hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআতের আকীদার সংক্ষিপ্ত মূলনীতি

লেখকঃ ড. নাসের ইবন আবদুল করীম আল-আকল

চতুর্থ অধ্যায়: আল ঈমান
১. ঈমান কথা ও কাজের নাম, যা বাড়ে এবং কমে। অতএব, ঈমান হচ্ছে, অন্তর ও মুখের স্বীকৃতি এবং অন্তর, মুখ ও অঙ্গ প্রত্যঙ্গের কাজের নাম।

অন্তরের কথা হলো, বিশ্বাস ও সত্যায়ন করা।

মুখের কথা হলো, স্বীকৃতি দেওয়া এবং অন্তরের কাজ হলো, তা মেনে নেয়া, একনিষ্ঠতা সহকারে করা, এর প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করা, ভালবাসা ও সৎ কাজের ইচ্ছা করা।

আর অঙ্গ প্রত্যঙ্গের কাজ হলো, আদেশকৃত সকল কাজকে বাস্তবায়িত করা এবং নিষেধকৃত সমস্ত কাজ বর্জন করা।

২. আমলকে ঈমান থেকে বিচ্ছিন্ন করা মুরজিয়া সম্প্রদায়ের কাজ। আর যে ব্যক্তি ঈমানের মধ্যে এমন কিছু অন্তর্ভুক্ত করে নিবে যা ঈমানের অন্তর্ভুক্ত বিষয় নয় সে অবশ্যই বিদ‘আতী।

৩. যে ব্যক্তি " لا اله الا الله " (লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ) এবং محمد رسول الله (মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ) এর দুই সাক্ষ্যের মৌখিক স্বীকৃতি প্রদান করবে না, তাকে দুনিয়া বা আখেরাত কোনো অবস্থাতেই ঈমানদার বলা যাবে না।

৪. ইসলাম ও ঈমান দু’টি শর‘ঈ পরিভাষা, কখনো কখনো পরিভাষা দু’টি ভিন্ন ভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়, কখনো বা একটি অপরটির সম্পূরক, আর কেবলার অনুসারী সকল ব্যক্তিই মুসলিম।

৫. কবীরা গুণাহকারী ঈমানের গণ্ডি থেকে বেরিয়ে যাবে না। দুনিয়ার দৃষ্টিতে তাকে দুর্বল ঈমানদার বলা হবে এবং তার আখেরাতের বিষয় আল্লাহর ফয়সালার ওপর নির্ভর করবে। অর্থাৎ আল্লাহ চাইলে তাকে ক্ষমা করতে পারেন বা শাস্তি দিতে পারেন।

আল্লাহর একত্ববাদে বিশ্বাসী একজন মুমিন গুনাহের কারণে শাস্তি ভোগ করলেও শেষ পর্যন্ত জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং তাদের কেউই চিরস্থায়ীভাবে জাহান্নামে থাকবে না।

৬. নির্দিষ্টভাবে কোনো আহলে কিবলা বা মুসলিমকে জান্নাতী বা জাহান্নামী বলে আখ্যায়িত করা যাবে না। তবে হ্যাঁ শুধুমাত্র ঐ সমস্ত ব্যক্তিদেরকে আখ্যায়িত করা যাবে যাদের বিষয় কুরআন ও সুন্নাতে উল্লেখ হয়েছে।

৭. ইসলামের দৃষ্টিতে কুফুরী দুই প্রকার:

এক. বড় কুফুরী। এ ধরনের কুফুরীর কারণে একজন ব্যক্তি দীন থেকে বেরিয়ে যাবে।

দুই: ছোট কুফুরী। এ ধরনের কুফুরীর কারণে দীন থেকে বেরিয়ে যাবে না, কখনো এই কুফুরীকে আমলী বা কার্যত কুফুরী বলা হয়।

৮. কাউকে ‘কাফির’ বলে আখ্যায়িত করা এমন এক ইসলামী বিধান যার একমাত্র ভিত্তি হবে কুরআন ও সুন্নাহ। সুতরাং শরী‘আতসম্মত কোনো দলীল-প্রমাণ ব্যতীত কোনো কথা বা কাজের ওপর নির্ভর করে নির্দিষ্ট করে কোনো মুসলিমকে কাফির বলা জায়েয নয়, এমনকি কোনো কথা বা কাজ কুফুরীর পর্যায় পড়লেও ঐ কারণে যে কাউকে নির্দিষ্ট করে কাফির বলতেই হবে এমনটি নয়। হ্যাঁ, ঐ পর্যায়ে কাউকে কাফির বলা যেতে পারে যখন তার মধ্যে কুফুরীর সমস্ত শর্ত পাওয়া যায় এবং তাকে এ নামে সম্বোধন করার ক্ষেত্রে যে সমস্ত নিষেধাজ্ঞা আছে তার কোনোটি অবশিষ্ট না থাকে। বস্তুত কারও ওপর কুফুরীর হুকুম প্রয়োগ করা খুবই জটিল ও মারাত্মক বিষয়, এ জন্য কোনো মুসলিমকে কাফির বলার ব্যাপারে খুবই সতর্কতা ও সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরী।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন