hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

উম্মতের ওপর নবী মুহাম্মাদ মোস্তাফা সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের অধিকার

লেখকঃ ড. আহমাদ আল-মাযইয়াদ, ড. আদেল আশ-শিদ্দী

প্রথমত: নবী মুস্তাফা সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর ঈমান আনয়ন
উম্মতের ওপর নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের অধিকারগুলোর মধ্যে সর্বপ্রথম ও প্রধান অধিকার হলো তাঁর ঈমান আনয়ন করা এবং তাঁর রিসালাতকে সত্য বলে মেনে নেওয়া। সুতরাং যে ব্যক্তি সর্বশেষ নবী হিসেবে মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর ঈমান আনতে পারে নি, সে ব্যক্তি কাফির, যদিও সে তাঁর পূর্বে আগত সকল নবী ও রাসূলের ওপর ঈমান আনয়ন করে। কারণ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে অস্বীকার করা মানে আল্লাহ তা‘আলাকে অস্বীকার ও মিথ্যা প্রতিপন্ন করা। আর তিনি যে কিতাব নাযিল করেছেন এবং যে রাসূল প্রেরণ করেছেন, তা অস্বীকার করা।

আর আল-কুরআন পরিপূর্ণ হয়ে আছে এমন কতগুলো আয়াত দ্বারা, যেগুলো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর ঈমান আনয়ন করা, তাঁর অনুসরণ ও আনুগত্য করার জন্য নির্দেশ করে, আরও নির্দেশ করে তাঁর পথ ও নিয়মনীতিগুলো থেকে বিচ্যুতির ব্যপারে সতর্ক ও সাবধান থাকার জন্য। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

﴿فَ‍َٔامِنُواْ بِٱللَّهِ وَرَسُولِهِۦ وَٱلنُّورِ ٱلَّذِيٓ أَنزَلۡنَاۚ﴾ [ التغابن : ٨ ]

“অতএব, তোমরা আল্লাহ, তাঁর রাসূল ও যে নূর আমরা নাযিল করেছি তাতে ঈমান আন।” [সূরা আত-তাগাবূন, আয়াত: ৮]

আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন:

﴿إِنَّمَا ٱلۡمُؤۡمِنُونَ ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ بِٱللَّهِ وَرَسُولِهِۦ ثُمَّ لَمۡ يَرۡتَابُواْ﴾ [ الحجرات : ١٥ ]

“তারাই তো মুমিন, যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের ওপর ঈমান এনেছে, তারপর সন্দেহ পোষণ করে নি।” [সূরা আল-হুজুরাত, আয়াত: ১৫]

আর মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর ঈমান আনয়নের বিষয়টিকে আল্লাহ তা‘আলা শাস্তি থেকে রক্ষা পাওয়ার কারণ বলে বর্ণনা করেছেন। সুতরাং তিনি বলেন:

﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ هَلۡ أَدُلُّكُمۡ عَلَىٰ تِجَٰرَةٖ تُنجِيكُم مِّنۡ عَذَابٍ أَلِيمٖ ١٠ تُؤۡمِنُونَ بِٱللَّهِ وَرَسُولِهِۦ .....﴾ [ الصف : ١٠، ١١ ]

“হে ঈমানদারগণ! আমি কি তোমাদেরকে এমন এক ব্যবসার সন্ধান দেব, যা তোমাদেরকে রক্ষা করবে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে? তা এই যে, তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের ওপর ঈমান আনবে .....।” [সূরা আস-সাফ, আয়াত: ১০–১১]

আর আল্লাহ তা‘আলা সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করে দিয়েছেন যে, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি অবিশ্বাস এবং তাঁদের বিরোধিতা করার বিষয়টি ধ্বংস ও যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির কারণ। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

﴿ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمۡ شَآقُّواْ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥۚ وَمَن يُشَاقِقِ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥ فَإِنَّ ٱللَّهَ شَدِيدُ ٱلۡعِقَابِ ١٣﴾ [ الانفال : ١٣ ]

“এটা এ জন্যে যে, তারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরোধিতা করেছে। আর কেউ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরোধিতা করলে আল্লাহ তো শাস্তি দানে কঠোর।” [সূরা আল-আনফাল, আয়াত: ১৩]

আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন:

﴿ٱسۡتَغۡفِرۡ لَهُمۡ أَوۡ لَا تَسۡتَغۡفِرۡ لَهُمۡ إِن تَسۡتَغۡفِرۡ لَهُمۡ سَبۡعِينَ مَرَّةٗ فَلَن يَغۡفِرَ ٱللَّهُ لَهُمۡۚ ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمۡ كَفَرُواْ بِٱللَّهِ وَرَسُولِهِۦۗ وَٱللَّهُ لَا يَهۡدِي ٱلۡقَوۡمَ ٱلۡفَٰسِقِينَ ٨٠﴾ [ التوبة : ٨٠ ]

“আপনি তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন অথবা তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা না করুন একই কথা। আপনি সত্তর বার তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করলেও আল্লাহ তাদেরকে কখনই ক্ষমা করবেন না। এটা এ জন্যে যে, তারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সাথে কুফুরী করেছে। আর আল্লাহ ফাসেক সম্প্রদায়কে হিদায়াত দেন না।” [সূরা আত-তাওবাহ, আয়াত: ৮০]

আর নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম জানিয়ে দিয়েছেন যে, এমন প্রত্যেক ব্যক্তিই জাহান্নামের অধিবাসী হবে, যে ব্যক্তি তাঁর আগমনের কথা শুনেছে, অথচ তাঁর রিসালাতের ওপর ঈমান আনে নি। (আ‘উযুবিল্লাহ)। নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:

«وَالَّذِى نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ ، لاَ يَسْمَعُ بِى أَحَدٌ مِنْ هَذِهِ الأُمَّةِ يَهُودِىٌّ وَلاَ نَصْرَانِىٌّ، ثُمَّ يَمُوتُ وَلَمْ يُؤْمِنْ بِالَّذِى أُرْسِلْتُ بِهِ إِلاَّ كَانَ مِنْ أَصْحَابِ النَّارِ» .

“যাঁর হাতে মুহাম্মাদের জীবন তাঁর নামে শপথ করে বলছি! এ উম্মতের (জাতির) যে কেউ আমার ব্যাপারে শুনল চায় সে ইয়াহূদী হউক, খ্রিষ্টান হউক। অতঃপর যে রিসালাত দিয়ে আমাকে পাঠানো হয়েছে তার ওপর ঈমান না এনেই সে মারা গেল, সে ব্যক্তি জাহান্নামের অধিবাসীদের অন্তর্ভুক্ত হবে।” [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৪০৩]

আর এটা এ জন্য যে, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের রিসালাতের বিষয়টি সকল মানুষের জন্য আবশ্যকীয়ভাবে প্রযোজ্য। কোনো সম্প্রদায়কে বাদ দিয়ে কোনো বিশেষ সম্প্রদায়ের জন্য নয়। যেমনটি আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন:

﴿وَمَآ أَرۡسَلۡنَٰكَ إِلَّا رَحۡمَةٗ لِّلۡعَٰلَمِينَ ١٠٧﴾ [ الانبياء : ١٠٧ ]

“আর আমরা তো আপনাকে সৃষ্টিকুলের জন্য শুধু রহমতরূপেই পাঠিয়েছি।” [সূরা আল-আম্বিয়া, আয়াত: ১০৭]

আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন:

﴿وَمَآ أَرۡسَلۡنَٰكَ إِلَّا كَآفَّةٗ لِّلنَّاسِ بَشِيرٗا وَنَذِيرٗا وَلَٰكِنَّ أَكۡثَرَ ٱلنَّاسِ لَا يَعۡلَمُونَ ٢٨﴾ [ سبا : ٢٨ ]

“আর আমরা তো আপনাকে সমগ্র মানুষের জন্যই সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে প্রেরণ করেছি; কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা জানে না।” [সূরা সাবা, আয়াত: ২৮]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন