HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

আয়াতুল কুরসী ও তাওহীদের প্রমাণাদি

লেখকঃ শাইখ আব্দুর রায্‌যাক ইবন আব্দুল মুহসিন আল-বদর

আয়াতুল কুরসী শয়তানের অনিষ্ট থেকে নিরাপদে রাখে
এটি এবং এর পূর্বে বর্ণিত দলীলটি বান্দার রক্ষার বাপারে এ আয়াতের ক্ষমতা, কোনো স্থান থেকে শয়তান বিতাড়িত করা এবং শয়তানের ষড়যন্ত্র ও অনিষ্টতা থেকে নিরাপদে থাকার প্রমাণ। আর যদি তা শয়তানী অবস্থানস্থলে পড়া হয় তাহলে তা বাতিল করে দেয়, যেমনটি শাইখুল ইসলাম ইবন তাইমিয়া তাঁর বইসমূহের বিভিন্ন স্থানে প্রমাণ করেছেন। তিনি ‘আল ফুরকান’ নামক বইয়ে বলেন, “সত্যতার সাথে যদি তুমি আয়াতুল কুরসী সে সময় পড় তাহলে তাদের কর্মকাণ্ড বাতিল হয়ে যায়, কারণ তাওহীদ শয়তানকে তাড়ায়।” [আল-ফুরকান বাইনা আউলিয়াইর রাহমান ওয়া আউলিয়াইশ শায়ত্বান, পৃ. ১৪৬।]

তিনি আরো বলেন, “মানুষ যদি শয়তানী চক্রান্তাস্থানে সত্যতার সাথে আয়াতুল কুরসী পড়ে, তাহলে তা (যাদু-মন্ত্র) নষ্ট করে দেয়”। [আল-ফুরকান ১৪০।]

তিনি ‘কা‘য়েদাহ জালীলাহ ফিত তাওয়াস্‌সুল ওয়াল ওসীলা’ নামক গ্রন্থে আরো বলেন, “আয়াতুল কুরসী সত্যতার সাথে পড়তে হবে, পড়লে এটি অদৃশ্য হয়ে যাবে নচেৎ যমীনের ভিতরে ঢুকে যাবে অথবা বিলুপ্ত হয়ে যাবে।” [কায়েদাহ জালীলাহ, পৃ. ২৮।]

তিনি আরো বলেন, “ঈমানদার এবং মুওয়াহ্‌হীদ ব্যক্তিদের ওপর শয়তানের কোনো প্রভাব নেই, সে কারণে তারা সেই ঘর থেকে পালায় সে ঘরে সূরা বাকারাহ পড়া হয়। অনুরূপ আয়াতুল কুরসী, সূরা বাকারার শেষাংশ এবং অন্যান্য কুরআনের ভীতি মুক্তকারী আয়াত পড়লেও পালায়। জিন্নদের মধ্যে কিছু জিন্ন এমন আছে যারা জ্যোতিষীদের এবং অন্যদের ভবিষ্যদ্বাণী করে, তারা সেটাই শোনায় যা তারা আকাশ থেকে (ফিরিশতাদের আলোচনার অংশ) চুরি করে শুনে নিয়েছিল। আরব ভূমিতে জ্যোতিষীর বহুল প্রচলন ছিল। তারপর যখন তাওহীদ প্রচার হয়, শয়তান পলায়ন করে। শয়তানী দুর হয় কিংবা হ্রাস পায়। এরপর এটি সেসব স্থানে প্রকাশ পায় যেখানে তাওহীদের প্রভাব ক্ষীণ”। [আন-নাবুওয়াত ১/২৮০।]

তিনি আরো বলেন, “এই সমস্ত শয়তানী চক্রান্ত বানচাল হয় বা দুর্বল হয় যখন, আল্লাহ এবং তাঁর তাওহীদের স্মরণ করা হয় এবং করাঘাতকারী কুরআনের আয়াত পাঠ করা হয়, বিশেষ করে আয়াতুল কুরসী। কারণ, তা সমস্ত অস্বাভাবিক শয়তানী যড়যন্ত্র বানচাল করে দেয়”। [নাবুওয়াত, ১/২৮৩।]

রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদীস দ্বারা আয়াতুল কুরসী বেশি বেশি পড়তে উদ্বুদ্ধকরণ, মুসলিম ব্যক্তির জন্যে তা এবং তাতে উল্লিখিত তাওহীদ এবং মাহাত্ম্যের অতি প্রয়োজনীয়তা প্রমাণ করে। যার সামনে কোনো বাতিল টিকে থাকতে পারে না, বরং তা বাতিলের স্তম্ভ ধ্বংস করে দেয়, বুনিয়াদ নড়বড়ে করে দেয়, ঐক্য বিচ্ছিন্ন করে দেয়, মূলোৎপাটন করে দেয় এবং তার আসল ও আলামত মুছে দেয়।

পূর্বোল্লিখিত দলীলসমূহ দ্বারা বুঝা যায় যে, দিন-রাতে এই আয়াতটি আটবার পড়া মুস্তাহাব। সকাল সন্ধায় দুইবার। ঘুমাবার সময় একবার। ফরয সালাত শেষে পাঁচবার। মুসলিম ব্যক্তি যখন এটি বারবার পড়তে সক্ষম হবে, অর্থ ও চাহিদার দিক সামনে রেখে এবং পরিণাম ও উদ্দেশ্যের চিন্তার সাথে, তখন তার অন্তরে তাওহীদের মাহাত্ম্য বৃদ্ধি পাবে, তার মনে তাওহীদের বন্ধন দৃঢ় হবে, হৃদয়ে তাওহীদের অঙ্গিকার শক্ত হবে। এভাবে সে হয়ে যাবে দৃঢ়তর রজ্জুকে আঁকড়ে ধারণকারী যা কখনও ছিন্ন হওয়ার নয়। যেমন আয়াতুল কুরসীর পরের আয়াতে বর্ণিত হয়েছে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন