মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
এই বরকতপূর্ণ আয়াতটির বড় মাহাত্ম্য এবং উচ্চ মর্যাদা রয়েছে। কারণ মাহাত্ম্য, সম্মান এবং মর্যাদার বিবেচনায় কুরআন মাজীদের আয়াতসমূহের মধ্যে এটি সর্বমহান, সর্বোত্তম এবং সুউচ্চ আয়াত। এর চেয়ে সুমহান আয়াত কুরআনে আর নেই। হাদীসে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই আয়াতটিকে সর্বোত্তম বলেছেন। ইমাম মুসলিম তাঁর স্বীয় সহীহ গ্রন্থে উবাই ইবন কা‘ব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসূল তাঁকে বলেন,
“হে আবূল মুনযির! তোমার নিকট কিতাবুল্লাহর কোন আয়াতটি সর্বমহান? আমি বলি: আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল বেশি জানেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পুনরায় আবার সেই প্রশ্নটি করেন। তারপর আমি বলি: (আল্লাহু লা-ইলাহা ইল্লা হুয়াল্ হাইয়্যূল কাইয়্যূম...)। তারপর রাসূলুল্লাহ্ আমার বক্ষে হাতের থাবা মেরে বলেন, আল্লাহর কসম! “লি ইয়াহ্নিকাল্ ইলমা আবাল মুনযির”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৮১০।] অর্থাৎ এই জ্ঞানের কারণে তোমাকে ধন্যবাদ! যা আল্লাহ তোমাকে দান করেছে, তোমার জন্য সহজ করেছে এবং তা দ্বারা তোমার প্রতি অনুগ্রহ করেছে এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই মর্মে আল্লাহর কসম খেয়েছেন। বিষয়টির মর্যাদা এবং সম্মান প্রকাশার্থে।
উবাই রাদিয়াল্লাহু আনহুর সুন্দর বুদ্ধি-মত্তা দেখুন! যখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে এই প্রশ্নটি করেন, তিনি ঐ আয়াতটি খোঁজ করেন যাতে কেবল কুরআনের সর্বোচ্চ বিষয়টি বর্ণনা করা হয়েছে। আর তা হলো, তাওহীদ, তাওহীদের প্রমাণসমূহ সাব্যস্তকরণ, রবের মাহাত্ম্য ও ও পূর্ণাঙ্গতার বর্ণনা এবং তিনিই কেবল বান্দাদের ইবাদতের হকদার। এটি তার পূর্ণ জ্ঞান এবং সুন্দর বুদ্ধির পরিচয়। তিনি এমন কোনো আয়াতের উল্লেখ করেন নি যাতে বর্ণনা হয়েছে প্রশংসিত ব্যবহার কিংবা ফিকহী বিধি-বিধান কিংবা পূর্ব উম্মতের ঘটনা কিংবা কিয়ামতের ভয়াবহতা বা অনুরূপ কোনো বিষয়, বরং তিনি নির্বাচন করেন তাওহীদের ঐ আয়াত, যাতে কেবল তাওহীদের বর্ণনা হয়েছে এবং তাওহীদকেই সাব্যস্ত করা হয়েছে।
এই গভীর জ্ঞানকে অনুধাবন করার জন্য একটু চিন্তা করুন। উবাই রাদিয়াল্লাহু আনহু দশ-বিশটি আয়াতের মধ্য থেকে এই আয়াতকে নির্বাচন করেন নি, আর না একশত-দুইশত আয়াতের মধ্যে, বরং ছয় হাজারেরও বেশি আয়াত থেকে নির্বাচন করেছেন। আর তা নির্বাচন কেনই বা তিনি করবেন না? তিনি হলেন “কারীদের প্রধান... রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবিত থাকাবস্থাতেই তিনি কুরআনকে একত্রিত করেন এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট পেশ করেন এবং তাঁর থেকে বরকতপূর্ণ ইলম সংরক্ষণ করেন। তিনি রাদিয়াল্লাহু আনহু ছিলেন ইলম ও আমলে প্রধান”। [যাহাবী, সিয়ারু আলামিন নুবালা ১/৩৯০।]
তাঁর ব্যক্তিগত সম্মানের মধ্যে এটিও রয়েছে যা বুখারী এবং মুসলিম আনাস ইবন মালেক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন, একদা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উবাই রাদিয়াল্লাহু আনহুকে বলেন,
“আল্লাহ আমাকে আদেশ করেছেন যেন আমি তোমাকে কুরআন পড়ে শুনাই। উবাই রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, সত্যিই কি আল্লাহ আপনার কাছে আমার নাম নিয়েছেন? রাসূলুল্লাহ্ বলেন, হ্যাঁ, আমার কাছে তোমার নাম ধরে বলা হয়েছে। উবাই এটি শুনে (খুশিতে) কেঁদে ফেলেন।” [সহীহ বুখারী হাদীস নং ৪৯৬০; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৭৯৯।]
আপনি আরও একটু চিন্তা করুন! যেন তাঁর গভীর জ্ঞান সম্পর্কে কিছু উপলব্ধি করতে পারেন। এই প্রশ্নের উত্তর দিতে তাঁকে কোনো লম্বা সময় যেমন এক সপ্তাহ বা এক মাস লাগে নি, যাতে করে তিনি এর মধ্যে আয়াতগুলো ভালো করে পড়ে নেন, মানের ব্যাপারে চিন্তা করেন; বরং তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দ্বিতীয়বার প্রশ্ন করার পরে, সেই সময়েই উত্তর দেন। তিনি এই বরকতময় আয়াতটিকে নির্বাচন করেন।
এটি একটি এমন আয়াত যাতে তাওহীদের তিন প্রকারের সংক্ষিপ্ত পাঠ, উপকারী আলোচনা এবং ভালো বর্ণনা রয়েছে। তাওহীদের সাব্যস্ততা এবং বর্ণনা একত্রিত হয়েছে, যা এক সাথে অন্য কোনো আয়াতে একত্রিত হয় নি; বরং একাধিক আয়াতে পৃথক পৃথকভাবে এসেছে। শাইখ আব্দুর রহমান আস্-সা‘দী রহ. বলেন, “এই আয়াতে রয়েছে তাওহীদে উলুহিয়্যাহ, রুবুবিয়্যাহ, আসমা ওয়াস্ সিফাত এবং তাঁর বিশাল রাজত্ব, বিস্তৃত বাদশাহী, অনন্ত জ্ঞান, মহিমা, মর্যাদা, মহত্ব, অহঙ্কার এবং তামাম সৃষ্টির থেকে তিনি উর্ধ্বে থাকার বর্ণনা। এই আয়াতটি আল্লাহ তা‘আলার নামসমূহ এবং গুণাবলীর আকীদার সম্পর্কে মূল আয়াত। সমস্ত সুন্দর নাম এবং সুউচ্চ গুণাবলীকে এ আয়াত শামিল করে।” [তাফসীরে সা‘দী পৃ. ১১০।]
হ্যাঁ! এই আয়াতটি নির্বাচন করার ক্ষেত্রে উবাই রাদিয়াল্লাহু আনহুর সিদ্ধান্ত অবশ্যই গভীর এবং সুক্ষ্ম, যা সাহাবীদের অন্তরে তাওহীদের মাহাত্ম্যের প্রমাণ। এটি সেই বর্ণনার অনুরূপ, যা ইমাম বুখারী আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণনা করেন,
“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যক্তিকে এক সারিয়্যায় (এমন অভিযান যাতে রাসূলুল্লাহ্ উপস্থিত থাকতেন না) পাঠান। তিনি সাথীদের সালাত পড়ানোর সময় (কুল হুআল্লাহু আহাদ) দ্বারা সালাত সমাপ্ত করতেন। ফিরে আসলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে খবর দেওয়া হয়। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তাকে জিজ্ঞাসা করো, কেন সে এরকম করত। সে উত্তরে বলে: কারণ, তাতে আল্লাহুর গুণের বর্ণনা আছে। আর আমি তা পড়তে ভালোবাসি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “সুসংবাদ দাও যে, তাকে আল্লাহ অবশ্যই ভালোবাসেন”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৭৩৭৫।]
উক্ত সাহাবী রাদিয়াল্লাহু আনহু সূরাটি বারবার এবং সর্বদা পড়ার কারণস্বরূপ বলেন, তাতে আল্লাহর গুণ বর্ণিত হয়েছে। এ বিষয়টি সাহাবীদের পূর্ণ জ্ঞান এবং তাদের অন্তরে তাওহীদের মাহাত্ম্য প্রমাণ করে।
শাইখুল ইসলাম বলেন, “আর এটা দাবী করে, যে আয়াতে আল্লাহর গুণ বর্ণনা হয়েছে তা পাঠ করা মুস্তাহাব। আল্লাহ এটা পছন্দ করেন। আর যে এটা পছন্দ করে তাকেও আল্লাহ ভালোবাসেন”। [আল-ফাতাওয়া আল-কুবরা ৫/৭।]
যেহেতু তাওহীদের মরতবা সর্বোচ্চ, সেহেতু সে বিষয়ের আয়াতটিও সর্বমহান এবং সে বিষয়ের সূরাগুলোও সর্বোত্তম সূরা। কুরআনের আয়াত এবং সূরাসমূহের, একটির ওপর অপরটির মর্যাদা তার শব্দ এবং অর্থের কারণে নির্ধারিত হয়ে থাকে, বাক্যালাপকারীর কারণে নয়।
শাইখুল ইসলাম ইবন তাইমিয়াহ রহ. বলেন, “এটা জানা কথা যে, কুরআন এবং আল্লাহর অন্য কালামের একটি অপরটির ওপর প্রাধান্যতা, বর্ণনাকারীর সাথে সংযুক্তের কারণে নয়; কারণ তিনি তো এক সত্তাই, বরং যে বাণী সংঘটিত হয় সেগুলোর অর্থের কারণে হয়ে থাকে, অনুরূপভাবে সে শব্দাবলীর দিক থেকে যেগুলো এর অর্থের প্রকাশক। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে সঠিক সুত্রে প্রমাণিত, তিনি সূরাসমূহের মধ্যে সূরা ফাতিহাকে প্রাধান্য দেন এবং বলেন, “না তাওরাতে, না ইন্জিলে, আর না কুরআনে তার মতো অবতীর্ণ হয়েছে।” [তিরমিযী, হাদীস নং ২৮৭৫।] .......এবং আয়াতসমূহের মধ্যে আয়াতুল কুরসীকে প্রাধান্য দেন।
“হে আবূল মুনযির! তোমার নিকট কিতাবুল্লাহর কোন আয়াতটি সর্বমহান? আমি বলি: আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল বেশি জানেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পুনরায় আবার সেই প্রশ্নটি করেন। তারপর আমি বলি: (আল্লাহু লা-ইলাহা ইল্লা হুয়াল্ হাইয়্যূল কাইয়্যূম...)। তারপর রাসূলুল্লাহ্ আমার বক্ষে হাতের থাবা মেরে বলেন, আল্লাহর কসম! হে আবুল মুনযির! এই ইলম তোমার জন্য সহজ করা হয়েছে সেজন্য তোমাকে ধন্যবাদ”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৮১০।]
আয়াতুল কুরসীতে যা বর্ণিত হয়েছে তা কুরআনের অন্য কোনো একটি আয়াতেও হয় নি; বরং আল্লাহ তা‘আলা সূরা হাদীদের শুরুতে এবং সূরা হাশরের শেষে একাধিক আয়াতে তা বর্ণনা করেন, একটি আয়াতে নয়। [জাওয়াবু আহলিল ইলম...১৩৩।]
ইবনুল কাইয়্যেম রহ. বলেন, “এটা জানা বিষয় যে, তাঁর সেই কালাম যাতে তিনি নিজের প্রশংসা করেন এবং নিজের গুণ ও একত্বতা বর্ণনা করেন, তা উত্তম সেই কালাম থেকে যা দ্বারা তিনি তাঁর শত্রুদের তিরস্কার করেন এবং তাদের মন্দ গুণের বর্ণনা করেন। এ কারণে সূরা ‘ইখলাস’ উত্তম, সূরা ‘তাব্বাত’ থেকে। সূরা ইখলাস কুরআনের এক-তৃতীয়াংশ, অন্য কোনো সূরা নয়। আর আয়াতুল্ কুরসী কুরআনের মহৎ আয়াত” । [শেফাউল ‘আলীল ২/৭৪৪।]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/519/4
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।