস্ত থাকে তারা ভুল পথে রয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ আয়াত তিলাওয়াত করলেন। তারপর তিনি বললেন, তুমি যখন এসব মুতাশাবিহ আয়াতের ব্যাখ্যা তালাশ করতে দেখবে, বুঝে নেবে তারাই সে লোক আল্লাহ যাদের সম্পর্কে এখানে বলেছেন। অতএব, তুমি তাদের থেকে সতর্ক থাকবে।” [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৪৫৪৭; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৬৬৫।]
কালামশাস্ত্রের লোকেরা (তথা আশায়েরা, মাতুরিদিয়া, মু‘তাযিলা) আল্লাহর পরিচয় উদ্ধারে মুতাশাবিহ আয়াতে পেছনে লেগে থেকেছে, ফলে তারা গন্তব্য হারিয়ে ফেলেছে।
আর যারা আল্লাহর কিতাব কুরআন পড়েছে, সে স্পষ্টভাবে সে লোকদের ভুল বুঝতে পারবে, যারা আল্লাহর পরিচয় বের করতে গিয়ে কিয়াস তথা অনুমানের উপর নির্ভর করেছে।
“সুতরাং তোমরা আল্লাহর জন্য কোনো দৃষ্টান্ত স্থাপন করো না। নিশ্চয় আল্লাহ জানেন আর তোমরা জান না।” [সূরা আন-নাহল, আয়াত: ৭৪]
অথচ কালামশাস্ত্রের লোকেরা আল্লাহর পরিচয় উদ্ধারে আন্দায-অনুমানের আশ্রয় নিয়েছে, ফলে তারা গন্তব্য হারিয়ে ফেলেছে।
অনুরূপভাবে যারা আল্লাহর কিতাব কুরআন পড়বে, তারা আল্লাহর মারেফাত বা পরিচয় লাভ করার জন্য তৈরি করা সৃষ্টির ওপর স্রষ্টার কিয়াস বা ধারণার অসারতা জানতে পারবে।
“কোন কিছুই তাঁর অনুরূপ নয়। তিনি সর্বশ্রোতা সর্বদ্রষ্টা।” [সূরা আশ-শূরা, আয়াত: ১১]
অনুরূপভাবে যারা আল্লাহর কিতাব কুরআন পড়বে, তারা বুঝতে পারবে যে, আল্লাহর পরিচয় লাভে কুরআন ও সুন্নাহের স্পষ্ট ভাষ্য বাদ দিয়ে আভিধানিক গবেষণার অনুসরণ করে চলা কত মারাত্মক ভুল।
“আর তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ করো না। আর তাদের থেকে সতর্ক থাক যে, আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তার কিছু থেকে তারা তোমাকে বিচ্যুত করবে।” [সূরা আল-মায়েদাহ, আয়াত: ৪৯]
অথচ কালামশাস্ত্রের লোকেরা কুরআন-হাদীসের সুস্পষ্ট বক্তব্য থাকা সত্ত্বেও আভিধানিক অর্থ উদ্ধারের মাধ্যমে আল্লাহর পরিচয় জানার চেষ্টা করেছে। ফলে তারা তাঁর পরিচয় জানতে ব্যর্থ হয়েছে।
তদ্রূপ যে ব্যক্তি আল্লাহর কিতাব কুরআন পড়বে, সে স্পষ্ট বুঝতে সক্ষম হবে যে, বিবেক স্বয়ং আল্লাহর পরিচয় দিতে অক্ষম। বরং আল্লাহকে তো কেবল নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মাধ্যমেই জানা যাবে।
কারণ, আল্লাহ হলেন গায়েবী জগতের অধিপতি, ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে তাঁর সম্পর্কে পরিচয় লাভ করা সম্ভব নয়। নবী ও রাসূলদের মাধ্যমেই কেবল আল্লাহ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান অর্জন করা যায়।
“আল্লাহ এমন নন যে, তিনি মুমিনদেরকে (এমন অবস্থায়) ছেড়ে দেবেন যার ওপর তোমরা আছ। যতক্ষণ না তিনি পৃথক করবেন অপবিত্রকে পবিত্র থেকে। আর আল্লাহ এমন নন যে, তিনি তোমাদেরকে গায়েব সম্পর্কে জানাবেন। তবে আল্লাহ তাঁর রাসূলদের মধ্য থেকে যাকে চান বেছে নেন। সুতরাং তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান আন। আর যদি তোমরা ঈমান আন এবং তাকওয়া অবলম্বন কর তবে তোমাদের জন্য রয়েছে মহাপ্রতিদান।” [সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ১৭৯]
“তিনি গায়েবী বিষয়সমূহের জ্ঞানী, আর তিনি তাঁর অদৃশ্যের জ্ঞান কারো কাছে প্রকাশ করেন না। তবে তাঁর মনোনীত রাসূল ছাড়া। আর তিনি তখন তার সামনে ও তার পিছনে প্রহরী নিযুক্ত করেন।” [সূরা আল-জিন্ন, আয়াত: ২৬-২৭]
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের সবাইকে তাঁর সম্পর্কে যথাযথ ইলম ও ধারণা লাভ করার তাওফীক দিন এবং সব ধরনের ভ্রান্ত চিন্তা থেকে দূরে রাখুন। আমীন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/46/13
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।