hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

যে কেউ কোনো জাতির সাথে সামঞ্জস্য বিধান করে চলবে সে তাদের দলভুক্ত বলে গণ্য হবে

লেখকঃ ড. নাসের ইবন আবদিল কারীম আল-‘আকল

২৪
দ্বিতীয়ত: কবর উঁচু করা ও তার ওপর স্মৃতিসৌধ বানানো।
কবর উঁচু করা, তার ওপর স্মৃতিসৌধ বানানো, তাকে মাসজিদ বানানো, ভাস্কর্য বানানো এবং ছবি উত্তোলন করা। আর এ বিষয়গুলো হাদীসের অনেক ভাষ্যে বর্ণিত হয়েছে; তার সারসংক্ষেপ নিম্নরূপ:

ইমাম মুসলিম রহ. ও অন্যান্য বর্ণনাকারীগণ আলী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন:

«أمرني رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ لاَ أَدَعَ قَبْرًا مُشْرِفًا إِلاَّ سَوَّيْتُهُ , وَلاَ تِمْثَالاً إِلاَّ طَمَسْتُهُ » .

“আমাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম নির্দেশ দিয়েছেন যে, আমি যাতে সকল উঁচু কবরকে ভেঙ্গে দেই এবং সকল ভাষ্কর্যকে বিলুপ্ত করি”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং- ৯৬৯।]

ইবন ‘আসেম রহ. সহীহ সনদে মু‘আবিয়া রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন:

«إن تسوية القبور من السنن وقد رفعت اليهود والنصارى فلا تتشبهوا بهم» .

“কবরসমূহকে সমান করে দেওয়া সুন্নাহর অন্তর্ভুক্ত আর ইয়াহূদী ও খ্রিষ্টানরা কবরকে উঁচু করেছে। সুতরাং তোমরা তাদের অনুকরণ করো না”। [ইবন তাইমিয়্যাহ, ইকতিদাউস সিরাতিল মুসতাকীম: ১/৩৪২] অর্থাৎ তোমরা কবরের ওপর উঁচু ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে তাদের অনুকরণ করো না। আর এ দূর্যোগ অর্থাৎ কবরের ওপর উঁচু ভবন নির্মাণ করা অথবা প্রকৃত অর্থে কবরকে উঁচু করা হলো অন্যতম মহাদূর্যোগ, যার দ্বারা আজকের দিনে মুসলিমগণ তাদের অধিকাংশ অঞ্চলে আক্রান্ত হয়েছে; আর এটা নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদীসেরই যথার্থ প্রতিধ্বনি, তিনি বলেছেন:

«لَتركَبُنَّ سَنَنَ من كان قبلَكم» .

“তোমরা অবশ্যই তোমাদের পূর্ববর্তীদের রীতি-নীতি পুরোপুরি অনুসরণ করবে”। [তার তথ্যসূত্র পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে।]

আর এ মহাদূর্যোগের অন্যতম আরেকটি দূর্যোগ হলো নবীদের কবরসমূহকে মসজিদ বানানো। তাঁদের কবরসমূহকে মসজিদ বানানোর অর্থ হলো, তার ওপর ভবন নির্মাণ করা, মসজিদ বানানো এবং এসব মসজিদে সালাত আদায় করা।

অনুরূপভাবে সেটার অন্তর্ভুক্ত হবে, সৎকর্মশীলদের কবরের উপর ভবন নির্মাণ করা, অথবা মাসজিদসমূহে সৎকর্মশীলদের দাফন করা, যদিও তা নির্মাণ কাজের পরবর্তীতে হউক না কেন, এর প্রত্যেকটিই উক্ত নিষিদ্ধের আওতাভুক্ত হবে।

অনুরূপভাবে সেটার অন্তর্ভুক্ত হবে, কবরের নিকট দো‘আ করার উদ্দেশ্যে অথবা আল্লাহ ব্যতীত কবরবাসীকে ডাকার উদ্দেশ্য অথবা তার নৈকট্য অর্জনের উদ্দেশ্য ভ্রমণ করা। আর এ সকল কর্মকাণ্ডের সবই ইয়াহূদী ও খ্রিষ্টানদের কর্মকাণ্ড ছিল। নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এসব কাজ থেকে কঠোরভাবে সতর্ক করে দিয়েছেন।

ইমাম মুসলিম রহ. বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম মৃত্যুর পাঁচদিন পূর্বে বলেছেন:

«إِنِّى أَبْرَأُ إِلَى اللَّهِ أَنْ يَكُونَ لِى مِنْكُمْ خَلِيلٌ فَإِنَّ اللَّهَ تَعَالَى قَدِ اتَّخَذَنِى خَلِيلاً كَمَا اتَّخَذَ إِبْرَاهِيمَ خَلِيلاً وَلَوْ كُنْتُ مُتَّخِذًا مِنْ أُمَّتِى خَلِيلاً لاَتَّخَذْتُ أَبَا بَكْرٍ خَلِيلاً أَلاَ وَإِنَّ مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ كَانُوا يَتَّخِذُونَ قُبُورَ أَنْبِيَائِهِمْ وَصَالِحِيهِمْ مَسَاجِدَ أَلاَ فَلاَ تَتَّخِذُوا الْقُبُورَ مَسَاجِدَ إِنِّى أَنْهَاكُمْ عَنْ ذَلِكَ !!».

“তোমাদের কেউ আমার খলীল (অন্তরঙ্গ বন্ধু) হওয়া থেকে আমি আল্লাহর কাছে নিষ্কৃতি চেয়েছি। কারণ, আল্লাহ তা‘আলা আমাকে তাঁর খলীলরূপে গ্রহণ করেছেন, যেমনিভাবে তিনি খলীলরূপে গ্রহণ করেছিলেন ইবরাহীম আলাইহিস সালামকে। আমি যদি আমার উম্মতের মধ্য থেকে কাউকে খলীলরূপে গ্রহণ করতাম, তবে আবু বকরকেই খলীলরূপে গ্রহণ করতাম। জেনে রাখ, তোমাদের পূর্ববর্তী লোকেরা তাদের নবী ও সৎলোকদের কবরগুলোকে মাসজিদ বানিয়েছিল। সাবধান! তোমরা কবরগুলোকে মাসজিদ বানিও না। আমি তোমাদেরকে তা থেকে নিষেধ করছি”!! [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং- ৫৩২]

আর সহীহ বুখারী ও মুসলিমে এসেছে, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

«قاتل اللَّهُ الْيَهُودَ , اتَّخَذُوا قُبُورَ أَنْبِيَائِهِمْ مَسَاجِدَ» .

“আল্লাহ ইয়াহূদীদেরকে ধ্বংস করুন, তারা তাদের নবীদের কবরগুলোকে মসজিদ বানিয়ে নিয়েছে”। [সহীহ বুখারী ফাতহুল বারী, হাদীস নং- ৪৩৭]

সহীহ মুসলিমের ভাষায়:

«لَعَنَ اللَّهُ الْيَهُودَ وَالنَّصَارَى , اتَّخَذُوا قُبُورَ أَنْبِيَائِهِمْ مَسَاجِدَ» .

“ইয়াহূদী ও খ্রিষ্টানদের প্রতি আল্লাহ অভিশাপ বর্ষণ করুন, তারা তাদের নবীদের কবরগুলোকে মসজিদ বানিয়ে নিয়েছে।” [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং- ৫৩০]

সহীহ বুখারী ও মুসলিমে আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা ও আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত, তাঁরা উভয়ে বলেন:

«لما نزل برسول الله صلى الله عليه و سلم ( مرض موته ) طفق يطرح خميصة له على وجهه فإذا اغتم بها كشفها عن وجهه وقال : وهو كذلك «لعنة الله على اليهود والنصارى , اتخذوا قبور أنبيائهم مساجد» . يحذر ما صعنوا» .

“যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওফাত নিকটবর্তী হলো, তখন তিনি চাদর দিয়ে তাঁর চেহারা ঢাকতে লাগলেন। অতঃপর যখন তাঁর শ্বাস বন্ধ হওয়ার উপক্রম হলো, তখন তিনি তাঁর চেহারা থেকে তা সরিয়ে ফেললেন; আর তিনি অসুস্থতার এমন অবস্থায় বললেন: “ইয়াহূদী ও খ্রিষ্টানদের প্রতি আল্লাহ অভিশাপ, তারা তাদের নবীদের কবরগুলোকে মসজিদে পরিণত করেছে। (এ বলে) তারা যে (বিদ‘আতী) কার্যকলাপ করত, তা থেকে তিনি সতর্ক করলেন”। [সহীহ বুখারী ফাতহুল বারী, হাদীস নং- ৪৩৫, ৪৩৬; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং- ৫৩১]

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম উম্মু সালমা ও উম্মু হাবিবা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমার কাহিনীতে বলেন, যখন তাঁরা হাবশায় তাদের দেখা একটি গির্জার সৌন্দর্য বর্ণনা করলেন, যাতে বেশ কিছু ছবিও ছিল। নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁদেরকে উদ্দেশ্য করে বললেন:

«أولئك قوم إذا مات فيهم العبد الصالح أو الرجل الصالح بنوا على قبره مسجدا، وصوروا فيه تلك الصور ، أولئك شرار الخلق عند الله عز وجل» .

“এরা এমন সম্প্রদায় যে, এদের মধ্যে কোনো সৎ বান্দা অথবা বলেছেন কোনো সৎ লোক মারা গেলে তার কবরের উপর তারা মসজিদ বানিয়ে নিত আর তাতে ঐসব ব্যক্তির প্রতিচ্ছবি স্থাপন করত; এরা হলো আল্লাহ তা‘আলার কাছে নিকৃষ্টতম সৃষ্টি”। [সহীহ বুখারী/ফাতহুল বারী, হাদীস নং- ৪২৬; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং- ৫২৮।]

আর আজকের দিনে মুসলিমগণ যেসব মুসিবতের শিকার হয়েছে, এগুলো সেসব মহা-মুসীবতের অন্তর্ভুক্ত।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন