HADITH.One
HADITH.One
Bangla
System
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন
মুসলিম নারীর অধিকার ও দায়িত্ব ইসলামের ইশতিহার ও সনদ
লেখকঃ ফায়সাল বিন খালেদ
৮
উপসংহারসর্বশেষে যেটা উল্লেখ করা জরুরী তা হল, প্রায়োগিক ও বাস্তব কর্মকান্ডের উপর- জ্ঞানগত ও বুদ্ধিবৃত্তিক আলোচনা ও সিদ্ধান্তের পর- জোর দেওয়া। এই ক্ষেত্রে এমন বাস্তব কোন কর্মসূচী গ্রহণ করা, যা সমাজে সত্যিকার জাগরণ তৈরি করবে, ইসলাম নারীকে যে অধিকার দিয়েছে তার প্রাপ্তি নিশ্চিত করবে এবং পশ্চিমের নারী ও সমাজ যে অসুখকর পরিণতিতে আক্রান্ত হয়েছে তা এড়িয়ে সমাজে নারীর বাস্তব উৎপাদনশীল অংশ গ্রহণের ব্যবস্থা করবে। এভাবে মুসলিম নারী ও সমাজ অন্যান্য সমাজের জন্য আদর্শ হওয়ার সম্মান লাভ করবে।
এই প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে, যা নারীর স্বপক্ষের সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়িত করবে। তাই মুসলিম সমাজের চিন্তাশীল ও বুদ্ধিজীবীদের দায়িত্ব অর্থনীতি, নৈতিকতা ইত্যাদি ক্ষেত্রের সমাজ গবেষক-বিশেষজ্ঞদের সাথে আলোচনা করা এবং শিক্ষা, পেশা, বিনোদন ইত্যাদি ক্ষেত্রে সুস্থ সমাজ ও নারীর জন্য উপযোগী সর্বোত্তম পদ্ধতি ও কর্ম পন্থা উদ্ভাবন করা এবং তা বাস্তবায়নের বাস্তব নকশা তৈরি করা। তবে এই সব সিদ্ধান্ত ও তৎপরতাগুলোর প্রধান ভিত্তি হবে দুইটি :
এক. বিশ্বাস, বিধান এবং লক্ষ্যের ক্ষেত্রে শরীয়তের মূলনীতির অনুসরণ
দুই. জীবনের নব বিকশিত বাস্তবতার সাথে সঙ্গতি রাখা
সমাজকে সুষ্ঠ রাখা এবং সমাজকে একটি সুস্থ সুন্দর জীবন উপহার দেওয়ার প্রচেষ্টা-তৎপরতা সফল হওয়ার প্রধান শর্ত তার দায়িত্ব আলেম, চিন্তাশীল ও বিষেশজ্ঞদের হাতে থাকা। দ্বীন সম্পর্কে যাদের সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ জ্ঞান নেই, শরীয়তের বিধান ও লক্ষ্য-উদ্দেশ্য যারা জানে না এবং যে সব মুসলিম সন্তানরা সাংস্কৃতিক ও মানসিকভাবে পশ্চিমের কাছে পরাজিত, তারা যেন এই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব তাদের হাতে না ছেড়ে দেন। কিংবা পরিবর্তনশীল বাস্তবতাকে যেন কখনো এর নির্ধারক ও পরিচালক না বানানো হয়। কারণ নিছক বাস্তবতার সিদ্ধান্ত অনেক সময় মানুষের কল্যাণের সবচেয়ে বিশ্বস্ত উৎস শরীয়ত বিরোধী হতে পারে। যে চিন্তা শরীয়তের সঠিক জ্ঞানে অনুপ্রাণিত, এবং যা বাস্তবতা ও তার সম্ভাবনা-চ্যালেঞ্জগুলো বুঝে - এই প্রচেষ্টাকে সফল করার জন্য এই উভয় প্রকার চিন্তার সমন্বয় জরুরী। এই সমন্বিত চিন্তা এমন কোন সিদ্ধান্ত দিবে না বাস্তাবতার প্রেক্ষিতে যা আদায় করা অসম্ভব। কিংবা সব সিদ্ধান্তের ভার বাস্তবতার হাতে ছেড়ে দিবে না, বরং বাস্তবতা ও শরীয়তের সমন্বয়ে সমাজের জন্য একটি কার্যকরী কর্মপদ্ধতি উদ্ভাবন করবে। সুতরাং এই সব সংকট থেকে মুক্তির জন্য, দ্বীনী আলেম-জ্ঞানী ও নৈতিকতা, সমাজ-পরিবর্তন, সমাজ-সংগঠন ইত্যাদি এলাকার আন্তরিক গবেষকদের আশু মিলন এবং সমন্বিত একটি চিন্তা ও কর্ম পদ্ধতির উদ্ভাবন জরুরী। এই ক্ষেত্রে যে কোন অবহেলা মুসলিম সমাজের অমঙ্গল ডেকে আনবে।
ভাল কি খারাপ, ধর্মের সাথে কোথায় কোথায় সংঘর্ষশীল, মানুষের আচরণগত অবস্থা ও জীবনযাপনের ধারা - ভাল কি মন্দ অথবা ধর্মের সাথে সংঘর্ষশীল কি না- সে বিবেচনা বাদ দিলেও, সময়ের আবর্তে একদিন তা এমন এক পর্যায়ে পৌঁছতে পারে যেখানে ‘মূল্যবোধ’-এর রূপ পরিগ্রহ করতে পারে অথবা মৌলিক চাহিদার আকার ধারণ করতে পারে। সে সময়, অন্যসব বিবেচনা বাদ দিয়েই মানুষ তা তলব করতে শুরু করবে। তখন তার পরিবর্তন সংস্কার তো পরের কথা, তাকে সঠিক নির্দেশনা দেওয়াও সম্ভব হবে না।
অনেক হতাশার মাঝে আশার খবরটি হচ্ছে, বর্তমানে ইসলাম পৃথিবীর সবচেয়ে বর্ধশীল ধর্ম। বিস্ময়কর ব্যাপার হল নব ইসলাম গ্রহণকারীদের, বিশেষ করে পশ্চিমের নও মুসলিমদের, অধিকাংশই নারী। ইসলাম, বিশেষত নারীর ক্ষেত্রে ইসলামের ভূমিকা ও বিধানের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিকৃত প্রচারণা সত্ত্বেও, এবং ইসলাম গ্রহণ করার ফলে পাশ্চত্যের ব্যক্তিগত, সামাজিক ও সাংগঠনিক জীবনে নানা সংকট প্রতিকুলতায় আক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও নারীরা ব্যাপকভাবে ইসলাম গ্রহণ করছে। কারণ ইসলামী শরীয়ত মূলত নারীদেরকে সঠিক সম্মান ও প্রকৃত স্বাধীনতা দান করতে সক্ষম। তারা এর প্রমাণ পেয়েছেন।
وصلى الله علي نبينا محمد وعلي آله وصحبه أجمعين
এই প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে, যা নারীর স্বপক্ষের সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়িত করবে। তাই মুসলিম সমাজের চিন্তাশীল ও বুদ্ধিজীবীদের দায়িত্ব অর্থনীতি, নৈতিকতা ইত্যাদি ক্ষেত্রের সমাজ গবেষক-বিশেষজ্ঞদের সাথে আলোচনা করা এবং শিক্ষা, পেশা, বিনোদন ইত্যাদি ক্ষেত্রে সুস্থ সমাজ ও নারীর জন্য উপযোগী সর্বোত্তম পদ্ধতি ও কর্ম পন্থা উদ্ভাবন করা এবং তা বাস্তবায়নের বাস্তব নকশা তৈরি করা। তবে এই সব সিদ্ধান্ত ও তৎপরতাগুলোর প্রধান ভিত্তি হবে দুইটি :
এক. বিশ্বাস, বিধান এবং লক্ষ্যের ক্ষেত্রে শরীয়তের মূলনীতির অনুসরণ
দুই. জীবনের নব বিকশিত বাস্তবতার সাথে সঙ্গতি রাখা
সমাজকে সুষ্ঠ রাখা এবং সমাজকে একটি সুস্থ সুন্দর জীবন উপহার দেওয়ার প্রচেষ্টা-তৎপরতা সফল হওয়ার প্রধান শর্ত তার দায়িত্ব আলেম, চিন্তাশীল ও বিষেশজ্ঞদের হাতে থাকা। দ্বীন সম্পর্কে যাদের সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ জ্ঞান নেই, শরীয়তের বিধান ও লক্ষ্য-উদ্দেশ্য যারা জানে না এবং যে সব মুসলিম সন্তানরা সাংস্কৃতিক ও মানসিকভাবে পশ্চিমের কাছে পরাজিত, তারা যেন এই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব তাদের হাতে না ছেড়ে দেন। কিংবা পরিবর্তনশীল বাস্তবতাকে যেন কখনো এর নির্ধারক ও পরিচালক না বানানো হয়। কারণ নিছক বাস্তবতার সিদ্ধান্ত অনেক সময় মানুষের কল্যাণের সবচেয়ে বিশ্বস্ত উৎস শরীয়ত বিরোধী হতে পারে। যে চিন্তা শরীয়তের সঠিক জ্ঞানে অনুপ্রাণিত, এবং যা বাস্তবতা ও তার সম্ভাবনা-চ্যালেঞ্জগুলো বুঝে - এই প্রচেষ্টাকে সফল করার জন্য এই উভয় প্রকার চিন্তার সমন্বয় জরুরী। এই সমন্বিত চিন্তা এমন কোন সিদ্ধান্ত দিবে না বাস্তাবতার প্রেক্ষিতে যা আদায় করা অসম্ভব। কিংবা সব সিদ্ধান্তের ভার বাস্তবতার হাতে ছেড়ে দিবে না, বরং বাস্তবতা ও শরীয়তের সমন্বয়ে সমাজের জন্য একটি কার্যকরী কর্মপদ্ধতি উদ্ভাবন করবে। সুতরাং এই সব সংকট থেকে মুক্তির জন্য, দ্বীনী আলেম-জ্ঞানী ও নৈতিকতা, সমাজ-পরিবর্তন, সমাজ-সংগঠন ইত্যাদি এলাকার আন্তরিক গবেষকদের আশু মিলন এবং সমন্বিত একটি চিন্তা ও কর্ম পদ্ধতির উদ্ভাবন জরুরী। এই ক্ষেত্রে যে কোন অবহেলা মুসলিম সমাজের অমঙ্গল ডেকে আনবে।
ভাল কি খারাপ, ধর্মের সাথে কোথায় কোথায় সংঘর্ষশীল, মানুষের আচরণগত অবস্থা ও জীবনযাপনের ধারা - ভাল কি মন্দ অথবা ধর্মের সাথে সংঘর্ষশীল কি না- সে বিবেচনা বাদ দিলেও, সময়ের আবর্তে একদিন তা এমন এক পর্যায়ে পৌঁছতে পারে যেখানে ‘মূল্যবোধ’-এর রূপ পরিগ্রহ করতে পারে অথবা মৌলিক চাহিদার আকার ধারণ করতে পারে। সে সময়, অন্যসব বিবেচনা বাদ দিয়েই মানুষ তা তলব করতে শুরু করবে। তখন তার পরিবর্তন সংস্কার তো পরের কথা, তাকে সঠিক নির্দেশনা দেওয়াও সম্ভব হবে না।
অনেক হতাশার মাঝে আশার খবরটি হচ্ছে, বর্তমানে ইসলাম পৃথিবীর সবচেয়ে বর্ধশীল ধর্ম। বিস্ময়কর ব্যাপার হল নব ইসলাম গ্রহণকারীদের, বিশেষ করে পশ্চিমের নও মুসলিমদের, অধিকাংশই নারী। ইসলাম, বিশেষত নারীর ক্ষেত্রে ইসলামের ভূমিকা ও বিধানের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিকৃত প্রচারণা সত্ত্বেও, এবং ইসলাম গ্রহণ করার ফলে পাশ্চত্যের ব্যক্তিগত, সামাজিক ও সাংগঠনিক জীবনে নানা সংকট প্রতিকুলতায় আক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও নারীরা ব্যাপকভাবে ইসলাম গ্রহণ করছে। কারণ ইসলামী শরীয়ত মূলত নারীদেরকে সঠিক সম্মান ও প্রকৃত স্বাধীনতা দান করতে সক্ষম। তারা এর প্রমাণ পেয়েছেন।
وصلى الله علي نبينا محمد وعلي آله وصحبه أجمعين
রিডিং সেটিংস
Bangla
System
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন