মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
ঈসা মসীহ ইসলামের এক নবী চার্চের বিকৃতির এক ঐতিহাসিক আলেখ্য
লেখকঃ মুহাম্মাদ আতাউর- রহীম
৫
অনুবাদকের কথা
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/604/5
Jesus: Prophet of Islam ‘জেসাস: এ প্রফেট অব ইসলাম’ গ্রন্থটি আমি প্রথম দেখি ১৯৯৫ সালে ইসলামিক ফাউন্ডেশন লাইব্রেরিতে। অন্য আর পাঁচটি বই উলটে দেখার মতোই দেখেছিলাম এ বইটি। এটি যে কখনো অনুবাদ করব ভাবি নি।
ঘটনাচক্রে এর বছর দেয়ক পর বইটি অনুবাদের কাজ শুরু করলাম। আর এ কাজে যিনি আমাকে উৎসাহিত করেছেন, তিনি হচ্ছে আমার একান্ত শুভাকাঙ্ক্ষী পরম শ্রদ্ধাভাজন লেখক, অনুবাদক জনাব লুৎফুল হক। তিনি তখন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অনুবাদ বিভাগের পরিচালক। নিয়মানুযায়ী বইটি অনুবাদের ব্যাপারে আমার আগ্রহ প্রকাশ করে অনুবাদ বিভাগকে চিঠি দিলাম। তারা অনুবাদের নমুনা জমা দিতে বললেন। দিলাম। তা তাদের পছন্দ হলো। তারপর পুরো বই অনুবাদ করে জমা দিলাম। সে ১৯৯৭ সালের কথা।
এখানে বলা দরকার, এ অনুবাদ বইয়ের সূত্রেই দেশের প্রখ্যাত ইসলামি চিন্তাবিদ, লেখক, গবেষক, টিভি ব্যক্তিত্ব সৈয়দ আশরাফ আলী সাহেবের সাথে আমার পরিচয় ঘটার সৌভাগ্য হয়। তিনি ১৯৯৫-১৯৯৬ সালে স্বল্প সময়ের জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ছিলেন। আমি তাকে চিনলেও তিনি আমাকে চিনতেন না। অনুবাদ বিভাগ আমার অনুদিত বইটি বিক্রয়ে জন্য তার কাছে পাঠিয়েছিলেন। তিনি তখন আর মহাপরিচালক নন। কিন্তু বইয়ের কিছু বিষয় নিয়ে প্রশ্ন সৃষ্টি হওয়ায় তিনি অনুবাদকের সাথে কথা বলতে চেয়েছিলেন। এটা জেনে একদিন ফোনে কথা বলে সময় ঠিক করে তার কলা বাগান লেক সার্কাসের বাড়িতে গেলাম। তার মত একজন পণ্ডিত লোক আমার মত সামান্য অনুবাদকের অনুবাদ পরীক্ষা করে দেখছেন এ কারণে বেশ শঙ্কিত ছিলাম। তবে সাক্ষাতের পর তার অসাধারণ সৌন্দর্যবোধ আর আন্তরিক ব্যবহারে সে শঙ্কা কেটে গেল। তিনি বইটি দেখে শেষ করেছিলেন। দু’একটি জায়গায় শব্দ ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তুললেন। আমি ব্যাখ্যা দিলাম। তিনি মেনে নিলেন। বললেন এটি বেশ কঠিন বই। তবে আপনার অনুবাদ যথেষ্ট ভালো হয়েছে। তার কথায় সত্যি ভালো লাগল আমার আত্মবিশ্বাস আরো দৃঢ় হলো। দেখলাম পাণ্ডুলিপিতে তিনি অনেক সংশোধন করেছেন। আমি বিভিন্ন নাম ও স্থানের ইংরেজি বানান উল্লেখ করতে ভুলে গিয়েছিলাম, তিনি কষ্ট করে সেগুলো লিখে দিয়েছেন। এর প্রয়োজন ছিল। তার প্রতি শ্রদ্ধায় মাথা নত হয়ে এল।
এরপর বইটি সম্পাদনা করতে দেওয়া হয় প্রফেসর আবদুল মান্নান সাহেবকে। তার সাথে আমার পরিচয় নেই। কিন্তু বইটির চূড়ান্ত প্রুফ দেখার সময় পাণ্ডলিপিতে দেখলাম তার সুদক্ষ সম্পাদনার পরিচয় ছড়িয়ে আছে। আমি উপলব্ধি করলাম যে, এই পণ্ডিত মানুষটির হাতে সম্পাদিত না হলে এ বইটিতে অনেক ত্রুটি থেকে যেত। তাকে আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই।
এবার এ বইটি প্রসঙ্গে কিছু কথা বলি। সত্যি কথা বলতে কি, নবী ঈসা আলাইহিস সালাম সম্পর্কে বিশ্বের কোথাও কোনো তথ্য নেই। আমরা তার সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানি না। অথচ বিশ্বের ধর্মীয় ইতিহাসে তিনি একজন গুরুত্বপূর্ণ নবী। মহান আল্লাহ তাআলা মানব সমাজকে হিদায়াতের জন্য যুগে যুগে অসংখ্য নবী ও রাসূল প্রেরণ করেন। তাদের মধ্যে মাত্র চারজনের কাছে আল্লাহ পাক আসমানি কিতাব নাজিল করেছিলেন। ঈসা আলাইহিস সালাম তাদেরই একজন। কিন্তু মানব সমাজের দুর্ভাগ্য যে সমকালের এক শ্রেণির মানুষ তার সম্পর্কে বিভ্রান্তি সৃষ্টি পূর্বক তার প্রচারিত ধর্ম শিক্ষাকে বিকৃত এবং তার ওপর ‘ঈশ্বরত্ব’ আরোপ করে, যার মূলে কিনা অসত্য আর বিভ্রান্তি ছাড়া আর কিছুই নেই। এমনকি ঈসা আলাইহিস সালাম যে, ইসলামেরই এক নবী এ কথাটিও খৃষ্টান ধর্মাবলম্বীরা স্বীকার করে নি, এখনও করে না।
পাকিস্তানের লেখক গবেষক মুহাম্মাদ আতাউর রহীম এ বিষয়টি গভীর অধ্যয়ন গবেষণার পর ‘জেসাস, এ প্রফেট অব ইসলাম’ শীর্ষক ইংরেজি গ্রন্থটি রচনা করেন। তিনি অসংখ্য গ্রন্থের সমর্থনে প্রমাণ করেছেন যে ‘ত্রিত্ববাদ’ যা প্রচারিত তা সম্পূর্ণ ভ্রান্ত, আর যীশু অবশ্যই ঈশ্বর নন- তিনি একজন মানুষ ও আল্লাহর প্রেরিত কিতাবধারী নবী ঈসা আলাইহিস সালাম।
জানা মতে, খৃষ্টধর্মের তথাকথিত ত্রিত্ববাদকে অসার ও ভ্রান্ত প্রতিপন্ন করে যুক্তি ও প্রমাণ সহযোগে এ রকম আর কোনো গ্রন্থ এ পর্যন্ত রচিত হয় নি।
জনাব আতাউর-রহীমের গ্রন্থটি ১৯৮০ সালের নভেম্বরে পাকিস্তানের করাচিস্থ আয়েশা বাওয়ানী ওয়াকফ থেকে প্রথম প্রকাশিত হয়। ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত গ্রন্থটির মোট ৩টি সংস্করণ প্রকাশের কথা জানা যায়।
এ মূল্যবান গ্রন্থটির বাংলা অনুবাদ করার তাওফীক আল্লাহ আমাকে দিয়েছিলেন। এ জন্য তার কাছে লাখো শুকরিয়া জানাই। আর্থিক অনটন, ব্যক্তিগত সমস্যা সময়ের একান্ত অভাবের কারণে রাতের পর রাত জেগে বহুবার ঢাকা-কুষ্টিয়া-ঢাকা যাওয়া-আসার পথে চলন্ত বাসে, ট্রেনে, ফেরীতে বসে যখন যেখানে পেরেছি, সেখানে সে অবস্থায় অমানুষিক পরিশ্রম করে এ বইয়ের অনুবাদের কাজ সম্পন্ন করেছিলাম। এমনও হয়েছে যে, একটি জটিল শব্দের অর্থ বুঝতে গোটা রাত পার হয়ে গেছে। অনেক সময় অনেক স্থানে আটকে গিয়ে তিন সাংবাদিক সহকর্মী, শ্রদ্ধেয় মোহাম্মদ নুরুল হোসেন সাহেব, এস.এম. হাফিজুর রহমান ও একরামুল্লাহিল কাকির সাহায্য চেয়েছি। এ সকল মানুষেরা বিপুল ঔদার্যে আমাকে সহযোগিতা করেছেন। তাদের কাছে আমার কৃতজ্ঞতা জানাই।
সুধী পাঠকের কাছে যদি সমাদৃত হয়, এ গ্রন্থ অনুবাদকের উদ্দেশ্য ও পরিশ্রম সফল হবে।
হোসেন মাহমুদ
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/604/5
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।