মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
“হে মুমিনগণ, তোমাদের উপর সিয়াম ফরয করা হয়েছে, যেভাবে ফরয করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর। যাতে তোমরা তাকওয়া অবলম্বন কর।” [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ১৮৩]
আর এটি ছিল দ্বিতীয় হিজরীর শাবান মাসে।
সাওমের উপকারিতা:
সাওমের রয়েছে আত্মিক, সামাজিক ও শারীরিক উপকার। সেগুলো:
সাওমের আত্মিক উপকারের মধ্যে রয়েছে এটি মানুষকে ধৈর্য শিক্ষা দেয় ও তাকে শক্তিশালী করে। ব্যক্তিকে আত্মনিয়ন্ত্রণ শিক্ষা দেয় এবং এর ওপর চলতে সাহায্য করে। সাওমের মাধ্যমে মানুষ তাকওয়া অর্জন করে এবং সাওম মানুষকে তাকওয়া শিক্ষা দেয়।
সাওমের সামাজিক উপকারের মধ্যে রয়েছে এটি জাতিকে শৃংখলা, একতা, ন্যায়পরায়নতা ও সমতা বজায় রাখতে অভ্যস্ত করে। মুমিনের মধ্যে ভালোবাসা, রহমত ও সচ্চরিত্র ইত্যাদি গুণ অর্জনে সাহায্য করে। এছাড়াও সমাজকে সব ধরণের অন্যায় ও বিশৃংখলা থেকে মুক্ত রাখে।
সাওমের শারীরিক উপকারিতা হলো: সাওম মানুষের নাড়িভুঁড়ি পরিষ্কার করে ও পাকস্থলী সুস্থ রাখে। শরীরকে অতিরিক্ত ঝামেলা থেকে মুক্ত রাখে ও অতিরিক্ত ওজন কমায়।
রমযান মাস শুরু হওয়া সাব্যস্ত করার পদ্ধতি:
দু’টি পদ্ধতির যে কোনো একটির দ্বারা রমযান মাস শুরু হওয়া সাব্যস্ত হবে। তাহলো:
১- আগের মাস তথা শাবান মাস ত্রিশ দিন পূর্ণ করে, একত্রিশতম দিনকে রমযানের প্রথম দিন ধরে অত্যাবশ্যকীয়ভাবে সাওম পালন শুরু করবে।
২- শাবান মাসের ত্রিশতম রাতে চাঁদ দেখা গেলে রমযান সাব্যস্ত হবে এবং পরের দিন থেকে সাওম পালন করা ফরয হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
“যখন তোমরা চাঁদ দেখবে তখন সাওম পালন করবে, আবার যখন তা দেখবে তখন সাওম ভঙ্গ করে ঈদুল ফিতর পালন করবে। আর যদি আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকে তাহলে তাঁর সময় হিসাব করে ত্রিশ দিন পূর্ণ করবে।” [সহীহ বুখারী, সাওম, হাদীস নং ১৮০১; সহীহ মুসলিম, সিয়াম, হাদীস নং ১০৮০; নাসাঈ, সিয়াম, হাদীস নং ২১২০; আহমদ, ২/১৪৫; মালিক, সিয়াম, হাদীস নং ৬৩৪; দারেমী, সাওম, হাদীস নং ১৬৮৪।]
রমযানের চাঁদ কোনো এলাকার লোকজন দেখলে তাদের উপর সাওম শুরু করা ফরয; কেননা চাঁদের উদয় স্থান স্থানভেদে ভিন্ন। যেমন এশিয়াতে চাঁদের উদয় স্থান ইউরোপের উদয় স্থান থেকে আলাদা, আবার আফ্রিকার উদয় স্থান আমেরিকার উদয় স্থান থেকে ভিন্ন। এ কারণে প্রত্যেক অঞ্চলের জন্য আলাদা হুকুম। তবে যদি পৃথিবীর সব মুসলিম একই চাঁদ দেখে এক দিনে সবাই সাওম পালন করে তাহলে তাতে ইসলামের সৌন্দর্য্য, পরস্পর ভালোবাসা, একতা ও ভ্রাতৃত্ব প্রকাশ পায়।
রমযানের চাঁদ একজন বা দু’জন সৎ ও ন্যায়পরায়ণলোকের দেখার সাক্ষ্য দিলেই তা যথেষ্ট হবে। যেহেতু রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একজনের সাক্ষ্যের ওপর ভিত্তি করে রমযানের সাওম পালনের অনুমতি দিয়েছেন। [সহীহ মুসলিম।] কিন্তু শাওয়াল মাসে ঈদের চাঁদ দেখার জন্য কমপক্ষে দু’জন সৎ লোকের সাক্ষ্য লাগবে। কেননা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একজন সৎলোকের সাক্ষ্য গ্রহণ করে সাওম ভঙ্গ করতে অনুমতি দেন নি। [সহীহ মুসলিম।]
রমযান মাসের সাওম পালন ফরয:
রমযান মাসের সাওম পালন ফরয হওয়া কুরআন, সুন্নাহ ও ইজমা দ্বারা তা প্রমাণিত। এটি ইসলামের অন্যতম একটি রুকন। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
“রমযান মাস, যাতে কুরআন নাযিল করা হয়েছে মানুষের জন্য হিদায়াতস্বরূপ এবং হিদায়াতের সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী ও সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারীরূপে। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে মাসটিতে উপস্থিত হবে, সে যেন তাতে সিয়াম পালন করে”। [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ১৮৫]
“ইসলামের ভিত্তি পাঁচটি। এ কথার সাক্ষ্য দওেয়া যে, আল্লাহ ব্যতীত কোনো (সত্য) ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল, সালাত কায়েম করা, যাকাত দেওয়া, হজ করা এবং রমযান মাসের সিয়াম পালন করা”। [সহীহ বুখারী, ঈমান, হাদীস নং ৮; সহীহ মুসলিম, ঈমান, হাদীস নং ১৬; তিরমিযী, ঈমান, হাদীস নং ২৬০৯; নাসাঈ, ঈমান ওয়াশারায়ি‘উহু, হাদীস নং ৫০০১; আহমদ, ২/৯৩।]
সাওমের রুকনসমূহ:
১- নিয়ত করা। আল্লাহর আদেশ পালন করতে ও তার নৈকট্য লাভের প্রত্যাশায় অন্তরে সাওমের দৃঢ় সংকল্প করা। কেননা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
২- বিরত থাকা: সাওম ভঙ্গকারী কারণ খাদ্য, পানীয় ও স্বামী-স্ত্রীর মিলন ইত্যাদি থেকে বিরত থাকা।
৩- সময়: এখানে সময় বলতে দিনের বেলাকে বুঝানো হয়েছে। সূর্যোদয়ের পূর্ব থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়।
সাওম ফরয হওয়ার শর্তাবলী:
সাওম ফরয হওয়ার শর্ত চারটি। তা হলো:
১- ইসলাম।
২- বালেগ তথা প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া।
৩- আকেল তথা জ্ঞান সম্পন্ন হওয়া।
৪- সাওম পালনে সক্ষম হওয়া।
তাছাড়া মহিলাদের সাওম শুদ্ধ হতে হায়েয ও নিফাস থেকে পবিত্র হওয়াও শর্ত।
সাওম শুদ্ধ হওয়ার শর্তাবলী:
১- ইসলাম।
২- রাত থেকেই সাওমের নিয়ত করা।
৩- আকেল তথা জ্ঞান সম্পন্ন হওয়া।
৪- ভালো-মন্দ পার্থক্যকারী প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া।
৫- হায়েয থেকে পবিত্র হওয়া।
৬- নিফাস থেকে পবিত্র হওয়া।
সাওমের সুন্নাতসমূহ:
১- তাড়াতাড়ি ইফতার: সুর্যাস্তের সাথে সাথেই দ্রুত ইফতার করা।
২- তাজা বা শুকনা খেজুর বা পানি দিয়ে ইফতার করা। এগুলো ক্রমান্বয়ে অর্থাৎ একটি পাওয়া না গেলে অন্যটি দিয়ে ইফতার করা মুস্তাহাব। তিন বা পাঁচ বা সাত ইত্যাদি বেজোড় সংখ্যক দিয়ে ইফতারি করা মুস্তাহাব।
৩- ইফতারের সময় দো‘আ করা। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইফতারের সময় এ দো‘আ করতেন,
«اللهم لك صمنا وعلى رزقك أفطرنا، فتقبل منا إنك أنت السميع العليم» .
“হে আল্লাহ! আমরা আপনার জন্যই সাওম পালন করলাম, আপনার দেওয়া রিযিকে ইফতার করলাম। অতএব, আপনি আমাদের সাওম কবুল করুন। নিশ্চয়ই আপনি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী”। [আবু দাউদ, সাওম, হাদীস নং ২৩৫৮।]
৪- সাহরী খাওয়া: সাওম পালনের নিয়তে শেষরাতে কিছু খাওয়া ও পান করার নাম সাহরী।
৫- রাতের শেষভাগে বিলম্বে সাহরী খাওয়া।
সাওমের মাকরূহসমূহ:
সাওম পালনকারীর জন্য কিছু কাজ করা মাকরূহ। কারণ এর মাধ্যমে তার সাওম নষ্ট হয়ে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকে; যদিও এ কাজগুলো সরাসরি সাওম নষ্ট করে না। তন্মধ্যে:
১- অযুর সময় কুলি ও নাকে পানি দেওয়ায় অতিরঞ্জিত করা।
২- স্ত্রীকে চুম্বন করা। কেননা এতে যৌন উত্তেজনায় মযী বের হওয়া বা মিলনের সম্ভাবনা থাকে, ফলে কাফফারা ওয়াজিব হয়ে যাবে।
৩-যৌন উত্তেজনাসহ স্ত্রীর প্রতি পলকহীনভাবে একাধারে তাকিয়ে থাকা।
৪- যৌন কাজের চিন্তা করা।
৫- হাতের দ্বারা স্ত্রীকে ষ্পর্শ করা বা তার শরীর স্পর্শ ও ঘর্ষণ করা।
যেসব ওযরগ্রস্ত ব্যক্তির সাওম ভঙ্গ করা জায়েয:
১- হায়েয ও নিফাসগ্রস্ত নারীর সাওম ভঙ্গ করা ফরয।
২- কাউকে ধ্বংস থেকে উদ্ধার বা রক্ষা করতে হলে যদি সাওম ভঙ্গ করতে হয় তবে তখন তার জন্য সাওম ভঙ্গ করা ওয়াজিব। যেমন, ডুবে যাওয়া বা এ ধরণের ব্যক্তিকে রক্ষা করা।
৩- যে সফরে সালাত কসর করা সাওম ভঙ্গ করা জায়েয সে ধরনের সফরকারীর জন্য সাওম ভঙ্গ করা সুন্নাত।
৪- সাওম পালনে রোগ বৃদ্ধি হতে পারে এমন আশঙ্কা থাকলে অসুস্থ ব্যক্তির জন্য সাওম ভঙ্গ করা বৈধ।
৫- মুকিম ব্যক্তি দিনের বেলায় সফর করলে তার জন্য উত্তম হলো সাওম ভঙ্গ না করা, যেহেতু এ ব্যাপারে আলেমদের মতানৈক্য রয়েছে।
৬- গর্ভবতী অথবা দুগ্ধদানকারী নারী যদি তার নিজের ক্ষতির আশঙ্কা করে অথবা তার সন্তানের ক্ষতির আশঙ্কা করে তবে তার জন্য সাওম ভঙ্গ করা বৈধ হবে। যদি নিজের ক্ষতির কোনো ভয় না থাকে, শুধু বাচ্চার ক্ষতির আশঙ্কা থাকে তাহলে সে অবস্থায় তাকে কাযা করার সাথে ফিদিয়া তথা প্রতিদিনের সাওমের পরিবর্তে একজন মিসকীনকে খাদ্যদান করতে হবে।
সাওম ভঙ্গের কারণসমূহ:
সাওম ভঙ্গের কারণ নিম্নরূপ:
১- রিদ্দা তথা মুরতাদ হয়ে গেলে সাওম ভঙ্গ হয়ে যাবে।
২- মারা গেলে।
৩- সাওম ভেঙ্গে ফেলার দৃঢ় নিয়ত করলে।
৪- সাওম রাখা বা ভেঙ্গে ফেলার ব্যাপারে সন্দিহান হলে।
৫- ইচ্ছাকৃত বমি করলে।
৬- পশ্চাত পথ দিয়ে বা ইনজেকশন করে শরীরে খাদ্য ঢুকালে।
৭- হায়েয ও নিফাসের রক্ত বের হলে।
৮- মুখে কফ জমা করে গিলে ফেললে।
৯- সিঙ্গা লাগালে সিঙ্গাকারী ও সিঙ্গাকৃত ব্যক্তি উভয়ের সাওম ভঙ্গ হয়ে যাবে।
১০- স্ত্রীর দিকে বারবার চেয়ে থাকার কারণে ইচ্ছাকৃত বীর্যপাত হলে সাওম ভেঙ্গে যাবে।
১১- স্ত্রীকে চুম্বন বা তার শরীর স্পর্শ বা হস্তমৈথুন বা যৌনাঙ্গ ব্যতীত অন্য পথে সহবাস করার কারণে মনি (বীর্যপাত) বা মযী বের হলে।
১২- পেটে, গলায় বা ব্রেণে খাদ্য ও পানীয় জাতীয় কিছু চলে গেলে সাওম ভেঙ্গে যাবে।
সতর্কীকরণ:
রমযানে দিনের বেলায় যৌনাঙ্গ বা যৌনাঙ্গ ব্যতীত অন্য পথে ইচ্ছাকৃত সহবাস করলে সাওম ভেঙ্গে যাবে এবং এতে কাযা ও কাফফারা দু’টি-ই আদায় করতে হবে। এসব কাজ যদি ভুলে করে ফেলে তাহলে তার সাওম সহীহ হবে এবং তাকে কাযা ও কাফফারা কোনোটিই করতে হবে না।
কোনো নারীকে রমযানে দিনের বেলায় জোর করে সহবাস করা হলে বা না জানার কারণে সহবাস করলে বা সে নারী ভুলে সহবাস করলে তার সাওম সঠিক। তবে সে নারীকে জোরপূর্বক সহবাস করতে বাধ্য করা হলে তার ওপর শুধু কাযা করা ওয়াজিব হবে। আর সে ইচ্ছাকৃত এসব কাজে অনুগত হলে তাকে কাযা ও কাফফারা উভয়টি করতে হবে।
সাওমের কাফফারা হলো একজন মুমিন দাস মুক্ত করা। দাস মুক্ত করতে অক্ষম হলে দু’মাস একাধারে সাওম পালন করা। দু’মাস সাওম পালনে অক্ষম হলে ৬০ জন মিসকীনকে খাবার প্রদান করা। ৬০ জন মিসকীনকে খাবার প্রদান করতেও যদি অক্ষম হয় তবে তার থেকে কাফফারা রহিত হয়ে যাবে।
স্বামী যদি যৌনাঙ্গ ব্যতীত অন্য পথে সহবাস করে তাহলে স্বামীকে তা কাযা করতে হবে এবং আল্লাহর কাছে তাওবা করতে হবে।
রমযানের কাযা তাৎক্ষণিক আদায় করে দেওয়া সুন্নাত। কোনো ওযর ব্যতীত ইচ্ছাকৃত পরবর্তী রমযান পর্যন্ত বিলম্ব করলে তাকে কাযার সাথে প্রতিদিন একজন মিসকীনকে খাদ্য দান করতে হবে।
কেউ মানতের সাওম বা মানতের হজ যিম্মায় রেখে মারা গেলে তার অভিভাবকেরা তা কাযা করে দিবে।
যেসব দিন সাওম পালন করা মুস্তাহাব, মাকরূহ ও হারাম
ক- যেসব দিন সাওম পালন করা মুস্তাহাব:
নিম্নোক্ত দিনসমূহে সাওম পালন করা মুস্তাহাব:
আরাফার দিনের সাওম। আর তা হচ্ছে হাজী ব্যতীত অন্যরা নয় তারিখ সাওম পালন করবে।
মুহাররম মাসের নয় ও দশ বা দশও এগারো তারিখ সাওম পালন করা।
শাওয়ালের ছয়টি সাওম।
শা‘বান মাসের প্রথমার্ধে অর্থাৎ পনের তারিখের আগে সাওম পালন।
মুহাররম মাসে সাওম পালন করা।
প্রতিমাসের বেজোড় তিনদিন অর্থাৎ (১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ) সাওম পালন করা।
প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার সাওম পালন করা।
একদিন সাওম পালন করা আবার একদিন সাওম পালন না করা অর্থাৎ একদিন পরপর সাওম রাখা।
আর নিম্নের দিনগুলোতে সাওম পালন করা মাকরূহ তাহরিমী। সেগুলো হচ্ছে:
১- সাওমুল বিসাল তথা দু বা ততোধিক দিন বিনা ইফতারে লাগাতার সাওম পালন করা।
২- ইয়ামুশ-শাক তথা শা‘বান মাসের ত্রিশতম দিনে সাওম পালন করা।
৩- সারা বছর বিরতিহীনভাবে একাধারে সাওম পালন করা।
৪- স্বামী উপস্থিত থাকা অবস্থায় তার অনুমতি ব্যতীত স্ত্রীর নফল সাওম পালন করা।
যে দিনগুলোতে সাওম পালন করা হারাম:
আর নিম্নের দিনগুলোতে সাওম পালন করা হারাম। সেগুলো হচ্ছে:
১- ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার দিনে সাওম পালন করা হারাম।
২- আইয়্যামে তাশরীক তথা যিলহজের ১১, ১২ ও ১৩ তারিখ এ তিনদিন হাদই যবেহ করতে অক্ষম তামাত্তু ও কারিন হাজীগণ ব্যতীত অন্যদের সাওম পালন করা হারাম।
৩- মহিলাদের জন্য হায়েয ও নিফাসের দিনে সাওম পালন করা হারাম।
৪- অসুস্থ ব্যক্তি সাওম পালন করলে যদি তার অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকলে তার সাওম পালন করা হারাম।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/396/35
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।