hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইখলাস কেন ও কীভাবে

লেখকঃ গবেষণা পরিষদ আল-মুনতাদা আল-ইসলামী

ইখলাসের সংজ্ঞা:
আভিধানিক অর্থে ইখলাস হলো কোনো বস্তুকে খালি কর বা পরিষ্কার করা। শরী‘আতের পরিভাষায় ইখলাস দ্বারা উদ্দেশ্য কী -তা নির্ণয়ে বিজ্ঞ আলিমদের মত ও মন্তব্য ভিন্ন ভিন্ন।

কেউ বলেছেন, ইখলাস হলো, ইবাদতের ক্ষেত্রে আল্লাহকে একক বলে গ্রহণ করা। যেমন, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেছেন,

﴿وَلَا يُشۡرِكۡ بِعِبَادَةِ رَبِّهِۦٓ أَحَدَۢا﴾ [ الكهف : ١١٠ ]

“সে যেন তার রবের ইবাদতে কাউকে শরীক না করে।” [সূরা আল-কাহাফ, আয়াত: ১১০]

কারো মত হলো, অন্তরকে পঙ্কিলতায় মজ্জিত করে, এমন যাবতীয় নোংরামী ও অসুস্থতা থেকে অন্তরকে পবিত্র করা। ভিন্ন কারো মত-স্বতঃপ্রণদিত হয়ে আল্লাহর আনুগত্যে আত্মনিবেদন।

আবার কারো মত এই যে, ইখলাস হলো, আল্লাহ যা নির্দেশ দিয়েছেন, তা পালন করা তার সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে ও যা নিষেধ করেছেন তা থেকে বিরত থাকা তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে।

ভাষার পার্থক্য থাকলেও সংজ্ঞাগুলোর মূল বক্তব্য একই। যে মৌলিক নীতিমালাকে কেন্দ্র করে আলিমগণ ইখলাসের সংজ্ঞা নিরূপণ করেছেন তা হলো, ইবাদত-বন্দেগী-সৎকর্ম বলতে যা কিছু আছে সবই একমাত্র আল্লাহকে সন্তুষ্টি করার জন্য সম্পাদন করার নাম ইখলাস। আল্লাহর সন্তুষ্টি ব্যতীত অন্য কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে ইবাদত পালন করলে তাকে ইখলাস বলে গণ্য করা হবে না। এমনিভাবে, সকল পাপাচার থেকে মুক্ত থাকার উদ্দেশ্য কেবল তাঁরই সন্তুষ্টি অর্জন।

ইবাদত ও কর্মসম্পাদন একমাত্র আল্লাহর উদ্দেশ্যে নিবেদন ও ইখলাস আনয়নের বিভিন্ন রূপ হতে পারে- কেউ কেউ আল্লাহর ইবাদত করেন তার প্রতি সম্মান ও মর্যাদা জ্ঞাপনার্থে অপর কেউ ইখলাসকে ভাবেন আল্লাহর আনুগত্য ও ইবাদতের প্রবেশিকা, কারো উদ্দেশ্য থাকে ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি ও রেজামন্দি লাভ। অপর কেউ ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর সাথে সুনিবীড় সম্পর্ক ও পরম আস্বাদ লাভে প্রয়াসী কিংবা পরকাল দিবসে মহান দীদারের নি‘আমত লাভে প্রত্যাশী যেদিন আল্লাহর সাক্ষাতে সারিবদ্ধ হবে বান্দাগণ। নির্দিষ্ট কোনো প্রাপ্তি, অপরপক্ষে কারো ইবাদতের লক্ষ্য নির্দিষ্ট কোনো সাওয়াব লাভ। কেউ কেউ আল্লাহর ভয়ে ভীত হন নির্দিষ্ট কোনো আযাবের কথা স্মরণ করে, অপর কেউ নির্দিষ্ট কোনো আযাবের কথা স্মরণ করে নেয়, আল্লাহকে ভয় করেন তার যে কোনো আযাবের ভয়াবহ পরিণতির কথা চিন্তা করে।

সন্দেহ নেই, ইবাদতে মানুষের ইচ্ছাবৃত্তির বৈচিত্র এক বিশাল অধ্যায়, একেক সময় তার মঝে ক্রিয়াশীল থাকে একেক ধরণের ইচ্ছা, কখনো সে প্রণোদনা লাভ করে একাধিক ইচ্ছার দ্বারা; কিন্তু ইচ্ছার এ বৈচিত্রও একক এক লক্ষ্যের প্রতি সততা ধাবিত বান্দা তার কাজ-কর্ম ও যাবতীয় মনোবৃত্তির দ্বারা একমাত্র আল্লাহকে পাওয়ার আকাঙ্খাকে তীব্র করে তোলে, অন্য কাউকে নয়। এ সবই ইখলাসেরই সত্যায়ন। এ সব ইচ্ছা যার মাঝে ক্রিয়াশীল, সেই সিরাতে মুস্তাকীমের অধিকারী, হিদায়াত ও বিশুদ্ধ লক্ষ্যপানে ধাবিত। তবে বান্দার উচিৎ তার ইবাদতকে আল্লাহর ভালোবাসা, ভীতি ও আশা থেকে কখনো বিযুক্ত করবে না। কারণ, ইবাদতের প্রতিষ্ঠাই এই ত্রিমাত্রিক লক্ষ্যকে কেন্দ্র করে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন