hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

যে কেউ কোনো জাতির সাথে সামঞ্জস্য বিধান করে চলবে সে তাদের দলভুক্ত বলে গণ্য হবে

লেখকঃ ড. নাসের ইবন আবদিল কারীম আল-‘আকল

৩৩
একাদশতম: বিবিধ উৎসব, অনুষ্ঠান ও পর্বসমূহ।
কারণ, আমাদের শরী‘আতে এগুলোর বর্ণনা আসে নি। আর সর্বজন বিদিত যে, ঈদুল আযহা ও ঈদুল ফিতর ব্যতীত শরী‘আত সম্মত অন্য কোনো উৎসব নেই! বেশি বেশি উৎসব করা আহলে কিতাব, কাফির, মুশরিক ও অগ্নিপূজকদের ধর্ম এবং জাহেলিয়াতের অন্তর্ভুক্ত। আর নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুসলিমগণকে দু’টির বেশি ঈদ তথা উৎসব পালন করতে নিষেধ করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা ‘রহমান’ এর বান্দাদের গুণ বর্ণনা প্রসঙ্গে বলেছেন:

﴿وَٱلَّذِينَ لَا يَشۡهَدُونَ ٱلزُّورَ﴾ [ الفرقان : ٧١ ]

“আর যারা মিথ্যার সাক্ষী হয় না”। [সূরা আল-ফুরকান, আয়াত: ৭১]

পূর্ববর্তী মুফাসসীরগণের অনেকে বলেছেন: এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, মুশরিক ও কাফিরদের উৎসবসমূহ; বস্তুত ইসলামী শরী‘আতে উৎসবও শরী‘আত অনুমোদিত বিষয় ও ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত। যা অবশ্যই দলীলভিত্তিক হতে হবে। [দেখুন: তাফসীরু ইবন কাছীর, ৩/৩২৮,৩২৯]

বাস্তবেই ঈদ-উৎসব ইসলামী শরী‘আত অনুসারে অন্যতম ইবাদাত, আর তাই নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম যাকে শরী‘আতসম্মত উৎসব বলে নির্ধারণ করেছেন, তা থেকে কোনো কিছু বাড়ানো কিংবা কমানো বৈধ নয়। সুতরাং উদাহরণস্বরূপ কোনো মানুষ যদি উপলক্ষ যাই হউক জাতির জন্য তৃতীয় ঈদ-উৎসবের ব্যবস্থা করে, তাহলে সেটা হবে আল্লাহ যে বিধান দিয়েছেন তা ভিন্ন অন্য বিধান প্রবর্তন করার শামিল। অনুরূপভাবে যদি কোনো মানুষ আল্লাহর শরী‘আত কর্তৃক স্বীকৃত ঈদ-উৎসবের কোনো একটিকে বাতিল করে দেয়, তাহলে এটাও শরী‘আত প্রণয়ন বলে গণ্য হবে এবং তা বৈধ হবে না; বরং তা কুফুরী। এ জন্য রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদীনাবাসীকে তাদের কতিপয় সনাতন উৎসব ও পর্বকে পুনরায় চালু করতে বারণ করেছেন। ইমাম আবু দাউদ, আহমদ ও নাসাঈ রহ. ইমাম মুসলিম রহ. এর শর্তে সহীহ সনদে হাদীস বর্ণনা করেছেন; বর্ণনাকারী (আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু) বলেছেন:

«قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْمَدِينَةَ , وَلَهُمْ يَوْمَانِ يَلْعَبُونَ فِيهِمَا , فَقَالَ : «مَا هَذَانِ الْيَوْمَانِ ؟ » . قَالُوا : كُنَّا نَلْعَبُ فِيهِمَا فِى الْجَاهِلِيَّةِ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم : «إِنَّ اللَّهَ قَدْ أَبْدَلَكُمْ بِهِمَا خَيْرًا مِنْهُمَا يَوْمَ الأَضْحَى وَيَوْمَ الْفِطْرِ» . ( أخرجه أبو داود ) .

“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদীনায় আগমন করেছেন এমতাবস্থায় যে, মদীনাবাসীর জন্য নির্দিষ্ট দু’টি দিন ছিল, যাতে তারা খেলাধুলা করে। তখন তিনি জিজ্ঞাসা করলেন: “এ দু’টি দিন কী? জবাবে তারা বলল: আমরা এ দু’টি দিনে জাহেলী যুগে খেলাধুলা করতাম। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: “নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের জন্য (এ) দু’টি দিনের পরিবর্তে তার চেয়ে উত্তম কুরবানীর ঈদ ও ঈদুল ফিতরের দিনের ব্যবস্থা করেছেন”। [আবু দাউদ, হাদীস নং- ১১৩৪; আরও দেখুন: ইবন তাইমিয়্যাহহ, ইকতিদাউস সিরাতিল মুসতাকীম: ১/৪৩২।]

উমার ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলতেন:

«اجتنبوا أعداء الله في أعيادهم» .

“তোমরা আল্লাহ শত্রুদেরকে তাদের উৎসবসমূহের ব্যাপারে এড়িয়ে চল”। [বায়হাকী (আস-সুনান আল-কুবরা): ৯/২৩৪; দেখুন: কানযুল ‘উম্মাল, হাদীস নং- ১৭৩২।]

সুতরাং ঈদ-উৎসব আল্লাহর শরী‘আত কর্তৃক নির্ধারিত। তাতে যত সঙ্গত কারণই থাকুক না কেন, কোনো ধরনের অতিরঞ্জন বা কমতি করা বৈধ হবে না।

আর বিজ্ঞজনদের নিকট থেকে যেমনিভাবে জানা যায়, তাতে সময়ের ঘূর্ণিপাকে মুসলিমগণের পক্ষ থেকে গৃহীত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিটি অনুষ্ঠানই নিষিদ্ধ উৎসবসমূহের অন্তর্ভুক্ত হবে। যেমন, মাসিক অথবা বার্ষিক অথবা দ্বি-বার্ষিক অথবা পঞ্চবার্ষিক অথবা দশ বছর উপলক্ষে অনুষ্ঠান, চাই তা ‘দিবস’ হউক অথবা ‘সপ্তাহ’ হউক অথবা এ ছাড়া অন্য কিছু হউক। আর প্রত্যেকটি অনুষ্ঠান, যা জাতি একটি নির্দিষ্ট সময়ে এবং নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে পালন করে, তা উৎসব বলে পরিগণিত হবে, যদিও তা শরী‘আত নির্ধারিত উৎসবের মধ্যে গণ্য হয় না।

অনুরূপ আরও যেসব উৎসব নিষিদ্ধ উৎসবের অন্তর্ভুক্ত হবে তন্মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, জাতীয় উৎসব, অথবা ক্ষমতাগ্রহণকেন্দ্রীক উৎসব অথবা বিভিন্ন উপলক্ষে আয়োজিত উৎসব অথবা বিজয় উৎসব অথবা বিভিন্ন ঋতুর উৎসবসমূহ অথবা অন্যান্য নামের উৎসবসমূহ।

আরও এর অন্তর্ভুক্ত হবে ‘সপ্তাহ’ নামের বিভিন্ন অনুষ্ঠানসমূহ, যখন জাতি একটি বিশেষ রূপ দিয়ে তা পালন করবে। যেমন, মসজিদ সপ্তাহ ও বসন্ত সপ্তাহ। সুতরাং যখন এ সপ্তাহটি এক সময় থেকে অন্য সময়ে পরিবর্তন না হবে, তখন তা বানানো নিষিদ্ধ উৎসবের মধ্যেই গণ্য হবে।

বস্তুত এটি বিদ‘আতের বীজের অন্তর্ভুক্ত। এমনকি মানুষ যদি এ বিষয়টিকে চালু করার সময় শরী‘আতের বিধিবিধানের কথা স্মরণে রাখে এবং তাতে নিষিদ্ধ বিষয়গুলো পরিহারও করে, তাহলেও তা বৈধ হবে না; কারণ, অচিরেই এমন প্রজন্মের আগমন ঘটবে, যারা বুঝতে পারবে না এবং এ কর্মকাণ্ডসমূহকে উত্তরাধিকার সূত্রে এমন অবস্থার মধ্যে পাবে যে, তারা মনে করবে এগুলো জাতির জন্য আবশ্যকীয় কিছু; আর শরী‘আত যা আবশ্যক করে না, এমন কিছুকে অপরিহার্য করা মানেই তাকে শরী‘আত হিসেবে গণ্য করা। হ্যাঁ, শরী‘আতসম্মতভাবে যা আবশ্যক নয়, তা যদি জনগণ তাদের নিজেদের ওপর অপরিহার্য করে নেয় তবে তা শরী‘আত হিসেবেই গণ্য হবে, চাই তাকে ঈদ-উৎসব নামে নামকরণ করা হউক, অথবা দিবস, সপ্তাহ, মাস, পর্ব, অনুষ্ঠান, মেহেরজান [‘মেহেরজান’ বলতে পারসিকদের ঈদ উৎসব অথবা মহাসমাবেশকে বুঝায়। -অনুবাদক।] ইত্যাদি ধরনের যে কোনো নামেই নামকরণ করা হউক।

বিজ্ঞ আলেমদের মতে, কোনো সন্দেহ নেই যে, এ সকল কর্মকাণ্ড বা বিষয়াদি নিষিদ্ধ বিষয়ের অন্তর্ভুক্ত এবং এগুলো নিষিদ্ধ উৎসবের পর্যায়ে পড়ে!!

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন