মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
“যে ব্যক্তি রাতে এক শো আয়াত পাঠ করল, তার জন্য পূর্ণ রাতের কিয়াম লিখা হবে”। [আহমদ ফি ‘ফাতহুর রাব্বানি’: (১৮/১১), দারামি: (৩৪৫০), আল-বানি হাদিসটি সহিহ বলেছেন, দেখুন: সহিহ আল-জামে: (৬৪৬৮)]
এক শো আয়াত পাঠ করা খুব সহজ, দশ মিনিটের বেশী সময় লাগে না। আপনার হাতে সময় কম থাকলে উদাহরণ স্বরূপ সূরা সাফ্ফাতের প্রথম চার পৃষ্ঠা পড়ে এ সওয়াব অর্জন করতে পারেন, অথবা সূরা কালাম ও আল-হাক্কাহ পাঠ করুন।
কোন কারণে যখন পড়তে না পারেন, ফজর থেকে যোহরের আগ পর্যন্ত সময়ে পড়ে নিন। এ নিয়ে গাফিলতি করবেন না, ইনশাআল্লাহ কিয়ামুল লাইলের সওয়াব অর্জন হবে। ওমর ইব্ন খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
“যে তার পূর্ণ ‘হিযব’ ও অথবা আংশিক ‘হিযব’ না পড়ে ঘুমিয়ে গেল, অতঃপর সে যদি তা ফজর ও যোহরের মধ্যবর্তী সময়ে পড়ে নেয়, তার জন্য গণ্য করা হবে যেন সে তা রাতেই পড়েছে”। [আহমদ ফি ‘ফাতহুর রাব্বানি’: (১৮/২৯), মুসলিম: (৭৪৭), তিরমিযি: (৫৮১), নাসায়ি: (১৭৯০), আবু দাউদ: (১৩১৩), ইব্ন মাজাহ: (১৩৪৩), দারামি: (১৪৭৭)]
মুবারক পুরী রহ. এ হাদিস প্রসঙ্গে বলেছেন: “এ হাদিস থেকে প্রমাণিত হয় রাতে কুরআন থেকে কিছু নির্ধারণ করে নেয়া জায়েয, যদি ঘুমের জন্য অথবা কোন কারণে তা ছুটে যায়, তাহলে তার কাযা করাও জায়েয। যে তা ফজর ও যোহর মধ্যবর্তী সময়ে কাযা করবে, সে রাতে আদায়কারী গণ্য হবে। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে ইমাম মুসলিম ও তিরমিযি প্রমুখগণ বর্ণনা করেছেন: ঘুম বা কোন ব্যথা যদি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কিয়ামুল লাইল থেকে বিরত রাখত, তিনি দিনে তার পরিবর্তে বারো রাকাত সালাত আদায় করতেন”। [জামে তিরমিযি ব্যাখ্যা গ্রন্থ: ‘তুহফাতুল আহওয়াযি’: (৩/১৮৫), হাদিস নং: (৫৮১)]
এ হাদিস আমাদের সংবাদ দিচ্ছে যে, দিন-রাতে কুরআনের নির্দিষ্ট তিলাওয়াত থাকা বাঞ্ছনীয়, বিশেষ করে রাতে।
ভুললে চলবে না, আমাদেরকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে ঘুমানোর পূর্বে কমপক্ষে দশ আয়াত পাঠ করার জন্য উদ্বুদ্ধ করেছেন, যেন আমরা গাফেলদের অন্তর্ভুক্ত না হই?
আব্দুল্লাহ ইব্ন আমর ইব্ন আস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
( من قام بعشر آيات لم يُكتب من الغافلين ، ومن قام بمئة آية كُتب من القانتين ، ومن قام بألف آية كُتب من المقنطرين ).
“দশ আয়াত দ্বারা যে কিয়াম করবে, তাকে গাফেলদের মধ্যে গণ্য করা হবে না, আর যে এক শো আয়াত দ্বারা কিয়াম করবে তাকে অনুগতদের মধ্যে গণ্য করা হবে, আর যে এক হাজার আয়াত দ্বারা কিয়াম করবে তাকে প্রাচূর্যের অধিকারীদের মধ্যে গণ্য করা হবে”। [আবু দাউদ: (১৩৯৮), ইব্ন মাজাহ: (২৫৭২), ইব্ন খুজাইমাহ: (১১৪৪), দারামি: (৩৪৪৪), হাকেম: (২০৪১), আল-বানি ‘সহিহ তারগিব ওয়া তারহিব’: (৬৩৯) গ্রন্থে বলেছেন: হাদিসটি হাসান ও সহিহ।]
আমরা আল্লাহর কুরআন রীতিমত তিলাওয়াত করি! আমাদের খতমে কুরআন শুধু রমযানে সীমাবদ্ধ থাকা উচিত নয়, বরং পূর্ণ বছর ব্যাপী তা হওয়া জরুরী।
প্রতি রাতে কিয়ামুল লাইলের সওয়াব হাসিল করার জন্য এক শো আয়াত পাঠ করা, আল্লাহর কিতাবকে আঁকড়ে থাকার এক সুন্দর আমল।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/71/6
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।