মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
আমি এ স্থানে বলতে চাই, এই আয়াতটির সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করা থেকে এবং আয়াতটি যা প্রমাণ করে তা উপলব্ধি করা থেকে সেই সমস্ত লোকদের বিবেক কোথায় গুম হয়ে যায়, যারা এ আয়াত অধ্যায়ন করে। যারা কবরের সম্মান, সেখানে অবস্থান এবং বিনয়-নম্রতা অবলম্বন করার ব্যাধিতে লিপ্ত। যারা কবরবাসীর উদ্দেশ্যে নযরানা-উপঢৌকন পেশ করে, সেখানে কুরবানী দেয়, প্রয়োজন কামনায় সেদিকে মনোযোগ দেয় এবং তাদের এমন সম্মান দেয় যা আকাশ যমীনের রব ছাড়া অন্যের জন্যে একেবারে অনুচিত। যে ব্যক্তি কবরের নিকট তাদের এ সমস্ত কার্যকলাপ দেখবে সে আশ্চর্য জিনিস দেখতে পবে। ইবনুল কাইয়্যেম রহ. বলেন, “যদি আপনি অতিরঞ্জনকারীদের দেখেন যারা কবরের নিকট মেলা লাগায়, তো দেখতে পাবেন তারা গাড়ি-ঘোড়া থেকে অবতরণ করে, যখন দূর থেকে সে স্থান দেখতে পায়। অতঃপর তাদের সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে কপাল ঠেকায় (সাজদাহ করে), মাটি চুম্বন করে, মাথা খোলা রাখে, শোরগোল করে, এক অপরকে দেখাদেখি করে কাঁদে যার ফলে ক্রন্দনের আওয়াজ শোনা যায় এবং মনে করে তারা হজ্জের চেয়েও অধিক নেকী অর্জন করেছে। এভাবে তারা এমন কারও কাছে ফরিয়াদ জানায় যে না অস্তিত্বদান করতে সক্ষম আর না পুনরাবর্তন ঘটাতে পারঙ্গম। তারা কবরবাসীদের ডাকতে থাকে বহু দূর হতে। তারপর যখন নিকটস্থ হয় তখন কবরের কাছে দুই রাকাত সালাত পড়ে। এরপর মনে করে তারাই নেকীর ভাণ্ডার লাভ করেছে, অথচ যারা এ জাতীয় দু’ কিবলার দিকে সালাত পড়েছে সে কোনো সওয়াব অর্জন করতে সক্ষম হবে না। তাদের দেখতে পাবেন কবরের চতুষ্পার্শে রুকু এবং সাজদারত অবস্থায়, মৃতলোকদের কৃপা এবং সন্তুষ্টি অন্বেষণ করতে। আসলে তাদের হাতে জমা হচ্ছে নিরাশা এবং ব্যর্থতা। আল্লাহ ছাড়া অন্যের জন্য বরং শয়তানের জন্য সেথায় অশ্রু ঝরানো হয়। কণ্ঠ উচ্চকিত হয়। মৃত ব্যক্তির নিকট প্রয়োজন চাওয়া হয়, বিপদ থেকে মুক্তি চাওয়া হয়, দারিদ্রতা দূরীকরণের জন্য প্রার্থনা করা হয় এবং অসুস্থতা হতে সুস্থতা কামনা করা হয়। তারপর তাদেরকে দেখবেন কবরের চতুষ্পার্শে তাওয়াফে মনযোগ দিতে, যেন তা বায়তুল হারাম যাকে আল্লাহ করেছেন বরকতপূর্ণ এবং দুই জাহানের জন্য হিদায়াতস্বরূপ। তারপর তারা সেসব কবরকে চুম্বন এবং স্পর্শ করতে লেগে যায়। আপনি কি হাজরে আসওয়াদকে দেখেছেন তার সাথে বায়তুল হারামের অতিথিরা কী করে? (সে সব লোকে কবরের কাছে অনুরূপ কাজটিই করে থাকে) তারপর সেখানে মাটিতে ঘর্ষণ করা হয় সেই সমস্ত কপাল ও গাল, যা আল্লাহ জানেন যে তাঁর দরবারে সাজদার সময় অনুরূপ ঘর্ষণ করা হয় না। অতঃপর তারা কবরের হজ পূর্ণ করে চুল চাঁটে বা কাটে। সেই মূর্তি থেকে পাওয়া অংশ দ্বারা তারা উপকৃত হতে চায়, আসলে তারাই সেটা করে আল্লাহর কাছে যাদের কোনো অংশ নেই। তারা কবর নামক সে প্রতিমার উদ্দেশ্যে কুরবানী পেশ করে। আসলে তাদের সালাত, তাদের উপঢৌকন ও কুরবানী হয় রাব্বুল আলামীন আল্লাহ ব্যতীত অন্যের উদ্দেশ্যে। আপনি তাদের দেখবেন এক অপরকে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে, তারা বলে: আল্লাহ আমাদেরকে এবং তোমাদেরকে অধিক ও উত্তম বদলা দিন! আর যখন তারা দেশে ফিরে তখন অনুপস্থিত অতিরঞ্জণকারীরা আবেদন করে, তোমাদের কেউ আছে কি যে কবরের হজকে বায়তুল্লাহর হজের বিনিময়ে বদল করবে? উত্তরে বলা হয়, না, তোমার প্রতি বছরের হজ্জের বিনিময়েও নয় !!!
এটি সংক্ষিপ্ত, আমরা তাদের ব্যাপারে বাড়তি কিছু বলি নি, আর না তাদের সমস্ত বিদ‘আত ও ভ্রষ্টতার পূর্ণ বর্ণনা দিয়েছি। আসলে সেগুলো তো বিবেক ও কল্পনায় যা আসে না তারও বাইরে।” [ইগাসাতুল লাহফান ১/২১৩।]
এই সমস্ত বিপথগামী পথভ্রষ্টদের আক্কেল কোথায় হারিয়ে গেছে! কী আশ্চর্য! তারা তাদের নিজেদের মত বান্দাদের ইবাদতে লিপ্ত হয়েছে, তাদের মহান প্রতিপালকের ইবাদত ছেড়ে বসেছে। অথচ আল্লাহ বলেন,
“আল্লাহ ছাড়া তোমরা যাদেরকে ডাকো, তারা তো তোমাদেরই ন্যায় বান্দা। সুতরাং তোমরা তাদেরকে ডাকতে থাকো, যদি তোমরা সত্যবাদী হও তবে তারা তোমাদের ডাকে সাড়া দিক।” [সূরা আল-আ‘রাফ, আয়াত: ১৯৪]
তারা আল্লাহর সম্পর্কে যা বলে তা থেকে তিনি পবিত্র এবং যা শির্ক করে তা থেকে তিনি উর্ধ্বে।
এ প্রকার লোকদের জন্য এবং অন্যান্যদের জন্য এ মহৎ আয়াতটির অধ্যয়ন এবং এর মহান প্রমাণাদির সম্বন্ধে চিন্তা-ভাবনা করার উদ্দেশ্যে, এই পুস্তিকাটি একটি আহ্বান। এর মাধ্যমেই বাস্তবায়িত হবে এ আয়াতে বর্ণিত স্পষ্ট প্রমাণাদি এবং উজ্জ্বল দলীলসমূহের মাধ্যমে সাব্যস্ত তাওহীদ ও ইখলাস সম্পর্কীয় বিধি-বিধান এবং শির্ক ও অংশীদার সাব্যস্ত করা থেকে মুক্ত করণের আহ্বান।
হে আল্লাহ! তোমার হিদায়াতের তাওফীক দান করো! আমাদের আমলকে তোমার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে করো! আমাদের কথা ও কাজে ইখলাস দাও! তুমিই প্রার্থনা শ্রবণকারী, তুমিই আশারস্থল, তুমিই আমাদের জন্যে যথেষ্ট এবং অতি উত্তম কর্মবিধায়ক।
আর সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক আমাদের নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তাঁর পরিবার-পরিজন ও সহচরগণের প্রতি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/519/13
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।