মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
যখন মুমিন ব্যক্তি ইখলাসসহ সকল আমল করবে তখন সে গুনাহ থেকে ক্ষমা পেয়ে যাবে এবং অনেক গুণে প্রতিদান লাভ করবে। যদিও কাজটি বাহ্যিক দৃষ্টিতে ছোট অথবা পরিমাণে খুবই স্বল্প। এ ব্যাপারে ইবনুল মুবারক রহ. বলেন: “অনেক ক্ষুদ্র আমল আছে নিয়ত যাকে অনেক বড় করে দেয়। আবার অনেক বড় আমল আছে নিয়ত যাকে অনেক ছোট করে দেয়।’’ [সিয়ারু আলামিন নুবালা: আয-যাহাবী।]
শাইখুল ইসলাম ইবন তাইমিয়া রহ. বলেছেন: অনেক আমল এমন আছে যা মানুষ পরিপূর্ণ ইখলাসের সাথে সম্পাদন করে। ফলে এ আমলটি ইখলাসের পূর্ণতার কারণে তার কবীরা গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়। যেমন, তিরমিযী ও ইবন মাজাহ’র হাদীসে এসেছে, আব্দুল্লাহ ইবন আমর রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত যে, নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “কিয়ামাতের দিন আমার উম্মতের এক ব্যক্তির ব্যাপারে চিৎকার দেওয়া হবে। তার কাছে উপস্থিত করা হবে পাপকর্মের নিরানব্বইটি বিশাল নথি। প্রতিটি নথির ব্যপ্তি হবে দৃষ্টির দূরত্ব পরিমাণ। তাকে জিজ্ঞেস করা হবে, তুমি যে এ পাপকর্মগুলো করেছো তা কি তুমি অস্বীকার করবে? সে বলবে হে রব! আমি এগুলো অস্বীকার করতে পারি না। আল্লাহ বলবেন, তোমার ওপর যুলুম করা হবে না। এরপর হাতের তালু পরিমাণ একটা টিকেট বের করা হবে যাতে লেখা থাকবে লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু। সে বলবে এত বিশাল পাপের সম্মুখে এ ছোট টিকেটের কী মূল্য আছে? অতঃপর এ টিকেটটি একটি পাল্লায় রাখা হবে এবং তার পাপের বিশাল নথিগুলোকে রাখা হবে অপর পাল্লায়। টিকেটের পাল্লাই ভারী হবে। কারণ, এ ব্যক্তি ইখলাসের (একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর জন্য) সাথে লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহুর সাক্ষ্য দিয়েছে বলে জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেয়েছে। নয়ত যে সকল কবীরাগুণাহে লিপ্ত ব্যক্তিরা লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহর সাক্ষ্য দিয়েছে, তারাও জাহান্নামে যাবে। হয়ত তারা ইখলাসের সাথে কালেমা পড়ে নি। এমনিভাবে যে পতিতা একটি পিপাসার্ত কুকুরকে কষ্ট করে পানি পান করিয়েছিল সে তা ইখলাসের সাথে করেছে বলেই তার পাপগুলো ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে। নয়তো যে কোনো পতিতা এ কাজ করত, তার ক্ষমা পাওয়ার কথা ছিল।
এমনিভাবে যে ব্যক্তি পথের কাঁটা দূর করে দেওয়ার কারণে ক্ষমা পেয়েছিল সে তা ইখলাসের সাথে করার কারণে ক্ষমা পেয়েছে। নয়তো সকল কবীরা গুনাহে লিপ্ত ব্যক্তিরা এ কাজটি করে ক্ষমা আদায় করে নিতে পারত।
পক্ষান্তরে:
অনেক বড় বড় ব্যক্তি বিরাট গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছে কিন্তু তাতে ইখলাস (আল্লাহর প্রতি একনিষ্ঠতা) না থাকার কারণে তা ব্যর্থ হয়ে গেছে ও আমলকারী পুরষ্কার ও প্রতিদানের পরিবর্তে শাস্তির পাত্রে পরিণত হয়েছে। যেমন, হাদীসে এসেছে:
“কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম যার বিচার করা হবে, সে হচ্ছে এমন ব্যক্তি যে শহীদ হয়েছিল। তাকে হাযির করা হবে এবং আল্লাহ তার নি‘আমতের কথা তাকে বলবেন এবং সে তার প্রতি সকল নি‘আমত চিনতে পারবে। তখন আল্লাহ তাকে বলবেন তুমি কী কাজ করে এসেছে? সে বলবে, আমি আমার পথে যুদ্ধ করেছি, শেষ পর্যন্ত শহীদ হয়েছি। আল্লাহ বলবেন: তুমি মিথ্যা বলেছ, তুমি তো যুদ্ধ করেছ লোকে তোমাকে বীর বলবে এ উদ্দেশ্যে। আর তা বলা হয়েছে। অতঃপর নির্দেশ দেওয়া হবে এবং তাকে টেনে উপুড় করে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।
তারপর এমন ব্যক্তির বিচার করা হবে, যে নিজে জ্ঞান অর্জন করেছে ও অন্যকে শিক্ষা দিয়েছে এবং কুরআন তিলাওয়াত করেছে। তাকে হাযির করা হবে। আল্লাহ তাকে তার নি‘আমতের কথা স্মরণ করিয়ে দিবেন। সে স্বীকার করবে। তাকে জিজ্ঞেস করবেন কী কাজ করে এসেছে? সে বলবে আমি জ্ঞান অর্জন করেছি, অন্যকে শিখিয়েছি এবং আপনার জন্য কুরআন তিলাওয়াত করেছি। আল্লাহ বলবেন, তুমি মিথ্যা বলেছ। তুমি জ্ঞান অর্জন করেছ এ জন্য যে লোকে তোমাকে ক্বারী বলবে। আর তা বলা হয়েছে। এরপর নির্দেশ দেওয়া হবে তাকে উপুড় করে জাহান্নামে নিক্ষেপ করার জন্য।
তারপর বিচার করা হবে এমন ব্যক্তির, যাকে আল্লাহ দুনিয়াতে সকল ধরণের সম্পদ দান করেছিলেন। তাকে হাযির করে আল্লাহ নি‘আমতের কথা স্মরণ করিয়ে দিবেন। সে সকল নি‘আমত স্মরণ করবে। আল্লাহ বলবেন, কী করে এসেছ? সে বলবে, আপনি যে সকল খাতে খরচ করা পছন্দ করেন আমি তার সকল খাতে সম্পদ ব্যয় করেছি, কেবল আপনারই জন্য। আল্লাহ বলবেন: তুমি মিথ্যা বলেছ। তুমি সম্পদ এ উদ্দেশ্যে খরচ করেছ যে, লোকে তোমাকে দানশীল বলবে। আর তা বলা হয়েছে। এরপর নির্দেশ দেওয়া হবে এবং তাকে উপুড় করে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।” [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৯০৫।]
হাদীসে আরো এসেছে: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
“আমি তোমাদের ব্যাপারে যে বিষয়ে ভয় করি, সে বিষয়ে সাবধান করতে চাই, তা হলো শির্ক আসগর বা ছোট শির্ক। সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন হে রাসূল! ছোট শির্ক কী? তিনি বললেন: রিয়া (লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে কাজ করা)। যেদিন আল্লাহ তার বান্দাদের কর্মের প্রতিদান দিবেন, সে দিন তিনি বলবেন: দুনিয়াতে তোমরা যাদের দেখানোর জন্য কাজ করেছ আজ তাদের কছে যাও! দেখ তাদের কাছে প্রতিদান পাও কি-না।” [আহমদ, হাদীস নং ২২৫২৮; বগভী ফী শরহিস সুন্নাহ।]
«قَالَ اللهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى يقول : إني أَغْنَى الشُّرَكَاءِ عَنِ الشِّرْكِ، مَنْ عَمِلَ عَمَلًا أَشْرَكَ فِيهِ مَعِي غَيْرِي فإنا منه بريء، هو للذي عمله» .
“আল্লাহ তা‘আলা বলবেন: আমি শির্ক ও অংশীদার থেকে বে-পরোয়া। যে কোনো কাজে আমাকে ব্যতীত অন্য কাউকে শরীক করল আমি তার থেকে সম্পর্কমুক্ত। যার জন্য সে করেছে। সেটা তরই জন্য।” [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৯৮৫।]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/556/10
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।