HADITH.One
HADITH.One
Bangla
System
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন
প্রকৃতি ও শরীয়ত স্বীকৃত অধিকার
লেখকঃ শাইখ মুহাম্মাদ ইবন সালেহ আল উসাইমিন রহ.
৪
দুই : রাসুলের অধিকারসৃষ্টিকুলের মধ্যে সব চেয়ে বড় অধিকার হলো এই অধিকারটি। অর্থাৎ সৃষ্টির মধ্যে রাসূলের সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অধিকারের চেয়ে বড় অধিকার আর কিছুই হতে পারে না।
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন :
﴿إِنَّآ أَرۡسَلۡنَٰكَ شَٰهِدٗا وَمُبَشِّرٗا وَنَذِيرٗا ٨ لِّتُؤۡمِنُواْ بِٱللَّهِ وَرَسُولِهِۦ وَتُعَزِّرُوهُ وَتُوَقِّرُوهُۚ﴾ [ الفتح : ٨، ٩ ]
‘হে, রাসূল! আমরা আপনাকে একজন সাক্ষ্যদানকারী, সুসংবাদদাতা ও ভীতি প্রদর্শনকারী হিসেবে প্রেরণ করেছি। যাতে তোমরা আল্লাহ রাসূলের ওপর ঈমান আনয়ন কর এবং শ্রদ্ধা ও সম্মান কর।’ [সূরা আল-ফাতহ: ৮,৯]
আর এজন্যই সমগ্র মানবজাতির ভালোবাসার ওপর রাসূলের প্রতি ভালোবাসাকে অগ্রাধিকার ও প্রাধান্য দেওয়া আবশ্যক করা হয়েছে। এমনকি ব্যক্তির উপর ওয়াজিব হচ্ছে তার নিজের, তার পিতা-মাতা ও সন্তান সন্ততির ভালোবাসার চেয়ে রাসূলের ভালোবাসাকে প্রাধান্য দেওয়া।
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :
«لاَ يُؤْمِنُ أَحَدُكُمْ، حَتَّى أَكُونَ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِنْ وَالِدِهِ وَوَلَدِهِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ»
‘কোন মানুষ মুমিন হতে পারবেনা যতক্ষন পর্যন্ত না আমি তার নিকট, তার সন্তান সন্তুতি, তার পিতা-মাতা ও মানবকুলের মধ্যে প্রিয় ব্যক্তি হিসেবে পরিগণিত না হই [বুখারী, ১৫; মুসলিম, ৪৪।]।’
রাসুলের অধিকারসমূহের মধ্যে আর একটি অধিকার হলো এই যে, কোন প্রকার অতিরঞ্জন বা সংকীর্ণতা ব্যতিরেকেই তার প্রাপ্য সম্মান ও মর্যাদার প্রতি যথাযথ যত্নবান হওয়া। তাঁর জীবদ্দশায় তাঁর প্রতি সম্মানের অর্থ হচ্ছে, তার ব্যক্তিসত্তা ও তাঁর আনীত সুন্নাতের সম্মান। তাঁর তিরোধানের পরে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের মানে হচ্ছে, তাঁর প্রতিষ্ঠিত সুন্নাত ও শরীয়াতের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো। আর যারা রাসূলের জীবদ্দশায় তাঁর প্রতি সাহাবায়ে কেরামের শ্রদ্ধা নিবেদনের দৃশ্যটি অবলোকন করেছেন তারা অবশ্যই জানেন যে, সে সব বুজুর্গ রাসূলের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে কতটা যত্নবান ছিলেন।
‘উরওয়া ইবন মাস‘উদ, যিনি ‘হোদায়বিয়ার সন্ধির’ ব্যাপারে রসূলুল্লাহর দরবারে আলাপ আলোচনার জন্য প্রেরিত হয়েছিলেন, কুরাইশদের উদ্দেশ্যে বলেন :
لَقَدْ وَفَدْتُ عَلَى المُلُوكِ، وَوَفَدْتُ عَلَى قَيْصَرَ، وَكِسْرَى، وَالنَّجَاشِيِّ، وَاللَّهِ إِنْ رَأَيْتُ مَلِكًا قَطُّ يُعَظِّمُهُ أَصْحَابُهُ مَا يُعَظِّمُ أَصْحَابُ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُحَمَّدًا، كان إِذَا أَمَرَهُمْ ابْتَدَرُوا أَمْرَهُ، وَإِذَا تَوَضَّأَ كَادُوا يَقْتَتِلُونَ عَلَى وَضُوئِهِ، وَإِذَا تَكَلَّمَ خَفَضُوا أَصْوَاتَهُمْ عِنْدَهُ، وَمَا يُحِدُّونَ إِلَيْهِ النَّظَرَ تَعْظِيمًا لَهُ
‘আমি রোমের কায়সার, পারস্যের কিসরা এবং আবিসিনিয়ার নাজ্জাশীর দরবারেও উপস্থিত হয়েছি। কিন্তু মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সহচরবৃন্দ যেভাবে তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে থাকে তেমনটি কোথাও দেখি নি। যখন তাদেরকে কোনো কাজের নির্দেশ দেয়া হয়, তখন তারা ত্বরিতগতিতে তা সম্পাদন করে এবং তাদের বিনয় ভাবের অবস্থা এই যে, মনে হয় যেন তারা তাঁর সম্মুখে আপন আপন প্রাণ বিলিয়ে দিতে প্রস্তত রয়েছে। আর যখন তাঁর সাথে কথা বলে তখন অতীব নীচু স্বরে কথা বলে। সম্মানের আতিশয্যে তারা তাঁর চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলে না [বুখারী, হাদীস নং ২৭৩১।]।’
মোটকথা, এভাবেই সাহাবীগণ তাকে সম্মান করতেন, তাছাড়াও তিনি ছিলেন উন্নত চরিত্র, বিনম্র স্বভাব ও সহজলভ্য মানুষ। তিনি যদি কর্কশভাষী ও কঠোর হতেন তাহলে অবশ্য লোকেরা তার নিকট থেকে দূরে সরে যেতো।
রাসুলের অধিকারের মধ্যে আরেকটি হচ্ছে এই যে, তিনি অতীত ও ভবিষ্যতের ঘটনাবলী সম্পর্কে যা কিছু বলেন, তা সত্য বলে বিশ্বাস করা এবং তিনি যা নির্দেশ দেন তা মেনে নেয়া ও তিনি যে ব্যাপারে নিষেধ করেন তা থেকে বিরত থাকা। আর এই মর্মে ঈমান পোষণ করা যে, তাঁর প্রদর্শিত হেদায়াতই পরিপূর্ণ হেদায়াত এবং তাঁর আনীত শরীয়াতই পরিপূর্ণ শরীয়াত। তাঁর ওপর অন্য কোনো জীবন পদ্ধতি ও পন্থাকে অগ্রাধিকার দেয়া যাবে না। আল্লাহ বলেন,
﴿ فَلَا وَرَبِّكَ لَا يُؤۡمِنُونَ حَتَّىٰ يُحَكِّمُوكَ فِيمَا شَجَرَ بَيۡنَهُمۡ ثُمَّ لَا يَجِدُواْ فِيٓ أَنفُسِهِمۡ حَرَجٗا مِّمَّا قَضَيۡتَ وَيُسَلِّمُواْ تَسۡلِيمٗا ٦٥ ﴾ [ النساء : ٦٥ ]
‘হে নবী, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা আপনাকে তাদের পারস্পরিক বিবাদ-বিসম্বাদে বিচারক হিসাবে না মানবে এবং আপনি যা ফায়সালা প্রদান করবেন নিসংকোচে তা মেনে না নিবে ততক্ষণ পর্যন্ত তারা মুমিন হতে পারবে না।’ [সূরা আন-নিসা: ৬৫]
আল্লাহ আরও বলেন,
﴿ قُلۡ إِن كُنتُمۡ تُحِبُّونَ ٱللَّهَ فَٱتَّبِعُونِي يُحۡبِبۡكُمُ ٱللَّهُ وَيَغۡفِرۡ لَكُمۡ ذُنُوبَكُمۡۚ وَٱللَّهُ غَفُورٞ رَّحِيمٞ ٣١ ﴾ [ ال عمران : ٣١ ]
‘হে নবী! আপনি বলে দিন যে, যদি তোমরা আল্লাহকে বালবাস তাহলে আমার আনুগত্য স্বীকার কর। আর এরূপ করলেই আল্লাহ তোমাদেরকে বালবাসবেন, তোমাদের পাপ মোচন করে দিবেন। কারণ, আল্লাহ অতিশয় ক্ষমাশীল এবং দয়ালু।’ [সূরা আলে-ইমরান: ৭২]
রাসূলের অধিকারসমূহের মধ্যে আর একটি অধিকার হচ্ছে এই যে, মানুষ তার সাধ্যানুসারে এবং অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে অস্ত্র প্রয়োগের মাধ্যমে হলেও রাসূলের শরীয়াত ও অনুশাসনের প্রতিরক্ষার কাজে নিজেদের নিয়োজিত রাখবে। অতএব, শত্রু যদি যুক্তিতর্ক দিয়ে শরীয়াতের মোকাবিলা করে, তা হলে জ্ঞান ও যুক্তির মাধ্যমে তার মোকাবিলা করতে হবে এবং তার বিরুদ্ধাচরণের ভয়াবহ দিকগুলোও তুলে ধরতে হবে। আর যদি তারা অস্ত্র প্রয়োগের মাধ্যমে ইসলামী শরীয়াতের মোকাবিলা করে তাহলে অনুরূপ ভাবেই তা মোকাবিলা করতে হবে।
আর এটা কিছুতেই হতে পারে না যে, একজন মুমিনের সামনে তার নবীর শরীয়াতের ওপর আক্রমণ হবে অথচ তার শক্তি থাকা সত্ত্বেও সে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করবে।
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন :
﴿إِنَّآ أَرۡسَلۡنَٰكَ شَٰهِدٗا وَمُبَشِّرٗا وَنَذِيرٗا ٨ لِّتُؤۡمِنُواْ بِٱللَّهِ وَرَسُولِهِۦ وَتُعَزِّرُوهُ وَتُوَقِّرُوهُۚ﴾ [ الفتح : ٨، ٩ ]
‘হে, রাসূল! আমরা আপনাকে একজন সাক্ষ্যদানকারী, সুসংবাদদাতা ও ভীতি প্রদর্শনকারী হিসেবে প্রেরণ করেছি। যাতে তোমরা আল্লাহ রাসূলের ওপর ঈমান আনয়ন কর এবং শ্রদ্ধা ও সম্মান কর।’ [সূরা আল-ফাতহ: ৮,৯]
আর এজন্যই সমগ্র মানবজাতির ভালোবাসার ওপর রাসূলের প্রতি ভালোবাসাকে অগ্রাধিকার ও প্রাধান্য দেওয়া আবশ্যক করা হয়েছে। এমনকি ব্যক্তির উপর ওয়াজিব হচ্ছে তার নিজের, তার পিতা-মাতা ও সন্তান সন্ততির ভালোবাসার চেয়ে রাসূলের ভালোবাসাকে প্রাধান্য দেওয়া।
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :
«لاَ يُؤْمِنُ أَحَدُكُمْ، حَتَّى أَكُونَ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِنْ وَالِدِهِ وَوَلَدِهِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ»
‘কোন মানুষ মুমিন হতে পারবেনা যতক্ষন পর্যন্ত না আমি তার নিকট, তার সন্তান সন্তুতি, তার পিতা-মাতা ও মানবকুলের মধ্যে প্রিয় ব্যক্তি হিসেবে পরিগণিত না হই [বুখারী, ১৫; মুসলিম, ৪৪।]।’
রাসুলের অধিকারসমূহের মধ্যে আর একটি অধিকার হলো এই যে, কোন প্রকার অতিরঞ্জন বা সংকীর্ণতা ব্যতিরেকেই তার প্রাপ্য সম্মান ও মর্যাদার প্রতি যথাযথ যত্নবান হওয়া। তাঁর জীবদ্দশায় তাঁর প্রতি সম্মানের অর্থ হচ্ছে, তার ব্যক্তিসত্তা ও তাঁর আনীত সুন্নাতের সম্মান। তাঁর তিরোধানের পরে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের মানে হচ্ছে, তাঁর প্রতিষ্ঠিত সুন্নাত ও শরীয়াতের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো। আর যারা রাসূলের জীবদ্দশায় তাঁর প্রতি সাহাবায়ে কেরামের শ্রদ্ধা নিবেদনের দৃশ্যটি অবলোকন করেছেন তারা অবশ্যই জানেন যে, সে সব বুজুর্গ রাসূলের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে কতটা যত্নবান ছিলেন।
‘উরওয়া ইবন মাস‘উদ, যিনি ‘হোদায়বিয়ার সন্ধির’ ব্যাপারে রসূলুল্লাহর দরবারে আলাপ আলোচনার জন্য প্রেরিত হয়েছিলেন, কুরাইশদের উদ্দেশ্যে বলেন :
لَقَدْ وَفَدْتُ عَلَى المُلُوكِ، وَوَفَدْتُ عَلَى قَيْصَرَ، وَكِسْرَى، وَالنَّجَاشِيِّ، وَاللَّهِ إِنْ رَأَيْتُ مَلِكًا قَطُّ يُعَظِّمُهُ أَصْحَابُهُ مَا يُعَظِّمُ أَصْحَابُ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُحَمَّدًا، كان إِذَا أَمَرَهُمْ ابْتَدَرُوا أَمْرَهُ، وَإِذَا تَوَضَّأَ كَادُوا يَقْتَتِلُونَ عَلَى وَضُوئِهِ، وَإِذَا تَكَلَّمَ خَفَضُوا أَصْوَاتَهُمْ عِنْدَهُ، وَمَا يُحِدُّونَ إِلَيْهِ النَّظَرَ تَعْظِيمًا لَهُ
‘আমি রোমের কায়সার, পারস্যের কিসরা এবং আবিসিনিয়ার নাজ্জাশীর দরবারেও উপস্থিত হয়েছি। কিন্তু মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সহচরবৃন্দ যেভাবে তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে থাকে তেমনটি কোথাও দেখি নি। যখন তাদেরকে কোনো কাজের নির্দেশ দেয়া হয়, তখন তারা ত্বরিতগতিতে তা সম্পাদন করে এবং তাদের বিনয় ভাবের অবস্থা এই যে, মনে হয় যেন তারা তাঁর সম্মুখে আপন আপন প্রাণ বিলিয়ে দিতে প্রস্তত রয়েছে। আর যখন তাঁর সাথে কথা বলে তখন অতীব নীচু স্বরে কথা বলে। সম্মানের আতিশয্যে তারা তাঁর চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলে না [বুখারী, হাদীস নং ২৭৩১।]।’
মোটকথা, এভাবেই সাহাবীগণ তাকে সম্মান করতেন, তাছাড়াও তিনি ছিলেন উন্নত চরিত্র, বিনম্র স্বভাব ও সহজলভ্য মানুষ। তিনি যদি কর্কশভাষী ও কঠোর হতেন তাহলে অবশ্য লোকেরা তার নিকট থেকে দূরে সরে যেতো।
রাসুলের অধিকারের মধ্যে আরেকটি হচ্ছে এই যে, তিনি অতীত ও ভবিষ্যতের ঘটনাবলী সম্পর্কে যা কিছু বলেন, তা সত্য বলে বিশ্বাস করা এবং তিনি যা নির্দেশ দেন তা মেনে নেয়া ও তিনি যে ব্যাপারে নিষেধ করেন তা থেকে বিরত থাকা। আর এই মর্মে ঈমান পোষণ করা যে, তাঁর প্রদর্শিত হেদায়াতই পরিপূর্ণ হেদায়াত এবং তাঁর আনীত শরীয়াতই পরিপূর্ণ শরীয়াত। তাঁর ওপর অন্য কোনো জীবন পদ্ধতি ও পন্থাকে অগ্রাধিকার দেয়া যাবে না। আল্লাহ বলেন,
﴿ فَلَا وَرَبِّكَ لَا يُؤۡمِنُونَ حَتَّىٰ يُحَكِّمُوكَ فِيمَا شَجَرَ بَيۡنَهُمۡ ثُمَّ لَا يَجِدُواْ فِيٓ أَنفُسِهِمۡ حَرَجٗا مِّمَّا قَضَيۡتَ وَيُسَلِّمُواْ تَسۡلِيمٗا ٦٥ ﴾ [ النساء : ٦٥ ]
‘হে নবী, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা আপনাকে তাদের পারস্পরিক বিবাদ-বিসম্বাদে বিচারক হিসাবে না মানবে এবং আপনি যা ফায়সালা প্রদান করবেন নিসংকোচে তা মেনে না নিবে ততক্ষণ পর্যন্ত তারা মুমিন হতে পারবে না।’ [সূরা আন-নিসা: ৬৫]
আল্লাহ আরও বলেন,
﴿ قُلۡ إِن كُنتُمۡ تُحِبُّونَ ٱللَّهَ فَٱتَّبِعُونِي يُحۡبِبۡكُمُ ٱللَّهُ وَيَغۡفِرۡ لَكُمۡ ذُنُوبَكُمۡۚ وَٱللَّهُ غَفُورٞ رَّحِيمٞ ٣١ ﴾ [ ال عمران : ٣١ ]
‘হে নবী! আপনি বলে দিন যে, যদি তোমরা আল্লাহকে বালবাস তাহলে আমার আনুগত্য স্বীকার কর। আর এরূপ করলেই আল্লাহ তোমাদেরকে বালবাসবেন, তোমাদের পাপ মোচন করে দিবেন। কারণ, আল্লাহ অতিশয় ক্ষমাশীল এবং দয়ালু।’ [সূরা আলে-ইমরান: ৭২]
রাসূলের অধিকারসমূহের মধ্যে আর একটি অধিকার হচ্ছে এই যে, মানুষ তার সাধ্যানুসারে এবং অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে অস্ত্র প্রয়োগের মাধ্যমে হলেও রাসূলের শরীয়াত ও অনুশাসনের প্রতিরক্ষার কাজে নিজেদের নিয়োজিত রাখবে। অতএব, শত্রু যদি যুক্তিতর্ক দিয়ে শরীয়াতের মোকাবিলা করে, তা হলে জ্ঞান ও যুক্তির মাধ্যমে তার মোকাবিলা করতে হবে এবং তার বিরুদ্ধাচরণের ভয়াবহ দিকগুলোও তুলে ধরতে হবে। আর যদি তারা অস্ত্র প্রয়োগের মাধ্যমে ইসলামী শরীয়াতের মোকাবিলা করে তাহলে অনুরূপ ভাবেই তা মোকাবিলা করতে হবে।
আর এটা কিছুতেই হতে পারে না যে, একজন মুমিনের সামনে তার নবীর শরীয়াতের ওপর আক্রমণ হবে অথচ তার শক্তি থাকা সত্ত্বেও সে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করবে।
রিডিং সেটিংস
Bangla
System
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন