hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ঈসা মসীহ ইসলামের এক নবী চার্চের বিকৃতির এক ঐতিহাসিক আলেখ্য

লেখকঃ মুহাম্মাদ আতাউর- রহীম

চতুর্থ অধ্যায়: হারমাসের দি শেফার্ড
হারমাসের “দি শেফার্ড” (The Shepherd) বা মেষপালক গ্রন্থটি রচিত হয়েছিল ৮৮ থেকে ৯৭ সনের মধ্যে, এফিসাসের কাছে প্যাটমস-এ। বার্নাবাসের গসপেলের মত এ গ্রন্থেও ঈশ্বরের একত্বের কথা ব্যক্ত হয়েছে। এ কারণেই যখন প্রতিষ্ঠিত পলীয় চার্চে ত্রিত্ববাদ দৃঢ়ভাবে স্থিতি লাভ করে তখন এ গ্রন্থটি ধ্বংসের জন্য সমন্বিত চেষ্টা চালানো হয়। এ ছাড়া ৩২৫ সনে নিসিয়ার কাউন্সিলে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যে সকল গ্রন্থ নিষিদ্ধ করা হয়, এটি ছিল তার অন্যতম।

ধারণা করা হয় যে, জন যখন তার গসপেল রচনা করেছিলেন, একই সময়ে “দি শেফার্ড” লেখা হয়েছিল। যদিও কিছু লোকের ধারণা যে “দি শেফার্ড” জন-এর গসপেলের আগেই রচিত। যাহোক, মতপার্থক্য যাই থাক না কেন, এটা সত্য যে হারমাস নিউ টেস্টামেন্টের অন্তর্ভুক্ত ৪টি গসপেলের কোনোটিই দেখেন নি বা পাঠ করেন নি। কেউ কেউ মনে করেন, হারমাস হিব্রুতে রচিত গসপেল দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। উল্লেখ্য, প্রথম দিককার এ গসপেলের কোনো সন্ধান পরে পাওয়া যায় নি। তবে এ গ্রন্থটি কীভাবে লেখা হয়েছিল সে বিষয়ে হারমাস যে বিবরণ দিয়েছেন তাতে এসব ধারণার কোনো সমর্থন মেলে না।

নিসিয়ার কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত যীশুর গোড়ার দিকের অনুসারী ও ভক্তগণ কর্তৃক এ গ্রন্থটি ব্যাপকভাবে গৃহীত ও ব্যবহৃত হয়। তারা হারমাসকে একজন নবী হিসেবে গণ্য করতেন। দ্বিতীয় শতাব্দীর শেষ নাগাদ আলেকজান্দ্রিয়ার ক্লিমেন্ট (Clement) কর্তৃক এ গ্রন্থটি নিউ টেস্টামেন্টের অংশ হিসেবে গৃহীত হয়। অরিজেন ও (Origen, ১৮৫-২৫৪ খৃ) এ গ্রন্থটিকে ঐশী গ্রন্থ হিসেবে গ্রহণ করেন এবং চতুর্থ শতাব্দীতে ব্যবহৃত Codex Sinaiticus- এর শেষাংশে এটি স্থান লাভ করে। এ.ডি টারটালিয়ান (A.D. Tertullian, ১৬০-২২০ খৃ.) প্রথমে একে গ্রহণ করলেও পরে তা পরিত্যাগ করেন। ইরানিয়াস (১৩০-২৩০) এটিকে ধর্মগ্রন্থ হিসেবে গ্রহণ করেন। কায়সারিয়ার ইউসেবিয়াস (Eusebius of Caesaria) এটি প্রত্যাখ্যান করেন, কিন্তু এথানাসিয়াস (Athanasius) ৩৬৭ সনে এটি গ্রহণ করেন। তার যুক্তি ছিল যে, নতুন ধর্মান্তরিতদের ব্যক্তিগত পাঠের জন্য “দি শেফার্ড” অত্যন্ত উপযোগী। ম্যানিচিয়াস নামক (Manichaeaus) নামক পারস্যের এক খৃষ্টান ব্যক্তি এটি প্রাচ্যে নিয়ে যান। দান্তেও (Dante) নিশ্চিতভাবে এ গ্রন্থদ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন।

সুতরাং “দি শেফার্ড” ছিল এমনি এক গ্রন্থ যা কোনো রকমেই উপেক্ষণীয় ছিল না এবং তা একটি ঐশী গ্রন্থ হিসেবে সে যুগের খৃষ্টান চিন্তাবিদ ও ঈশ্বর প্রেমী গণ কর্তৃক গৃহীত হয়েছিল। যীশুর শিক্ষাকে গ্রীক মনোভাবাপন্ন (Hellenise) করার আন্দোলনের শৈশব অবস্থায় এবং যখন যীশুর বহু অনুসারীই সচেতন ছিলেন যে, যীশু ইয়াহূদীদের কাছে মূসা আলাইহিস সালামের প্রচারিত ধর্ম পুনরুদ্ধার ও বিস্তারের জন্যই এসেছিলেন, তখনি এ গ্রন্থটি রচিত হয়। যীশুর ন্যায় তারাও ছিলেন আচারনিষ্ঠ ইয়াহূদী। কিন্তু যীশুর জ্ঞানের আলোকে তাদের এতদিনের বিভ্রমজনিত অন্ধকার অপসারিত হয়। তারা এখনও ওল্ড টেস্টামেন্টে বিশ্বাস রেখেছেন ও অনুসরণ করছেন। যেহেতু “দি শেফার্ড” গ্রন্থে তারা যা জানতেন তা ব্যক্ত হয়েছিল সে কারণে তারা হারমাসের গ্রন্থটিকে তাদের ধর্মীয় গ্রন্থের অংশ হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন।

কেউ কেউ যখন এ মর্মে বলতে শুরু করেন যে, কোনো খৃষ্টানেরই ইয়াহূদীদের আইন মেনে চলার প্রয়োজন নেই তখন নিউ টেস্টামেন্ট বলে পরিচিত নয় লিখিত বাইবেল, নতুন নিয়ম এবং ওল্ড টেস্টামেন্টের মধ্যে বিরোধ দেখা দিতে শুরু করে। যা হোক, এসব বিরোধ সত্ত্বেও চার্চ কর্তৃক ওল্ড টেস্টামেন্ট বহাল থাকে। কারণ, ওল্ড টেস্টামেন্টকে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করা বহু লোকের কাছেই স্বয়ং যীশুকে প্রত্যাখ্যান হিসেবেই গণ্য হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। এর অনিবার্য ফল হিসেবে দেখা দেয় বিভ্রান্তি। একই সাথে ওল্ড টেস্টামেন্টকে গ্রহণ ও বর্জনের পাশাপাশি নিউ টেস্টামেন্টের মধ্যেই স্ব-বিরোধিতা দেখা দেয়। যেহেতু তা পুরোনোটিকে সরাসরি প্রত্যাখ্যান না করেই ‘নতুন’ হয়েছিল। তবে চার্চের গোড়ার দিকে এসব গ্রন্থ এবং বিভিন্ন মতবাদ ও বিবরণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার জন্য সেগুলোর তুলনামূলক যাচাই ও বিচারের কোনো আনুষ্ঠানিক উদ্যোগ নেওয়া হয় নি। প্রথম দিকের খৃষ্ট সমাজের নেতৃবৃন্দ অবাধে তাদের ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারতেন এবং তাদের বিচারে যেসব গ্রন্থে যীশুর শিক্ষা ভালোভাবে আছে বলে মনে হত সেগুলোর কথাই তারা উল্লেখ করতেন।

৩২৫ খৃস্টাব্দে ত্রিত্ববাদের উদ্ভাবন, তার রূপ রেখা প্রণয়ন ও আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণের কারণে পলীয় চার্চের কাছে এ ধরনের স্বাধীনতা আর গ্রহণযোগ্য ছিল না। ৪টি স্বীকৃত গসপেল নির্বাচন করা হয় এবং যীশুর জন্মের পরে লিখিত সকল ধর্মীয় গ্রন্থ নিষিদ্ধ করা হয়। যা হোক, পলীয় চার্চের নেতৃবৃন্দ, যারা তাদের রহস্যময় ধর্মমতের ব্যাপারে সম্পূর্ণরূপে সন্তুষ্ট ছিল না, যা এ সময় গড়ে উঠছিল এবং যারা কিছু নিষিদ্ধ গ্রন্থের বৈধতা স্বীকার করেছিলেন, তারা চার্চের নয়া ধর্মমতের সাথে সরাসরি বিরোধিতা সত্ত্বেও এ সব গ্রন্থের কয়েকটিকে বহাল রাখতে চেয়েছিলেন। এসব গ্রন্থ একত্রে জড়ো করা হয় এবং সেগুলো শুধু চার্চের ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের ব্যবহারের মধ্যেই সীমিত রাখা হয়। এগুলো পরিচিত ‘Apocrypha’ নামে যার অর্থ হলো “জনগণের কাছ থেকে লুকিয়ে রাখা”। এরপর সেগুলো বাইবেল থেকে অপসারণ করা হয়। যে সকল লোকের কাছে এ সব গ্রন্থ পাওয়া গিয়েছিল তাদেরসহ গ্রন্থগুলো প্রকাশ্যে ধ্বংস করে ফেলা হয়। সামান্য কিছু সংখ্যক কপি মাত্র এ ধ্বংসকান্ড থেকে রক্ষা পায়। বার্নাবাসের গসপেলের মত হারমাসের The Shepherd-এর ভাগ্যেও একই পরিণতি ঘটে। গ্রন্থটি নিউ টেস্টামেন্ট থেকেও বাদ দেওয়া হয়। যেহেতু এ গ্রন্থটির কারণে ত্রিত্ববাদে বিশ্বাস স্থাপনের জন্য নির্দেশপ্রাপ্ত লোকদের মনে সংশয় দেখা দিয়েছিল সে কারণে এটি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করার চেষ্টা চালানো হয়।

তবে এ সকল চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে বলে প্রমাণিত হয়। এ গ্রন্থটির কথা বিভিন্ন সূত্রে উল্লিখিত রয়েছে। কিন্তু পাশ্চাত্যের কেউ দীর্ঘকাল তা পাঠ করতে সক্ষম হয় নি। আকস্মিকভাবে ১৯২২ খৃস্টাব্দে এ গ্রন্থটির একটি তৃতীয় শতাব্দীর প্যাপিরাস পাণ্ডুলিপি আলোর মুখ দেখতে পায়।

দেখা যায় যে হারমাসের ব্যবহৃত গ্রীক ছিল একটি সহজ ভাষা। সাধারণ মানুষ এ ভাষা বুঝতে পারত। এটা পরিষ্কার যে, গ্রন্থটি সকলের কথা ভেবেই রচিত হয়েছিল, গণ্যমান্য বুদ্ধিজীবীদের জন্য নয়। তার ভাষা সরল ও ঘরোয়া এবং তার মৌলিক প্রকাশভঙ্গী বইটিকে সহজ পাঠ্য করেছিল।

হারমাস তার গ্রন্থটি শুরু করেছেন তার দেখা চারটি স্বপ্নের বিবরণ দিয়ে। শেষ স্বপ্নটিকে তিনি আখ্যায়িত করেছেন প্রত্যাদেশ প্রাপ্তি বলে যেহেতু এ সময় মেষপালকের পোশাকে সজ্জিত এক স্বর্গীয় দূত তার কাছে এসেছিলেন। স্বর্গীয় দূত তাঁকে জ্ঞাত করেন যে, ‘সর্বাপেক্ষা সম্মানিত স্বর্গীয় দূত’ (অর্থাৎ গাব্রিয়েল) তাকে তার কাছে প্রেরণ করেছেন। হারমাস যতদিন জীবিত থাকবেন ততদিন তিনিও তার সাথে থাকবেন।

এরপর স্বর্গীয় দূত হারমাসকে ‘সকল নির্দেশাবলী ও ধর্মমতের ব্যাখ্যা’ লিপিবদ্ধ করার নির্দেশ দেন। যেহেতু স্বর্গীয় দূত কর্তৃক এগুলো লিপিবদ্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল এবং উক্ত স্বর্গীয় দূতকে নির্দেশ দিয়েছিলেন ‘সর্বাপেক্ষা সম্মানিত স্বর্গীয় দূত’ সে কারণে তৎকালীন খৃষ্টানগণ এ গ্রন্থকে ঐশী গ্রন্থ হিসেবে গ্রহণ করে।

হারমাস যেসব নির্দেশাবলী লিপিবদ্ধ করার নির্দেশ প্রাপ্ত হয়েছিলেন সেগুলো নিম্নরূপ:

১. সর্বপ্রথমেই বিশ্বাস করতে হবে যে, ঈশ্বর এক এবং তিনি সবকিছু সৃষ্টি করেছেন এবং সেগুলোকে সংগঠিত করেছেন, তিনি ছাড়া আর কোনো স্রষ্টা নেই, তিনি সব কিছুকে ধারণ করেন কিন্তু তিনি নিজে ধারণকৃত নন। তাঁকে বিশ্বাস কর ও ভয় কর এবং তাকে ভয় করে আত্ম-সংযমী হও। এ আদেশ মান্য কর এবং নিজের সকল দুষ্ট প্রবৃত্তি দূর কর এবং সৎ ও ন্যায়পরায়ণ হও। আদেশ মান্য করলে তুমি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভ করবে।

২. বিশ্বস্ত ও সরলমনা হও। কারো সম্পর্কে মন্দ কথা বলবে না এবং কেউ বললেও তাতে কর্ণপাত করবে না। ন্যায়নিষ্ঠ হও এবং মুক্তহস্তে দান কর।

৩. সত্যকে ভালোবাসো।

৪. পবিত্র হও। শুধু কাজে নয়, চিন্তায়ও পবিত্র হতে হবে।

৫. সহিষ্ণু ও ধৈর্যশীল হও। ঈশ্বর ধৈর্যশীল কিন্তু শয়তান অসহিষ্ণু।

৬. যা সত্য সেটাই বিশ্বাস কর। যা সত্য নয় তা বিশ্বাস কর না। ন্যায়ের পথ সহজ ও সরল কিন্তু অন্যদের পথ বাঁকা। মানুষের সাথে দু’জন স্বর্গীয় দূত আছে, একজন ন্যায়ের হিসাব রাখে অন্যজন অন্যায়ের।

৭. ঈশ্বরকে ভয় কর ও তার আদেশ মেনে চল।

৮. অন্যায়ের ব্যাপারে নিজকে সংবরণ কর, অন্যায় কর না। তবে ন্যায়ের ব্যাপারে নিয়ন্ত্রণ আরোপ কর না। যা সঠিক তাই কর। সকল অসৎ কাজ থেকে নিজকে সংযত কর এবং সত্য পথ অনুসরণ কর।

৯. নিজের মন থেকে সন্দেহ দূর কর। কোনো সংশয় ছাড়া ঈশ্বরের কাছে চাও এবং তুমি সব কিছু পাবে। ঈশ্বর মানুষের ন্যায় ঈর্ষা পরায়ণ নন, তিনি ক্ষমাশীল এবং তার সৃষ্টির প্রতি করুণাশীল। সুতরাং জাগতিক গর্ব-দম্ভ থেকে হৃদয়কে মুক্ত কর।

১০. মন থেকে দুঃখবোধ দূর কর, কারণ তা সন্দেহ ও ক্রোধের সহোদরাস্বরূপ।

১১. যে ভণ্ড নবীর সাথে আলাপ পরামর্শ করে সে মূর্তিপূঁজক ও সত্য বিচ্যুত। হারমাস স্বর্গীয় দূতের কাছে জানতে চান যে, কীভাবে একজন সত্য ও মিথ্যা নবীকে চেনা যাবে। জবাবে তিনি জানান, যিনি নবী তিনি হবেন ভদ্র, নম্র ও বিনয়ী। তিনি সকল অসৎ কাজ থেকে বিরত থাকবেন। তার কোনো জাগতিক আকঙ্খা থাকবে না। তিনি নিজের কোনো কথা বলবেন না... ঈশ্বর যখন চাইবেন তখনি তিনি কথা বলবেন........ ঈশ্বর সর্বশক্তিমান।

একজন মিথ্যা নবী নিজেই নিজের প্রশংসা করবে এবং নিজের জন্য উচ্চাসন চাইবে। সে হবে দুর্দান্ত, নির্লজ্জ ও বাচাল। সে বিলাস ব্যসনের মধ্যে থাকবে এবং তার নবীত্বের জন্য পারিশ্রমিক গ্রহণ করবে। কোনো পবিত্র আত্মা কি নবীত্বের জন্য পারিশ্রমিক গ্রহণ করতে পারেন? মিথ্যা নবী সৎ লোকদের পরিহার করে এবং নীচে তাদের সাথেই সংশ্লিষ্ট থাকে যারা সন্দেহ প্রবণ ও দাম্ভিক। সে তাদের কাছে সর্বদা মনোরঞ্জনকর মিথ্যা কথা বলে। একটি শূন্য পাত্র অন্য শূন্য পাত্রের মধ্যে রাখা হলে ভেঙে যায় না, বরং তাদের মধ্যে পারস্পরিক ঐক্য ও সম্প্রীতি লক্ষিত হয়। একটি পাথর হাতে নিয়ে আকাশের দিকে ছুঁড়ে দাও, দেখ তা আকাশ ছুঁতে পারে কিনা। জাগতিক বস্তুসমূহ অক্ষম ও দুর্বল। অন্যদিকে ঐশী শক্তিকে গ্রহণ কর। একটি শিলা ক্ষুদ্র বস্তু, কিন্তু তা যখন মানুষের মাথার ওপর পড়ে তখন কত না যন্ত্রণা দেয়। অথবা দেখ, ছাদের ওপর থেকে পানির ফোঁটা মাটিতে পড়ে মিলিয়ে যায়। অথচ এই পানির ফোঁটা পড়ে পড়েই পাথরের বুকে গর্ত সৃষ্টি হয়। সুতরাং ঐশী শক্তি অত্যন্ত শক্তিশালী।

১২. মন থেকে সকল অসৎ ইচ্ছা দূর কর এবং সৎ ও পবিত্র ইচ্ছায় মনকে সজ্জিত কর। ঈশ্বর মানুষের স্বার্থেই বিশ্বে সৃষ্টি করেছেন। ঈশ্বরপ্রেমী ব্যক্তি সব কিছুর অধিকারী হবে। ঈশ্বরের একজন দাসের মত আচরণ কর। যারা ঈশ্বরের দাস, শয়তান তাদের কবজা করতে পারে না। শয়তান তাদের সাথে লড়াই করতে পারে, কিন্তু পতন ঘটাতে পারে না।১

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন