hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সহজ ফিকহ শিক্ষা

লেখকঃ ড. সালিহ ইবন গানিম আস-সাদলান

১৭
নফল সালাত
ক- নফল সালাত শরী‘আতসম্মত হওয়ার হিকমত:

বান্দার ওপর আল্লাহর অশেষ নি‘আমত হচ্ছে তিনি মানুষের স্বভাব উপযোগী নানা ধরণের ইবাদতের ব্যবস্থা করেছেন। এর দ্বারা তিনি সঠিকভাবে বান্দার থেকে আরোপিত কাজ বাস্তবায়ন করেন। যেহেতু মানুষ ভুল-ত্রুটি করে। তাই আল্লাহ এসব ভুলের ক্ষতিপূরণে বিকল্প আমলের ব্যবস্থা করেছেন। আর তা হলো নফল সালাত। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে প্রমাণিত যে, নফল সালাত ফরয সালাতের পরিপূরক। মুসল্লি যদি ফরয সালাত পরিপূর্ণভাবে আদায় করতে না পারে তবে নফল সালাত তার পরিপূরক হয়।

খ- সর্বোত্তম নফল ইবাদত:

সর্বোত্তম নফল ইবাদত হলো আল্লাহর পথে জিহাদ। অতঃপর দ্বীনি ইলম শিক্ষা করা ও শিক্ষা দেওয়া। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,

﴿يَرۡفَعِ ٱللَّهُ ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ مِنكُمۡ وَٱلَّذِينَ أُوتُواْ ٱلۡعِلۡمَ دَرَجَٰتٖۚ١١﴾ [ المجادلة : ١١ ]

“তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান এনেছে এবং যাদেরকে জ্ঞান দান করা হয়েছে আল্লাহ তাদেরকে মর্যাদায় সমুন্নত করবেন।

অতঃপর নফল সালাত। এটি সর্বোত্তম শারীরিক ইবাদাত। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

«اسْتَقِيمُوا، وَلَنْ تُحْصُوا، وَاعْلَمُوا أَنَّ خَيْرَ أَعْمَالِكُمُ الصَّلَاةَ»

“তোমরা (দীনের ওপর) অবিচল থাকো, আর তোমরা কখনও তা যথাযথভাবে পালন করতে পারবে না। জেনে রাখো, তোমাদের আমালসমূহের মধ্যে সর্বোত্তম হলো সালাত।” [ইবন মাজাহ, ত্বাহারাত ওয়াসুনানিহা, হাদীস নং ২৭৭; আহমদ, ৫/২৮২; দারেমী, ত্বাহারাত, হাদীস নং ৬৫৫।]

নফল সালাতের মধ্যে অন্যতম হলো:

ক- সালাতুল লাইল তথা তাহাজ্জুদের সালাত:

সালাতুল লাইল তথা রাতের সালাত দিনের সালাতের চেয়ে উত্তম, আবার রাতের শেষার্ধের সালাত প্রথমার্ধের চেয়ে উত্তম। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

«يَنْزِلُ رَبُّنَا تَبَارَكَ وَتَعَالَى كُلَّ لَيْلَةٍ إِلَى السَّمَاءِ الدُّنْيَا إِذَا مَضَى شَطْرُ اللَّيْلِ» . [হাদীসের মূল নসটি এভাবে, [অনুবাদক] «يَنْزِلُ رَبُّنَا تَبَارَكَ وَتَعَالَى كُلَّ لَيْلَةٍ إِلَى السَّمَاءِ الدُّنْيَا، حِينَ يَبْقَى ثُلُثُ اللَّيْلِ الْآخِرُ» . “আমাদের রব প্রতি রাতের যখন রাতের শেষ তৃতীয়াংশ অবশিষ্ট থাকে তখন পৃথিবীর আসমানে অবতরণ করেন। (সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৭৪৯২; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৭৫৮) অথবা নসটি এভাবে হবে, [অনুবাদক] «إِذَا مَضَى شَطْرُ اللَّيْلِ، أَوْ ثُلُثَاهُ، يَنْزِلُ اللهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى إِلَى السَّمَاءِ الدُّنْيَا» .]

“যখন রাতের অর্ধেক অতিবাহিত হয় তখন আমাদের সুমহান রব প্রতি রাতে পৃথিবীর আসমানে অবতরণ করেন।” [সহীহ বুখারী, জুমু‘আ, হাদীস নং ১০৯৪; সহীহ মুসলিম, সালাতুল মুসাফিরীন ওয়াকাসরিহা, হাদীস নং ৭৫৮; তিরমিযী, সালাত, হাদীস নং ৪৪৬; আবু দাউদ, সালাত, হাদীস নং ১৩১৫; ইবন মাজাহ, ইকামাতুস সালাহ ওয়াসসুন্নাতু ফিহা, হাদীস নং ১৩৬৬; মুসনাদ আহমদ, ২/২৬৭; মালিক, নিদা লিসসালাহ, হাদীস নং ৪৯৬; সুনান দারেমী, সালাত, হাদীস নং ১৪৭৮।][মুসলিম]

তাহাজ্জুদ হলো ঘুমের পরে যে সালাত পড়া হয়। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা বলেছেন, রাতের বেলায় ঘুম থেকে জেগে উঠে সালাত আদায় করা হলো নাশিয়াতুল লাইল তথা তাহাজ্জুদ সালাত।

খ- সালাতুদ-দোহা:

মাঝে মাঝে সালাতুদ্দোহা আদায় করা সুন্নাত। আবু সাঈদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত হাদীসে এসেছে,

كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي الضُّحَى حَتَّى نَقُولَ لاَ يَدَعُ، وَيَدَعُهَا حَتَّى نَقُولَ لاَ يُصَلِّي .

“রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমনভাবে সালাতুদ-দোহা আদায় করতেন যে, আমরা বলতাম তিনি হয়ত আর পরিত্যাগ করবেন না। আবার যখন তা আদায়  করা থেকে বিরত থাকতেন তখন আমরা বলতাম যে, হয়ত তিনি আর তা আদায় করবেন না”। [তিরমিযী, সালাত, হাদীস নং ৪৭৭; আহমদ, ৩/৩৬।]

সালাতুদ-দোহার সর্বনিম্ন সংখ্যা দুরাক‘আত। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চার ও ছয় রাকাত আদায় করেছেন। আর সালাতুদ-দোহার সর্বোচ্চ সংখ্যা আট রাকাত। এ সালাত সর্বদা আদায় করা শর্ত নয়।

গ- তাহিয়্যাতুল মাসজিদ:

মসজিদে প্রবেশ করে তাহিয়্যাতুল মাসজিদের সালাত আদায় করা সুন্নাত। আবু কাতাদাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত হাদীসে এসেছে,

«إِذَا دَخَلَ أَحَدُكُمُ المَسْجِدَ، فَلاَ يَجْلِسْ حَتَّى يُصَلِّيَ رَكْعَتَيْنِ»

“তোমাদের কেউ মসজিদে প্রবেশ করলে সে যেন দু’ রাকাত সালাত না পড়া পর্যন্ত না বসে।” [সহীহ বুখারী, জুমু‘আ, হাদীস নং ১১১৪; সহীহ মুসলিম, সালাতুল মুসাফিরীন ওয়াকাসরিহা, হাদীস নং ৭১৪; তিরমিযী, সালাত, হাদীস নং ৩১৬; নাসাঈ, আল-মাসাজিদ, হাদীস নং ৭৩০; আবু দাউদ, সালাত, হাদীস নং ৪৬৭; ইবন মাজাহ, ইকামাতুস সালাহ ওয়াসসুন্নাতু ফিহা, হাদীস নং ১০১৩; আহমদ, ৫/৩১১; দারেমী, সালাত, হাদীস নং ১৩৯৩।] (বহু হাদীস প্রণেতারা হাদীসটি বর্ণনা করেছেন)

ঘ- তিলাওয়াতের সাজদাহ:

কুরআন তিলাওয়াতকারী ও শ্রবণকারী উভয়ের জন্য তিলাওয়াতের সাজদাহ দেওয়া সুন্নাত। তাকবীর বলে সাজদাহ দিবে এবং সাজদাহ থেকে উঠে সালাম ফিরাবে। সাজদায় সুবহানা রাব্বিআল ‘আলা বা সাজদায় যেসব দো‘আ পড়া হাদীসে এসেছে সেগুলো পড়া।

ঙ- শুকরিয়ার সাজদাহ:

কোন নি‘আমত প্রাপ্ত হলে বা বিপদাপদ কেটে গেলে শুকরিয়ার সাজদাহ দেওয়া সুন্নাত। কেননা আবু বাকরাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত হাদীসে এসেছে,

«كَانَ إِذَا أَتَاهُ أَمْرٌ يَسُرُّهُ أَوْ بُشِّرَ بِهِ، خَرَّ سَاجِدًا»

“রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট কোনো খুশির খবর আসলে তিনি আল্লাহর সমীপে সাজদায় লুটিয়ে পড়তেন।

আলী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু খাওয়ারেজদের মধ্যে ‘যুসসুদাইয়্যা’ পেয়ে শুকরিয়ার সাজদাহ করেছেন। (মুসনাদ আহমাদ)

তাছাড়া কা‘ব ইবন মালিক রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর তাওবা কবুলের সুসংবাদ তার কাছে পৌঁছলে তিনি সাজদাহ করেন। তার এ ঘটনা সহীহ বুখারী ও মুসলিমে রয়েছে। এ সাজদার নিয়ম ও বিধান তিলাওয়াতের সাজদার মতোই।

চ- তারাবীহর সালাত:

তারাবীহর সালাত সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ সুন্নাত চালু করেছেন। রমযান মাসে ইশার সালাতের পরে মসজিদে জামা‘আতের সাথে এ সালাত আদায় করতে হয়। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ সালাতের জামা‘আত চালু করেছেন। উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু তাঁর খিলাফাত কালে এ সুন্নাত পুনর্জীবিত করেছেন। উত্তম হলো এগারো রাকাত পড়া, তবে এর চেয়ে বেশি পড়লেও কোনো অসুবিধে নেই। রমযানের শেষ দশকে কিয়ামুল লাইল, যিকির ও দো‘আ বেশি পরিমাণে করার চেষ্টা করা।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন