HADITH.One
HADITH.One
Bangla
System
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন
মুসলিম নারীর অধিকার ও দায়িত্ব ইসলামের ইশতিহার ও সনদ
লেখকঃ ফায়সাল বিন খালেদ
২
ভূমিকামূলতঃ আমরা এখন খুবই খারাপ একটি বর্তমান যাপন করছি এবং একটি অশুভ আগামীর দিকে যাচ্ছি। এই কাল পাশ্চাত্যকরণের কাল। প্রতীচ্যীয় সভ্যতা-সংস্কৃতি, চিন্তা ও জীবন যাপন পদ্ধতি তার বাইরের সব এলাকাতেই আগ্রাসন চালাচ্ছে, সব কিছুকে পাশ্চাত্যকরণের চেষ্টা চালাচ্ছে। নানা ঐতিহাসিক ও মৌলিক কারণে পাশ্চাত্যীয় এই আগ্রাসনের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য ইসলাম। ভোগবাদী, বস্ত্তবাদী ও ধর্মহীন পাশ্চাত্যীয় ডিসকোর্স, পাশ্চাত্যের প্রধান সংগঠন ও ব্যক্তিদের ধারণা ও বক্তব্য , নির্বিচারে ইসলামী সভ্যতা সংস্কৃতি ও মূল্যবোধগুলোকে আক্রমণ করছে। ইসলামী চিন্তা ও সংস্কৃতির কোন এলাকাই পাশ্চাত্যের এই আক্রমণ থেকে নিরাপদ নয়। তবে তাদের অন্যতম প্রধান লক্ষ্যবস্ত্ত নারী ,ইসলামের নারী-ভাবনা ও নারী সম্পর্কে তার সিদ্ধান্তগুলো। পাশ্চত্যীয় ডিসকোর্সের দাবী নারী সম্পর্কে ইসলামের মনভাব সেকেলে, নিচুস্তরের এবং খুবই অসভ্য। নারীর ক্ষেত্রে ইসলামের বিধানগুলো পীড়নমূলক। ইসলাম নারীকে তার প্রাপ্য অধিকার দেয়নি। বলাবাহুল্য পাশ্চাত্যের মিথ্যে প্রচারণামূলক এই ডিসকোর্স অনেকাংশে সফল। কারণ তাতে এমনকি অনেক মুসলমানও বিভ্রান্ত হচ্ছেন এবং ইসলামী শরীয়তের ব্যাপারে তাদের আস্থা শিথিল হয়ে যাচ্ছে। ঐতিহাসিক লড়াইয়ের স্বভাব যারা জানেন তারা বুঝেন এর পরিণতি ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর জন্য খুব সুখকর হবে না।
পাশ্চাত্যের ইসলাম বিরোধী এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইসলামের রাজনৈতিক ও সামরিক প্রতিরোধের ব্যর্থতার একটা ব্যাখ্যা দাঁড় করানো সম্ভব। কিন্তু চিন্তা ও সংস্কৃতির মাঠে ইসলামী ডিসকোর্সের ব্যর্থতার কোন যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যা নেই। রাজনৈতিক প্রতিরোধের ব্যার্থতার দোহাই দিয়ে মুসলিম চিন্তাবিদরা চিন্তা ও সাংস্কৃতিক লড়াইয়ে অগ্রিম হার স্বীকার করে নিতে পারেন না। সেটা হবে আত্মঘাতি। তাদেরকে এই লড়াই করতেই হবে। কারণ চিন্তা ও সংস্কৃতির এলাকাই পাশ্চাত্যীয় এই আগ্রাসনের প্রধান লক্ষ্য। পাশ্চাত্যের আগ্রাসন কখনো কখনো, কোন কোন স্থানে রাজনৈতিক ও সামরিকভাবে সফল হতে পারে। কিন্তু মুসলিম উম্মাহ যদি তার দ্বীনের প্রতি আস্থা না হারিয়ে ফেলে, তাহলে এই লড়াইয়ে পাশ্চাত্য কখনোই জয়ী হতে পারবে না। ব্যাপকভাবে মুসলিম উম্মাহর উপর আধিপত্য করতে পারবে না। আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেছেন :
(আরবি)
অর্থাৎ ‘আহলে কিতাবের একটি দল তোমাদেরকে ভ্রষ্ট করতে চায়। কিন্তু তারা শুধু নিজেদেরকেই ভ্রষ্ট করবে। তারা সে সম্পর্কে সচেতন নয়’। সুরা আলে ইমরান।
(আরবি)
অর্থাৎ ‘তারা কামনা করে তোমরা যেন কুফুরী কর, ফলে তোমরা তাদের মত হয়ে যাবে’। সুরা আন্নিসা।
আমরা দেখিয়েছি পাশ্চাত্যের এই আগ্রাসনের অন্যতম প্রধান এলাকা সমাজ এবং বিশেষত নারী সংক্রান্ত বিষয়গুলো। উপরের আলোচনা থেকে আমরা কয়েকটি মূলনীতি উদ্ধার করতে পারি। এই মূলতনীতিগুলো থেকে আমরা জানতে পারি সমাজ হচ্ছে মূলত জাতীর সচেতনতার ফল। সত্য-কল্যণ-সংস্কারের প্রতি আহবানের ব্যাপারে তাদের সাড়া এবং অকল্যাণ-অন্যায় প্রাতিরোধে তাদের তৎপরতা প্রকাশের নামই সমাজ। তাই এই বিষয়গুলো যারা নিয়ন্ত্রণ করে এবং তার উপর আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয় তারাই এই সামাজিক লড়াইয়ে জয়ী হয়।
তাই আমরা মনে করি নারী সম্পর্কে ইসলাম কি মনোভাব পোষণ করেছে এবং কি সিদ্ধান্ত দিয়েছে ইসলামী ডিসকোর্সে এই সম্পর্কে ব্যাপক আলোচনা হওয়া দরকার। বর্তমান লেখায় মূলত আমরা, আমাদের সাধ্যমত, সে দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করেছি। আলোচনা করেছি নারীর ক্ষেত্রে ইসলামী শরীয়তের অবস্থান কি, মুসলিম সমাজে নারীর অবস্থান কি হবে, ইসলাম নারীকে কী কী অধিকার ও দায়িত্ব দিয়েছে।
আলোচনাকে আমরা যথাসম্ভব সংক্ষিপ্ত তবে সারসমৃদ্ধ করার চেষ্টা করেছি। আমাদের আলোচনা আবর্তিত হবে প্রধান চারটি বিষয় ও শিরনামকে কেন্দ্র করে :
-মৌলিক পূর্বাবস্থান-অনুমানসমূহ
-নারীর অধিকার ও দায়িত্ব বিষয়ে শরীয়তের মূলনীতিসমূহ
-কয়েকটি মূলনীতির প্রতিপাদনমূলক ব্যাখ্যা
-নির্দেশাবলী
পাশ্চাত্যের ইসলাম বিরোধী এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইসলামের রাজনৈতিক ও সামরিক প্রতিরোধের ব্যর্থতার একটা ব্যাখ্যা দাঁড় করানো সম্ভব। কিন্তু চিন্তা ও সংস্কৃতির মাঠে ইসলামী ডিসকোর্সের ব্যর্থতার কোন যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যা নেই। রাজনৈতিক প্রতিরোধের ব্যার্থতার দোহাই দিয়ে মুসলিম চিন্তাবিদরা চিন্তা ও সাংস্কৃতিক লড়াইয়ে অগ্রিম হার স্বীকার করে নিতে পারেন না। সেটা হবে আত্মঘাতি। তাদেরকে এই লড়াই করতেই হবে। কারণ চিন্তা ও সংস্কৃতির এলাকাই পাশ্চাত্যীয় এই আগ্রাসনের প্রধান লক্ষ্য। পাশ্চাত্যের আগ্রাসন কখনো কখনো, কোন কোন স্থানে রাজনৈতিক ও সামরিকভাবে সফল হতে পারে। কিন্তু মুসলিম উম্মাহ যদি তার দ্বীনের প্রতি আস্থা না হারিয়ে ফেলে, তাহলে এই লড়াইয়ে পাশ্চাত্য কখনোই জয়ী হতে পারবে না। ব্যাপকভাবে মুসলিম উম্মাহর উপর আধিপত্য করতে পারবে না। আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেছেন :
(আরবি)
অর্থাৎ ‘আহলে কিতাবের একটি দল তোমাদেরকে ভ্রষ্ট করতে চায়। কিন্তু তারা শুধু নিজেদেরকেই ভ্রষ্ট করবে। তারা সে সম্পর্কে সচেতন নয়’। সুরা আলে ইমরান।
(আরবি)
অর্থাৎ ‘তারা কামনা করে তোমরা যেন কুফুরী কর, ফলে তোমরা তাদের মত হয়ে যাবে’। সুরা আন্নিসা।
আমরা দেখিয়েছি পাশ্চাত্যের এই আগ্রাসনের অন্যতম প্রধান এলাকা সমাজ এবং বিশেষত নারী সংক্রান্ত বিষয়গুলো। উপরের আলোচনা থেকে আমরা কয়েকটি মূলনীতি উদ্ধার করতে পারি। এই মূলতনীতিগুলো থেকে আমরা জানতে পারি সমাজ হচ্ছে মূলত জাতীর সচেতনতার ফল। সত্য-কল্যণ-সংস্কারের প্রতি আহবানের ব্যাপারে তাদের সাড়া এবং অকল্যাণ-অন্যায় প্রাতিরোধে তাদের তৎপরতা প্রকাশের নামই সমাজ। তাই এই বিষয়গুলো যারা নিয়ন্ত্রণ করে এবং তার উপর আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয় তারাই এই সামাজিক লড়াইয়ে জয়ী হয়।
তাই আমরা মনে করি নারী সম্পর্কে ইসলাম কি মনোভাব পোষণ করেছে এবং কি সিদ্ধান্ত দিয়েছে ইসলামী ডিসকোর্সে এই সম্পর্কে ব্যাপক আলোচনা হওয়া দরকার। বর্তমান লেখায় মূলত আমরা, আমাদের সাধ্যমত, সে দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করেছি। আলোচনা করেছি নারীর ক্ষেত্রে ইসলামী শরীয়তের অবস্থান কি, মুসলিম সমাজে নারীর অবস্থান কি হবে, ইসলাম নারীকে কী কী অধিকার ও দায়িত্ব দিয়েছে।
আলোচনাকে আমরা যথাসম্ভব সংক্ষিপ্ত তবে সারসমৃদ্ধ করার চেষ্টা করেছি। আমাদের আলোচনা আবর্তিত হবে প্রধান চারটি বিষয় ও শিরনামকে কেন্দ্র করে :
-মৌলিক পূর্বাবস্থান-অনুমানসমূহ
-নারীর অধিকার ও দায়িত্ব বিষয়ে শরীয়তের মূলনীতিসমূহ
-কয়েকটি মূলনীতির প্রতিপাদনমূলক ব্যাখ্যা
-নির্দেশাবলী
রিডিং সেটিংস
Bangla
System
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন