hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইখলাস কেন ও কীভাবে

লেখকঃ গবেষণা পরিষদ আল-মুনতাদা আল-ইসলামী

১০
৫. গুনাহ মাফ ও অগণিত পুরস্কার লাভ:
যখন মুমিন ব্যক্তি ইখলাসসহ সকল আমল করবে তখন সে গুনাহ থেকে ক্ষমা পেয়ে যাবে এবং অনেক গুণে প্রতিদান লাভ করবে। যদিও কাজটি বাহ্যিক দৃষ্টিতে ছোট অথবা পরিমাণে খুবই স্বল্প। এ ব্যাপারে ইবনুল মুবারক রহ. বলেন: “অনেক ক্ষুদ্র আমল আছে নিয়ত যাকে অনেক বড় করে দেয়। আবার অনেক বড় আমল আছে নিয়ত যাকে অনেক ছোট করে দেয়।’’ [সিয়ারু আলামিন নুবালা: আয-যাহাবী।]

শাইখুল ইসলাম ইবন তাইমিয়া রহ. বলেছেন: অনেক আমল এমন আছে যা মানুষ পরিপূর্ণ ইখলাসের সাথে সম্পাদন করে। ফলে এ আমলটি ইখলাসের পূর্ণতার কারণে তার কবীরা গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়। যেমন, তিরমিযী ও ইবন মাজাহ’র হাদীসে এসেছে, আব্দুল্লাহ ইবন আমর রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত যে, নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “কিয়ামাতের দিন আমার উম্মতের এক ব্যক্তির ব্যাপারে চিৎকার দেওয়া হবে। তার কাছে উপস্থিত করা হবে পাপকর্মের নিরানব্বইটি বিশাল নথি। প্রতিটি নথির ব্যপ্তি হবে দৃষ্টির দূরত্ব পরিমাণ। তাকে জিজ্ঞেস করা হবে, তুমি যে এ পাপকর্মগুলো করেছো তা কি তুমি অস্বীকার করবে? সে বলবে হে রব! আমি এগুলো অস্বীকার করতে পারি না। আল্লাহ বলবেন, তোমার ওপর যুলুম করা হবে না। এরপর হাতের তালু পরিমাণ একটা টিকেট বের করা হবে যাতে লেখা থাকবে লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু। সে বলবে এত বিশাল পাপের সম্মুখে এ ছোট টিকেটের কী মূল্য আছে? অতঃপর এ টিকেটটি একটি পাল্লায় রাখা হবে এবং তার পাপের বিশাল নথিগুলোকে রাখা হবে অপর পাল্লায়। টিকেটের পাল্লাই ভারী হবে। কারণ, এ ব্যক্তি ইখলাসের (একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর জন্য) সাথে লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহুর সাক্ষ্য দিয়েছে বলে জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেয়েছে। নয়ত যে সকল কবীরাগুণাহে লিপ্ত ব্যক্তিরা লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহর সাক্ষ্য দিয়েছে, তারাও জাহান্নামে যাবে। হয়ত তারা ইখলাসের সাথে কালেমা পড়ে নি। এমনিভাবে যে পতিতা একটি পিপাসার্ত কুকুরকে কষ্ট করে পানি পান করিয়েছিল সে তা ইখলাসের সাথে করেছে বলেই তার পাপগুলো ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে। নয়তো যে কোনো পতিতা এ কাজ করত, তার ক্ষমা পাওয়ার কথা ছিল।

এমনিভাবে যে ব্যক্তি পথের কাঁটা দূর করে দেওয়ার কারণে ক্ষমা পেয়েছিল সে তা ইখলাসের সাথে করার কারণে ক্ষমা পেয়েছে। নয়তো সকল কবীরা গুনাহে লিপ্ত ব্যক্তিরা এ কাজটি করে ক্ষমা আদায় করে নিতে পারত।

পক্ষান্তরে:

অনেক বড় বড় ব্যক্তি বিরাট গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছে কিন্তু তাতে ইখলাস (আল্লাহর প্রতি একনিষ্ঠতা) না থাকার কারণে তা ব্যর্থ হয়ে গেছে ও আমলকারী পুরষ্কার ও প্রতিদানের পরিবর্তে শাস্তির পাত্রে পরিণত হয়েছে। যেমন, হাদীসে এসেছে:

«إِنَّ أَوَّلَ النَّاسِ يُقْضَى يَوْمَ الْقِيَامَةِ عَلَيْهِ رَجُلٌ اسْتُشْهِدَ، فَأُتِيَ بِهِ فَعَرَّفَهُ نِعَمَهُ فَعَرَفَهَا، قَالَ : فَمَا عَمِلْتَ فِيهَا؟ قَالَ : قَاتَلْتُ فِيكَ حَتَّى اسْتُشْهِدْتُ، قَالَ : كَذَبْتَ، وَلَكِنَّكَ قَاتَلْتَ لِأَنْ يُقَالَ : جَرِيءٌ، فَقَدْ قِيلَ، ثُمَّ أُمِرَ بِهِ فَسُحِبَ عَلَى وَجْهِهِ حَتَّى أُلْقِيَ فِي النَّارِ، وَرَجُلٌ تَعَلَّمَ الْعِلْمَ، وَعَلَّمَهُ وَقَرَأَ الْقُرْآنَ، فَأُتِيَ بِهِ فَعَرَّفَهُ نِعَمَهُ فَعَرَفَهَا، قَالَ : فَمَا عَمِلْتَ فِيهَا؟ قَالَ : تَعَلَّمْتُ الْعِلْمَ، وَعَلَّمْتُهُ وَقَرَأْتُ فِيكَ الْقُرْآنَ، قَالَ : كَذَبْتَ، وَلَكِنَّكَ تَعَلَّمْتَ الْعِلْمَ لِيُقَالَ : عَالِمٌ، وَقَرَأْتَ الْقُرْآنَ لِيُقَالَ : هُوَ قَارِئٌ، فَقَدْ قِيلَ، ثُمَّ أُمِرَ بِهِ فَسُحِبَ عَلَى وَجْهِهِ حَتَّى أُلْقِيَ فِي النَّارِ، وَرَجُلٌ وَسَّعَ اللهُ عَلَيْهِ، وَأَعْطَاهُ مِنْ أَصْنَافِ الْمَالِ كُلِّهِ، فَأُتِيَ بِهِ فَعَرَّفَهُ نِعَمَهُ فَعَرَفَهَا، قَالَ : فَمَا عَمِلْتَ فِيهَا؟ قَالَ : مَا تَرَكْتُ مِنْ سَبِيلٍ تُحِبُّ أَنْ يُنْفَقَ فِيهَا إِلَّا أَنْفَقْتُ فِيهَا لَكَ، قَالَ : كَذَبْتَ، وَلَكِنَّكَ فَعَلْتَ لِيُقَالَ : هُوَ جَوَادٌ، فَقَدْ قِيلَ، ثُمَّ أُمِرَ بِهِ فَسُحِبَ عَلَى وَجْهِهِ، ثُمَّ أُلْقِيَ فِي النَّارِ» .

“কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম যার বিচার করা হবে, সে হচ্ছে এমন ব্যক্তি যে শহীদ হয়েছিল। তাকে হাযির করা হবে এবং আল্লাহ তার নি‘আমতের কথা তাকে বলবেন এবং সে তার প্রতি সকল নি‘আমত চিনতে পারবে। তখন আল্লাহ তাকে বলবেন তুমি কী কাজ করে এসেছে? সে বলবে, আমি আমার পথে যুদ্ধ করেছি, শেষ পর্যন্ত শহীদ হয়েছি। আল্লাহ বলবেন: তুমি মিথ্যা বলেছ, তুমি তো যুদ্ধ করেছ লোকে তোমাকে বীর বলবে এ উদ্দেশ্যে। আর তা বলা হয়েছে। অতঃপর নির্দেশ দেওয়া হবে এবং তাকে টেনে উপুড় করে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।

তারপর এমন ব্যক্তির বিচার করা হবে, যে নিজে জ্ঞান অর্জন করেছে ও অন্যকে শিক্ষা দিয়েছে এবং কুরআন তিলাওয়াত করেছে। তাকে হাযির করা হবে। আল্লাহ তাকে তার নি‘আমতের কথা স্মরণ করিয়ে দিবেন। সে স্বীকার করবে। তাকে জিজ্ঞেস করবেন কী কাজ করে এসেছে? সে বলবে আমি জ্ঞান অর্জন করেছি, অন্যকে শিখিয়েছি এবং আপনার জন্য কুরআন তিলাওয়াত করেছি। আল্লাহ বলবেন, তুমি মিথ্যা বলেছ। তুমি জ্ঞান অর্জন করেছ এ জন্য যে লোকে তোমাকে ক্বারী বলবে। আর তা বলা হয়েছে। এরপর নির্দেশ দেওয়া হবে তাকে উপুড় করে জাহান্নামে নিক্ষেপ করার জন্য।

তারপর বিচার করা হবে এমন ব্যক্তির, যাকে আল্লাহ দুনিয়াতে সকল ধরণের সম্পদ দান করেছিলেন। তাকে হাযির করে আল্লাহ নি‘আমতের কথা স্মরণ করিয়ে দিবেন। সে সকল নি‘আমত স্মরণ করবে। আল্লাহ বলবেন, কী করে এসেছ? সে বলবে, আপনি যে সকল খাতে খরচ করা পছন্দ করেন আমি তার সকল খাতে সম্পদ ব্যয় করেছি, কেবল আপনারই জন্য। আল্লাহ বলবেন: তুমি মিথ্যা বলেছ। তুমি সম্পদ এ উদ্দেশ্যে খরচ করেছ যে, লোকে তোমাকে দানশীল বলবে। আর তা বলা হয়েছে। এরপর নির্দেশ দেওয়া হবে এবং তাকে উপুড় করে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।” [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৯০৫।]

হাদীসে আরো এসেছে: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«إِنَّ أَخْوَفَ مَا أَخَافُ عَلَيْكُمُ الشِّرْكُ الأَصْغَرُ قَالُوا : يا رسول الله وَمَا الشِّرْكُ الأَصْغَرُ؟ قَالَ : الرِّيَاءُ ، يَقُولُ لَهُمْ يَوْمَ يجازي العباد بِأَعْمَالِهِمْ : اذْهَبُوا إِلَى الَّذِينَ كُنْتُمْ تُرَاؤُونَ فِي الدُّنْيَا فَانْظُرُوا هَلْ تَجِدُونَ عِنْدَهُمْ جَزَاءً» .

“আমি তোমাদের ব্যাপারে যে বিষয়ে ভয় করি, সে বিষয়ে সাবধান করতে চাই, তা হলো শির্ক আসগর বা ছোট শির্ক। সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন হে রাসূল! ছোট শির্ক কী? তিনি বললেন: রিয়া (লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে কাজ করা)। যেদিন আল্লাহ তার বান্দাদের কর্মের প্রতিদান দিবেন, সে দিন তিনি বলবেন: দুনিয়াতে তোমরা যাদের দেখানোর জন্য কাজ করেছ আজ তাদের কছে যাও! দেখ তাদের কাছে প্রতিদান পাও কি-না।” [আহমদ, হাদীস নং ২২৫২৮; বগভী ফী শরহিস সুন্নাহ।]

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

«قَالَ اللهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى يقول : إني أَغْنَى الشُّرَكَاءِ عَنِ الشِّرْكِ، مَنْ عَمِلَ عَمَلًا أَشْرَكَ فِيهِ مَعِي غَيْرِي فإنا منه بريء، هو للذي عمله» .

“আল্লাহ তা‘আলা বলবেন: আমি শির্ক ও অংশীদার থেকে বে-পরোয়া। যে কোনো কাজে আমাকে ব্যতীত অন্য কাউকে শরীক করল আমি তার থেকে সম্পর্কমুক্ত। যার জন্য সে করেছে। সেটা তরই জন্য।” [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৯৮৫।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন