HADITH.One
HADITH.One
Bangla
System
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন
প্রকৃতি ও শরীয়ত স্বীকৃত অধিকার
লেখকঃ শাইখ মুহাম্মাদ ইবন সালেহ আল উসাইমিন রহ.
১২
দশ: অমুসলিমদের অধিকারঅমুসলিম বলতে সকল অবিশ্বাসীদেরকেই বুঝানো হয়ে থাকে। এরা চার ভাগে বিভক্ত।
১. হরবী (যারা প্রকাশ্যভাবে মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত)।
২. আশ্রয় প্রার্থী।
৩. চুক্তিবদ্ধ এবং
৪. জিম্মি।
সুতরাং যারা প্রকাশ্যভাবে আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে এবং শত্রুতা পোষণ করছে, সাহায্য সহযোগিতার ক্ষেত্রে আমাদের ওপর তাদের কোনো অধিকার নেই।
তবে যারা আশ্রয় তথা নিরাপত্তা প্রার্থী, আমাদের ওপর তাদের অধিকার রয়েছে তাদেরকে সীমিত সময় ও স্থানে নিরাপত্তা সহায়তা প্রদান করা। কারণ, আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন :
﴿ وَإِنۡ أَحَدٞ مِّنَ ٱلۡمُشۡرِكِينَ ٱسۡتَجَارَكَ فَأَجِرۡهُ حَتَّىٰ يَسۡمَعَ كَلَٰمَ ٱللَّهِ ثُمَّ أَبۡلِغۡهُ مَأۡمَنَهُۥ﴾ [ التوبة : ٦ ]
‘যখন মুশরিকদের কেউ তোমাদের নিকট সাহায্য প্রার্থনা করে তখন তাদের সাহায্য কর; যাতে তারা আল্লাহর কালাম শুনতে পারে, অতঃপর তাকে তার নিরাপদের স্থানে পৌঁছে দাও!’। [সূরা আত-তাওবাহ: ৬]
আর যারা আমদের সাথে চুক্তিতে আবদ্ধ, চুক্তির মেয়াদ পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত তাদের সাথে সদ্ব্যবহার করতে হবে, যদি তাদের ও আমাদের মধ্যে সংঘটিত চুক্তির বরখেলাফ কিছু না করে, অর্থাৎ তারা যতদিন চুক্তির ওপর বহাল থাকবে এবং আমাদের কোন অনিষ্ট না করে, আমাদের কাউকে হয়রানি না করে এবং আমাদের দ্বীনের ব্যাপারে মিথ্যা অপবাদ ও ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার না করে, ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের সাথে সুব্যবহার করা আমাদের কর্তব্য।’ কারণ আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
﴿ إِلَّا ٱلَّذِينَ عَٰهَدتُّم مِّنَ ٱلۡمُشۡرِكِينَ ثُمَّ لَمۡ يَنقُصُوكُمۡ شَيۡٔٗا وَلَمۡ يُظَٰهِرُواْ عَلَيۡكُمۡ أَحَدٗا فَأَتِمُّوٓاْ إِلَيۡهِمۡ عَهۡدَهُمۡ إِلَىٰ مُدَّتِهِمۡۚ إِنَّ ٱللَّهَ يُحِبُّ ٱلۡمُتَّقِينَ ٤ ﴾ [ التوبة : ٤ ]
‘তবে মুশরিকদের মধ্য থেকে ঐ সমস্ত লোক যাদের সাথে তোমরা চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছো, অতঃপর তারা তোমাদের কোনো ব্যাপারে ক্ষতি সাধন করে নি এবং তোমাদের ওপরে কোনো প্রকার শত্রুতাও করে নি, তা হলে তাদের সাথে চুক্তির মেয়াদ পর্যন্ত তোমরা বহাল থাক। নিশ্চয় আল্লাহ তাকওয়ার অধিকারী লোকদের ভালোবাসেন’। [সূরা আত-তাওবাহ: ৪]
আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন:
﴿ وَإِن نَّكَثُوٓاْ أَيۡمَٰنَهُم مِّنۢ بَعۡدِ عَهۡدِهِمۡ وَطَعَنُواْ فِي دِينِكُمۡ فَقَٰتِلُوٓاْ أَئِمَّةَ ٱلۡكُفۡرِ إِنَّهُمۡ لَآ أَيۡمَٰنَ لَهُمۡ﴾ [ التوبة : ١٢ ]
‘আর যদি চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর তারা তা ভঙ্গ করে এবং তোমাদের দ্বীনের ব্যাপরে মিথ্যা দোষারূপ করে তা হলে কাফেরদের নেতাদেরকে তোমরা হত্যা কর- তাদের সাথে তোমাদের আর কোন চুক্তি নেই।’ [সূরা আত-তাওবাহ: ১২]
অতঃপর জিম্মিদের কথা। তাদের ওপরে আমাদের এবং আমাদের ওপর তাদের অধিকার রয়েছে। এটা এই জন্য যে, তারা মুসলিমদের দেশেই বসবাস করে থাকে। তারা মুসলিমদেরকে জিজিয়া দিয়ে থাকে এবং এ কারণেই তারা মুসলিমদের সাহায্য সহযোগিতা পাওয়ার যোগ্য। অতএব, মুসলিম সরকারের ওপর কর্তব্য হচ্ছে ইসলামের বিধান অনুযায়ী তাদের জান-মাল এবং সম্মানের হেফাজাত করা। আর তারা তাদের (ধর্মানুযায়ী) যে জিনিসগুলোকে নিষিদ্ধ বলে মনে করে তা লংঘনের ক্ষেত্রে তাদের ওপর দণ্ড কায়েম করবে। এছাড়া তাদেরকে হেফাযত করতে হবে এবং তাদের কোনো ব্যাপারে কষ্টদান থেকে বিরত থাকতে হবে।
আর পোশাক-পরিচ্ছদের ক্ষেত্রে তাদের ও মুসলিমদের মধ্যে তারতম্য থাকা প্রয়োজন। তাদের কোনো মন্দ স্বাভাব যাতে ইসলামের মধ্যে অনুপ্রবেশ করতে না পারে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষ করে তাদের ব্যবহৃত ক্রুশ এবং নাকুশ যা তাদের ধর্মীয় নিদর্শন বলে গণ্য তা যেন আমাদের মধ্যে প্রবেশ না করতে পারে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। আর জিম্মিদের সম্পর্কে যাবতীয় বিধান আলেমদের কিতাবসমুহে লিপিবদ্ধ রয়েছে। তাই এই ব্যাপারে আমি আমার এ নিবন্ধকে দীর্ঘায়িত করলাম না।
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। আর আমাদের নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, তার বংশধর, সাহাবীগণ ও সমস্ত মুসলিমের ওপর সালাত ও সালাম (শান্তি) বর্ষিত হোক।
১. হরবী (যারা প্রকাশ্যভাবে মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত)।
২. আশ্রয় প্রার্থী।
৩. চুক্তিবদ্ধ এবং
৪. জিম্মি।
সুতরাং যারা প্রকাশ্যভাবে আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে এবং শত্রুতা পোষণ করছে, সাহায্য সহযোগিতার ক্ষেত্রে আমাদের ওপর তাদের কোনো অধিকার নেই।
তবে যারা আশ্রয় তথা নিরাপত্তা প্রার্থী, আমাদের ওপর তাদের অধিকার রয়েছে তাদেরকে সীমিত সময় ও স্থানে নিরাপত্তা সহায়তা প্রদান করা। কারণ, আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন :
﴿ وَإِنۡ أَحَدٞ مِّنَ ٱلۡمُشۡرِكِينَ ٱسۡتَجَارَكَ فَأَجِرۡهُ حَتَّىٰ يَسۡمَعَ كَلَٰمَ ٱللَّهِ ثُمَّ أَبۡلِغۡهُ مَأۡمَنَهُۥ﴾ [ التوبة : ٦ ]
‘যখন মুশরিকদের কেউ তোমাদের নিকট সাহায্য প্রার্থনা করে তখন তাদের সাহায্য কর; যাতে তারা আল্লাহর কালাম শুনতে পারে, অতঃপর তাকে তার নিরাপদের স্থানে পৌঁছে দাও!’। [সূরা আত-তাওবাহ: ৬]
আর যারা আমদের সাথে চুক্তিতে আবদ্ধ, চুক্তির মেয়াদ পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত তাদের সাথে সদ্ব্যবহার করতে হবে, যদি তাদের ও আমাদের মধ্যে সংঘটিত চুক্তির বরখেলাফ কিছু না করে, অর্থাৎ তারা যতদিন চুক্তির ওপর বহাল থাকবে এবং আমাদের কোন অনিষ্ট না করে, আমাদের কাউকে হয়রানি না করে এবং আমাদের দ্বীনের ব্যাপারে মিথ্যা অপবাদ ও ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার না করে, ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের সাথে সুব্যবহার করা আমাদের কর্তব্য।’ কারণ আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
﴿ إِلَّا ٱلَّذِينَ عَٰهَدتُّم مِّنَ ٱلۡمُشۡرِكِينَ ثُمَّ لَمۡ يَنقُصُوكُمۡ شَيۡٔٗا وَلَمۡ يُظَٰهِرُواْ عَلَيۡكُمۡ أَحَدٗا فَأَتِمُّوٓاْ إِلَيۡهِمۡ عَهۡدَهُمۡ إِلَىٰ مُدَّتِهِمۡۚ إِنَّ ٱللَّهَ يُحِبُّ ٱلۡمُتَّقِينَ ٤ ﴾ [ التوبة : ٤ ]
‘তবে মুশরিকদের মধ্য থেকে ঐ সমস্ত লোক যাদের সাথে তোমরা চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছো, অতঃপর তারা তোমাদের কোনো ব্যাপারে ক্ষতি সাধন করে নি এবং তোমাদের ওপরে কোনো প্রকার শত্রুতাও করে নি, তা হলে তাদের সাথে চুক্তির মেয়াদ পর্যন্ত তোমরা বহাল থাক। নিশ্চয় আল্লাহ তাকওয়ার অধিকারী লোকদের ভালোবাসেন’। [সূরা আত-তাওবাহ: ৪]
আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন:
﴿ وَإِن نَّكَثُوٓاْ أَيۡمَٰنَهُم مِّنۢ بَعۡدِ عَهۡدِهِمۡ وَطَعَنُواْ فِي دِينِكُمۡ فَقَٰتِلُوٓاْ أَئِمَّةَ ٱلۡكُفۡرِ إِنَّهُمۡ لَآ أَيۡمَٰنَ لَهُمۡ﴾ [ التوبة : ١٢ ]
‘আর যদি চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর তারা তা ভঙ্গ করে এবং তোমাদের দ্বীনের ব্যাপরে মিথ্যা দোষারূপ করে তা হলে কাফেরদের নেতাদেরকে তোমরা হত্যা কর- তাদের সাথে তোমাদের আর কোন চুক্তি নেই।’ [সূরা আত-তাওবাহ: ১২]
অতঃপর জিম্মিদের কথা। তাদের ওপরে আমাদের এবং আমাদের ওপর তাদের অধিকার রয়েছে। এটা এই জন্য যে, তারা মুসলিমদের দেশেই বসবাস করে থাকে। তারা মুসলিমদেরকে জিজিয়া দিয়ে থাকে এবং এ কারণেই তারা মুসলিমদের সাহায্য সহযোগিতা পাওয়ার যোগ্য। অতএব, মুসলিম সরকারের ওপর কর্তব্য হচ্ছে ইসলামের বিধান অনুযায়ী তাদের জান-মাল এবং সম্মানের হেফাজাত করা। আর তারা তাদের (ধর্মানুযায়ী) যে জিনিসগুলোকে নিষিদ্ধ বলে মনে করে তা লংঘনের ক্ষেত্রে তাদের ওপর দণ্ড কায়েম করবে। এছাড়া তাদেরকে হেফাযত করতে হবে এবং তাদের কোনো ব্যাপারে কষ্টদান থেকে বিরত থাকতে হবে।
আর পোশাক-পরিচ্ছদের ক্ষেত্রে তাদের ও মুসলিমদের মধ্যে তারতম্য থাকা প্রয়োজন। তাদের কোনো মন্দ স্বাভাব যাতে ইসলামের মধ্যে অনুপ্রবেশ করতে না পারে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষ করে তাদের ব্যবহৃত ক্রুশ এবং নাকুশ যা তাদের ধর্মীয় নিদর্শন বলে গণ্য তা যেন আমাদের মধ্যে প্রবেশ না করতে পারে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। আর জিম্মিদের সম্পর্কে যাবতীয় বিধান আলেমদের কিতাবসমুহে লিপিবদ্ধ রয়েছে। তাই এই ব্যাপারে আমি আমার এ নিবন্ধকে দীর্ঘায়িত করলাম না।
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। আর আমাদের নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, তার বংশধর, সাহাবীগণ ও সমস্ত মুসলিমের ওপর সালাত ও সালাম (শান্তি) বর্ষিত হোক।
রিডিং সেটিংস
Bangla
System
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন