HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

প্রকৃতি ও শরীয়ত স্বীকৃত অধিকার

লেখকঃ শাইখ মুহাম্মাদ ইবন সালেহ আল উসাইমিন রহ.

এক : আল্লাহর অধিকার
সমস্ত অধিকারের মধ্যে এই অধিকারই হচ্ছে বড় অধিকার। যেহেতু সমগ্র ব্যবস্থাপনা ও সৃষ্টির নিয়ামক হচ্ছেন সে মহান স্রষ্টা-তাই এই অধিকারকে সর্বাগ্রে স্বীকার করে নেয়ার প্রযোজনীয়তা রয়েছে। আর তার এ অধিকার একান্তই সুস্পষ্ট। কারণ, তিনি হচ্ছেন চিরঞ্জীব ও চিরবিদ্যমান এক মহান সত্তা যাকে কেন্দ্র করেই আকাশ ও পৃথিবী প্রতিষ্ঠিত রয়েছে। তিনি প্রতিটি বস্তুকে সৃষ্টি করেছেন এবং অতিশয় নিপুনতা সহকারে ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে তার অবয়ব এবং গতি-প্রকৃতি নির্ধারণ করে দিয়েছেন।

আল্লাহর অধিকার এই যে, (হে মানুষ!) তিনি তোমাকে অনস্তিত্ব থেকে অস্তিত্বে রূপান্তরিত করেছেন। অর্থাৎ এমন এক সময় ছিল যে তোমার অস্তিত্ব বলতে কোনো জিনিসই ছিল না। অতঃপর তিনি তোমার অস্তিত্ব দান করেছেন। এটাও আল্লাহর একটি অধিকার যে, তিনি তোমাকে তোমার মায়ের গর্ভে থাকাকালীন সময়ে অফুরন্ত নেয়ামত দ্বারা প্রতিপালন করেছেন। তুমি মায়ের উদরে তিনটি অন্ধকার স্তরের মধ্যে লালিত পালিত হয়েছো-যেখানে সৃষ্টিলোকের কারো প্রবেশাধিকার ছিল না। আর এমন কেউ ছিল না যে সেখানে তোমার জন্য খাদ্য পরিবেশন করতে পারে, তোমার জন্য জীবন ধারনের উপকরণ সরবরাহ করতে পারে। তিনিই তা করেছেন। তোমার জীবিকার জন্য তিনিই তোমাদের মায়ের স্তনে দুগ্ধ-ধারা সরবরাহ করেছেন এবং তোমাদের দুটি পথের সন্ধান দিয়েছেন। হ্যাঁ, শৈশবে তোমার লালন পালনের জন্য তোমার পিতা-মাতাকে তিনিই দয়াপরবশ করে সৃষ্টি করেছেন-যারা তোমার জন্য সবকিছুর যোগান দিচ্ছেন। আল্লাহ তা‘আলা তোমার জন্য অসংখ্য নেয়ামত দান করেছেন। তোমাকে জ্ঞান ও বুঝশক্তি দিয়েছেন। আল্লাহ তা‘আলার সে সব নেয়ামত গ্রহণ করে উপকৃত হওয়ার শক্তিও তোমাকে তিনি দান করেছেন। পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে:

﴿ وَٱللَّهُ أَخۡرَجَكُم مِّنۢ بُطُونِ أُمَّهَٰتِكُمۡ لَا تَعۡلَمُونَ شَيۡ‍ٔٗا وَجَعَلَ لَكُمُ ٱلسَّمۡعَ وَٱلۡأَبۡصَٰرَ وَٱلۡأَفۡ‍ِٔدَةَ لَعَلَّكُمۡ تَشۡكُرُونَ ٧٨ ﴾ [ النحل : ٧٨ ]

“আল্লাহ তোমাদেরকে তোমাদের মায়ের উদর থেকে ভূমিষ্ঠ করেছেন। (এ অবস্থায়) তোমরা কিছুই জানতে না। অতঃপর তিনি তোমাদের শ্রবণশক্তি ও অন্তকরণ দান করেছেন। আর তা এই জন্য যে, তোমরা যেন কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।” [সূরা আন-নাহল:৭৮]

যদি এক মুহুর্তের জন্যও তিনি তোমার নিকট থেকে তার সমুদয় অবদানকে সরিয়ে নেন, তা হলে তুমি নিশ্চিত ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়ে যেতে। তোমার ওপর থেকে যদি মুহুর্তের জন্যও করুণা উঠিয়ে নেয়া হতো তা হলে তুমি কিছুতেই জীবন ধারণ করতে পারতে না।

সুতরাং তোমার ওপর যখন আল্লাহর এত অফুরন্ত করুণা বর্ষিত হয়েছে ও হচ্ছে, তখন তোমার কর্তব্য হলো তার সে অধিকারগুলোর মাহাত্ম্য উপলব্ধি করা। কারণ, এটি হচ্ছে তোমার সৃষ্টি, তোমরা প্রতিপালন এবং তোমার জন্য জীবন ধারণের যাবতীয় উপকরণ সরবরাহের বিপরীতে তাঁর অধিকার।

আর আল্লাহ তা‘আলা তো তোমার নিকট থেকে কোনো প্রকার রিযিক বা খাদ্য-সামগ্রী চান না। আল্লাহ বলেন:

﴿لَا نَسۡ‍َٔلُكَ رِزۡقٗاۖ نَّحۡنُ نَرۡزُقُكَۗ وَٱلۡعَٰقِبَةُ لِلتَّقۡوَىٰ ١٣٢ ﴾ [ طه : ١٣٢ ]

‘আমিতো তোমার কাছ থেকে রিযিক প্রত্যাশা করি না! বরং আমিই তোমাকে রিযিক সরবরাহের করে থাকি। বস্তুত উৎকৃষ্ট পরিণাম তো তাকওয়ার জন্যই।” [সূরা ত্বা-হা: ১৩২]

আল্লাহ তা‘আলা তোমার কাছ থেকে একটি জিনিস চেয়েছেন; যার স্বার্থ তোমার দিকেই প্রত্যাবর্তিত হবে। তিনি তোমার কাছে চাচ্ছেন, তুমি একমাত্র তাঁরই ইবাদাত করবে; যার কোনো শরীক নেই। আল্লাহ বলেন:

﴿ وَمَا خَلَقۡتُ ٱلۡجِنَّ وَٱلۡإِنسَ إِلَّا لِيَعۡبُدُونِ ٥٦ مَآ أُرِيدُ مِنۡهُم مِّن رِّزۡقٖ وَمَآ أُرِيدُ أَن يُطۡعِمُونِ ٥٧ إِنَّ ٱللَّهَ هُوَ ٱلرَّزَّاقُ ذُو ٱلۡقُوَّةِ ٱلۡمَتِينُ ٥٨ ﴾ [ الذاريات : ٥٦، ٥٨ ]

‘জিন ও ইনসানকে আমি সৃষ্টি করেছি শুধু আমার ইবাদতের জন্য। আমি তাদের কাছ থেকে রিযিক কামনা করি না এবং আমি চাই না যে আমাকে খাবার সরবরাহ করা হোক। নিশ্চয়ই আল্লাহ রিযিকদাতা এবং তিনিই বেশি শক্তিশালী।’’ [সূরা আয-যারিয়াত:৫৬-৫৮]

আল্লাহ চাচ্ছেন বন্দেগীর সামগ্রিক অর্থেই তুমি যেন নিজেকে আল্লাহর একজন খাঁটি বান্দা হিসাবে পরিচয় দিতে সক্ষম হও, যেমন আল্লাহ তা‘আলা প্রতিপালনের সামগ্রিক অর্থেই একজন প্রতিপালক। অতএব, তুমি তার একজন অনুগত বান্দাহ হবে এটাই কাম্য। তুমি তার যাবতীয় নির্দেশ অবনত মস্তকে মেনে নিবে, তার নিষিদ্ধ কার্যগুলো থেকে দূরে থাকবে এবং তার যাবতীয় খবর তথা বাণীকে সমর্থন করবে। তুমি নিজেই দেখতে পাচ্ছ যে, আল্লাহ তা‘আলার নেয়ামতসমূহ তোমার ওপর কতটা পরিপূর্ণ। কাজেই তুমি কি আল্লাহর এই সব নেয়ামতকে কুফরের সাথে পরিবর্তন করতে লজ্জা বোধ কর না?

তোমার ওপর যদি কেউ করুণা করতো তা হলে তার বিরুদ্ধারণ করতে তুমি নিশ্চয়ই লজ্জাবোধ করতে। সুতরাং যে আল্লাহ তোমার ওপর এতটা দয়াবান তুমি কি করে তার বিরুদ্ধাচারণ করতে পার? তোমার ওপর থেকে যেসব দুঃখ-কষ্ট এবং অপছন্দনীয় কাজ রহিত করা হয় জেনে রাখবে, তা সবই তার করুণার ফলশ্রুতি। যেমন বলা হয়েছে:

﴿ وَمَا بِكُم مِّن نِّعۡمَةٖ فَمِنَ ٱللَّهِۖ ثُمَّ إِذَا مَسَّكُمُ ٱلضُّرُّ فَإِلَيۡهِ تَجۡ‍َٔرُونَ ٥٣ ﴾ [ النحل : ٥٣ ]

‘তোমাদের ওপর যেসব নেয়ামত বর্ষিত হচ্ছে, তা সবই আল্লাহর দান। অতঃপর যখন তোমাদের ওপর কঠিন বিপদ-আপদ পতিত হয় তখন তোমরা তাঁর দিকেই প্রত্যাবর্তন কর।’ [সূরা আন-নাহল: ৫৩]

এটা তাঁর স্বীয় অধিকার। তাঁর এ অধিকারকে পালন ও বোঝার জন্য তিনি তা সহজ করে দিয়েছেন। কারণ, এর মধ্যে কোন প্রকার সংকীর্ণতা, আবিলতা ও কঠিন কিছু নেই। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন:

﴿ وَجَٰهِدُواْ فِي ٱللَّهِ حَقَّ جِهَادِهِۦۚ هُوَ ٱجۡتَبَىٰكُمۡ وَمَا جَعَلَ عَلَيۡكُمۡ فِي ٱلدِّينِ مِنۡ حَرَجٖۚ مِّلَّةَ أَبِيكُمۡ إِبۡرَٰهِيمَۚ هُوَ سَمَّىٰكُمُ ٱلۡمُسۡلِمِينَ مِن قَبۡلُ وَفِي هَٰذَا لِيَكُونَ ٱلرَّسُولُ شَهِيدًا عَلَيۡكُمۡ وَتَكُونُواْ شُهَدَآءَ عَلَى ٱلنَّاسِۚ فَأَقِيمُواْ ٱلصَّلَوٰةَ وَءَاتُواْ ٱلزَّكَوٰةَ وَٱعۡتَصِمُواْ بِٱللَّهِ هُوَ مَوۡلَىٰكُمۡۖ فَنِعۡمَ ٱلۡمَوۡلَىٰ وَنِعۡمَ ٱلنَّصِيرُ ٧٨ ﴾ [ الحج : ٧٨ ]

‘আর তোমরা আল্লাহর পথে জিহাদ কর সত্যিকারের জিহাদ। তিনিই তোমাদেরকে (এ কাজের জন্য) নির্বাচিত করেছেন। আর তিনি দ্বীনের ব্যাপারে তোমাদের ওপর কোনো প্রকার সংকীর্ণতা আরোপ করেন নি। এ দ্বীন হচ্ছে তোমাদের পূর্বপুরুষ ইবরাহীমের দ্বীন। আর তিনিই তোমাদেরকে মুসলিম নামে অভিহিত করেছেন ইতোপূর্বে এবং বর্তমানে। এটা এই জন্য যে, যাতে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তোমাদের ব্যাপারে সাক্ষী হতে পারেন, আর তোমরাও সাক্ষী হবে সমগ্র মানুষের। অতএব, তোমরা নামাজ কায়েম কর, যাকাত প্রদান কর এবং আল্লাহর দ্বীনকে দৃঢ়ভাবে ধারণ কর। তিনিই তোমাদের অভিভাবক। আর কতইনা উত্তম অভিভাবক ও উত্তম সাহায্যকারী তিনি।’ [সূরা আর-হাজ্জ: ৭৮]

নিশ্চয়ই এ হচ্ছে একটি স্বত:সিদ্ধ এবং পরিপূর্ণ আকিদা। আর সত্যের ওপর পুর্ণ ঈমান আনয়ন করা, সৎকর্মে নিয়োজিত হওয়া বান্দার জন্য একান্তই ফলপ্রসু। এ এমন একটি আকিদা যার ভিত্তিসমূহের অন্যতম হচ্ছে ভালবাসা ও সম্মানবোধ, আর তার ফল হচ্ছে নিষ্ঠা এবং অধ্যবসায়।

আল্লাহর অধিকারসমূহের মধ্যে আরেকটি অধিকার হচ্ছে এই যে, দিবা-রাত্রির মধ্যে পাঁচবার নামায আদায় করা। আল্লাহ তা‘আলা এই পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের মাধ্যমে বান্দার যাবতীয় পাপ মোচন করে থাকেন। এ দ্বারা তার মর্যাদা বুলন্দ করেন এবং তার অন্তকরণ ও হাল অবস্থার পরিশুদ্ধি ঘটিয়ে থাকেন। আল্লাহর প্রকৃত বান্দাগণ তাদের সাধ্যানুসারে তা আদায় করে থাকে। আল্লাহ বলেন,

﴿ فَٱتَّقُواْ ٱللَّهَ مَا ٱسۡتَطَعۡتُمۡ﴾ [ التغابن : ١٦ ]

‘তোমাদের শক্তি অনুযায়ী আল্লাহকে ভয় করে চলো।’ [সূরা আত-তাগাবুন: ১৬]

রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রোগশয্যায় শায়িত ইমরান ইবন হুসাইনকে উদ্দেশ্য করে বলেন :

«صَلِّ قَائِمًا، فَإِنْ لَمْ تَسْتَطِعْ فَقَاعِدًا، فَإِنْ لَمْ تَسْتَطِعْ فَعَلَى جَنْبٍ»

‘দাড়িয়ে নামায আদায় কর। আর যদি দাড়াতে সক্ষম না হও তা হলে বসে বসে নামায পড়; আর যদি তাও না পার তা হলে শুয়ে শুয়ে নামায আদায় কর [বুখারী, হাদীস নং ১১১৭।]।’

আল্লাহর অধিকারের মধ্যে আর একটি অধিকার হচ্ছে যাকাত। এ হচ্ছে ধনী ব্যক্তির সম্পদের অংশ বিশেষ-যা যাকাত পাওয়ার যোগ্য মুসলিমদের অবস্থার উন্নতির জন্য প্রদান করা হয়ে থাকে। আর যাকাত পাওয়ার যোগ্য তথা ‘আহলে যাকাত’ হচ্ছে ফকির, মিসকিন, পথিক, ঋণগ্রস্ত, প্রভৃতি শ্রেণীর লোক।

আরেকটি অধিকার হচ্ছে রমযানের রোজা। বছরে একমাস রোযা রাখা প্রতিটি মুসলিমের অবশ্য কর্তব্য। আর যারা অসুস্থ হয়ে পড়বে অথবা সফরে থাকবে তারা অন্য সময়ে তা আদায় করে নেবে। আর যে ব্যক্তি শারীরিক অক্ষমতার দরুণ রোযা রাখতে অপারগ সে প্রতিদিন একজন মিসকিন ব্যক্তিকে খাদ্য দিবে।

আরেকটি অধিকার হচ্ছে বাইতুল্লাহর হজ্জ। অর্থনৈতিক ও শারীরিকভাবে সক্ষম প্রতিটি মুসলিমের জন্য জীবনে একবার হজ্জ পালন করা ফরয। এ বুনিয়াদি বিষয়গুলোই হচ্ছে আল্লাহর অধিকার।

আর এসব ছাড়া বান্দার উপর আরও কিছু অধিকার রয়েছে যা শুধুমাত্র হঠাৎ করে আপতিত হয়, যেমন, আল্লাহর পথে জিহাদ। অথবা কোনো কারণে সেটা ওয়াজিব হয় যেমন, মযলুমের সাহায্য করা।

হে আমার প্রিয় ভাই ! আল্লাহর এসব অধিকারের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করুন, এগুলো কর্মের দিক থেকে সামান্য কিন্তু পুণ্যের দিক থেকে অনেক বেশি। এগুলো যথাযথ পালন করলে তুমি দুনিয়া ও আখেরাতে সৌভাগ্যশালী হতে পারবে এবং জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি পাবে এবং জান্নাতে প্রবেশেরও সুযোগ লাভ করবে। আল্লাহর ভাষায় :

﴿فَمَن زُحۡزِحَ عَنِ ٱلنَّارِ وَأُدۡخِلَ ٱلۡجَنَّةَ فَقَدۡ فَازَۗ وَمَا ٱلۡحَيَوٰةُ ٱلدُّنۡيَآ إِلَّا مَتَٰعُ ٱلۡغُرُورِ ١٨٥ ﴾ [ ال عمران : ١٨٥ ]

‘আর যাকে জাহান্নামের আগুন থেকে দূরে রাখা হয়েছে এবং জান্নাতে প্রবেশ করতে দেয়া হয়েছে, সেতো উত্তীর্ণ হয়ে গেল। আর (স্বরণ রাখবে) এই পার্থিব জীবন প্রবঞ্চনার বিষয়-সম্পদ ছাড়া আর কিছুই নয়।’ [সূরা আলে ইমরান: ১৮৫]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন